নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ধ্রুবতারা

এম বি ফয়েজ

সত্যকে মিথ্যা দিয়ে ঢাকা এবং জেনে-শুনে সত্য গোপন করা কোন ব্লগারের কাম্য হওয়া উচিত নহে।

এম বি ফয়েজ › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদির শ্রীলঙ্কা সফর

১৫ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৯

জাফনা: শ্রীলঙ্কায় সফরের শেষ দিনে সেখানে বসবাসকারী তামিলদের পরোক্ষ সমর্থন জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বললেন, সব নাগরিকের সমান অধিকার, উন্নয়ন ও সম্মান প্রাপ্য।
শনিবার জাফনা সফরে যান মোদী। প্রথম ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সেখানে গিয়ে সেদেশে বসবাসকারী তামিলদের জন্য সমান অধিকার নিয়ে সোচ্চার হন তিনি। জাফনায় মূলত তামিল-বংশোদ্ভূতদের বাস। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে তামিল ও শ্রীলঙ্কার প্রশাসনের মধ্যে যুদ্ধ চলেছে। তামিলদের দমন করার জন্য বিভিন্ন সময়ে সেদেশের প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। পাল্টা আঘাত হেনেছে তামিলরাও। তামিল-শ্রীলঙ্কার এই সংঘর্ষ কেবলমাত্র সেদেশে নয়, আন্তর্জাতিক মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সময়ে-সময়ে শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের হয়ে শ্রীলঙ্কা প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনার জন্য কেন্দ্রের কাছে দরবার করেছে তামিলনাড়ুর রাজনৈতিক দলগুলি।
শুক্রবারই রাজধানী কলম্বোতে তামিল-শ্রীলঙ্কা প্রশাসনের মধ্যে মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা নেন মোদী। সেদেশর প্রেসিডেন্ট মৈত্রীপাল সিরিসেনাকে অনুরোধ করেন জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকলের জন্য সমান বিচার, শান্তি ও সম্মান যেন প্রদান করা হয়। সরাসরি না হলেও পরোক্ষভাবে সেদিনই মোদী স্পষ্ট করে দেন, শ্রীলঙ্কায় বসবাসকারী তামিলদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ভারত কতটা উদ্বিগ্ন। একইসঙ্গে, তামিলদের ক্ষমতায়ণের জন্য ত্রয়োদশ সংশোধনীর যাতে দ্রুত রূপায়ণ করা যায়, তার জন্যও জোর তদ্বির করেন।
এদিন তারই প্রতিফলন দেখা গেল মোদীর বার্তায়। জাফনায় গিয়ে মোদী জানালেন, তিনি চোখের জল মুছতে এসেছেন। ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে জাফনায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। একইসঙ্গে, গৃহহীনদের জন্য ৪৭ হাজার গৃহ নির্মাণ করার ঘোষণাও করেন তিনি। এদিন তারই ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে মোদী জানান, শ্রীলঙ্কার উচিত এগিয়ে চলার। একতা, শান্তি ও মৈত্রী— সার্বিক উন্নয়নের জন্য এই তিনটি জিনিস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিন মোদীর সঙ্গে ছিলেন প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা তামিল নেতা বিগনেশ্বরণ। তাঁর সঙ্গে বৈঠকও করেন মোদী।
এর পাশাপাশি এদিন মোদী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশ নেন। জাফনার উত্তর-পশ্চিম প্রান্তের শহর তালাইমানারে রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন। উল্লেখ্য ভারত থেকে শ্রীলঙ্কার নিকটতম স্থান হল এই তালাইমানার। গৃহযুদ্ধের সময় এই জায়গাটি একেবারে বিধ্বস্ত হয়ে গিয়েছিল। এছাড়া, ইলাভালাইতে একটি আবাসন প্রকল্পের সূচনা করেন মোদী। পুজো দেন স্থানীয় নগুলেশ্বরম মন্দিরে। এর আগে যান সেদেশের ভূতপূর্ব রাজধানী অনুরাধাপুরায়। সেখানে মহাবোধি মন্দিরে প্রার্থনা করেন। কথিত আছে, বুদ্ধগয়ায় যে অশ্বত্থগাছের নীচে গৌতম বুদ্ধ ধ্যান করেছিলেন, সেই গাছের একটি অংশকে এখানে এনেছিলেন সম্রাট অশোকের কন্যা সঙ্ঘমিত্রা। এই সফরে মোদীর সঙ্গী হয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা।
পরে, শ্রীলঙ্কার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেন মোদী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি রাজাপক্ষে অভিযোগ করেন, নির্বাচনে তাঁর হারের পিছনে ভারতের মদত ছিল। সেই দিক দিয়ে মোদীর-রাজাপক্ষের সাক্ষাত অন্যমাত্রা পায়।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.