নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

কথায় কথায় শাস্তির বিধান করা যোগ্যতার পরিচায়ক নয় : চাই রাগ ও ক্রোধ সংবরণ ।

২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৩

কথায় কথায় শাস্তির বিধান করা যোগ্যতার পরিচায়ক নয়
চাই রাগ ও ক্রোধ সংবরণ ।


ক্ষমা মহত্বের লক্ষণ এবং বোধকরি ক্ষমা করে যে মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যায় তা খোদার দুনিয়ায় আর কোন বস্তুতে পাওয়া যায় না। ক্ষমা ব্যক্তি চরিত্রের মহান গুণ। এর দ্বারা চরিত্র বিকশিত হয়, মানবিকতার পথ উন্মুক্ত হয়, মনুষত্ববোধ জাগ্রত হয় সর্বোপরি শৃঙ্খলাবদ্ধ সমাজ বিনির্মান ও শান্তি শৃঙ্খলার পথ উন্মুক্ত হয়।

ভুল করা মানুষের জীবনের অতি স্বাভাবিক একটি পক্রিয়া। কথায় বলে “ যে বেশি কাজ করে তার দ্বারা বেশি ভুল হয়।” স্বাধীনতার মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান তার কোন এক ভাষণে এই মন্তব্য করেছিলেন। তাই কথায় কথায় চোখ রাঙ্গান, ধমক দেয়া, হৈ হুল্লোড় করা আমাদের অনেকের বদঅভ্যাস হলেও এটি সর্বদাই অনাকাঙ্খিত ও পরিত্যাজ্য। স্নেহ, মায়া-মমতা ও আদর দিয়ে অধিনস্তদের নিকট হতে কিছু আদায় করার যে কৌশল তা সবসময়ই প্রশংসার দাবি কুড়িয়েছে।

রাগ, হিংসার মতো আচরণ প্রকাশ পায় গোস্বা হতে। এটি আত্নার এক ভয়নক ও ঘুমন্ত ব্যাধি। কখন সে জাগ্রহ হয় তা কারো জ্ঞাত থাকার কথা নয়। এর শুরু মুখের ভাষা হতে আর শেষ হয় ধ্বংসের মধ্য দিয়ে। এটি শারীরিক, মানসিক ও আর্থিক সমস্যার কারণ। একটুখানি আগুন যেমন গোটা পৃথিবীটাকে জ্বালিয়ে ভস্ম করে দিতে পারে তেমনি রাগ বা গোস্বার লেসমাত্র অন্তরে উন্থাপিত হলে তা গোটা জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জনকেও ধুলিসাৎ করে দিতে পারে।



( ছবি - ইন্টারনেট হতে)

পক্ষান্তরে রাগ, গোস্বা সংবরণকারীর জন্য রয়েছে মহান আল্লাহপাক রাব্বুল আলামিনের পক্ষ হতে সুসংবাদ। একটা হাদিসে আছে, আপনি যদি কারো দোষ গোপন করেন তাহলে কেয়ামতের দিন মহান আল্লাহ আপনার দোষ গোপন করবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম বলেন, “ যে ব্যক্তি তার গোস্বাকে প্রয়োগ করার মতো ক্ষমতা থাকা সত্বেও (আল্লাহর সন্তষ্টি লাভের খেয়ালে) তা সংবরণ করে ও দমন করে, এর বিনিময়ে আল্লাহপাক তার অন্তরকে আমান ও ঈমান দ্বারা তথা ঈমানের জ্যোতি ও প্রশান্তির দ্বারা পরিপূর্ণ করে দেন। ”

সংসারে শান্তি, কর্মস্থলে সুন্দর পরিবেশ , সর্বস্তরে স্থিতিশীল ও গ্রহণযোগ্য অবস্থান তৈরীতে রাগ বা ক্রোধ সংবরণ একান্ত কর্তব্য। কেননা অন্যের দোষ ধরিয়ে দিয়ে তার শাস্তির বিধান করা সবসময় কল্যানকর হয় না। পরিবেশ পরিস্থিতি অনেক সময় বৈরীও হয়ে যেতে পারে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১০:৪৫

হাবিব বলেছেন: পড়লাম.......
অনেক ভালো লিখেছেন। ভালো লাগলো।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পড়েছেন জেনে আমারও সিমাহীন ভাল লাগছে। মন্তব্যে প্রীত হলাম আর ধন্যবাদটাও জানালাম।

২| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ১১:১৪

আব্দুল্লাহ্ আল মামুন বলেছেন: ঠিক বলেছেন। রাগ কমিয়ে নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। সে যেই হোক। সাধারণ জনতা আর ক্ষমতাবান শাসক

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সবাইকে সর্বক্ষেত্রে এর অনুশীলনই কাম্য। মন্তব্যে প্রীত হলাম আর ধন্যবাদটাও জানালাম।

৩| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৮ রাত ৮:৪১

রাজীব নুর বলেছেন: ভালো লিখেছেন।

২৯ শে অক্টোবর, ২০১৮ সকাল ৯:১৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাল লাগল আপনাকে, সুস্থ্য আছেন আশা করি। দোয়া করবেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.