নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার মেনে নিল পাশ্চাত্য ।

২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৩৭

এম বি ফয়েজ।।নভেম্বর ২২, ২০১৩।।জেনেভায় ইরানের সঙ্গে আলোচনারত ছয় জাতিগোষ্ঠী তেহরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার মেনে নিয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পশ্চিমা কূটনীতিক একথা জানিয়েছেন।



ওই কূটনীতিক ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা ইরনাকে জানিয়েছেন, ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার বিষয়ে জেনেভায় আলোচনারত দু’পক্ষ একটি সমঝোতায় পৌঁছেছে। ওই সমঝোতায় ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার মেনে নিয়েছে পাশ্চাত্য। পশ্চিমা ওই কূটনীতিক বলেছেন, বৈঠকের তৃতীয় দিনে এখন দু’পক্ষ ইরানের আরাক ভারী পানির প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করছে।



ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফ এর আগে বলেছিলেন, তার দেশ পরমাণু সমৃদ্ধ করার অধিকার প্রশ্নে কোনো ছাড় দেবে না। তিনি প্রেস টিভিকে বলেন, “ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার অধিকার হচ্ছে আমাদের রেড লাইন। ইরানের মাটিতে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ চলবে। এ বিষয়টিকে মেনে নিয়েই যেকোনো সমঝোতা হতে হবে। এটি ছাড়া আমরা কোনো চুক্তি মেনে নেবো না।”



জাতিসংঘের পাঁচ স্থায়ী সদস্যদেশ ও জার্মানীকে নিয়ে গঠিত ছয় জাতিগোষ্ঠী গত বুধবার জেনেভায় ইরানের সঙ্গে আলোচনা শুরু করে। শুক্রবার ছিল এ আলোচনার তৃতীয় দিন। গত জুন মাসে ড. হাসান রুহানি ইরানের প্রসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এ নিয়ে তৃতীয়বার তেহরানের সঙ্গে সংলাপে বসলো পাশ্চাত্য।



এদিকে জেনেভা সংলাপে অংশগ্রহণকারী ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মাদ জাওয়াদ জারিফের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ চলমান সংলাপে যোগ দিচ্ছেন। বুধবার আলোচনা শুরু হওয়ার সময় এ সংলাপে ল্যাভরভের যোগ দেয়ার কথা ছিল না। ছয় জাতিগোষ্ঠীর অন্যতম দেশ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেনেভা বৈঠকে যোগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিলেও শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাকি পাঁচ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সিদ্ধান্ত জানা যায়নি।



তথ্যঃ রেডিও তেহরান, বাংলা।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:৫৩

সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: পাকিস্তানও তো এটম বোম ফুটাইছে, লাভটা কি ?
পাক -মোশারফ তো আম্রিকার সেরা দালাল ।

আফগান ধংষে পশ্চিমের সবচেয়ে বড় আতাত তো পাকিস্তান।

আর ইরাক ধংষের সবচেয়ে বড় আতাত ইরাণ। এখনও মার্কিন অনুগত শিয়া সরকার পুরাপুরি-ই ইরান ও ইরাণী ।

ইরাণ - আমেরিকা সম্পর্কের টানাটানি হলেই দেখতাম দক্ষিণ ইরাকে শিয়ারা দাড়িয়ে যেতো । মুকতাদা আল সদর এর নেতৃত্বে !
আমেরিকা ইরানরে না খোচাইলেই শিয়ারা আবার চুপ চাপ, শান্ত শিষ্ট !

২| ২৩ শে নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১০:০৯

বশর সিদ্দিকী বলেছেন: ঘার বেকা কইরা দাবী আদায় কেমনে করতে হয় এইটা আমাদের ইরান থেকে শিক্ষা নেয়া উচিত।

৩| ২৪ শে নভেম্বর, ২০১৩ বিকাল ৪:৫৪

নবীউল করিম বলেছেন: আন্তর্জাতিক রাজনীতির সমীকরণটা এতোটা সহজ না, যতটা ভাবছেন।

শুধু সংক্ষেপে এতোটুকু বলি, মধ্যপ্রাচ্যে আমেরিকার প্রভাব গত তিন বছরে ভীষণ ভাবে মার খেয়েছে। মিশরে প্রচণ্ড মার খাবার পর বর্তমান অগণতান্ত্রিক, স্বৈরাচার সরকারকে অনৈতিক সব রকম স্বীকৃতি দেবার পরও আশা করবার মতো কিছু খুঁজে পাচ্ছে না পশ্চিমারা!

