নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিভ্রান্তির নিরসন : কোরবানির টাকা কুরবানি না দিয়ে দান করা যাবে কি না ?

৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ৯:৪৯

বিভ্রান্তির নিরসন : কোরবানির টাকা কুরবানি না দিয়ে দান করা যাবে কি না ?

দেশে ফেতনা ফাসাদের অভাব নাই। একটা ফেতনা ঘুচায় তো আর একটা নতুন ফেতনা (বিশৃঙ্খলা) তৈরি হয়। নিত্য নতুন ফেতনার বিভ্রান্তিতে সহজ-সরল মানুষের ঈমান নিয়ে বেঁচে থাকা দায় হয়ে পড়েছে। এমতাবস্থায়, বিশুদ্ধ জীবনাচারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে ইলমে দ্বীন শিক্ষার কোন বিকল্প নাই-অন্তত যারা সুস্থ মানবিক জীবনবোধ প্রত্যাশা করেন তাদের জন্য।

পৃথিবী ব্যাপি কভিড-19 বা করোনা ভাইরাস নামক মহামারিতে বিপর্যস্ত সর্বস্তরের মানুষ। মানব সৃষ্টির ইতিহাসে এমন পরিস্থিতির শিকার কোন মানুষ না হয়েছে, না কোন অন্তর এমন ভয়াবহতার কথা চিন্তা করেছে। এই রূপ পরিস্থিতিতে অসহায় দরিদ্র মানুষের অসহায়তা গুছাতে আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে দানশীল কতিপয় মানুষের মনে প্রশ্ন উদয় হয়েছে যে, কুরবানির টাকা দান করা যাবে কি না? উদ্ভুত প্রশ্নকে সম্মুখে রেখেই আলোচনার অবতারনা। আশা করি ভ্রান্তি ও ত্রুটি নিরাময়ে এই আলোচনা সহায়ক হবে, ইনশাআল্লাহ।

প্রশ্নটির ভাববোধ 02 রকমের হতে পারে।
1) নিজের জন্য নির্ধারিত কোন সুবিধা নিজে গ্রহণ না করে তার অর্থ অভাবগ্রস্থকে দান করা যাবে কি না? (নিজে সুবিধা না নিয়ে তা অন্যকে দান করাও এক অর্থে কুরবানি)
2) কুরবানির পশুর দাম (পশু জবাই অর্থে কুরবানি) অভাবগ্রস্থকে দান করা যাবে কি না?

প্রথমোক্ত ধারণাটি অত্যন্ত সাদামাটা এবং এর উত্তরও সহজেই বোধগম্য। কেউ যদি তার মালিকানায় থাকা কোন পরিমাণের অর্থ বা কোন বস্তু হতে সুবিধা গ্রহণ না করে তা এমন কাউকে দান করেন যার দরকার, তাহলে সেটি অবশ্যই প্রশংসনীয়। দান-খয়রাত ও পশু কুরবানি দুটি সতন্ত্র বিষয়। দান করার বিষয়ে হাদীসে তাগিদ এসেছে এবং এর বরকতও প্রকাশিত বেসুমার। রাসুল (স) বলেন- “তোমরা খোরমার একটি টুকরা দান করিয়া হইলেও তাদ্দারা দোযখের আগুন হইতে রক্ষা পাইবার চেষ্টা কর।” অপর হাদীসে বলেন, “তোমরা ছদকা খয়রাত দ্বারা আল্লাহর নিকট রুযির বরকত তালাশ কর।” অপর হাদীসে বলেন, “ নিশ্চয়ই দান খয়রাত কবরের আযাব হইতে রক্ষা করিবে। নিশ্চয় হাশরের ময়দানে দানশীল মুসলমান দান খয়রাতের ছায়ায় আশ্রয় গ্রহণ করিবেন।”


[দান করা যায় প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে, সবাই আল্লাহ জানেন ও দেখেন]
যার অর্থ-সামর্থ্য আছে তিনি দান করবেন, দান যে কোন সময় যে কোন পরিস্থিতিতে করা যায়। এর জন্য কোন দিন-ক্ষণ-মৌসুম লাগে না। যা লাগে তা হলো দান করার মানসিকতা। পক্ষান্তরে কুরবানি (পশু কুরবানি) করা হয় আরবী জিলহজ্জ মাসের 10 তারিখ হতে 12 তারিখের সন্ধ্যার মধ্যে।

কে কুরবানি করবে?

