নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইখওয়ানুল মুসলিমিনের রাজনীতিতে আগা-গোড়া ফেরাউনের ছোয়া

০৬ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ৩:৩৬

জনৈক গীতিকার গান গেয়ে ছিল, "বাবা হায়রে বাবা, কানে ধরে তৌবা, জামানা খারাপ হ্যায় উচিত বলা মানা।" আগের একটি কমেন্টে আমি লিখে ছিলাম যে মিশরের রাজনীতিতে 'ফেরাউনের ছোয়া লেগে আছে'। ১৯২৮ সালে মিশরের ইখওয়ানুল মুসলিমিনের যাত্রা শুরু হলেও ২০১২ সালে সংগঠনটির কোনো নেতা দেশটির প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। উল্লেখ্য, ১৯২৮ সালে হাসানুল বান্নার নেতৃত্বে ইখওয়ানুল মুসলিমিন গঠিত হয়; কিন্তু ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর মাসেই প্রথম ফেরাউনের ছোয়া লাগে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের উপর। এই সময় মিশরের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ ফাহমি আন-নুকরাশি ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে বিলুপ্ত করার নির্দেশ জারি করলে কিছুদিনের মধ্যে একজন ইখওয়ান সমর্থকের হাতে প্রাণ হারায় নুকরাশি। ১৯৪৯ সালের ডিসেম্বর মাসে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের প্রতিষ্ঠাতা হাসানুল বান্না সরকারি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে নিহত হন। ১৯৫৪ সালে আরব জাতীয়তাবাদী নেতা গামাল আব্দুন-নাসেরের ছোয়া লাগে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের গায়ে। আর প্রেসিডেন্ট হয়েই নাসের ইখওয়ানের বিরুদ্ধে ব্যাপক ধরপাকড় অভিযান চালান। গামাল আব্দুন নাসের এক হত্যা প্রচেষ্টা থেকে বেঁচে যাওয়ার পর আবার ইখওয়ানকে নিষিদ্ধ করেন। ১৯৫৪ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত গামাল আব্দুন-নাসেরের জামানায় হাজার হাজার ইখওয়ানুল মুসলিমিনের সদস্যদেরকে হত্যা করা হয়। ১৯৬৬ সালে ইখওয়ানুল মুসলিমিনের আধ্যাত্মিক নেতা হিসেবে পরিচিত সাইয়্যেদ কুতুবকে ফাঁসিতে ঝোলায় নাসের সরকার। ১৯৭১ সালে আনোয়ার সাদাত মিশরের ক্ষমতা গ্রহণ করে ইখওয়ান নেতাদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করলেও দলটিকে সরকারিভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে। ফিলিস্তিনি ও আরব স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে ১৯৭৯ সালে গাদ্দার আনোয়ার সাদাত ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে ক্যাম্প ডেভিড চুক্তি স্বাক্ষর করে। ১৯৮১ সালে এক সামরিক কুচকাওয়াজের সময় টেলিভিশন ক্যামেরার সামনে তরুণ সেনা কর্মকর্তা খালিদ ইস্তাম্বুলি প্রেসিডেন্ট আনোয়ার সাদাতকে গুলি করে হত্যা করেন। ইস্তাম্বুলি ইখওয়ানুল মুসলিমিনের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন বলে মনে করা হয়। ১৯৮৪ সালে প্রেসিডেন্ট হোসনি মুবারক ইখওয়ানুল মুসলিমিনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে তালিকাভুক্ত করতে অস্বীকৃতি জানায়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সংগঠনটির রাজনৈতিক শাখার নাম করন করা হয় ফ্রিডম এন্ড জাস্টিস পার্টি। ২০১২ সালের ৩০ জুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ৫১.৭৩ শতাংশ ভোট পেয়ে মিশরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ইখওয়ান নেতা মোহাম্মাদ মুরসি। ২০১৩ সালের ৪ঠা জুলাই সেনাবাহিনী প্রেসিডেন্ট মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে। মিশরের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় বলা যায় দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গনে আগা-গোড়া "ফেরাউনের ছোয়া" লেগেই রয়েছে। তা থেকে নিস্তার কবে, কিভাবে ও কোথায়?

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.