নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

DEATH IS BETTER THAN DISGRACE

রসায়ন

রসায়ন › বিস্তারিত পোস্টঃ

হাদীস অস্বীকারকারী??? আসুন একটু হাদীস অস্বীকারের হিসাব মিলাই! | কথিত হাদীসের পোস্টমর্টেম; পর্ব-০১

১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪১

কথায় কথায় শুনি হাদিস মানে না, হাদিস অস্বীকার এই সেই

এবার একটু হিসাবটা মিলিয়ে দিয়ে যান।


সুন্নিদের হাদিসের সবচাইতে বড় বিখ্যাত সংগ্রহের নাম বুখারী শরীফ। এই বুখারী শরীফের সংগ্রাহক ইমাম বুখারীরও আগের হাদিস সংগ্রাহক হলো মুয়াত্তা ইবনে মালেক। মুয়াত্তা মালেকের অনেক হাদিস ইমাম বুখারী তার বুখারী শরিফে স্থান দেননি। তাহলে ইমাম বুখারী কোন কারণে হাদিস অস্বীকারকারী হলো না??


কাহিনি আরো আছে, ইমাম বুখারীর সমসাময়িক ও উনার ছাত্র ইমাম মুসলিম যিনি সুন্নিদের দ্বিতীয় বিখ্যাত সহিহ হাদিসের গ্রন্থ মুসলিম শরীফের প্রণেতা উনাদের দুইজনের হাদিস সংগ্রহেও অনেক বৈপরীত্য বিদ্যমান। ইমাম মুসলিম এমন অন্তত ৬০০ জন রাবীর(হাদিস বর্ণনাকারী) হাদিস নিয়েছেন যাদেরকে ইমাম বুখারী রিলায়েবল মনে করেননি। এই ছয়শ রাবীর যদি অন্তত একটি করেও হাদিস থাকে তাহলে ইমাম বুখারী ইমাম মুসলিমের অন্তত ৬০০ হাদিস অস্বীকারকারী! এমন না যে ইমাম বুখারী এই হাদিসগুলো শুনেন নাই, শুনেছেন অবশ্যই কিন্তু সহিহ মনে না হওয়ায় নেননি। উদাহরণ স্বরূপ, বিদায় হজ্জের ভাষণের এই যে জিনিস আঁকড়ে ধরে রাখার কথা বর্ণনা মুসলিম শরিফে সহিহ সনদে বর্ণিত হলেও বুখারী শরিফে নাই!


এবার আসুন এর পরের হিসাবে, ইমাম বুখারী ও মুসলিমের পরবর্তীকালে উনাদের শাগরেদ নাসাঈ, ইবনে মাজা প্রমুখ যে হাদিস সংগ্রহ করেন তাতে বুখারী ও মুসলিম কর্তৃক রিজেক্টেড অনেক হাদিস আছে। তাহলে ইমাম বুখারী মুসলিমের মতে অগ্রহণযোগ্য অনেক হাদিস তাদেরই ছাত্র নাসাঈ, ইবনে মাজার প্রমুখের কাছে সহিহ!


তাহলে ইমাম বুখারী ও মুসলিম কেন হাদিস অস্বীকারকারী হবে না?


হিসাব কি শেষ মনে করেছেন? না, আরো আছে কাহিনি!


এইসব হাদিস গ্রন্থের আবার পুনরায় তাহকীক বা যাচাই করেছেন অনেক মুহাদ্দিস, সেই কাজ করতে গিয়ে আবার অনেক কোম্পানির হাদিস বাতিলের লিস্টে চলে গেছে। যেমন আহলে হাদিসের প্রতিষ্ঠাতা জেনারেল ম্যানেজার নাসিরউদ্দিন আলবানি অনেক কোম্পানির সহিহ হাদিসকে জাল (মাউযু), দুর্বল (যঈফ) বলেছেন আবার অনেক মাউযু হাদিসকে আল হাদিস বলেছেন। উনার কথা বাদ দিলাম, সমসাময়িক কালের বিখ্যাত ইসলামি ব্যক্তিত্ব ও ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর মৃত ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির স্যারও হাদিসের নামে জালিয়াতি বইয়ে দেখিয়েছেন অনেক কোম্পানির প্রচলিত অনেক হাদিস আসলে জাল হাদিস! এজন্য উনিও অবশ্য হাদিস অস্বীকারকারী ফতোয়া খেয়েছেন, খাওয়ার কথাই কারণ যেই জিনিসের কোন সীমা নাই, মাত্রা নাই তা আপনি জানবেন কবে আর মানবেন কবে?