যার উপর ছদকা ফেতর ওয়াজিব তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব।
কে দান করবে ? দান ছদকা যে কোন বয়সের যে কোন ব্যাক্তি যে কোন সময়ে যে কোন পরিমাণে করতে পারবেন।

কে কুরবানি করবে না ?


যে ব্যক্তি মালদার নয় অর্থাৎ নেছাব পরিমাণ মালের মালিক নন তার উপর কোরবানী করা ওয়াজিব নয়। আর্থিক সঙ্গতিহীন ব্যক্তি জিলহজ্জ মাসের নির্দিষ্টি দিনগুলোতে শরীরের নক ইত্যদি অংশ না কেটে বরং তা ঈদুল আযহার সালাতের পরে কাটলে কুরবানির সওয়াব হাসিল করার কথা কিতাবে উল্লেখ আছে।
মহান আল্লাহ পাক অসামর্থবানকে কুরবানির হুকুম চাপিয়ে দেননি। কিন্তু কুরবানি দিতে অসামর্থবান মানুষও দান করতে পারে। কিছুদিন আগে ঢাকায় একজন ভিক্ষুককে দেখা গেছে করোনায় গরীবদেরকে ত্রান সাহায্য দিতে। এমনি ভাবে একজন গরীব-দুখি-মিসকিন যিনি দিনে এনে দিনে খান তিনিও দান করতে পারেন তার সামর্থ্য অনুযায়ী কিন্তু তিনি কুরবানি দিতে পারেন না। অর্থ-কড়ি দান করা আর পশু কুরবানি করা (পশু কুরবানির গোশতের একটা অংশও দান করা হয়- উৎসাহীরা চাইলে পূর্ণ অংশ দান করে দিতে পারেন) র তাৎপর্য ও পার্থক্য জ্ঞান না বুঝলে সিদ্ধান্তহীনতার গোলক ধাঁধায় ঘুরপাক খেতে পারেন-সন্দেহ নেই। মন দিয়ে একটু ভাবলেই বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায়।


[কুরবানির পশু যতদূর সম্ভব মোটা তাজা ও সুস্থ সবল হওয়া চাই]
যারা চাচ্ছেন এমনটি তাদের জন্য পরামর্শ :

যাদের মননে কুরবানি না করে কুরবানির টাকা দান করার চিন্তা এসেছে তাদের জন্য পরামর্শ এই- যে অর্থ কুরবানির জন্য বাজেট করবেন তা দিয়ে কুরবানি দিন এবং কুরবানির গোশত পুরোটাই গরীবদেরকে দিয়ে দিন। এতে করে আপনার কুরবানির হুকুমও আদায় হবে আর পালন করা হবে একই সাথে দানও করা হবে। এখন আবার প্রশ্ন করবেন না- তাহলেতো গরীবদেরকে টাকা দান করা হলো না। টাকাই দান করতে হবে এমন কোন নির্দিষ্টতা শরিয়তে নাই। টাকা, খেজুর, ব্যবহারর্য জিনিসপত্র যেকোন কিছুই মুক্ত হস্তে দিলে তা দান বলেই গণ্য হবে।

কুরবানিতে রয়েছে মুসলমানের জন্য শিক্ষনীয় ছবক :


