নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

*হিন্দু-বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব পিএমও’র বিবেচনাধীন* অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারী প্রত্যর্পন চুক্তির ব্লুপ্রিন্ট নতুন দিল্লীর

১২ ই জুন, ২০১৪ রাত ১:৩৬

নতুন দিল্লী ১১ জুন (এম বি ফয়েজ)

বাংলাদেশী অনুপ্রবেশ রোধের পন্থা-পদ্ধতি তথা অবৈধ বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যার্পন নিয়ে ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক চুক্তির কুচকাওয়াজ চলছে এখন। চুক্তির মূল কারিগর বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ। এই প্রথম বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ইস্যুতে নতুন দিল্লী সরাসরি ঢাকার সঙ্গে কথাবার্তা বলার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে প্রকাশ, জুন্ মাসের শেষ সপ্তাহে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজ বাংলাদেশ সফরে যাচ্ছেন। সে দেশের বিদেশ মন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলীর আমন্ত্রনে সুষমা প্রতিবেশী দেশটি সফরের কর্মসূচী স্থির করছেন। তবে তাঁর বাংলাদেশ সফরের আরও কয়েকটি উদ্দেশ্য রয়েছে। লক্ষণীয়, বিদেশমন্ত্রী হিসেবে এককভাবে বিদেশ সফরে যাচ্ছেন তিনি। সে ক্ষেত্রে বাংলাদেশই হবে বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজের প্রথম রাষ্ট্র সফর। অবশ্য এর আগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রভাই দামোদর মোদীর সঙ্গে দু’দিনের সফরসূচীতে ১৬ ও ১৭ জুন ভূটানে যাবেন তিনি।



জানা গেছে, বাংলাদেশী অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যর্পনের প্রশ্নে স্বরাজ ঢাকার সঙ্গে যে আলোচনা করবেন তা নিশ্চিত। এমনকি, অনুপ্রবেশকারীদের প্রত্যর্পন চুক্তির জন্যও তিনি বাংলাদেশকে চাপ দেবেন। উল্লেখ্য, বিভিন্ন রাজ্য থেকে অবৈধ বাংলাদেশীদের বিতাড়ন ছিল বিজেপির অন্যতম নির্বাচনী অ্যাজেণ্ডা। তবে নির্যাতনের বলি হয়ে ভারতে চলে আসা হিন্দু বাঙ্গালীদের নিরাপত্তা বা নাগরিকত্ব দেওয়ার বিষয়টি এখন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের বিবেচনাধীন। বস্তুত, অসম তথা উত্তর পূর্বাঞ্চলে বসবাসকারী ৩০ লক্ষাধিক হিন্দু বাংলাদেশীর জন্য এটা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ন বিষয়। সুষমার দফতর থেকেই এই হিন্দু শরনার্থীর সংখ্যা মিলেছে।



অবশ্য শুধু অনুপ্রবেশই নয়, ভারত-বাংলাদেশ জমি হস্তান্তর চুক্তির বাস্তবায়ন নিয়েও প্রতিবেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে তাঁর আলোচনা হওয়ার কথা। ঐতিহাসিক জমি হস্তান্তর চুক্তির স্বপক্ষেই নতুন দিল্লীর অবস্থান খোলসা করবেন বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু খোদ বিজেপির অভ্যন্তরেই এই ইস্যুতে মতবিরোধ রয়েছে। তবে সুষমা ব্যক্তিগতভাবে ভারত-বাংলাদেশ জমি হস্তান্তর চুক্তি সম্পর্কে এখন পর্যন্ত সদর্থক মনোভাব গ্রহন করেছেন। মোদী সরকারেরও তাতে সায় রয়েছে। যা কি না অসমের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়। ইউপিএ সরকারের মতো বিজেপি সরকারও মনে করে সংশ্লিষ্ট চুক্তিতে ভারতের স্বার্থই রক্ষিত হয়েছে। বাস্তবে বাংলাদেশের দখলে থাকা বহু জমি ভারত এই চুক্তির মাধ্যমে ফেরত পাওয়ায় মোদি সরকারেরও চুক্তি নিয়ে কোনও আপত্তি নেই। যদিও অসম বিজেপি এই চুক্তির তীব্র বিরোধীতা করেছে।



প্রসঙ্গত, অনুপ্রবেশ, জমি চুক্তি, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ইত্যাদি ছাড়াও সুষমা স্বরাজের বাংলাদেশ সফরে আরও একটি বড় বিষয় তিস্তা জলচুক্তি। এ ক্ষেত্রে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের বিশেষ ভূমিকার কথাও বলা হয়েছে বিদেশ মন্ত্রক সূত্রে। সুষমা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গেও দেখা করবেন। সম্ভবত ২৩-২৪ জুন বাংলাদেশ সফরে যেতে পারেন।



এদিকে, গতকাল সংসদের যৌথ অধিবেশনে ভাষন প্রসংগে রাষ্ট্রপতি প্রনব মুখার্জী ‘অনুপ্রবেশ সমস্যার সমাধানে মোদী সরকার দ্রুত উদ্যোগ নেবে বলে জানান।‘ অর্থনীতির হাল ফেরানোই চ্যালেঞ্জ বলে রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষনে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে বিস্তারিত প্রতিবেদন পরবর্তী সংখ্যায় পরিবেশিত হবে।



এম বি ফয়েজ,

গোয়াহাটী, অসম, ভারত।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.