![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
♩♩জীবনে ত্যাগ থাকা ভালো তবে তা যেন অর্থবহ হয় _ মিল্টন
ভোর ৫ টা । চারদিক অনেক অন্ধকার । হ্যা অন্ধকার লাগারই কথা । পুলিশের বেধড়ব মার খেয়ে চোখে অন্ধকার দেখা ছাড়া আর উপাই কি ।।
সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরছিল অনিক । রাস্তাটা ফাঁকা ছিল । হঠাত্ একদল ছেলে মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে দেখে অনিক পাশ কাটিয়ে চলে যেতে চাইলো কিন্তু মেয়েটা অনেক জোরে জোরে কাঁদতে লাগলো ।
অনিক এবার এগিয়ে গেল । গিয়ে ছেলেগুলো বুঝিয়ে বলল যে মেয়েটাকে ছেড়ে দিতে । কে শুনে কার কথা । তার মেয়েটার ওড়না খুলে নিল । শরীরে হাত দিতে গেল কিন্তু অনিক থেমে থাকলা না । সে ল্যাপটপের ব্যাগটা দিয়ে অনেক জোরে এক ছেলের মাথায় আঘাত করলো । রক্ত ঝরঝর করে পড়তে লাগলো ।
এদিকে বখাটা গুলো চাকু বের করলো । আর অনিক একটা পাশে থাকা ইট তার শরীরে মারলো । বখাটা টা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ছটপট করতে লাগলো । অনিক মেয়েটাকে রিক্সায় তুলে দিয়ে বাড়ি যেতে বলল কিন্তু মেয়েটা যেতে চাইল না । এই অবস্থায় অনিককে ফেলে যেতে মেয়েটার মনও চাইলো না । অনিক জোর করে তাকে পাঠিয়ে দিল । এদিকে বাম হাতটাই এক বখাটে এসে চাকু মারলো অনিক কে । তারপর কাকে যেন ফোন দিল বখাটে গুলো । এদিকে পুলিশ আসলো কিন্তু একি পুলিশ অনিক কেই ধরে নিয়ে গেল । বখাটে গুলো স্থানীয় নেতার লোক ।
পুলিশকে অনিক সব খুলে বলল কিন্তু কে শুনে কার কথা । বেধড়প মারল অনিককে । শেষে একজন ভাল পুলিশ আঙ্কেলের কাছে ফোন নিয়ে বাসায় ফোন দিল অনিক । তারপর বাসা থেকে তার বাবা একজন অবসর প্রাপ্ত মেজর , তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে গেল । অনিক হাটতে পারছে না । কোন মতে একটা রিক্সাই উঠে বাসায় গিয়ে পৌঁছালো ।
বিঃদ্র = অনিক এখানে প্রতীকি রূপে এক চরিত্র কিন্তু গল্পটা তো বাস্তব । এভাবে অনিকের মত ছেলেরা এগিয়ে আসে পড়ে তাদেরই সজ্জ করতে হয় নিজ্জাতন । কোন দিকে যাচ্ছে সমাজ ব্যাবস্থা । এখন হয়তো অনিক এগিয়ে এসেছে , কিন্তু সে ন্যায়বিচার পাইনি । ন্যায়বিচার না পেতে পেতে এমন হয়ে যাবে কেউ আগাবে না কারো বিপদে । এখনিই তো কেও এগিয়ে আসে না । কিছু হলে হাজার হাজার মানুষ চোখ মেলে মজা দেখে আর ভিডিও আর ছবি তুলে ফেসবুকে ঝোর তুলে । আরে ভাই হয়ছে ফেসবুকে ঝর তোলার আগে সরাসরি ঝর তুলে একটু দেখান তো ।
সবচেয়ে খারাপ লাগে তখন যখন আইন ব্যাবস্থা আমাদের ভাল কিছু করতে আটকিয়ে দেই ।।
হয়তো এই ব্লগ যারা ইউজ করে তারা বেশির ভাগই ছাত্র । এইসব ছাত্ররা দেখে আর ভাবে যে ভাই এই দেশে আমি থাকবো না । যদি প্রশ্ন করা হয় কেন ভাইয়া । ভাই দেশ তো নিজেই মেধাবিদের থাকতে দিতে চাই না । সো কেন থাকবো ।
এসব কথা যখন শুনি তখন ত্রিরিশ লক্ষ শহীদের কথা মনে পড়ে কষ্ট হয় । তারা যুদ্ধ করে শহীদ হয়েছে যেন আমরা এদেশে শান্তি নিয়ে লেখাপড়া চলাফেরা করতে পারি । কিন্তু আদৌ কি তা হচ্ছে !! জানি সবাই এই ব্লগটা পড়ে ২ মিনিট দুঃখ প্রকাশ করবে । অথবা কেউ কেউ বলবে ভাই আপনি হলে এগিয়ে যেতেন । অথবা সবার জীবনের ভয় আছে । কেউ শহীদ হলে আমরা ফেসবুকে ছড়িয়ে দেই । এই শহীদের জন্যে কয়টা লাইক । হাহাহা । এই আবুল এডমিনগুলারে পাইলে বলতে ইচ্ছা করে ভাই আপনাদের বাইরে ছাড়ছে কে আপনাদের প্রতিবন্ধি কেন্দ্রে থাকা উচিত ।
সবশেষে একটা কথা হয়তো আমি অনক বড় বড় কথা বলে ফেলেছি কারো মনে আঘাত করে থাকলে ক্ষমাপ্রার্থী ।
ধন্যবাদ সবাইকে
১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩২
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: আস্তে আস্তে মানুষের বিবেক পঙ্গু হয়ে যাবে
২| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২৫
বিজন রয় বলেছেন: এমন ঘটছে অহরহ। সামাজিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা দরকার।
১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:৩০
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: অহরহ দেখছি আর নির্বাক থাকছি । মনে হয় রোবটদের মত জীবন যাপন করছি । আজ আমার সাথে হচ্ছে । কাল আপনার সাথে হবে ।
৩| ১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৪:০৫
ছায়ামান০০৭ বলেছেন: তিরিশ লক্ষ মহান শহিদ রা যদি জানতেন স্বাধীনতার ৪০ বছর পর দেশ হতে নীতি,আদর্শ,নৈতিকতা বিদায় নিবে,অসুস্ত সস্কৃতির বিকাশ ঘটবে ,মানুষ মানবিকতা হারাবে,মাফিয়া রাজনীতি সর্ব ক্ষেত্রে বিষাক্ত ছোবল হানবে তবে কি করতেন তারা সেইটি প্রশ্ন হতে পারে না ।তিরিশ লক্ষ শহিদ সঠিক কাজ করেছেন সময়ের দাবি অনুসারে ,কিন্তু আমরা বর্তমান এর মানুষেরা ,তিরিশ লক্ষ শহিদ এর রক্তের উত্তরসরীরা নির্জীব কাপুরুষ হয়ে গেছি সময়ের দাবি অনুযায়ী কাজ্ করতে
১২ ই মার্চ, ২০১৬ রাত ১০:০৩
মো আলমগীর হাসান কাজল বলেছেন: আপনার কথায় যথেষ্ট যুক্তি আছে । কিন্তু এই যুক্তিযুক্ত কথাগুলা যদি সবাই বুঝতে পারতো তাহলে তো কাজই হত
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই মার্চ, ২০১৬ বিকাল ৩:২২
আহলান বলেছেন: বাস্তব চীত্র রে ভাই .... সবই নষ্টদের দখলে চলে যাচ্ছে ..