সালাত, সাওম, হজ্জ, যাকাতের মতো কুরবানিও একটি নির্ধারিত সময়ের নির্ধারিত এবাদত। সালাতের পরিবর্তে যেমন রোযা রাখলে হয়না, রোযার পরিবর্তে যেমন হজ্জ করলে হয়না, যাকাতের পরিবর্তে যেমন হজ্জ বা সাওম আদায় করলে হয় না তেমনি কুরবানির টাকা দিয়ে কুরবানি না দিয়ে তা দান করলে কুরবানি আদায় হবে না। পক্ষান্তরে জিলহজ্জ মাসের কুরবানিতে রয়েছে মানবজাতির জন্য শিক্ষনীয় ছবক। ইব্রাহিম (আ) মহান আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইলকে জবাহ করার যে তৎপরতা তাতে শিক্ষনীয় এই যে, মহান আল্লাহর হুকুম হলে স্বীয় জান-মাল-প্রিয় বস্তু এমনকি সন্তানকেও কুরবানি দিতে হবে। এতে কোন দ্বিধা করা যাবে না। এই ধরণের কর্মতৎপরতা শুধুমাত্র ঈমানওয়ালা আল্লাহ প্রেমিকের মাধ্যমেই প্রকাশ পায়। সুতরাং কুরবানির যে শিক্ষা ও ফজিলত তা কুরবানির পরিবর্তে দান করাতে নয় বরং কুরবানিতেই পাওয়া সম্ভব। অপরদিকে দুনীয়ার মোহে পড়ে আমরা ইসলামের মহান শিক্ষা ভুলে যেন না যাই সেই গুরত্ব থেকেই প্রতি বছর কুরবানির নির্দিষ্ট ক্ষণ উপস্থিত হয় এবং জরুরী আমলের অনুশীলনে উৎসাহ যোগায়।

পুনশ্চ : কুরবানির অর্থ দিয়ে কুরবানির পরিবর্তে দান করলে দানের সাওয়াব পাওয়া যাবে কিন্তু কুরবানি না করায় কুরবানির ওয়াজিব আদায় হবে না, গুণাহগার হবে।

আল্লাহ সবাইকে সহিহ বুঝ দান করুন।


মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:১২

নীল আকাশ বলেছেন: খুব সুন্দর পোস্ট। লেখার বক্তব্যের সাথে আমিও আপনার সাথে একমত।
লেখাটাকে অর্থবহ করা জন্য আমি আপনাকে প্রতিটা হাদিস এবং কুরআন শরীফের আয়াতের সাথে এর যথাযথ সূত্র উল্লেখ করার জন্য অনুরোধ করছে।
সহী সূত্র ছাড়া ধর্মীয় পোস্টের কোন ভ্যালু নেই। বিশ্বাসযোগ্যতাও নেই।
লেখা এডীট করে হাদিসগুলিতে সনদ বা সূত্র লিখে দিন।
ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: দেখেন, কিছু ব্যাপার আছে অতি সহজেই বোধগম্য। আবার কিছু কাজ আছে যা ভাল বলে সবসময়ই সমাদৃত । সব ব্যাপারে তো সূত্র দেয়ার দরকার হয় না। অনেক জটিল কঠিন ব্যাপার হলে সেখানে সূত্র দেয়া ভাল । দান করলে সওয়াব হয়, দানের ফজিলত অনেক এজন্য সূত্র দিতে হবে কেন- এটা তো সবাই জানে। কুরবানি ও করোনাকে নিয়ে যে প্রশ্ন উদয় হয়েছে তার উত্তর সাধারণ বিবেক দিয়ে বিচার করলেইতো হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:২৬