কোরআনের আয়াত মোট ৬২৩৬টি ফিক্সড। কিন্তু হাদিসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ঠিক কত? মোট সহিহ হাদিসের সংখ্যা কোনটি? উত্তর হচ্ছে জানা নাই কারণ হাদিস সহিহ না জাল এই নিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির আলেমরা দ্বিধাবিভক্ত। যেমন পাকিস্তানের বিখ্যাত হুজুর মাওলানা তারিক জামিলের কোম্পানির মেইন উপজীব্য হচ্ছে পাগড়ি(এছাড়া তাবলীগ পন্থীদের নিকটেও পাগড়ির হাদিস সহিহ); উনি ছাড়াও বাংলাদেশের সুন্নিদের (যেমন এনয়েতুল্লা আব্বাসী, গিয়াসউদ্দিন তাহেরী) উনাদের কাছে পাগড়ি পরা সহিহ হাদিস সাব্যস্ত কাজ এইবার আসুন অন্য কোম্পানির বক্তব্য কি পাগড়ি নিয়ে...


ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গির সহ আহলে হাদিস মতাদর্শীদের কাছে পাগরির সকল হাদিস জাল বা একদম দুর্বল!


এইবার আপনি কারটা শুনবেন? ওই হাদিস মানলে বিপরীত দলের কাছ থেকে বেদাতি ক্যাটাগরিতে জাহান্নামি ট্যাগ খাবেন আবার অস্বীকার করলে পক্ষের দলের কাছ থেকে হাদিস অস্বীকারকারী কাফের ট্যাগ খাবেন!


এই জাল সহিহের খেলা কি এই পর্যন্ত সীমাবদ্ধ?? মোটেও না

নবীর বাবা মা জান্নাতি না জাহান্নামি এটা নিয়েও চরম লেভেলের মতভেদ। সিহাহ সিত্তাহর সহিহ হাদিস অনুযায়ী নবীর বাবা মা জাহান্নামি অন্যদিকে সুন্নিদের স্বপ্নে পাওয়া "গায়েবে সিত্তাহ" হাদিস মতে তারা উভয়েই জান্নাতি! যাবেন কোন দলে এখন?


এবার আসেন আরো বড় পরিসরে, মুসলমানদের দুইটা মেজর ভাগ: সুন্নি ও শিয়া। সুন্নিদের মেইন হাদিসের কালেকশনগুলো সিহাহ সিত্তাহ (বিশুদ্ধ ছয়) নামে পরিচিত তেমনি শিয়াদেরও তাদের হাদিসের কালেকশন আছে, যেগুলো কুতুবে আরবা(চারটা বই) বা সিহাহ খামছা (বিশুদ্ধ পাঁচ) বলে পরিচিত। শিয়াদের হাদিসের বইয়ে কি কি হাদিস আছে সেসব জানা তো দূরের কথা এই বইগুলোর নামগুলো পর্যন্ত সুন্নিরা জানে না। শিয়ারা যেমন সুন্নিদের হাদিসগুলো অধিকাংশই মানে না তেমনি সুন্নিরাও শিয়াদের হাদিসগুলো মানে না।


তাহলে মোটাদাগে উপরের আলোচনার উপজীব্যগুলো হলো:


১. প্রচলিত হাদিসের মধ্যে নির্দিষ্ট সীমানাই। ঠিক কয়টি সহিহ হাদিস বিদ্যমান এমন কোন সুনির্দিষ্ট সংখ্যা নাই।

