নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এই যাদুর ঢাকার শহরে মাঝে মাঝেখুব একাকিত্ব গ্রাস করে আমায়।।একঘেয়ে পৃথিবীর প্রান্তরে বেদনার নীল জলে নিজেকে ডুবিয়ে-ভাবি, কোনদিন আমিও কি #মহেশ গল্পের #গফুর হবো।

মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব)

আমি আছি ব্যাক বেঞ্চার, আর কিছু ভাবনা আছে নিঃসঙ্গ। কিছু কথা আছে কাউকে বলতে না পারার- সেগুলো বলতেই আমার কিবোর্ড চাপাচাপি.।...।

মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব) › বিস্তারিত পোস্টঃ

কবে সত্যিকার নির্যাতন মুক্ত হবে আমাদের বোনেরা? কবে সত্যিকার অর্থেই তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠা হবে?

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ৮:২৮

অনেক ক্ষন ধরে মনটা খুব কান্না করছে, তাই হৃদয়ের অশ্রু দিয়ে কিবোর্ড টাকে না ভিজিয়ে থাকতে পারলাম না।”

“ছোট্ট একটি মেয়ে।
ধরুন আপনার নিজের মেয়ে বা বোনই। পনেরো কিংবা ষোলো বছর বয়স। আপনার পরিবারের হাসি-আনন্দ সে। সুখের প্রজাপতি হয়ে সে সারাদিন সুখ বিলি করে এখানে ওখানে। সে আপনার খুব আদরের , অনেক ভালোবাসেন থাকে বলার অপেক্ষা রাখে না। প্রাকৃতিক বা সামাজিক কারণেই হোক একদিন আপনার ঘরের সুখের প্রজাপতি টাকে অন্য কারো ঘরের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নিতেই হবে। কষ্ট হলেও সামাজিক নিয়ম মেনে নিয়ে ছোট বোন বা মেয়েটিকে ঠিকই অন্য কারো ঘরে পাঠাবেন। আর আপনার একমাত্র চাওয়া হবে যেন- সর্বঅবস্থায় আপনার আদরের বোন বা মেয়েটি ভালো থাকে, সুখে থাকে।
এটা স্বাভাবিক।

এই স্বাভাবিক চাওয়াটা কারো কারো ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবেই পূরণ হয় আবার কারো কারো জন্য অস্বাভাবিক চাপা কষ্টে জন্ম দেয়। আপনার ঘরের সুখের প্রজাপতি টার সাথে যদি তার নতুন শ্বশুড় বাড়ির লোকজন তেলাপোকার মত আচারণ করে- নিশ্চয় আপনার অনেক খারাপ লাগবে। ফোনের অন্যপাশ থেকে আদরের ছোট বোনটির চাপা কান্না শুনে যখন বলবেন কী হয়েছেরে বোন? তখন আপনার খুব কষ্ট হবে না! খুবই কষ্ট হবে- যখন সে ক্লান্ত গলায় কেঁদে কেঁদে বলবে; নাহ কি হবে, কিছু হয় নাই বলে ফোনটা কেটে দিবে। কি হয়েছে আপনার বুঝার বাকি থাকবে না কিন্তু তারপরও কিছু বলতে বা করতে পারবেন না। কখনও কখনও এর চেয়ে বেশি কষ্টে থাকবে সে, নতুন মানুষগুলোর অদ্ভুত আচারণ, শ্বশুড় শাশুড়ীর দূর্ব্যবহার আর নির্যাতন তার কোমল হৃদয়টা ভেঙে দিবে। সে দুমরে মুচরে কাঁদবে সারাটা দিন। আপনারা শহ্য আর ধৈর্যের চরম পরিক্ষা দিবেন, কিছুই বলতে পারবেন না- পাছে তার নতুন সংসারে একটা ফাটল হয়ে যায়। এমন পরিস্থিতি খুবই যন্ত্রণার। না যায় কিছু বলা, না যায় শহ্য করা। কিন্তু এর শেষ পরিনতি কেমন হবে??

বসে বসে শুধু আফসোসই করবো? নাকি কিছু করার জন্য উদ্যোগ নিবো, যাতে আপনার বা আমার বোনের মতো সমাজের আরো আট-দশটা মেয়েকে চাপা কষ্টে দুমরে দুমরে কাঁদতে না হয়? আজকে সংসারে নতুন সদস্য হিসেবে নানা কাজে তার সব সময় স্বাগতম, সাহায্য সহযোগিতা পাওয়ার কথা ছিলো। বিভিন্ন বিষয়ে মত প্রকাশের অধিকার থাকার কথা ছিলো। কিন্তু দুঃখ জনক হলেও সত্যি- সেই সব তরুণী মেয়ের নতুন সংসারে গিয়ে নিদারূন নির্যাতণ সহ্য করতে হচ্ছে..