রাশিয়া বলেছেন: প্রতি বছর কুরবানী এলেই এক শ্রেণীর তথাতথিত 'মানবধর্মের' অনুসারীদের অতি ক্রন্দন শুরু হয়ে যায়। তার কোরবানীর অর্থনৈতিক গুরুত্বও বুঝতে চায়না। কোরবানি কেন্দ্রিক অর্থনীতির মূল সুবিধাভোগী যে দেশের প্রান্তিক কৃষক, পশুপালক ও আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত তরুণ সম্প্রদায় - সেকথাও তারা মানতে চায়না। যেহেতু এটা একটা ধর্মীয় বিধি বিধান, তাই কোন বছর বন্যা, কোন বছর ঘূর্ণিঝড়, কোন বছর মংগা দেখিয়ে করবানীকে নিরুৎসাহিত করার প্রচেষ্টা এই গোত্র করে থাকে। এই বছর তো মাশাল্লাহ তাদের ঈদ উৎসব - করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কোন কোন বেকুবের বাচ্চা দাবি করেছে - এবছর কোরবানি নিষিদ্ধ করা হোক। মানুষরূপী ইবলিস মনে হয় একেই বলে থাকে।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ। এই সমস্যাগুলো আজকের নয়-বহু আগের। শুধু কুরবানি নিয়ে নয় ধর্মীয় সকল আচরণের প্রতি এদের গাত্রদাহ। শেষের দু’একটা কথা অন্যরকম লেগেছে। কতো ধরণের লোক থাকবে সমাজে- রিএক্ট সবসময় না করাই ভাল।

৩| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৩১

জাহিদ হাসান বলেছেন: কোরবানী করে সব মাংস গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দিন। তাহলে বেশি ভাল হয়।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এতো কোরবানি দেয়ার হুকুমও আদায় হবে আর দান করার ইচ্ছাও বাস্তবায়িত হবে। ধন্যবাদ পরামর্শের জন্য।

৪| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১০:৪১

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: সুন্দর পোস্ট
একমত

নীল আকাশ ভাইয়ার মন্তব্যের বিষয়েও একমত

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: দেখেন, কিছু ব্যাপার আছে অতি সহজেই বোধগম্য। আবার কিছু কাজ আছে যা ভাল বলে সবসময়ই সমাদৃত । সব ব্যাপারে তো সূত্র দেয়ার দরকার হয় না। অনেক জটিল কঠিন ব্যাপার হলে সেখানে সূত্র দেয়া ভাল । দান করলে সওয়াব হয়, দানের ফজিলত অনেক এজন্য সূত্র দিতে হবে কেন- এটা তো সবাই জানে। কুরবানি ও করোনাকে নিয়ে যে প্রশ্ন উদয় হয়েছে তার উত্তর সাধারণ বিবেক দিয়ে বিচার করলেইতো হয়। সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

৫| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।
তাহলে কোরবানী দিব ইনশাল্লাহ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাই আপনি একজন মুফতি সাহেবের সাথে পরামর্শ করুন যেহেুতু আপনার ভাবনায় এসেছে যে, কুরবানির পুরো টাকা হতে ‍কিছু টাকা বাঁচিয়ে অন্তত করোনা আক্রান্তদের দেয়া যায় কিনা।
আপনার ভাবনাটা ভাল তবে শরিয়তের বিধান কি সেটাও জানা জরুরী।

৬| ৩০ শে জুন, ২০২০ সকাল ১১:৪৮

পদ্মপুকুর বলেছেন: কুরবানীর পরিবর্তে কুরবানীর টাকা দান করলে দানের সওয়াব পাওয়া যাবে, কিন্তু কুরবানীর ওয়াজিব আদায় হবে না, গুনাহগার হবে।

একদম সত্য কথা কিন্তু আমার যদ্দুর মনে পড়ছে, রাজীব নুর বলেছেন- 'যে আগে ১০ লক্ষ টাকায় গরু কিনতো, সে এবার ১০ হাজার টাকায় ছাগল কিনে বাকি টাকাটা দান করতে পারে' এরকম। সেক্ষেত্রে সেটা খারাপ কিছু নয় বলেই আমার ব্যক্তিগতভাবে মনে হয়।

সময়পযোগী পোস্টে ধন্যবাদ।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: রাজীব ভাইকে বলেছি একজন মুফতি সাহেবের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ।

