![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♩♩জীবনে ত্যাগ থাকা ভালো তবে তা যেন অর্থবহ হয় _ মিল্টন
মেয়েটির বাসায় বিয়ের প্রস্তাব এসেছে। মেয়েটি দিশেহারা হয়ে প্রেমিককে বলছে, "কিছু একটা করো... নয়তো আমার বিয়ে হয়ে যাবে। " প্রেমিকের তখনও নিজের জিন্স প্যান্টটা মা'কে খুঁজে বের করে দিতে হয়.... এই অবস্থায় বাসায় বিয়ের কথা বলাটা নিরর্থক পাকামো ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।
একদিন মেয়েটার বিয়ে হয়ে যায়............. ছেলেটা কোন বন্ধুর ছাদে অথবা নেভালে গিয়ে মদ গিলে কিছুক্ষণ টাল হয়ে থাকে। বেশ কিছুদিন আর্কের 'এতো কষ্ট কেনো ভালোবাসা' অথবা ট্র্যাপের 'চলে যদি যাবি দূরে স্বার্থপর' টাইপের গান শোনে.... জগতের সমস্ত কষ্ট'ই আস্তে আস্তে হীল হয়... এই কষ্ট'ও কমে। ছেলেটা একদিন টুপ করে অন্যকারো প্রেমে পড়ে যায়... অথবা প্রেমের প্রতি বিষাক্ত ধারণা নিয়ে পড়ালেখায় মন দেয়।
আমাদের দেশের ছেলেদের 'সেটেলড' হিসেবে ধরে নেওয়া হয়... যখন তার একটি ভালো ডিগ্রী আছে... সেই ভালো ডিগ্রীর সুবাদে একটি সিকিউরড চাকরী আছে... আবার সেই চাকরীর সুবাদে বেশ ভালো একটি ব্যাংক ব্যালেন্স আছে... এবং সেই ভালো ব্যাংক ব্যালেন্সের কারণে সুন্দর একটি ফিউচার হবে।
আর সেটেলড হতে গিয়ে জগতের সমস্ত পরীক্ষা, সেশন জট, হরতাল, অবরোধ, ব্যাকলগ, থিসিস পেপার নিয়ে দৌড়াদৌড়ি শেষে ছেলেটার বয়স হয়ে যায় সাতাশ থেকে আটাশ.... এরপর আবার চাকরী'র জন্যে যুদ্ধ শুরু.... ভালো চাকরী পেতে গেলে এক্সপেরিয়েন্সের জন্যে যুদ্ধ, এক্সপেরিয়েন্স হলে প্রমোশনের জন্যে যুদ্ধ... সবকিছু শেষ করে সেটেলড ট্যাগটা যখন গায়ে লাগে... তখন ছেলেটার বয়স হয়ে গেছে প্রায় পয়ত্রিশের কাছাকাছি।
এই দীর্ঘ সময়ে পূর্ব প্রেমিকার ঘরে দুই-তিনটি সন্তান চলে এসেছে... এরমধ্যে হয়তো একজন প্রাইমারী পাঠ'ও শেষ করে ফেলেছে।
ছেলেটা এদিক-সেদিক খোঁজাখুঁজি করে অল্পবয়সী একটি মেয়েকে বিয়ে করে ফেলে....( সেই মেয়েটি আবার অন্য ছেলের প্রেমিকা) এক কথায় ছেলেটি বিয়ে করে অন্য একটি ছেলেকে ঠিক তার পূর্বজীবনের অবস্থায় ফেলে।
নতুন বিবাহিত মেয়েটির বয়স অল্প... সে জগতের ছোট-বড় সমস্ত কিছুতেই মুগ্ধ হয়... আর ছেলেটি জগতের সত্যিকারের কুৎসিত রূপ অলরেডি দেখে ফেলেছে। তার জীবনভর্তি বিরক্তিতে... ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে একটি কমিউনিকেশন গ্যাপ সৃষ্টি হয়... ভালোবাসা'র স্থান হয় না সেই গ্যাপে। কিন্তু বাংলাদেশ বলে কথা... ভালোবাসা থাকুক আর না থাকুক, সংসার করে যেতে হবে।
অথচ ২২-২৩ বছর বয়সে সেই প্রেমিক-প্রেমিকা বিয়ে করতে পারলে তাঁরা একসাথে হাত হাত রেখে নীলগিরিতে মেঘের খেলা দেখে মুগ্ধ হতে পারতো.
বারবার খিলখিল করে হাসতে পারতো পুরোনো কোন কথা মনে করে।
খুব অদ্ভূত একটা অবস্থায় আছি আমরা.... প্রেমিক-প্রেমিকার কেউ একজন ডাক্তার হলে অন্যজনকে অন্তত পাল্লা দিয়ে ইঞ্জিনিয়ার হতে হয়। নয়তো বাইরের কোন ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার ঈগলের মতো এসে ছোঁ মেরে ভালোবাসাকে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
ভালবাসতে অথবা ভালবাসা পেতে কি একজনকে ডাক্তার অথবা ইনঙ্গিনিয়া হতেই হবে । এটাই কি বাস্তবতা । এই জন্যেই দেশে একজন ভাল সাহিত্যিক নাই । কারন এখানে প্রতিযোগিতা চলে কে আগে ডাক্তার অথবা ইনঙ্গিনিয়ার হতে পারবে ।
দুঃখ করে লাভ নাই । সবাই ফরমালিনযুক্ত মুরগী হয়ে যাচ্ছে ।
এখন কেউ কাজী নজরুল অথবা রবীন্দ্রনাথ হতে চাই না ।
আবসোস আহরে দুনিয়া , হয়রে প্রেম । পরের জীবনে যেন এইসব না দেখতে হয় সৃষ্টিকর্তা ।................................
বিঃদ্র = কারো জীবনের সাথে কিঞ্চিত মিলে গেল আর এরকম পরিস্থিতিতে পরে থাকলে কষ্ট পাবেন না । এ সবই ভাগ্যের লিলাখেলা । হয়তো অনেকেই ভাগ্যকে বিলিভ করেন না কিন্তু সত্যি ভাগ্য বলে অনেক কিছু আছে একটু চিন্তা করে দেখেন ।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: ভালবাসা যেমন সত্য তেমনি স্বপ্নগুলোও তেমন জীবন্ত । কিন্তু নিয়তির কাছে মাঝে মাঝে হার মানতে হয়
ধন্যবাদ ।
২| ২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৪:৩৪
শাহরিয়ার নীল বলেছেন: আমার সাথে মিলে গেল পুরাই।
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫১
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: এটাই যে বাস্তবতা । তাইতো মিলে যাচ্ছে ।
৩| ২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:০৯
দেবজ্যোতিকাজল বলেছেন: ভাল লিখেছ
২৫ শে জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ২:৫০
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: ধন্যবাদ ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৩ শে জানুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ২:০৩
ফারজানামিতু বলেছেন: পুরোটাই সত্যি। ভালো লিখেছেন, এমনি হচ্ছে। অনেক ভালোবাসার পরেও তাই হারিয়ে যাচ্ছে প্রিয় মানুষটি। হারিয়ে যাচ্ছে দেখা স্বপ্ন টি।