নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।
(এম বি ফয়েজ)
নতুন দিল্লী ১৫ই আগষ্ট।। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর এই প্রথমবার ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দিল্লীর ঐতিহাসিক “লালকেল্লা” থেকে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষন দেন নরেন্দ্র মোদী। আর মোদীর সেই বক্তৃতা শোনার জন্য মুখিয়ে রয়েছিল গোটা দেশের ১২৫ কোটি জনগন। “সেই গৎবাঁধা বক্তৃতা শোনা যাবে মোদির মুখে, না-কি এবার স্বমহিমায় অপ্রত্যাশিত কিছু বলবেন তিনি, তা নিয়ে জল্পনার অন্ত ছিল না। শেষ পর্যন্ত মোদি সেই পুরনো রীতি-নীতি মেনে মুখস্থ করা ভাষন না দিয়ে স্বমহিমায় অপ্রত্যাশিত অনেক জনহিতকর কার্য্যসূচীর কথা ঘোষনা দিয়ে ১২৫ কোটি জনগনের বাহঃ বাহঃ কুড়িয়ে নিয়েছেন। এক ঘন্টা ছয় মিনিট সময় জোড়া প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঐতিহাসিক এ ভাষনে “Good governance from E-governance” এর উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। মোদী বলেন, “ডিজিট্যাল ইণ্ডিয়া হামারা স্বপ্ন হ্যায়”। এবছর সাংসদ এলাকা উন্নয়ন তহবিলের টাকা দেশের স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য শৌচাগার নির্মান কল্পে খরচ করা হবে বলে স্বদর্পে ঘোষনা করেন মোদী। মোদির ভাষায়, “আমি প্রধান মন্ত্রী হিসেবে আজ ৬৮তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ঐতিহাসিক লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে এসব নতুন কর্মসূচীর ঘোষনা দিচ্ছিনা; দেশের প্রধান সেবক হিসেবে জন-হিতার্থে আমার সে নতুন কার্যসূচী্র ঘোষনা। পার্লামেন্টের সাংসদদের জন্য আগামী ১১ই অক্টোবর থেকে “সাংসদ আদর্শ গ্রাম যোজনা” নামে একটি নতুন কার্যসূচীর ঘোষনা করেছেন মোদী। এই কার্যসূচী অনুযায়ী প্রত্যেক সাংসদ প্রতি বছর নিজ নিজ এলাকার এক একটি গ্রাম এবং পাঁচ বছরে অন্ততঃ পাঁচটি গ্রামকে “আদর্শ-গ্রামে” পরিণত করতে হবে। কেননা, দেশের বিকাশ গ্রাম থেকেই আসে এবং এব্যাপারে কাজের পূর্ন রুপরেখা শীঘ্রই তৈরী করা হচ্ছে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। “জন-ধন যোজনায়” দেশের প্রত্যেক গরীব জনগনকে ব্যাঙ্ক-একাউন্টের আওতায় এনে সাহায্য করা হবে বলে প্রধান মন্ত্রী জানান। দেশের সন্ত্রাসবাদ সম্পর্কে মোদি বলেন, “কাধে বন্দুক তুলে নিলেই দেশের প্রগতি আসে না; ভারত মাতা যে সন্তানদিগকে স্তন পান করিয়ে লালন-পালন করেছে, আজ তাঁরাই বিভ্রান্ত হয়ে সে মায়ের সন্তানের বিরুদ্ধে বন্দুক তাক করছে। “আমি সেসব বিপথ-গামী সন্তানদের পিতা-মাতাদের কাছে প্রশ্ন করছি, আপনাদের ছেলেরা আপনাদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই কি কাঁধে বন্দুক তুলে নিয়েছে?’—প্রশ্ন করেন নরেন্দ্র মোদী। দেশীয় উৎপাদনের উপর গুরুত্ব আরোপ করে মোদি বলেন, “Zero defect, Zero effect”—এই মনোবাঞ্ছা নিয়ে উৎপাদনে ব্রতী হতে হবে এবং পৃথিবীর সর্বত্র Made in India পৌছে দিতে হবে। চিরাচরিত নিয়ম অনুযায়ী নরেন্দ্র মোদি কোন বুলেট-প্রুপ জ্যাকেট ছাড়াই আজকের এই ঐতিহাসিক ভাষন প্রদান করেছেন। “যেদিন নরেন্দ্র মোদি প্রধান মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, সেদিন থেকেই ভারত মাতার কাছে তাকে সমর্পিত করা হয়েছে; গতিকে ১২৫ কোটি জনতা তাঁর দেহ-রকশী—এখানে বুলেট-প্রুপ জ্যাকেট পরিধান করার প্রশ্নই উঠেনা—জানালেন মোদির ছোট ভাই পি, মোদী।
২| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:১৩
এম বি ফয়েজ বলেছেন: উনি নিশ্চয় ভালভাবে জানেন যে, অন্যের দোষ ধরার আগে নিজের দিক দেখে নেওয়া ভাল। আপনার কি মনে হয়? তবে আশা করা যায়, অতীতের সব প্রধান মন্ত্রীদেরকে পেছনে ফেলে উনি দৌড়ে ফাষ্ট হবেন। দেখা যাক, সময় তা বলবে।
©somewhere in net ltd.
১| ১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ ভোর ৪:৫৭
ঢাকাবাসী বলেছেন: আহ হা উনি বলেননি মনমোহন খারাপ ছিল তার দশ বছর ধরে অপশাসনে দেশের বারোটা বেজেছে ....! আমিই দেশে শনৈ শনৈ উন্নতি করলাম!