![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কেমন আছেন সবাই। টেকনোলজির
সমুদ্রে হাবুঢাবু খেতে খেতে আপনারা যেমন ভালো আছেন আমিও
সেইভাবে আছি। আমি বরাবরের মতো ভিন্ন টপিকস নিয়ে
আপনাদের সামনে হাজির। আমরা টেকনোলজি নিয়ে কাজ করবো
আর যদি নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপকে সঠিকভাবে না চিনি
তাহলে কেমন লাগে বলেন। আমি নিজেও এক সময় মাঝে মাঝে
কনফিউশনে পড়ে যেতাম।
অনেকবার এই নিয়ে অনেকের সাথে তর্কও হয়েছে। অনেকে এগুলো
খুব বেশি নিজের মতো করে বিশ্লেষণ করেন। যা আমরা প্রযুক্তির
ছোঁয়ায় কোন ভাবেই কাম্য নয়।
প্রযুক্তির আবহমান কাল ধরেই আমরা এটির উৎকর্ষতা দেখে
আসছি। দিনকে দিন এটি আরও বেশি ইউজারবান্ধব হচ্ছে। যার ফল
এই নেটবুক, নোটবুক এবং ল্যাপটপ।
চলুন আজকের টপিকসে আসা যাক। আমরা সবাই নেটবুক, নোটবুক
এবং ল্যাপটপ এই নামগুলোর সাথে পরিচিত। কিন্তু অনেক সময়
দেখা যায় আমরা নামগুলোর সঠিক ব্যবহার করি না, গুলিয়ে
ফেলি। গুলিয়ে ফেলার কারণ হল আমাদের প্রচলিত ব্যবহার। কিন্তু
আজকে আমরা জানার চেষ্টা করবো আসলে এদের মধ্যে পার্থক্য
কি এবং এদের নামের মধ্যে ভিন্নতা আসলে কোথায় এবং আসলেই
কোনটার কি নাম!
আমাদের গুলিয়ে ফেলার কি কারণ আর আসলে কি ধরণের চেঞ্জ
আমাদের করা উচিত না। তাহলে আসুন দেখি,
বিশ্লেষণ-
প্রথমেই বলে নেই নোটবুক সবসময় ল্যাপটপ থেকে একটু বেশি
ক্ষমতা সম্পন্ন এবং সেটা শুধু দেখতে নয়, কাজেও। নোটবুক সবসময়
ল্যাপটপের চেয়ে বড় হবে এবং তা টেবিলে ব্যবহার করতেই বেশি
স্বাচ্ছন্দ্য। অন্যদিকে ল্যাপটপ হবে নোটবুকের চেয়ে হালকা,
সাইজে ছোট এবং সহজে বহন যোগ্য।
ল্যাপটপের সাধারণ সাইজ ১৩” থেকে ১৭” মতো আর নোটবুকের
সাইজ ১৫.৪” থেকে ১৯” তবে কম্পানি বেজড যে এটার ভিন্নতা
আছে তাও আমরা জানি।
অন্যদিকে নেটবুক হল একটি মোবাইল বেজড মিনি কম্পিউটার।
এখানে আপনি ল্যাপটপের মতো ভারি কাজে খুব বেশি স্বাচ্ছন্দ্য
পাবেন না। আর এটার সাইজ ৭” থেকে ১২” তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে
যে এটি বেশি হয় না তা নয়, তবে এটাই বিশেষ সাইজ।
তবে অনেক বিশ্লেষক ল্যাপটপ এবং নোটবুককে একই কাতারে
ফেলতে ভালোবাসে। তাদের মতে এটির ভেতর তেমন কোন
পার্থক্য নেই। শুধু আমাদের নামের ব্যবহার ছাড়া। আর নেটবুক
তারা বলেন মডিফাই ভার্সন অফ ল্যাপটপ। এটি সবার ব্যবহার
উপযোগী করে তৈরি। তবে নেটবুক ইন্টারনেট ব্যবহারে মোবাইলের
ব্যতিক্রম হিসেবে তৈরি।
আপনি নেট ব্যবহারে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে আপনার ভারি
ল্যাপটপ বা নোটবুক কিনে টাকা নষ্ট করার কোন মানে নেই,
আপনি নেটবুকের মাধ্যমে ভালোভাবে কাজ সম্পাদন করতে
পারবেন।
ল্যাপটপ ৮০ থেকে ৯০ এর দশকে উন্নত প্রযুক্তির মিশ্রণে তৈরি,
তবে এটিকে আরও সুবিধা সম্পন্ন করে এটাকে নোটবুক বলে
ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এরকমও মনে করেন অনেক গবেষক।
তাছাড়া ইউএসবি পোর্ট, কিবোর্ডেও অনেক পার্থক্য আছে নেটবুক
এবং নোটবুকের মধ্যে।
এগুলোর আরও উন্নত সংস্করণ ট্যাবলেট। এটি কিবোর্ডহীন
কম্পিউটার বলতে অনেকে স্বাচ্ছন্দ্য পান। যদিও ট্যাবলেটকে
কম্পিউটারের ব্যতিক্রম না বলে মোবাইলের উন্নত ভার্সন বলতে
অনেকে বেশি মজা পান।
ল্যাপটপ, নেটবুক এদের আরও একটি বড় পার্থক্য দাম। ল্যাপটপ বা
নোটবুকের চেয়ে অনেক বেশি কম দামে নেটবুক কেনা সম্ভব,
বাজারে প্রায় সব ভালো কোম্পানির নেটবুক আছে।
তবে যারা কম্পিউটারের মাধ্যমে নেট ব্যবহার ছাড়া আরও অনেক
কাজ করবেন। তাদের দাম বেশি হলেও নোটবুক বা ল্যাপটপ কেনা
ভালো।
সর্বোপরি আমরা এটাই বুঝলাম (গবেষকদের মতবাদ থেকে) নোটবুক
এবং ল্যাপটপকে আলাদা না ভাবলেও চলবে। দুইটাই এখন সমান
ভাবে ব্যবহার হচ্ছে, আর নেটবুক হল মোবাইল কম্পিউটার, যেটা
নেট ব্যবহার করার জন্য খুব উপযোগী। যারা ভারি কোন কাজ
করবেন তারা অবশ্যই নোটবুক কিনতে পারেন কোন দ্বিধা ছাড়ায়।
আরেকটা বিষয় যারা অনেকক্ষন ধরে পিসি চালান তাদের
নোটবুকের ভালো ব্যাটারি সম্পন্ন কিনা দেখে কেনা উচিত।
নতুন নতুন টেকনোলোজি খবর, সফটওয়ার, এন্ডয়েড এপসসহ যাবতীয় টেকনোলজি টিপস পেতে এখান থেকে ঘুরে আসুন।
আশা করি ভাল কিছু পাবেন ও ভাল লাগবে।
©somewhere in net ltd.