নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
গোহায়াটী ৫মে (এম বি ফয়েজ)
দীর্ঘ তিন দশক পর অসমের বরাক নদীর টিপাইমুখ ড্যাম নির্মানে অনিশ্চিয়তা দূর করতে তৎপর হল বাংলাদেশ। দিল্লীর মসনদে বসেই মোদি সরকার আটকে থাকা বিভিন্ন প্রকল্পের সমাধান সূত্র বের করতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। তারই সূত্র ধরে টিপাইমুখ বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিষয়টিও নতুন করে গুরুত্ব পাচ্ছে বলে সরকারি সূত্রে জানা গেছে। গত প্রায় দু’দশক ধরে বাংলাদেশের আপত্তির জন্য টিপাইমুখ নদী বাঁধ প্রকল্পের কাজকর্ম স্থগিত হয়ে পড়ে। মোদি সরকার ক্ষমতায় এসেই এই প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ইতিমধ্যেই যোগাযোগ স্থাপন করেছে। গত সপ্তাহে ভারতের তরফ থেকে এই প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে ঢাকার কাছে বার্তা পাঠানো হয়েছিল। তারই সূত্র ধরে বাংলাদেশের ইনষ্টিটিউট অব ওয়াটার মডেলিং গোটা বিষয়টি নতুন ভাবে খতিয়ে দেখছে।
ভারতের অসম রাজ্যের বরাক নদীতে নির্মিত টিপাইমুখ নিয়ে দিল্লীর বার্তার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকারও এই নদী বাঁধের সমাধান সূত্র বের করতে ইতিমধ্যে সমীক্ষার কাজে হাত দিয়েছে। এর আগে অবশ্য বাংলাদেশের এক প্রতিনিধি দল টিপাইমুখ পরিদর্শন করে গেছে। এত দিন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ হলে সুরমা ও কুশিয়ারার বর্তমান জলপ্রবাহে কোনও বিরূপ প্রভাব পড়বে কি না তা নিয়ে চিন্তিত ছিল। এর প্রেক্ষিতেই এ বার বাংলাদেশের বিশেষজ্ঞরা ভারতের মণিপুরে অবস্থিত টিপাইমুখের আগে এবং পরে বিস্তীর্ণ নদীপথে সমীক্ষা চালাবেন। বাঁধের নিরাপত্তা, জলাশয়ের আকার, কত ঘনমিটার জল কতটা সময়ের মধ্যে ছেড়ে দেওয়া হবে ইত্যাদি বিষয়গুলো বাংলাদেশের স্বার্থ অটুট রাখতে পারবে কি-না, মূলত সেই দিকগুলিই তাঁরা যাচাই করে দেখবেন। মাস খানেক সমীক্ষা চালানোর পর বাংলাদেশ সরকার টিপাইমুখ বাঁধ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহন করবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে ঢাকা। উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরই টিপাইমুখ বাঁধ আপাততঃ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ১৫০০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন টিপাইমুখ জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্মীয়মান বাঁধের দৈর্ঘ হবে ৩৯০ মিটার এবং তার উচ্চতা হবে ১৬২.৮ মিটার। প্রকল্পটি নির্মিত হলে পরিবেশের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়বে সে নিয়েও সমীক্ষা চালাবে দুই দেশের সরকার। প্রাথমিক ভাবে টিপাইমুখ প্রকল্পটি বিদ্যুতের পাশাপাশি বন্যা নিয়ন্ত্রনের বিষয়টিও যুক্ত ছিল। কিন্তু পরবর্তীকালে এটি শুধু বিদ্যুৎ প্রকল্প হিসেবেই স্বীকৃতি দিয়েছে ভারত সরকার।
©somewhere in net ltd.