৭| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:০৯

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সবার আগে স্মরণ রাখতে হবে কোরবানী ওয়াজিব নয়।
তবে আলেমদের মধ্যে মতবিরোধ হয়েছে কোরবানি কি সুন্নাহ নাকি ওয়াজিব, এ নিয়ে।
স্বল্প সংখ্যক ওলামায়ে কেরাম ছাড়া আর কেউ কোরবানিকে ওয়াজিব বলেননি।
পবিত্র জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যে ব্যক্তি কোরবানির পশু
জবাই করার সামর্থ্য রাখে, সেই ব্যক্তির ওপর কোরবানি আদায় করা সুন্নতে মুয়াক্কাদা
এটি বলেছেন অধিকাংশ ওলামায়ে কেরাম। মহান আল্লাহ তায়ালা সুরা হজ্জে ইরশাদ করেনঃ
‘আমি প্রত্যেক উম্মাতের জন্য কুরবানির বিধান রেখেছি।’ (সুরা হজ্জ : আয়াত ৩৪) অন্যদিকে
সূরা কাউছারে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশে সালাত
আদায় করো এবং কোরবানি করো।’
(সূরা কাওসার, আয়াত-২)

তাই কোরবানি মুসলিম উম্মাহর একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। রাসুলুল্লাহ (সা.) প্রতিবছর কোরবানি করতেন।

০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সামর্থবানের উপর কুরবানি করা ওয়াজিব- এটা মশহুর মাসয়ালা। এতো কারো দ্বিধা নেই। ভাল থাকবেন, ধন্যবাদ।

৮| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:২৪

আহলান বলেছেন: বেশ ভালো বলেছেন। সামর্থবানদের উপর কোরবানী আদায় করা ওয়াজিব। সুতরাং এই টাকা দান করে দিয়ে মহান দাতা হওয়ার সুযোগ নাই।

৯| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১২:৫৯

সুপারডুপার বলেছেন:



আপনি পোস্টে বলেছেন, ইব্রাহিম (আ) মহান আল্লাহর নির্দেশে পুত্র ইসমাইলকে জবাহ করার যে তৎপরতা তাতে শিক্ষনীয় এই যে, মহান আল্লাহর হুকুম হলে স্বীয় জান-মাল-প্রিয় বস্তু এমনকি সন্তানকেও কুরবানি দিতে হবে। এতে কোন দ্বিধা করা যাবে না।

- আপনার উপর বিশেষ গায়েবীয় ভাবে মহান আল্লাহর হকুম আসলো যে আপনার সন্তানকে কুরবানি করার অথবা আপনি যেসব অবুঝ শিশুদের নিয়ে ব্লগ প্রোফাইল ফটো দিয়েছেন তাদের কুরবানি করার ; আপনি কি তাহলে তা বিনা দ্বিধায় করবেন?

নাকি, আপনি মনে করবেন আপনি কল্পলোকের গায়েবীয় কথা দ্বারা বিভ্রান্তির শিকার হয়েছেন?