এই সুযোগে সৌদি আরব প্রথম বারের মতো শুধু ঘাড়ের উপর চরে বসতেই চাচ্ছে না, তাঁরা পশ্চিমাদের তোয়াক্কা না করে এরই মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করার চেষ্টাও করেছে! সিরিয়ার বিদ্রোহীদের আর্থিক এবং সামরিক ভাবে সাহায্য করা তার মধ্যে অন্যতম।

সিরিয়ার যুদ্ধ কেন এখনো একটা নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে এগুচ্ছে না, তা বুঝতে হলে ৪ টা বই পোড়তে হবে বুঝেশুনে! ১) কোরআন ২) History of Islam ৩) History of Arab ৪) Short History of the Saracens by S.Syed Ameer Ali আর এর সঙ্গে জানতে হবে পশ্চিমাদের স্বার্থ!

শিয়া আর পশ্চিমারা এখন আপ্রাণ চেষ্টা করছে এক হবার! যার যার অস্থিত্তের স্বার্থে! সামনে আরও বেশ কয়েকটা বড় পরিবর্তন দেখবো আমরা! যেমন এখন দেখছি হুঙ্কার-বিহীন ইসরায়েল!

ইসলাম যে কতো বড় একটা ফ্যাক্টর, সেটা অনেক বাঘা বাঘা বিশেষজ্ঞও বুঝে না, অনেকে না বুঝার ভান করে, পাছে ইসলামকে গুরুত্ব দেওয়া হয়ে যায়, আর অনেকে বুঝতে চায় না। ইসলাম বোলতে কিন্তু সুন্নি বুঝচ্ছি.........

লেখাটা অনেক বড় হয়ে যাবে, সময়ের অভাবে লেখতে পারবোনা! তাই শুধু এতোটুকুই বলছি, পড়েন...... মানেন না মানেন কোরআন পড়েন আর ঐ বই গুলো, সাথে The Spirit of Islam by Sir Syed Amir Ali, Historian History of the world by P.K Hitti, World History of Oil and Gas by P.K Hitti, History of the World by W.Moore প্রসঙ্গত, কোরআন পোড়তে বলছি ধর্ম মানার জন্য না! ঐ বইটাতে এমন অনেক জিনিস আছে যা আপনাকে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ হাল হকিকত সঠিক ভাবে বুঝার জন্য এমন ভাবে সাহায্য করবে, যা অন্য কনও ভাবে খুবই কঠিন!

পশ্চিমাদের সবচেয়ে বড় স্বার্থ দুইটা সবাই জানেন। ১) তেল ২) সম্রাজ্য। তেল তো বুঝে আসে, কিন্তু সম্রাজ্য অনেকেরই বুঝে আসবে না। তবে তেল নিয়ে শুধু এতোটুকুই বলি যে, শুধু ঐ একটা জিনিসই এই গোটা পৃথিবীটার প্রাণ! আজকে মাত্র এক সপ্তাহের জন্য তেল প্রবাহ বন্ধ হয়ে যাওয়া মানে পশ্চিমারা হয়ে যাবে পূর্ব আর আফ্রিকা হয়ে যাবে প্রাগৈতিহাসিক, উত্তর আর দক্ষিণ নিজেদের অবস্থান বদলে নেবে বাধ্য হয়ে। পৃথিবীজুড়ে আমার আপনার মতো সাধারণ মানুষের সমস্ত হিসাব-নিকাশ, সব ইজম সব তন্ত্র-মন্ত্র বাতাসে উড়ে যাবে। আর যারা এটা জানে তাঁরা নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছে বিকল্পের সন্ধানে! কিন্তু আশায় বুক বাঁধার মত কিছু এখনো তইরী হয় নাই! মাঝে মধ্যে কিছু বিকল্পের খবর যে গুলো কানে আসে সেগুলো, মঙ্গলে মানুষের বসবাসের সম্ভাবনার চেয়েও অনেক দূরে!

দূরে হলেও এক দিন না এক দিন হবে নিশ্চয়ই। কিন্তু ঐ “হবে” টাকে বাস্তবায়ন করতেও “তেলই” দরকার, অন্য কিছু না!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.