নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমাদের সমাজে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী, যখন কোন মহিলার স্বামী মারা যান তার পর ঐ বিধবা মহিলা অনেকদিন পর্যন্ত সাদা কাপড় পরে এক ঘরে বন্দির মতো জীবন কাটান।
আদৌ কি এর কোন ভিত্তি আছে?
সামাজিকতার দিক থেকে হোক বা ধর্মীয় দিক থেকে এর কি কোন ব্যাখ্যা আছে?
জানতে চাই
২| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৯:১৮
ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: স্বামী বা নিকটাত্মীয়ের মৃত্যুতে মহিলাদের শোকঃ
কোন মহিলার স্বামী মারা গেলে তার জন্য শোকপালন করা আবশ্যক। এর ইদ্দত (মেয়াদ) হল, চার মাস দশ দিন যদি সে গর্ভবতী না হয়। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَالَّذِينَ يُتَوَفَّوْنَ مِنكُمْ وَيَذَرُونَ أَزْوَاجًا يَتَرَبَّصْنَ بِأَنفُسِهِنَّ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرً
“আর তোমাদের মধ্যে যারা মৃত্যুবরণ করবে এবং নিজেদের স্ত্রীদেরকে ছেড়ে যাবে,তখন স্ত্রীদের কর্তব্য হলো নিজেদেরকে চার মাস দশ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করিয়ে রাখা। “ সূরা বাকারা: ১৩৪
আর গর্ভবতী হলে সন্তান ভূমিষ্ট হওয়া পর্যন্ত ইদ্দত পালন করবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন:
وَأُولَاتُ الْأَحْمَالِ أَجَلُهُنَّ أَنْ يَضَعْنَ حَمْلَهُنَّ
“গর্ভবর্তী নারীদের ইদ্দতকাল সন্তান প্রসব পর্যন্ত। ” সূরা তালাক: ৪
অনুরূপভাবে পিতা, মাতা, ভাই, বোন, সন্তান ইত্যাদি নিকটাত্মীয় মারা গেলে তার জন্য সবোর্চ্চ তিন দিন শোক পালন জায়েজ আছে কিন্তু ওয়াজিব বা আবশ্যক নয়।
আবু সালামার মেয়ে যয়নব বলেন, শাম থেকে আবু সুফিয়ান রা. এর মৃত্যু সংবাদ আসার পর তৃতীয় দিন (তাঁর মেয়ে উম্মুল মুমিনীন) উম্মে হাবীবা রা. কিছু হলুদ বা যাফরান (অন্য বর্ণনায় সুগন্ধি) আনতে বললেন। অত:পর তা আনা হলে তিনি তা তার চেহারার দুপাশে ও দুগালে এবং দুবাহুতে মাখলেন। অত:পর বলেন: এটা করার আমার কোন দরকার ছিল না। কিন্তু আমি এমনটি এজন্যই করলাম যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন:
« لاَ يَحِلُّ لاِمْرَأَةٍ تُؤْمِنُ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الآخِرِ أَنْ تُحِدَّ عَلَى مَيِّتٍ فَوْقَ ثَلاَثٍ ، إِلاَّ عَلَى زَوْجٍ ، فَإِنَّهَا تُحِدُّ عَلَيْهِ أَرْبَعَةَ أَشْهُرٍ وَعَشْرًا »
“যে মহিলা আল্লাহ ও পরকালের উপর বিশ্বাস রাখে তার জন্য স্বামী ছাড়া কারও মৃত্যুতে তিন দিনের বেশি শোক পালন করা বৈধ নয়। স্বামীর মৃত্যুতে সে চার মাস দশ দিন শোক পালন করবে। “সহীহ বুখারী, অনুচ্ছেদ: স্বামী ছাড়া অন্যের মৃত্যুতে মহিলার শোক পালন করা।
তবে স্বামীকে খুশি রাখতে যদি অন্য কোন মানুষের মৃত্যুতে স্ত্রী শোক পালন না করে তবে সেটাই উত্তম।
শোক পালনের সময় আকর্ষণীয় পোশাক, আতর-সুগন্ধি, অলঙ্কার ইত্যাদি পরিধান থেকে দূরে থাকবে এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া দূরে কোথাও বেড়াতে যাবে না।
মোটকথা, স্বামী মারা যাওয়ার পর স্ত্রী এমন সব আচরণ করবে না বা এমন সৌন্দর্য অলম্বন করবে না যা তাকে বিয়ের দিকে আকৃষ্ট করতে পারে।
উত্তর প্রদানেঃ
