নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

খাদ্যপণ্য আনতে জল-স্থল ব্যবহারে ঢাকাকে আর্জি নতুন দিল্লীর।

১৬ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ১১:০৬

(এম বি ফয়েজ)

নতুন দিল্লী, ভারত।। ১৬ই আগষ্ট।। উত্তর-পূর্ব-সীমান্ত রেলের লামডিং-বদরপুর রুটে মিটারগেজ রেল লাইনকে ব্রডগেজে উন্নীত করার জন্য আগামী ১ অক্টোবর ২০১৪ইং থেকে ছয় মাসের জন্য বন্ধ থাকবে রেল-পরিসেবা। সে ক্ষেত্রে বিকল্প পথে বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে খাদ্যপণ্য পরিবহনের পরিকল্পনা করছে ভারত সরকার। এ জন্য বাংলাদেশের জল ও স্থলপথ ব্যবহারে ঢাকার অনুমতি চেয়েছে নতুন দিল্লী। যদিও ঢাকার তরফে এখনও এ বিষয়ে কোনও সবুজ সংকেত দেওয়া হয়নি। তবে দিল্লী আশা করছে এ বিষয়টি নিয়ে ঢাকা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নেবে।



বুধবার নতুন দিল্লী থেকে কেন্দ্রীয় খাদ্য দফতরের এক আধিকারীক এ সংবাদ দাঁতাকে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, “সম্প্রতি বাংলাদেশের জলপথ ব্যবহারের অনুমতি চেয়ে ভারতের পক্ষে সে দেশকে আর্জি জানানো হয়েছে।“ এ ছাড়া প্রতিবেশী দেশের সড়ক পথ ব্যবহার করে প্রতি মাসে ৩৫ হাজার মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য পরিবহনের অনুমতিও চাওয়া হয়েছে বলে ঐ আধিকারীক জানিয়েছেন।



প্রসঙ্গত, ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম, মণিপুর সহ উত্তর পূর্বের রাজ্যগুলোতে মাসে এক লক্ষ মেট্রিক টন খাদ্যশষ্য পরিবহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এরমধ্যে ৬০% শতাংশ পরিবহণ হয়ে থাকে রেলপথে, বাকিটা সড়কপথে। সে ক্ষেত্রে মেগা-ব্লকের সময় রেলপথ বন্ধ থাকার কারণে সড়ক পথেই অতিরিক্ত পণ্য পরিবহনের চিন্তা-ভাবনা করা হচ্ছে। যদিও খারাপ রাস্তার কারনে বিকল্প পথের সন্ধান করতে যাচ্ছে কেন্দ্র।



বলা বাহুল্য, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে খাদ্যপন্য পরিবহনে ৪টি বিকল্প পথ রাজ্য সরকারের রয়েছে যদিও তন্মধ্যে একটিও নয় বর্তমানে ব্যবহার যোগ্য।



ওই আধিকারীক আরও বলেন, “বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করেই সম্প্রতি ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য থেকে প্রথম দফায় পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাউল ত্রিপুরায় পৌছায়। অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম সমুদ্র বন্দর থেকে জলপথে সেই চাউল কলকাতা হলদিয়া বন্দর হয়ে বাংলাদেশের ব্রাহ্মনবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দরে যায়। এরপর সেখান থেকে ট্রাকে করে সেই চাউল যায় ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার খাদ্য নিগমের গোদামে। খুব শীঘ্রই এই পথ ব্যবহার করেই অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচ হাজার মেট্রিক টন চাউল ত্রিপুরায় যাবে বলে জানান তিনি।



এদিকে, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে স্থলসীমা চুক্তি সেরে ফেলতে চায় কেন্দ্রীয় সরকার। এ জন্য ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ বাংলাদেশের বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া তিস্তা ও স্থলসীমা চুক্তির মধ্যে অন্ততঃ একটি এ দিন চূড়ান্ত করার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। এ কাজের জন্য শাসক দল বিজেপির অন্দরে ঐক্যমত্য প্রতিষ্ঠাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ সরকারের কাছে।



