নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

তিস্তার জলবন্টন ও স্থলসীমান্ত চুক্তি দ্রুত বাস্তবায়নের আর্জি বাংলা পি এম হাসিনার।

২৫ শে আগস্ট, ২০১৪ বিকাল ৫:২৭

(এম বি ফয়েজ)

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীর্ঘ্রই বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত তিস্তা নদীর জলবন্টন চুক্তি সই এবং ছিটমহল বিনিময় ও সীমান্ত চিহ্নিত করার জন্য স্থল সীমান্ত চুক্তি লোকসভায় অনুমোদনের আর্জি জানিয়েছেন। শনিবার রাত দশটায় ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন “গনভবনে” বাংলাদেশ সফরে যাওয়া ভারতের ডোনার মন্ত্রী ভি কে সিঙয়ের নেতৃত্বাধীন একটি প্রতিনিধিদল তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন। ভি কে সিং বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র ভাই দামোদর মোদী যে কোনও সময়ে বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন।



প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য এবং বাংলাদেশের মধ্যে পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়, বিশেষ করে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে উভয় পক্ষ আলোচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী হাসিনা ভারতের সঙ্গে তিস্তার জলবন্টন এবং সীমানা চুক্তি সহ সকল বিষয় খুব শীর্ঘ্রই স্বাক্ষরের ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেন। শেখ হাসিনা ভারতের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশকে ট্রানজিট সুবিধা প্রদানের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানিয়েছেন। তিনি ভারতের মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে বলেন, “আমরা আপনাদের কাছ থেকে ট্রানজিট চাই এবং এইজন্য আমরা ইতিমধ্যে আপনাদের সুবিধা দিয়েছি। জবাবে ভি কে সিং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, আমরা ভারতের মাটি ব্যবহার করে বাংলাদেশকে নেপাল ও ভূটানে ট্রানজিট দিতে সম্মত। নেপাল ও ভূটানের সঙ্গে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি রেল-পথও নির্মান করতে হবে। ভারতের ডোনার মন্ত্রী ভি কে সিং আশুগঞ্জ নৌবন্দর দিয়ে পূর্বোত্তরে চাল পরিবহনের অনুমতি দেওয়ায় বাংলাদেশ সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভারত সরকার আখাঊড়া থেকে আগরতলা পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার রেলপথ নির্মান করে দেবে।



ভারতের প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী ড০ মুকুল সাংমা, ত্রিপুরার শিক্ষা মন্ত্রী তপন চক্রবর্তী, মেঘালয়ের পার্লামেন্ট সেক্রেটারী কেনেডি খায়রিম, ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরণ এবং বাংলাদেশ-ভারত চেম্বার অফ কমার্চ অ্যান্ড ইণ্ডাষ্ট্রিজের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মাতলুব আহমদ প্রমুখ। এদিকে, বাংলাদেশের বিদেশমন্ত্রী মাহমুদ আলির সঙ্গে রবিবার সকালে ঢাকার বিদেশ মন্ত্রকে দেখা করেন ভি কে সিং। এতে দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে ভারতের সঙ্গে বিশেষ করে উত্তরপূর্বের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বাড়াতে গুরুত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশের বিদেশ মন্ত্রী। বৈঠকে তাঁরা পারস্পরিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় বিশেষ করে অর্থনৈতিক খাতে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ওপর জোর দেন।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.