নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

"ইরান-আমেরিকা কূটনীতির পথ বেচে নেয়ায় ইসরাইলের মুখ থ্যাকেচা"

২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০১

এম বি ফয়েজ।।২৫ সেপ্টেম্বর : মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার পরিশেষে শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে এবং তিনি ইরানের সংগে সম্পর্ক উন্নয়নের অন্য কূটনীতির পথ বেছে নিয়েছেন। যদিও দেরীতে তবে তিনি বুঝে নিতে মোটেই কার্পন্য করেননি, "যাকে খেদিয়ে নেয়া হয় সে যেমন আগে আগে দৌড়ে গিয়ে হয়রান হয়; ঠিক তেমনি যে খেদিয়ে নেয় সে ও তার পিছে পিছে দৌড়তে গিয়ে সমপরিমান হয়রান হয়।" তবে যুদ্ধবাজ ইসরাইলি প্রধান মন্ত্রী নেতানিয়াহুর অদ্যাপিও মোহ ভংগ হয়নি বরং নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে এবং তেহরানকে বিশ্বাস না করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।





মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ইরান বিষয়ে কূটনীতির পথ বেছে নেয়ায় এখন একমাত্র যুদ্ধকামী দেশ হিসেবে একঘরে হয়ে পড়তে যাচ্ছে ইহুদিবাদী ইসরাইল। এমন মন্তব্যধর্মী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে আমেরিকার প্রভিাবশালী পত্রিকা দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস।





ওবামা গতকাল জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেয়া ভাষণে বলেছেন, ইরানের পরমাণু জ্বালানি কর্মসূচি নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্ব নিরসনের জন্য ওয়াশিংটন কূটনীতির পথ বেছে নিতে চায়। অন্যদিকে, ইহুদিবাদী ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিতে এবং তেহরানকে বিশ্বাস না করতে বিশ্বনেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।





ওবামা তার ভাষণে বলেছেন, “আমি বিশ্বাস করি যদি আমরা ইরানের পরমাণু সংকটের সমাধান করতে পারি তাহলে তা দু’দেশের সম্পর্কের দীর্ঘ পথে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে বিবেচিত হবে। এ সম্পর্ক হবে পারস্পরিক সম্মান ও সমমর্যাদার ভিত্তিতে।”





এর কয়েকঘণ্টা পর ইরানের প্রেসিডেন্ট ড. হাসান রুহানি জাতিসংঘে দেয়া তার প্রথম ভাষণে বলেছেন, “আমরা বিশ্ববাসীকে বলতে এসেছি যে, পরিপূর্ণ স্বচ্ছতা নিয়ে তেহরান পরমাণু আলোচনার জন্য প্রস্তুত।”





তিনি আরো বলেছেন, তেহরানের সঙ্গে মতপার্থক্য কমাতে হলে প্রেসিডেন্ট ওবামাকে যুদ্ধকামী প্রেসার গ্রুপের স্বার্থ দেখা বন্ধ করতে হবে। তিনি পরিষ্কার করে বলেছেন, “ইরানের প্রতিরক্ষা নীতিতে পরমাণু অস্ত্র কিংবা গণবিধ্বংসী মারণাস্ত্রের কোনো স্থান নেই।”





কিন্তু রুহানির ভাষণের সময় যুদ্ধবাজ প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুর নির্দেশে অধিবেশন বয়কট করে ইসরাইলি প্রতিনিধিদল। নেতানিয়াহুর এ কঠোর অবস্থানকে খুবই উদ্বেগজনক বলে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘে নিযুক্ত ইসরাইলের সাবেক রাষ্ট্রদূত ড্যান গিলারম্যান।





আর ইসরাইলের সাবেক মন্ত্রী ড্যান মেরিদোর বলেছেন, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট সম্পর্কে নেতানিয়াহুর উচিত- ইতিবাচক ভঙ্গিতে কথা বলা। তা না হলে মিত্রদের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বেন কারণ তারা কূটনীতির পথ বেছে নিতে চান।#







মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১:০৯

পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: শুভ বোধদয়ের জন্য
বারাক ওবামাকে সাধুতাবাদ
ধংশ হোক ইজরাইল দের আগ্রাসন ।।
পোস্ট এ ধন্যবাদ

২| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ১১:১৪

এম বি ফয়েজ বলেছেন: কথায় ও কাজে বারাক ওবামা? যদি সত্যিকার অর্থে ইরানের সংগে সম্পর্কের উন্নয়নে ওবামা প্রশাসন কূটনীতির পথ বেচে নেয়, তবে যুদ্ধবাজ ইহুদিবাদী ইসরাইলের লাগাম টানা অনেকটা সম্ভবপর হবে এবং উপসাগরীয় অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি আসবে। সভ্য বিশ্বের কোথাও প্রশাসন যন্ত্রে "যুদ্ধ-মন্ত্রী"র কোন পদবী নেই, যেমনটা নির্লজ্জ ইসরাইলের রয়েছে। গতিকে নিঃসন্দেহে বলা যায় ইসরাইল একটি আগ্রাসী যুদ্ধবাজ দেশ, যাদের হাতে রয়েছে ৪০০টির ও অধিক পারমানবিক বোমা, অথচ সম্পূর্ন বে-আইনি ভাবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.