রাজনৈতিক সূত্রের খবর, সম্প্রতি দিল্লীতে বিজেপির জাতীয় পরিষদের সভায় বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে আলোচিত হয়েছে। ছিটমহল হস্তান্তরসহ চুক্তির বিভিন্ন দিক নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করেছেন বিজেপির প্রবীন নেতা তথা কেন্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ সিং। মূলতঃ এই দুই রাজ্যই বাংলাদেশের সঙ্গে প্রস্তাবিত চুক্তি দু’টির বিরোধীতা করে চলেছে।



স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রাজনাথ বলেছেন, ভারত সরকার এই চুক্তির জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাধ্যবাধকতা সব সরকারকে পালন করতে হয়। বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনার জন্য পশ্চিমবঙ্গ এবং অসমের রাজ্য নেতৃত্বকে আজ ফের দিল্লীতে ডেকে পাঠিয়েছেন রাজনাথ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত রাজ্য নেতৃত্বদের সহিত গুরুত্বসহকারে আলোচনা চলছে।



বিজেপির দুই রাজ্য শাখার পক্ষে স্থলসীমান্ত চুক্তি নিয়ে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়েছিল, ছিটমহল বিনিময় হলে ভারতকে অনেক বেশী জমি বাংলাদেশের হাতে তুলে দিতে হবে। এখন মোট ১১১টি ভারতীয় ছিটমহল রয়েছে বাংলাদেশে এবং ৫১টি বাংলাদেশের ছিটমহল রয়েছে ভারতীয় এলাকায়। দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে রাজ্য বিজেপির নেতারা বলেছিলেন, স্থলসীমা চুক্তিতে সমর্থন জানালে স্থানীয় মানুষের কাছে বিজেপির ভাবমূর্তি খারাপ হবে। তবে সে সময় বিজেপি ছিল বিরোধী পক্ষে। বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ভোটে জিতে আসার পর বিদেশ মন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে ঢাকায় পাঠান নরেন্দ্র মোদী। সুষমা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বলে আসেন, তিস্তা ও স্থলসীমান্ত চুক্তি করা নিয়ে আগের সরকারের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য তাঁরা সর্বতোভাবে চেষ্টা করবেন। এ জন্য ঘরোয়া ক্ষেত্রে ঐক্যমত্য তৈরী করা হবে।



স্থলসীমান্ত চুক্তির ফলে দেশের ভূখণ্ড আদান-প্রদান হবে। অর্থাৎ ভৌগোলিক অখণ্ডতার হেরফের হবে। সে জন্য এই চুক্তির আগে সংবিধান সংশোধন করা প্রয়োজন। আর এ কাজের জন্য প্রয়োজন লোকসভায় দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা। কংগ্রেস গত দু’তিন বছর ধরে স্থলসীমা সংশোধনী বিলটি পাস করার পক্ষে সওয়াল করে এসেছে। ফলে সোনিয়া গান্ধীর পক্ষে পার্লামেন্টে এর বিরোধীতা করা সম্ভব নয়। এখন বিজেপি যদি দলের মধ্যের মতবিরোধ মিটিয়ে ফেলে, তা হলে রাজ্যসভায় ঝুলে থাকা এই বিলটি পাস করিয়ে নেওয়া সম্ভব বলেই মনে করেন বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্ব।





মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২৯

হাসিব০৭ বলেছেন: দিয়ে দেও শরীরের কাপড়টা খুলেও দিয়ে দেও সাথে বুবুর ইজ্জতটা ফ্রি

২| ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ রাত ৮:৩২

এম বি ফয়েজ বলেছেন: ভাই হাসিব, প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখা ঈমানের অংগ। ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোর স্বার্থে বিশেষ করে অত্র অঞ্চলের বাঙ্গালীর স্বার্থে বাংলাদেশকে স্বীয় জল ও স্থল পথ ব্যবহার করতে দেওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। আর বাংলা মা যখন মাতৃ গর্ভে ছিল এবং সে ভ্রুণ হত্যার ষড়যন্ত্র চলছিল, ঠিক সেই মুহূর্তে ভারত হানাদার পাকিস্তানী বাহিনীকে পূর্ব বাংলা থেকে তাড়িয়ে দিয়ে আজকের বাংলা মায়ের জন্ম দিতে সহায় করেছে। তাইতো, বঙ্গবন্ধু মুজিব দুহিতা সেখ হাসিনা তাঁর মরহুম পিতার ঋণ অবশ্যই শোধ করতে চাইবেন। এতে মন্দ কোথায়?

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.