নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
এম বি ফয়েজ।। ৩১ আগস্ট।। আপাততঃ বলটি হোয়াইট হাউসের কোর্টে ঠেলে দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ সরকারের বিরুদ্ধে ‘অবিলম্বে’ হামলার হুমকি থেকে সরে এসেছেন। তিনি বলেছেন, সিরিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেয়ার জন্য মার্কিন কংগ্রেসের কাছে অনুরোধ জানাবেন তিনি।
শনিবার হোয়াইট হাউজে সিরিয়া সংক্রান্ত এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণে ওবামা বলেন, তিনি সিরিয়ার ওপর সামরিক হামলা চালাতে বদ্ধপরিকর; তবে তিনি মনে করেন, আমেরিকার গণতন্ত্রের স্বার্থে এ ব্যাপারে আইন প্রণেতাদের সমর্থন নেয়া জরুরি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সিরিয়ায় হামলার সিদ্ধান্ত থেকে মান-সম্মান নিয়ে কেটে পড়ার চিন্তাভাবনা শুরু করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি জানেন, কংগ্রেসের ওপর বিষয়টি ছেড়ে দিলে তা আর পাস হবে না; কারণ, কংগ্রেসের সঙ্গে বিশেষ করে রিপাবলিকান আইন প্রণেতাদের সঙ্গে তার সম্পর্ক খুব একটা সুবিধার নয়।
বিচক্ষণ রাজনীতিবিদ বারাক ওবামা ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ভোটাভুটিতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরনের পরিণতি থেকেও শিক্ষা নিয়েছেন। গত সপ্তাহে সিরিয়াকে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের দায়ে অভিযুক্ত করে দেশটির ওপর হামলার মিছিলে ক্যামেরন ছিলেন ওবামার চেয়ে অগ্রগামী। তিনি ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের অবকাশ থেকে ডেকে এনে পার্লামেন্টের অধিবেশন বসান। কিন্তু পার্লামেন্ট ক্যামেরনকে সিরিয়ায় হামলা চালানোর অনুমতি দেয়নি।
বারাক ওবামা শনিবার আরো বলেন, “আমি (সিরিয়ার বিরুদ্ধে) বলপ্রয়োগের ব্যাপারে কংগ্রেসে আমেরিকার জনগণের প্রতিনিধিদের কাছে অনুমতি চাইবো।”
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানিয়েছেন, কংগ্রেস নেতারা তাদের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হওয়ার পর যতদ্রুত সম্ভব সিরিয়ার ব্যাপারে আলোচনার জন্য একটি বিতর্কের আয়োজন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের গ্রীষ্মকালীন ছুটি শেষ হবে। ওই তারিখের আগে প্রতিনিধি পরিষদ বা সিনেট সদস্যদের ছুটি বাতিল করে ফিরে আসার কোনো লক্ষন না থাকায় সিরিয়ার ওপর হামলার সিদ্ধান্ত ৯ সেপ্টেম্বরের আগে আর হচ্ছে না।
এরপর মার্কিন কংগ্রেসের যে অধিবেশন বসবে তাতে হবে ওবামার আসল ভাগ্য পরীক্ষা। সেখানে মার্কিন আইন প্রণেতারা ব্রিটিশ সংসদ সদস্যদের পথ অনুসরণ করলে এক সময় যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় আসা প্রেসিডেন্ট ওবামার ‘যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা’র বাসনা এবারের মতো পরিত্যাগ করতে হবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ওবামা তাহলে ভূমধ্য সাগরে রণতরী পাঠানোর আগে মার্কিন কংগ্রেসের অনুমতি নেননি কেন? এখন লেজে-গোবরে একাকার হয়ে যাবার প্রেক্ষাপট বিবেচনায় একটি মাত্র কিখ দিয়ে বল ছুড়ে ফেললেন মার্কিন হোয়াইট হাউসের কর্টে। আর সৌদি বান্দর ঢুকে পড়েছে আপাততঃ ধো ধো বালুর গর্তে।
(তথ্যঃ IRIB)
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১২
নীলতিমি বলেছেন: সৌদি বাদশাহরা বেশিরভাগই শুয়োরের বাচ্চা আর আমেরিকার গোলাম!
©somewhere in net ltd.
১| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:৪৭
ডাইরেক্ট টু দ্যা হার্ট বলেছেন: হুম এমনি হবে বুঝা যায়,কারণ সিরিয়া হামলার চরম মুল্য দিতে হবে আমেরিকাকে,এটা সে বুঝতে পেরেছে।