২. এক ইমামের হাদিসের গ্রেডিং পদ্ধতি অন্য ইমাম পুরোপুরি মানেন নাই। এজন্য তাদের হাদিস কালেকশনও ভিন্ন।

৩. এক ইমামের অনেক সহিহ হাদিস অন্য ইমামের কাছে জাল, দুর্বল হিসেবে সাব্যস্ত।

৪. সুন্নিদের মধ্যেই বিভিন্ন উপদলের মধ্যে হাদিসের গ্রেডিং নিয়ে ভয়াবহ দ্বিমত বিদ্যমান।

৫. শিয়া সুন্নিরা ভাইস ভার্সা একে অন্যের হাদিস সম্পূর্ণ বা বা প্রায় সম্পূর্ণ অস্বীকার করে।


এবারে কতগুলো/ প্রশ্ন রেখে যাবো


১. ঠিক কয়টি প্রচলিত হাদিস অস্বীকার করলে কুফর হবে? কোরআনের ক্ষেত্রে তো একটি শব্দ অস্বীকার করলেও সে কাফির, প্রচলিত হাদিসের ক্ষেত্রে এর মাত্রাটা কি?

২. উপরের মাত্রাটি কে নির্ধারণ করে দিলো?

৩. কোন-কোন কোম্পানির হাদিস অস্বীকার করা যাবে?

৪. মাযহাবীদের ক্ষেত্রে মাযহাবের ইমামদের তাকলীদ(অন্ধ অনুসরণ করা) করা দূষণীয় হলে হাদিস সংগ্রাহক ইমাম ও বিভিন্ন মুহাদ্দিসদের তাহকীক অন্ধভাবে মেনে নেয়া কেন সেই মাযহাব হবে না? যেমন, আলবানি মাযহাব! বুখারী মাযহাব।

৫. হাদিস সংগ্রাহক ইমামরা একে অন্যের অনেক হাদিস ও উসুল(মূলনীতি) অস্বীকার করেছেন। তারা কি? তারা কেন হাদিস অস্বীকারকারী হবেন না?

৬. শিয়া সুন্নিরা যে একে অপরের হাদিস মানে না সে জন্য কেন তাদেরকে হাদিস অস্বীকারকারী বলা যাবে না?

মন্তব্য ২৪ টি রেটিং +৫/-০

মন্তব্য (২৪) মন্তব্য লিখুন

১| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৫৯

বাউন্ডেলে বলেছেন: তথ্য সমৃদ্ধ যুক্তিপুর্ণ লেখার জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৫

রসায়ন বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের বিষয়ে হাজার হাজার মতো বিরোধ।আল্লাহ নিজেই একটা ধর্ম বানাতে পারে নাই,মানুষ পারবে কি ভাবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

রসায়ন বলেছেন: ধর্ম ও দ্বীন এক নয়। ইসলাম কোন ধর্ম না, ইসলাম হলো দ্বীন বা জীবনব্যবস্থা।

৩| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৩৭

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আরেকটি তথ্য সমৃদ্ধ লিখার জন্য ধন্যবাদ জানবেন !!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৪| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪২

নিবর্হণ নির্ঘোষ বলেছেন: আসলে হাদীস সহীহ না জয়িফ এর নির্ধারণের পদ্ধতিটাই বিশ্বাসযোগ্য না । আবার এদিকে হাদীস সংগ্রহের ব্যাপারটাও একদম আস্থাশীল নয় , হাদীস নিয়ে বিরাট এক দ্বন্দ্ব মুসলিম বিশ্বে লেগেই আছে । এর নিরসন কবে হবে কেউ জানি না !!

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

রসায়ন বলেছেন: এটা নিয়ে ঝামেলা আজীবন চলবে। সহীহ জাল নিয়ে কামড়াকামড়ি!

