নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিয়ে চিন্তিত মোদি, শীঘ্রই মন্ত্রিসভায় রদবদল ।

১৫ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১২:২৬

(এম বি ফয়েজ)

নতুন দিল্লী ১৪ আগষ্ট।। চলিত বাজেট অধিবেশন শেষ হওয়ার পরই নরেন্দ্র মোদি সরকারে প্রথম মন্ত্রিসভা রদবদল হতে চলেছে। তার আগেই অবশ্য দলীয় স্তরে নিজের টিম ঘোষনা করবেন অমিত শাহ। তবে মোদি কাদেরকে মন্ত্রী করবেন আপাততঃ তিনি ছাড়া আর কেউ জানেন না।



বিজেপি-তে এখন সব চেয়ে বড় সমস্যা, প্রতিরক্ষা মন্ত্রী কাকে করা হবে। প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জন্যও এটি চিন্তার বিষয়। আপাততঃ জেটলির হাতে প্রতিরক্ষা ও অর্থ-মন্ত্রক রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে কাজ শুরু করেন জেঠলি। প্রথম চার ঘন্টা থাকেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রক নিয়ে এবং পরের আট ঘণ্টা অর্থমন্ত্রকে। এটাই তার রোজকার রুটিন মাফিক কাজ। একজন মন্ত্রীর পক্ষে দিনের পর দিন এই বোঝাটা নেওয়া সম্ভব নয়। তা ছাড়া জেটলির বাইপাস সার্জারি হয়ে গেছে, তিনি খুব একটা শক্ত নয় এখন এবং সামর্থ ও নেই তাঁর। অর্থমন্ত্রকে তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে। কাজেই প্রতিরক্ষা মন্ত্রকে নতুন কাউকে আনাটা এখন খুবই প্রয়োজন।



তবে প্রতিরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রক এমন কোনও নেতার হাতেই যাওয়া উচিত হবে যার এ বিষয়ে যথেষ্ট অভিজ্ঞতা রয়েছে। সমস্যা আরও বাড়ছে মোদি প্রথমেই ৭৫ বছর বয়সের বেশী কাউকে মন্ত্রী না করার ফরমান জারি করে রাখায়। এই নিদানের ফলে মুরলী মনোহর যোশীকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী করা যাবে না। একটা প্রস্তাব ছিল যে রাজনাথকে দেওয়া হোক প্রতিরক্ষা দপ্তর। কিন্তু তা হলে স্বরাষ্ট্রমন্রক কার হাতে যাবে তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন তৈরী হচ্ছে। জেঠলি বাদ দিয়ে যে বড় বিজেপি নেতাদের হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রক রয়েছে তাঁরা হলেন প্রকাশ জাভড়েকর ও নীতিন গাড়কারি। জাভড়েকর তথ্য-সম্প্রচার ও পরিবেশ মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী। নীতিন গাড়কারির হাতে রয়েছে সড়ক ও বন্দর এবং গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। সভাপতি হিসেবে অমিত শাহ বাদে যার নাম শোনা যাচ্ছিল সেই জিপি নাড্ডার মন্ত্রীসভায় আসার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। সভাপতি না হওয়ায় তাকে মন্ত্রিত্বের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।



তবে রদবদল যাই হোক, মোদির মন্ত্রীসভায় মন্ত্রীদের গুরুত্ব আদৌ কতটা তা তর্কযোগ্য বিষয়। কড়া হেডমাষ্টারের মতো হাল ধরে রয়েছেন মোদি। প্রত্যেক সপ্তাহে মন্ত্রীদের স্বল্পমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি কাজের লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে দেওয়া হয়। তারপর প্রতি সপ্তাহে মন্ত্রী ও অফিসারদের ডেকে মোদি রিপোর্ট নেন, সেই লক্ষ্য পুরনে কতটা এগিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রক। দফতরের সচিবদেরকে বলে দেওয়া হয়েছে, মন্ত্রীরা কোনও প্রস্তাব করলে বা কিছু বললেই সেটা যে মানতে হবে তেমন কোনও কথা নেই। আগে দেখতে হবে সেটা নিয়মের মধ্যে থেকে হচ্ছে কি না, এবং এর ফলে ঐ মন্ত্রী বা তাঁর আত্মীয়-স্বজন কোনও সুবিধা পাচ্ছেন কি না। রামবিলাস পাসোয়ানের বক্তব্য, “আর কিছু দিন যাক, তারপর দেখবেন যে এক সঙ্গে প্রত্যেকটা দপ্তরের কাজগুলো আপনাদের সামনে এসে পড়বে। তখন বুঝতে পারবেন যে, এই সরকারে কতটা কাজ হচ্ছে। তবে সেই ফলটা পেতে গেলে আরও সময় মোদিকে দিতে হবে। সোজা কথা প্রধানমন্ত্রী মোদি বা তাঁর দফতরের নজর এড়িয়ে কোনও দপ্তর বা মন্ত্রকে কোনও ফাইলের পাতা পর্যন্ত নড়ছে না।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.