---------------------------------------------
গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন : আপনি মন্তব্যের উত্তর না দিতে পেরে, কমেন্ট ডিলিটার হলে অথবা বিশিষ্ট ব্লকার গ্রূপের হলে আগেই জানাবেন। কারণ তাদের পোস্ট পড়া মানে অযথা সময় নষ্ট করা। যদি তাদের পোস্টে মন্তব্য করি, তাদের পোস্টে আমার মন্তব্য হয় টেস্ট মন্তব্য।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৪২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: “আপনার উপর বিশেষ গায়েবীয় ভাবে মহান আল্লাহর হকুম আসলো যে আপনার সন্তানকে কুরবানি করার অথবা আপনি যেসব অবুঝ শিশুদের নিয়ে ব্লগ প্রোফাইল ফটো দিয়েছেন তাদের কুরবানি করার ; আপনি কি তাহলে তা বিনা দ্বিধায় করবেন?-
“গায়েবি, আজগুবি, অদৃশ্য” এমন কোন শব্দের ব্যবহারবিধি আমি জানিনা। যেটা জানি সেটা হলো নবীদের জন্য ওহী নাজিল হয়, ওলীরা কাশফের মাধ্যমে জানতে পারেন। কিন্তু আমি ওনাদের কোনটাই নই। সুতরাং আমার উপর আপনার বর্ণনা মতে গায়েবিয় আদেশ হওয়ার যেহেতু কোন সুযোগ নাই সেহেতু পরবর্তী চিন্তাও মাথায় আনার ফরজিয়াত নাই। দ্বিতীয়ত, আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইব্রাহিম (আ) এর সন্তান এবং নবী মুহাম্মদের উম্মত। যেহেতু দুনীয়াতে নবী-রাসূল আগমণের সমাপ্তি হয়েছে সেহেতু আল্লাহর পক্ষ হতে এই ধরণের পুনরায় নির্দেশ হওয়ার কোন সুযোগও নাই। বরঞ্চ কেউ যদি সত্যিই এই ধরণের করতে ‍উদ্যত হয় যে নিজের সন্তানকে কুরবানি বা জবাহ করতে তবে তা হবে বর্তমানে গোমরাহী।
ইব্রাহিম (আ) কর্তৃক তার পুত্র ঈসমাইল (আ) কে জবাহ করার যে পক্রিয়া সেটা আল্লাহর পক্ষ হতে ছিল ইব্রহিমের (আ) প্রতি পরীক্ষা (আল্লাহর ইচ্ছা ছিল না যে সত্যিই ইব্রাহিম আ, তার সন্তানের গলায় ছুরি চালাক বরং আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম আ, এমনটি করতে পারেন কিনা সেটা দেখা অর্থাৎ তার মন বা তক্বওয়া পরীক্ষা করাই আল্লাহর ইচ্ছা ছিল) । যেমন পিতা তেমন পুত্র, পিতার কাছে আল্লাহর নির্দেশ জেনে পুত্র ঈসমাইল আ, কি বললেন “ আমাকে নিশ্চই আপনি ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।” এখানে সন্তানকে জবাহ করা বা কুরবানি দেয়ার যে পক্রিয়া সম্পূর্ণটিই ছিল পরীক্ষা বান্দার সর্বোচ্চ ত্যাগের। সুতরাং আপনি যেভাবে ভাবছেন সেভাবে ভাবনাটা ঠিক হচ্ছেনা, ঈমানদার হলে আপনার তওবা করা জুরুরী।

১০| ৩০ শে জুন, ২০২০ দুপুর ১:৫৫

নেওয়াজ আলি বলেছেন: কোরবানি দিতে হবে । মাংস ফ্রিজে না ভরে সাধ্যমত গরীবের মাঝে বিলিয়ে দিন। যে লোক কোরবানির টাকা বিলিয়ে দিতে বলেছেন তিনি এই করোনায় চার মাসে নিজের এলাকায় কত শত লোককে খাবার কিংবা টাকা দিয়ে সাহায্য করেছেন সেটাও জানা দরকার । কারণ মানুষ খালি বন্দুকে ফায়ার করে বেশী।

০১ লা জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: দুঃখজনক হলো তারা আপনার ঐ প্রশ্নের উত্তর দিবে না।

১১| ০১ লা জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৭

সুপারডুপার বলেছেন:



লেখক বলেছেন: “গায়েবি, আজগুবি, অদৃশ্য” এমন কোন শব্দের ব্যবহারবিধি আমি জানিনা। যেটা জানি সেটা হলো নবীদের জন্য ওহী নাজিল হয়, ওলীরা কাশফের মাধ্যমে জানতে পারেন। কিন্তু আমি ওনাদের কোনটাই নই। সুতরাং আমার উপর আপনার বর্ণনা মতে গায়েবিয় আদেশ হওয়ার যেহেতু কোন সুযোগ নাই সেহেতু পরবর্তী চিন্তাও মাথায় আনার ফরজিয়াত নাই।

- বুঝলাম যে আপনি ওলীরা কাশফের ও না, ইব্রাহিম (আ) না, কিন্তু ইব্রাহিম (আ) এর সন্তান। আর ইব্রাহিম (আ) এর সন্তানদের মধ্যে ইহুদী- নাসারারা কোরবানী উৎসব পালন করে না। আপনি আগের মন্তব্যে বলেছেন , 'মহান আল্লাহর হুকুম হলে স্বীয় জান-মাল-প্রিয় বস্তু এমনকি সন্তানকেও কুরবানি দিতে হবে। এতে কোন দ্বিধা করা যাবে না। ' সেই অনুসারে বোঝা গেল , যদি ওলীরা কাশফের অথবা নবী রসূলদের মাধ্যমে সন্তান কোরবানির নির্দেশ আসতো , তাহলে আপনি করতেন। আপনার বিবেক বুদ্ধি কী তাহলে নবী-রসূল ওলী কাশফের হাতে !

