নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অসমের রাজধানী দিসপুরে পটপরিবর্তন আসন্ন--সরছেন গগৈ, আসছেন হিমন্ত।

০৫ ই জুন, ২০১৪ রাত ২:৪৮

গোয়াহাটী ৩রা জুন (এম বি ফয়েজ)

দীর্ঘ দুই বছরের পুরানো, মুখ্যমন্ত্রী তরুন গগৈ মন্ত্রীসভার নেতা-মন্ত্রীদের আভ্যন্তরীন বিসংবাদ আগামী সাত দিনের ভেতরে নিরসন হচ্ছে। গগৈকে সম্মান জনক প্রস্থানের ইংগিত দিয়ে অবশেষে দিল্লীর সবুজ সংকেন এসে রাজ্যের রাজধানী দিসপুরে পৌছেছে। শীঘ্রই দিসপুরে পটপরিবর্তন আসন্ন। প্রদেশ কংগ্রেসে বিভাজন ঠেকাতে, নেতৃত্ব পরিবর্তনের মাধ্যমে বিসংবাদের যবনিকা টানতে দলের হাইকমাণ্ড শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নির্দেশ জারী করেছেন। বলা বাহুল্য, মোদী-ঝড় ও গগৈ সরকারের লাগামহীন দুর্নীতি, বিটিএডিতে সংঘটিত বার বার জাতিদাঙ্গা, কাজিরাঙ্গায় গণ্ডার হত্যা, বিদ্যুৎ সঙ্কট এবং সর্বোপরি ভোট মেরুকরন—এসব মিলিয়ে সাম্প্রতিক লোক-সভা নির্বাচনে রাজ্যে কংগ্রেসকে ধরাশায়ী করে। সদিয়া থেকে ধুবড়ী এবং বরপেটা থেকে তিনসুকিয়া পর্যন্ত দূরবীন যন্ত্র দিয়ে খুজেও কংগ্রেসকে পাওয়া যাবেনা। আর এই পরাজয়ের গ্লানি সহজে মাথা পেতে নিতে পারেননি কংগ্রেসের তাবড় তাবড় নেতা-মন্ত্রীরা। তাই নেতৃত্ব পরিবর্তনের দাবীতে সোচ্চার হন ৪৫ জনেরও অধিক মন্ত্রী-বিধায়ক। অথচ মুখ্যমন্ত্রী গগৈ তো আর সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন! বিসংবাদীদের যাবতীয় চেঁচামেচি তুড়ির কার্ড মেরে উড়ে দিয়ে বলতেন, “বাদ দিয়া হে।“ অর্থাত এসব চেঁচামেচি তাঁর কাছে যেন কিছুই নয়—যেহেতু দলের হাইকমাণ্ডের গুড-বুকে তাঁর নাম রয়েছে। উল্লেখ্য, ১২৬ আসন বিশিষ্ট রাজ্য বিধান সভায় কংগ্রেস ৭৮টি আসন পেয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যা গরিষ্ঠতা নিয়ে দুই বছর আগে তাদের তৃতীয় পাঁচ বছর ম্যাদে সরকার গঠন করে। আর মোদী-ঝড়ে সব যেন আলাউদ্দিনের আশ্চর্য্য প্রদীপের ন্যায় নিমেষে ধোঁয়াশা করে ফেলে।



প্রসংগত উল্লেখ্য, গত ২৬ মে লোকসভা নির্বাচনের ভোট গননার পর রাজ্যে কংগ্রেসের ভরাডুবি দৃশ্যে গগৈ মন্ত্রীসভা মূলতঃ দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। ৪৫ জনের বৃহৎ অংশ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের মন্ত্রী ড০ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নেতৃত্বে “গগৈ হঠাও” অভিযানে কোমর বেধে নেমে পড়ে এবং বাকি ৩৩ জনের দলটি জৈষ্ঠ্য-বিধায়ক অঞ্জন দত্তের নেতৃত্বে “গগৈর গদি বাচাও” আন্দোলনের সূচনা করে। শুরু হয় দিনের পর দিন দিল্লীতে আনা-গোনা; দলীয় হাই-কমাণ্ডের সংগে ঘন ঘন দেখা-শোনা। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি; শীঘ্রই দিসপুরে পটপরিবর্তন হচ্ছে।



গতকাল মুখ্যমন্ত্রী মন্ত্রী-সভায় আংশিক পরিবর্তন করে কিছু বিক্ষোব্ধ বিধায়কদেরকে মন্ত্রী-সভায় অর্ন্তভুক্ত করে নতুন মন্ত্রী-সভার একটি খসড়া প্রস্তুত করে দিল্লীতে উড়া মারেন। আজ দিল্লীতে বেলা ২ ঘটিকার সময় তিনি দলনেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সহ-সভাপতি রাহুল গান্ধী, প্রবীন নেতা গোলাম নবী আজাদ, শ্রী সি, পি, যোশী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভুবনেশ্বর কলিতা প্রমুখের সাথে এক বৈঠকে মিলিত হয়ে বিসংবাদ নিরসনের প্রয়াস চালিয়ে যান। দুই ঘন্টা জোড়া ঐ বৈঠকে কোন উপায়ান্তর বের না হলে বিকাল ৬-৫০ মিনিটে আবার রাহুল গান্ধী ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর সংগে বৈঠকে মিলিত হন। আর এতে “সাত দিনের ভেতরে বিধায়নী দলের বৈঠক ডেকে বিধান-সভায় সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমানের সূত্র বেরিয়ে আসে।“ মুখ্যমন্ত্রী গগৈকে শীঘ্রই দিসপুর ফিরে আসারও নির্দেশ জারি করা হয়। তবে এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি আগামী বৃহস্পতিবারের আগে রাজধানী ফিরছেন না বলে জানা গেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের ধারনা, টানা বার বছর রাজ্য শাসনের পর এ যাত্রাই গগৈর শেষ যাত্রা। পটপরিবর্তনের মাধ্যমে “গগৈ আঊট, হিমন্ত ইন।“



এম বি ফয়েজ।

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.