৫| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১২

বাউন্ডেলে বলেছেন: কামাল১৮ বলেছেন: ধর্মের বিষয়ে হাজার হাজার মতো বিরোধ।আল্লাহ নিজেই একটা ধর্ম বানাতে পারে নাই,মানুষ পারবে কি ভাবে।
মানুষের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত পথ ও জীবন-যাপন পদ্ধতির দিক-নির্দেশনা একটাই । এ প্রসংগে সুরা বাকারায় মহান আল্লাহ বলেন

২১৩. “সমস্ত মানুষ ছিল একই উম্মত। অতঃপর আল্লাহ নবীগণকে প্রেরণ করেন সুসংবাদদাতা ও সতর্ককারীরূপে এবং তাদের সাথে সত্যসহ কিতাব নাযিল করেন যাতে মানুষেরা যে বিষয়ে মতভেদ করত সেসবের মীমাংসা করতে পারেন। আর যাদেরকে তা দেয়া হয়েছিল, স্পষ্ট নিদর্শন তাদের কাছে আসার পরে শুধু পরস্পর বিদ্বেষবশত সে বিষয়ে তারা বিরোধিতা করত। অতঃপর আল্লাহ তার ইচ্ছাক্রমে ঈমানদারদেরকে হেদায়াত করেছেন সে সত্য বিষয়ে, যে ব্যাপারে তারা মতভেদে লিপ্ত হয়েছিল(৩)। আর আল্লাহ্‌ যাকে ইচ্ছে সরল পথের দিকে হেদায়াত করেন।”

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ।

৬| ১৯ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:২৪

নূর আলম হিরণ বলেছেন: হাদীসের চোরাবালি নামক কয়েকটি ভিডিও আছে সজল রোশান ভাইয়ের। সেখানে আরো বিস্তারিত এমন প্রশ্ন ও উত্তর আছে। দেখতে পারেন।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৭

রসায়ন বলেছেন: দেখেছি।

৭| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২:২৫

কামাল১৮ বলেছেন: @ বাউন্ডেলে,নবীগন মিমাংসাতো করেই নাই আরো কেওয়াছ তৈরী করেছেন।খৃষ্টানরা ইহুদিদের কচুকাটা করেছে। আমাদের নবী মদিনার আশেপাশে যত ইহুদি খৃষ্টান ছিলো সবাই কে হয় কচু কাটা করেছে নয়তো বিতাড়িত করেছে।আর এখন ইহুদিরা মুসলমানদে কচুকাটা করছে পেলেষ্টাইনে।এইতো ধর্মগুলোর অবস্থা।
আফগানের নারীরা এখন বুঝছে ধর্ম তাদের কি উপকার করছে।আপনারও বুঝবেন যখন বাংলাদেশে শরীয়া আইন চালু হবে।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৮

রসায়ন বলেছেন: কুরআনের যুদ্ধ বিগ্রহের আয়াত নিয়ে একটা পোস্ট দিবো সামনে।

৮| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ৮:৪১

শার্দূল ২২ বলেছেন: আপনি আগের পোষ্টে এই কথা গুলো যাদের বলেছিলেন তাদের আমি আরো আগেও কয়েকবার বলেছি, কিন্তু তারা তা শুনবেনা। মানবেনা। কারণ তাদের আগে পিছে হাদিসের দেয়াল দেয়া আছে ,না তারা সামনে যেতে পারে না তারা পিছে। ইমাম মোয়াত্তা মালেক থেকে শুরু করে সকল হাদিসবিদ দের হাদিস সংগ্রহ এবং বাস্তবতা নিয়ে ওনাদেরকে আমি আরো আগেই বলেছিলাম, সেসব তারা শুনেনি। এখনো তারা কোরানের আয়াতের ভুল ব্যাখ্যা করে। ঐযে নবী যা দিয়েছেন তা গ্রহণ করো এই আয়াত বুকে নিয়ে পড়ে আছে তারা। ওটা যে বিনা যু্দ্ধে পাওয়া বনি কাইনুকার সম্পদ বন্টন নিয়ে সাহাবিদের অসন্তোষের জবাবে আল্লাহ বলছে সেটা তারা জানেনা।