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
(লিসান্স, মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব)
দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
৩| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:১০
মোহাম্মাদ আব্দুলহাক বলেছেন: হিন্দু প্রতা।
৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১০:৪০
তানীম আব্দুল্লাহ্ বলেছেন: এগুলা এখন কেউ করেনা। যদি এমন কিছু দেখে থাকেন তাহলে ঐসব এলাকা ত্যাগ করুন চিরতরে
নয়তো আপনি টিভিতে পুরান আমলের বাংলা হিন্দি সিনেমা দেখছেন ।
৫| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ১১:৩৬
সোবুজ বলেছেন: কু সংস্কার।বিধবা বিবাহের প্রচলন ছিলনা তাই এই ব্যবস্থা।
৬| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ১০:৫০
নতুন বলেছেন: এটা নারীদের আরো একটু নিয়ন্ত্রনের জন্য পুরুষ সমাজের আরেকটা বানানো প্রথা।
আর এটা আমাদের সমাজে অনেক দিন আগে থেকেই চলে এসেছে। সম্ববত হিন্দুদের বিধবা বিবাহ নিষেধ ছিলো তাই।
৭| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২২ সকাল ৯:৪৪
বিটপি বলেছেন: স্বামী মারা গেলে হিন্দু নারীদের মধ্যে সাদা পোশাক পরার রীতি চলে আসছে যুগ যুগ ধরে৷ সেই সঙ্গে সমস্ত অলঙ্কারও খুলে ফেলে তারা৷ বাল্যবিধবাদের গভীর দীর্ঘশ্বাস সমাজকে আহত করছিল যখন, তখন তাকে চাপা দিতে গড়ে উঠেছিল এই প্রথা৷
মানুষের কামনা বাসনা প্রকৃতির অধীন, তার থেকে কেউ নিষ্কৃতি পেতে পারে না, এমন বিশ্বাস মানুষের মনে দৃঢ় হতে শুরু করে প্রাচীনকাল থেকেই৷ কিন্তু সমাজের মঙ্গল সাধনের জন্য কিছু নিয়ম কানুন মেনে চলা প্রয়োজন৷ আর এই নিয়মের মধ্যেই জায়গা করে নেয় সাদা রংটি৷ সাদা রং ত্যাগ, নির্মলতা, শুভ্রতার প্রতীক৷ জ্ঞানী ব্যক্তিরা সাদা পোশাক পরার রীতিও চালু করেন৷ সাদা পোশাকে মনও স্নিগ্ধ থাকে৷ মনে শ্রদ্ধা-ভাব-ভক্তির সঞ্চার হয় বলে মনে করা হয়৷ যা কামনা-বাসনাকে প্রতিহত করতে সাহায্য করে৷
আর নারীকেও এই সাদা পোশাকে কামাক্ত বলে মনে হয় না৷ পাশাপাশি অলঙ্কার কামনা বাসনার উদ্রেক করে বলে মনে করা হয়৷ আর তা নারীমনের অতৃপ্তিকে আরও বাড়িয়ে তোলে৷ অনেক সময় অনেক অঘটনও ঘটে যায়, যা সমাজের চোখে অপরাধ বলে বিবেচিত৷ তাই সব সমস্যার সমাধানে সাদা রংকেই বেছে নেয়া হয়েছে বহুকাল আগেই৷
বাংলাদেশ হিন্দু ফাউন্ডেশনের সহ-মহাসচিব এডভোকেট নিতাই প্রসাদ ঘোষ বলেন, আমাদের ধর্মীয় গ্রন্থ বেদ-এর কোথাও সাদা শাড়ি পরতে হবে উল্লেখ নেই। এটা একটি প্রথা হয়ে গেছে। এটা নিঃসন্দেহে কুসংস্কার।
©somewhere in net ltd.
১| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২২ রাত ৮:৪৫
জ্যাকেল বলেছেন: ধরেন এক মহিলার স্বামী মারা যাবার পরে সে রঙিন শাড়ি পরা শুরু করল। ইহার ফলে লোকেরা ঐ মহিলার স্বামী মারা যাওয়ার শোক দেখতে পাবে না। তাই তারা নিজের পাপ বাড়ানোর জন্য ঐ মহিলা নিয়ে ইন্টারফেয়ার করা শুরু করবে যা ইসলামে চরমভাবে নিষিদ্ধ করা হইয়াছে।
অথচ আপনার প্রশ্নের উত্তর কমন সেন্স থেকে পাওয়া যায়, সাধা/রঙিন শাড়ি নয়, একজনের মনের ভেতরে কি আছে তা আল্লাহ ছাড়া আর কে ভাল বলতে পারে? অতএব এইসকল প্রথা মানুষকে কস্ট দেওয়া ছাড়া আর বিশেষ কোন কারণ হইতে পারে না। ইহা মানা না মানা আসলে নিজের পরিবারের ব্যাপার।