নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অরুনাচল প্রদেশকে বিতর্কিত বলে ম্যাপ গুজরাটের; ভারত জুড়ে সমালোচনার ঝর!

২৪ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৪ রাত ৯:৪৮

নতুন দিল্লী ২৪সেপ্টেম্বরঃ চীনা প্রেসিডেন্ট ঝাই জিনপিং-এর গুজরাট সফরের সময় রাজ্য সরকারের বিলি করা ম্যাপ নিয়ে জোর বিতর্ক দেখা দিয়েছে ভারত জুড়ে। কংগ্রেসের অভিযোগ, আহমেদাবাদের হায়াত হোটেলে নরেন্দ্র মোদি ও জিনপিং-এর উপস্থিতিতে চীনের গুয়ানডং প্রদেশ ও গুজরাটকে “সিষ্টার ষ্টেট” বা সহোদরা রাজ্য হিসেবে ঘোষনা করতে তিনটি সমঝোতাপত্র সই হয়েছিল। একই দিনে রাজ্য সরকারের তরফে অতিরিক্ত মুখ্যসচিব একটি সাংবাদিক সন্মেলন করেন। সেখানে একটি ম্যাপ দেওয়া হয়। সেই ম্যাপে দেখানো হয়েছে, অরুণাচল প্রদেশ হল বিতর্কিত এলাকা। গোটা জম্মু ও কাশ্মীরই বিতর্কিত এলাকা। আকসাই চীনকে পুরোপুরি চীনের বলে দেখানো হয়েছে। কংগ্রেসের প্রশ্ন, সমঝোতাপত্র সই করার সময়ও কি একই ধরনের ম্যাপ বিনিময় করা হয়েছে? গুজরাট সরকারের তরফে সাংবাদিক সন্মেলনে যে ভুল ম্যাপ দেওয়া হয়েছিল, তা প্রকারান্তরে স্বীকার করে নিয়েছেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কিরেন রিজিজু। তিনি বলেছেন, “কেউ যদি ভুল ম্যাপ দিয়ে দেয়, তা হলে পরে সঙ্গে সঙ্গে তা সংশোধনও নিশ্চয়ই করা হয়েছিল।



তবে বিতর্ক শুধু এটাই নহে, অভিযোগ উঠেছে, সে দিন ঐ অনুষ্ঠানে হোটেলের উত্তর-পূর্বের কর্মীদের আসতে বারণ করে দেওয়া হয়েছিল। হোটেলের ৩০০ কর্মীর মধ্যে ৩৫ জন উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যের। এমনকি, হোটেলের পাশে একটা শপিং মল রয়েছে। সেখানেও উত্তর-পূর্বের কর্মীদের বলে দেওয়া হয়েছিল, তাঁরা যেন সে দিন না আসেন। এই খবর গুজরাটে চাউর হওয়ার পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক গুজরাট সরকারের কাছ থেকে রিপোর্ট চেয়েছে। অভিযোগ, পুলিশের কাছে খবর ছিল, তিব্বতীরা উত্তর-পূর্বের কর্মী সেজে হোটেলে ঢুকে পড়তে পারে এবং ঐ অনুষ্ঠানে গোলমাল করতে পারে। সে জন্যই কর্মীদের আসতে বারণ করে দেয় পুলিশ। গুজরাট পুলিশ অবশ্য এই অভিযোগ অস্বীকার করছে। সেই হোটেলও খারিজ করেছে এই অভিযোগ।



কংগ্রেসের মুখপাত্র অভিষেক মনু সিংভি বলেছেন, “কিরেন রিজিজুকে সে দিন নৈশভোজের বাইরে রাখা হয়েছিল। এটা কেন করা হল? আর এখন চুমরে এসে চীনা সেনারা শিবির গড়ে বসে আছে, কিন্তু বিজেপির বহুল প্রচারিত ৫৬ ইঞ্চি ছাতির শের প্রধানমন্ত্রী কিছুই করতে পারছেন না।“ সিংভিকে প্রশ্ন করা হয়, “ইউপিএ সরকারের আমলেও একই ঘটনা ঘটেছিল। চীনা প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগেও একই রকম্ ভাবে চীনা সেনারা ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়ে। তারপরেও তো শীর্ষ বৈঠক হয়? সিংভির জবাব, দু’য়ের মধ্যে ফারাক আছে। তখন ভারতের আপত্তির পর ও ভারতীয় সেনাদের চাপের মুখে চীনা সেনারা ফিরে যায়। এক ইঞ্চি জমিও তাঁদের ছাড়া হয়নি। কিন্তু এখানে চীনা প্রেসিডেন্ট চলে গেছেন, কিন্তু চীনা সেনারা ফিরছে না; বরং দেশের মাটিতে পা ফেলে জিনপিং সেনাদেরকে বলছেন, “আঞ্চলিক যুদ্ধের জন্য তৈরী থাকতে হবে পিপলস লিবারেশন আর্মিকে। আর এও নিশ্চিত করতে হবে যে যুদ্ধ জেতার বিষয়ে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সব সিদ্ধান্ত কঠোরভাবে পালন করা হবে।“ তার মানে কি, ইন্দো-চীন সীমান্তে ১৯৬২ সনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে?



এম বি ফয়েজ,

নতুন দিল্লী, ভারত।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.