আরেকটা মজার ব্যপার কি জানেন, বেশিরভাগ হুজুর মাওলানারা কিন্তু এসব জানেন, ওদের কিন্তু ধর্মীয় ভালো জ্ঞান আছে। কিন্তু এসব বললে তো ওদের ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাবে । হাদিস না থাকলে মাদ্রাসা থাকবেনা, মাদ্রাসা নাই মানে ব্যবসা নাই। রসায়ন ভাই আপনি অবশ্যই জানেন মাদ্রাসায় কামিল পাশ সনদ আসে শুধু মাত্র ৬ হাদিসের উপর। চিন্তা করেন যেই গ্রন্থ্যের কোন অস্তিত্ত নেই ইসলাম ধর্মে সেই বিষয় নিয়ে পাশ করে হাজার হাজার মানুষ বের হচ্ছে। কোরান রয়ে গেলো তাদের আড়ালে।

আরেকটা মজার ব্যপার শুনেন রসায়ন ভাই, কোরানে আল্লাহ আলেম দের খুব বেশি সন্মান দেখিয়েছেন, আলেম মানে জ্ঞানি মানুষ, বিভিন্ন বিষয়ের উপর জ্ঞান । আল্লাহ বলছেন তুমি যেই বিষয় জানোনা সেই বিষয়ের উপর জ্ঞান আছে এমন মানুষের কাছে যাও। সেটা যে কোনো বিষয় হতে পারে, যেমন ধরুন তুমি মহাবিশ্ব নিয়ে জানতে চাও তো নাসা থেকে জানো, এখানে ধর্মীয় পন্ডিতের কাজ নেই যদি সে না জানে। তুমি গাজা খেতে চাও গাজা বিষয়ে যার জ্ঞান আছে মানে গাজার আলেমের কাছে যাও। কোরান শরীফ পড়ে তারা আলেম শব্দ এত বেশি পেয়েছে যে মনে মনে একটা ফন্দি আটলো । তারা মাদ্রাসার একটা ক্লাসের নাম দিলো আলেম, যেটা এইছএসসি সম মানের। আর এই ক্লাশ পাস দিয়ে তারা পান্জাবির কলার ঝাকিয়ে বলে আমি হলাম আলেম আমার কথাই আল্লাহ কোরাণে বলছে। একটা মানুষ কতটা নির্লজ্জ হলে এই দুই ক্লাশ পড়ে নিজেকে আলেম বলে সমাজে প্রতিষ্ঠা করতে চায়। এসবেই বুঝা যায় তাদের উদ্দ্যেশ্য কি ধর্ম নিয়ে।

সে যাই হোক আমি আর ওসব মানুষের কথার জবাব দেইনা, কারণ আমি জানি এরা কোনদিন এসব মাথায় নিবেনা বা ওদের এমন মেধাও নেই আল্লাহর কোরাআন কে বোঝার। বরং এখান থেকে ওখান থেকে কিছু আয়াত নিয়ে এসে আপনার মুখে ছুড়ে মেরে বলবে এই নে আয়াত খা। আমি এমন সেনসিটিভ বিষয় নিয়ে তাদের সাথেই কথা বলতে পছন্দ করি যারা জানতে যায় বুঝতে চায় তাদের।

আপনার ঐ পোষ্ট পড়ে আমার মনে হয়েছে আপনি সরল সোজা পথেই আছেন।

শুভ কামনা

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৩৯

রসায়ন বলেছেন: ধন্যবাদ আপনার অভিজ্ঞতা শেয়ারের জন্য। সামনে আরো লিখবো, কলম চলবে...কীবোর্ড চলবে!