আর নারীবাদি সংগঠন গুলোর তেলে মাথায় তেল দেওয়ার মতো আচারণ দেখে একটু কষ্ট হচ্চে। নারীদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সত্যি কিছু করার ইচ্ছে থাকলে গ্রাম অঞ্চলে আসেন।এটা আমার গ্রামের দৃশ্যপট, পারলে এনব নারীদের জন্য কিছু কাজ করেন
আজকে শহরাঞ্চলে নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা হলেও। প্রত্যান্ত গ্রমাঞ্চলের চিত্র তেমন একটা বদলায় নি। আজকে গ্রামের প্রায় মেয়েই শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে জীবনের স্বাদ, হাসি, আনন্দ ভুলে যায়। হারিয়ে ফেলে জীবন নিয়ে তার যত স্বপ্ন!প্রতিটি সময়ে ছোট্ট মেয়েটিকে মানসিক চাপে থাকতে হয়-না জানি কোন কথা, কোন কাজের ভুল ধরে তার গুষ্টিসহ উদ্ধার করে! তাই বলতেই হচ্ছে গ্রামে নারীদের শারীরিক নির্যাতনের ধরন বদলে মানসিক নির্যাতন হচ্ছে এই আরকি।এর শেষ কোথায়?

আমাদের বর্তমান সরকার নারী অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুবই সচেতন। তাই গ্রামাঞ্চলেও তার সুনজর এবং কার্যকরী উদ্যোগের প্রত্যাশা করি।সেই সাথে.।
নারীর অধিকার রক্ষায় কাজকরা সংগঠন গুলোকে আন্তরিক আহ্বান জানাচ্ছি গ্রামাঞ্চলের নারীদেরকে জন্য কাজ করার।
সেই সাথে সমাজ বদলে দেয়া উদ্যোমি তরুণদেরও কাজ করার আহ্বান করছি...
আমি কাজ করবো নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠায়, আর আপনাদেরকেও সাধুবাদ জানাচ্ছি।

হাবিব রহমান
নবাবগঞ্জ, ঢাকা।
ফেসবুকে আমি>view this linkview this link

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ রাত ২:৪৪

নতুন বলেছেন: ভাই আমার মেয়ের বয়স ২ বছর হবে আগামী মাসে...

তাকে বুকে করে মানুষ করছি... মাটিতে হাটতে দিলেও দেখি পিপড়া আছে কিনা কামর দেবে কিনা...

যদি বিয়ের পরে এই মেয়ের গায়ে স্বামী হাত তোলে... তাকে গুলি করে মেরে ফেলতেও কস্ট হবেনা। কিন্তু পিতারা সেই কস্টও মেনে নিচ্ছে মেয়ের সংসার ভেঙ্গে যাবে বলে...

মানুষ কেন এটা বোঝেনা... কোন যে নতুন পরিবারে নারীকে নিয়ে এসে নিযা`তন করে?????????????????????

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:২৭

মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব) বলেছেন: ধন্যবাদ পোস্টটি পড়ার জন্য।

অামি যতটুকু ভাবনা নিয়ে পোস্টটি লিখেছিলাম...অাপনার কমেন্টের কথাগুলো অামাকে অারো ভাবিয়ে তুলছে....খুবই কষ্ট হচ্ছে এই ভেবে মানুষগুলো কেনো বুঝে না....নাকি তাদের মন নেই!!!??

২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৭ বিকাল ৩:৩০

কানিজ রিনা বলেছেন: লেখাটা পড়ে চোখে পানি নামল, বিশেষ করে
নতুন এর মন্তব্যে।
আমি যেভাবে নির্মমতা সয্য করেছি আমার
মেয়েটা কি তাই পারবে।
পুরুষরা তখনই বুঝে যখন তার কন্যা
নির্মমতার শিকার হয়।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ সকাল ৭:৩৪

মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব) বলেছেন: ধন্যবাদ কানিজ রিনা অাপুকে পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য.....
চোখিদিয়ে পানি নামার পরেই অামি হৃদয়ের জল দিয়ে কীবোর্ড ভিজিয়েছিলাম........

কিন্তু "পুরুষরা তখনই বুঝে যখন তার কন্যা
নির্মমতার শিকার হয়।" মানতে পারছি না.....অামি অনেক ঘটনাই দেখেছি যেখানে মেয়েরা নির্যাতিত হয়েছে তার শ্বাশুড়ী, স্বামীর বড় বোন বা এই সম্পকের মানুষ গুলোর দ্বরা..... একজন মেয়ে হয়ে ওই নারীদের কে অাপনি কি বলবেন???

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৭ দুপুর ১:৫২

বিলিয়ার রহমান বলেছেন: মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব)


সুন্দর একটা বিষয় নিয়ে লিখেছেন!


পোস্টটির জন্য আপনাকে ধন্যবাদ!

০৪ ঠা মে, ২০১৭ সকাল ৯:০২

মো:হাবিবুর রহমান(হাবিব) বলেছেন: পোস্টটি পড়ার এবং অনূপ্রাণিত করার জন্য ধন্যবাদ....শুভকামনা..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.