![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সফল অভিভাবক ও সন্তানের সুখী জীবন
মোঃ খুরশীদ আলম
মানুষের সকল কর্মকাণ্ডের মূলে একটা উদ্দেশ্যে কাজ করে। সেটা হলো- সুখী হওয়া। সুখ নামের কাঙ্খিত বস্তুটি পাওয়ার জন্য মানুষ কত কিই না করে। অথচ সিংহভাগ মানুষের জীবনে সে অধরাই থেকে যায়।
মানুষ পরিবার গঠন করে। সুখী হওয়ার জন্য কাজ করে, আয় করে ও খরচ করে। সংসারি জীবনে একজন অভিভাবক খরচ করে তার আয় অনুপাতে। খরচের মাত্রা তার আয়ের সীমাতিক্রম করা চলে না। খরচের ক্ষেত্রে আবেগকে প্রশয় দিয়ে বিবেকের কাছে হেয় হওয়া চলে না। সংসার যুদ্ধের এই মহাপবিত্র ময়দানে সচেতন অভিভাবকের কৌশলী আচরণ ও বুদ্ধিদিপ্ত সিদ্ধান্তই তার পরবর্তী প্রজন্মের সুখের আশ্রয় তৈরী করে। যে অভিভাবক সৎ, বিনয়ী, ধৈয্যশীল, কৌশলী ও মিষ্টভাষী, একই সাথে পরিবারের অন্যান্যদের মতামতের প্রতি সমানভাবে শ্রদ্ধাশীল তিনি একজন আদর্শ অভিভাবক। তিনি একজন আদর্শ পিতা, আদর্শ প্রেমময় স্বামী, সুযোগ্য সন্তান। তিনিই সংসার যুদ্ধক্ষেত্রের বিজয়ী সিপাহসালার।
এই সিপাহসালারের কাছে সবার প্রত্যাশা ও আকাঙ্খা অফুরান। কারো কাছে তার চাওয়ার নাই। কেননা তিনি জানেন, যুদ্ধের এই ময়দানে শক্তি নয়, ছবর আর হাসি দিয়েই নিজেকে সুখী রাখতে হয়। সুখের মন্ত্র তার অজানা নয়। তিনি জানেন –
“ কায্যক্ষেত্র ঐ প্রশস্ত পড়িয়া
সমরঙ্গণ সংসার এই
যাও বীর বেশে কর গিয়া রণ
যে জিনিবে সুখ, লভিবে সেই।
পরের কারণে স্বার্থ দিয়া বলি
এজীবন প্রাণ সকলই দাও
পরের কারণে মরেণেও সুখ
আপনার কথা ভুলিয়া যাও। “
তিনি সুখী হন অন্যের হাসিতে, অন্যের খুশীতে, অন্যের প্রাপ্তিতে। তিনি নিজের জীবনের সকল সুখ-আহ্লাদ বিলিন করেছেন বলেই তিনি সুখী, সুখী মানুষ। এই সুখ স্পষ্ট করা যায় না, হৃদয়ে অনুভব করা যায়। এই মানুষটিই সকলের কাম্য বিভিন্ন অবয়বে। তাকেই একজন নারী চায় সংসারী ও পূর্ণ ভালবাসার পথিকৃত হিসাবে, পিতা মাতা চায় বৃদ্ধ বয়সের শেষ আশ্রয়স্থল ও ছায়াদানকারী বৃক্ষ ও মায়া-মমতার প্রতীক হিসাবে।
কিন্তু এর ব্যতিক্রমও আছে। সঠিক সিদ্ধান্ত যেমন একজন অভিভাবকের জীবনে সেরা প্রাপ্তি তেমনি ছোট খাট ভুল ত্রটির কারণে সফলতা মুখ থুবড়ে পড়তে পারে, জীবন হতে পারে নরকসম। সন্তানদের অবাধ মেলামেশা, অযাচিত খরচ, অতিরিক্ত ব্যয় ইত্যাদি পরিণত বয়সে সন্তানের জীবনে নেতীবাচক ফলাফল বয়ে আনতে পারে। নষ্ট করতে পারে একজন সফল অভিভাবকের সারাজীবনের অর্জন। অভিভাবকের সংসার জীবনে সন্তানরা যেমনটি অনুশীলন প্রত্যক্ষ করে পরবর্তীতে নিজেদের জীবনেও তার প্রতিফলন ঘটানোর আশংকা থাকে। নিজেদের সাংসারিক জীবনে আকাঙ্খা ও প্রাপ্তির সমন্বয় না হলে বৈবাহিক জীবনে সংসার ভাঙ্গাসহ অনাকাঙ্খিত নানান নেতীবাচক পতিক্রিয়ার সৃষ্টি হতে পারে, এবং হয়ও।
সফল অভিভাবক তার সন্তানকে শিক্ষা দেন কিভাবে পরিবর্তিত পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নিতে হয়। সন্তান চাওয়া মাত্র তার সকল চাহিদা পূরণ করে দেন না। তিনি গরিমসি করেন কখনো কখনো, সন্তানের ‰ah© বৃদ্ধির জন্য। তিনি ধর্মীয় অনুশীলনে কড়া নজরদারি অব্যাহত রাখেন, সন্তানকে কোমলে কঠোরে বড় করতে থাকেন। তিনি কখনো অন্যের সফলতাকে নিজের সন্তানের জন্য দৃষ্টান্তের বাধ্যবাধকতা সৃষ্টি করেন না। বরং ধীরে ধীরে তার মানসিকতাকে ইতিবাচক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ সফলতার দিকে নিয়ে যান। তার ট্রেনিংয়েই বড় হয় একটি পরিবারের স্বপ্ন, তার ট্রেনিংয়েই দৃষ্টান্ত হয় পৃথিবীব্যাপি আলোর বিচ্যুরনকারী নক্ষত্রের।
পরম করুণাময় সকল অভিভাবকদের রুহানী প্রশান্তি দান করুন। আমিন।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৫
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সচেতনতা আরো বৃদ্ধি করা দরকার। বিশেষত বাবাদের পক্ষ থেকে।
অনেক সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
২| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটা লেখা। অনেক ভাল লেগেছে পড়ে। শুভেচ্ছা রইলো।
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৬
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রশংসার জন্য ধন্যবাদ। অনেক সুন্দর আপনিও , ভাল থাকবেন।
৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১১:৩৩
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: শুরু তো হবে অভিভাবককে দেখে...
২৬ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:২৭
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অনেক সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। অভিভাবক হিসাবে আমি পুরোটাই ব্যর্থ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৮
রাজীব নুর বলেছেন: এযুগের অভিভাবকেরা অনেক সচেতন। বিশেষ করে তাদের সন্তানের ব্যাপারে। একজন মা নিজে তার সন্তানকে স্কুলে দিয়ে আসেন। নিয়ে আসেন।