৯| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:৪৬

ধুলো মেঘ বলেছেন: আমার কথা একদম সিম্পল। কোন হাদীস যদি কোরআনের সাথে কন্ট্রাডিক্টরি হয়, তবে তা সনদের দিক থেকে যতই শক্তিশালী হোক না কেন - আমার কাছে তা বাতিল।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪০

রসায়ন বলেছেন: যৌক্তিক কথাটা বলেছেন। সত্য মিথ্যার মানদন্ড কোন ইমাম স্কলারের অনুমোদন নয়, সত্য মিথ্যার মানদন্ডের নাম কুরআন।

১০| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৩

নতুন বলেছেন: ইমাম বোখারী কত সালে জন্ম গ্রহন করেছেন, তিনি রাসুল সা: এর কতবছর পরে হাদিস সংগ্রহ শুরু করেছেন???

এই জিনিস গুলি চিন্তা করলেই বোঝা যায় এই সংকলন কতটা সহি হতে পারে।

ধর্মের ব্যবহার জন্যই এইসব জিনিস নিয়ে মানুষ চর্চা করে আবার ক্যাচাল ও করে।

ধর্মের ইতিহাস দেখেন বোঝা যায় রাজনিতিকরা ধর্ম ব্যবহৃার করেছে মানুষকে নিয়ন্ত্রনের জন্য। এখনো এটা মানুষ নিয়ন্ত্রনের বেশ বড় একটা হাতিয়ার।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪০

রসায়ন বলেছেন: একদম ঠিক ধরেছে। আমার মনেই হয় না মানুষ এসব সম্পর্কে আদৌ কিছু জানে!

১১| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ১:২৭

রাজীব নুর বলেছেন: এক হুজুর আমাকে বলেছেন, হাদীস থেকে দূরে থাকো। কোরআন আকড়ে ধরো।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪১

রসায়ন বলেছেন: এমন হুজুর বিরল! অবাক হলাম।

১২| ২০ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২২

ভুয়া মফিজ বলেছেন: মোটা দাগে আপনার পোষ্টের সাথে সহমত।

হাদিস নিয়ে অনেক কন্ট্রোভার্সি আছে। আমি হাদিস অবশ্যই মানি, তবে সেটা যদি আমার জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি আর কোরআন শরীফের সাথে সাংঘর্ষিক না হয়। সেই হাদিস যেই সংগ্রহ করুন না কেন। ''জ্ঞান-বিবেক-বুদ্ধি'' নিয়ে আবার কনফিউজড হয়েন না যেন!! এটা বুঝে-শুনেই লিখেছি। ব্যাখ্যা করতে গেলে অনেক কিছু বলতে হবে। তাছাড়া এসব নিয়ে ব্লগে অতীতে বহু আলোচনা করেছি। এখন আপাততঃ অতোটা বিস্তারিত আলোচনার সময় নাই।

আপনার প্রতিটা পয়েন্টের অন্ততঃ একটা করেও যদি উদাহরন দিতেন, তাহলে পোষ্টের গ্রহনযোগ্যতা আরো বাড়তো। যেমন, ইমাম বুখারীর সমসাময়িক ও উনার ছাত্র ইমাম মুসলিম যিনি সুন্নিদের দ্বিতীয় বিখ্যাত সহিহ হাদিসের গ্রন্থ মুসলিম শরীফের প্রণেতা উনাদের দুইজনের হাদিস সংগ্রহেও অনেক বৈপরীত্য বিদ্যমান। এখানে এইধরনের হাদিসের সম্পূর্ণ বর্ণনা নাম্বারসহ দিলে ভালো হতো।

আমার কোরান-হাদিস বিষয়ক পড়াশোনা বেশ দূর্বল। ইচ্ছা আছে, সময়-সুযোগ মতো বিস্তারিত জানার। আপনার পোষ্টে চিন্তার খোরাক আছে। এমন পোষ্টের জন্য ধন্যবাদ।

০১ লা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১১:৪২

রসায়ন বলেছেন: যেমন বিদায় হজ্জের ভাষণের বর্ণনা, এটা মুসলিম শরীফে আছে কিন্তু বুখারীতে নাই!

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.