লেখক বলেছেন: দ্বিতীয়ত, আলহামদুলিল্লাহ, আমি ইব্রাহিম (আ) এর সন্তান এবং নবী মুহাম্মদের উম্মত। যেহেতু দুনীয়াতে নবী-রাসূল আগমণের সমাপ্তি হয়েছে সেহেতু আল্লাহর পক্ষ হতে এই ধরণের পুনরায় নির্দেশ হওয়ার কোন সুযোগও নাই। বরঞ্চ কেউ যদি সত্যিই এই ধরণের করতে ‍উদ্যত হয় যে নিজের সন্তানকে কুরবানি বা জবাহ করতে তবে তা হবে বর্তমানে গোমরাহী।

- শুকরিয়া মানবজাতি বেঁচে গেল।

লেখক বলেছেন:ইব্রাহিম (আ) কর্তৃক তার পুত্র ঈসমাইল (আ) কে জবাহ করার যে পক্রিয়া সেটা আল্লাহর পক্ষ হতে ছিল ইব্রহিমের (আ) প্রতি পরীক্ষা (আল্লাহর ইচ্ছা ছিল না যে সত্যিই ইব্রাহিম আ, তার সন্তানের গলায় ছুরি চালাক বরং আল্লাহর নির্দেশে ইব্রাহিম আ, এমনটি করতে পারেন কিনা সেটা দেখা অর্থাৎ তার মন বা তক্বওয়া পরীক্ষা করাই আল্লাহর ইচ্ছা ছিল) । যেমন পিতা তেমন পুত্র, পিতার কাছে আল্লাহর নির্দেশ জেনে পুত্র ঈসমাইল আ, কি বললেন “ আমাকে নিশ্চই আপনি ধৈর্যশীলদের মধ্যে পাবেন।” এখানে সন্তানকে জবাহ করা বা কুরবানি দেয়ার যে পক্রিয়া সম্পূর্ণটিই ছিল পরীক্ষা বান্দার সর্বোচ্চ ত্যাগের। সুতরাং আপনি যেভাবে ভাবছেন সেভাবে ভাবনাটা ঠিক হচ্ছেনা, ঈমানদার হলে আপনার তওবা করা জুরুরী।

- ইসলামের গল্প অনুসারে, হাবিল প্রথম আল্লাহর জন্য পশু কুুরবানী করেন এবং তা আকাশ থেকে আগুন নেমে এসে আল্লাহর পক্ষে থেকে সেই কুরবানী গ্রহণযোগ্য হয়। এর পরে আল্লাহ ইব্রাহিম (আ ) এর কাছে থেকে পশু না , স্বপ্নের মাধ্যমে উনার ছেলে ইসমাঈল (আ ) বা মানুষ কোরবানী চান। কিন্ত না শেষ খেলায় , মানুষের পরিবর্তে অলৌকিক ভাবে পশু কোরবানি হয়ে যায়। মানে আল্লাহ পাক ইব্রাহিম (আ) এর সাথে একটা গেম খেলেন। অথবা আল্লাহ মানুষের অন্তরের কথা বুঝলেও ইব্রাহিম (আ) ও ঈসমাইল (আ) এর অন্তরের কথা বুঝতে পারেন নি , তাই তিনি পরীক্ষা নিয়েছেন। বড়ই অসামঞ্জস্যতা ! আরো একটি ব্যাপার ইব্রাহিম (আ) অন্য সন্তান ইহুদি- নাসারা কোরবানী ঈদ/উৎসব পালন করে না। তাদের কাছে মত নিতে গেলে , গপ্পোতে আরো ভেজালের জন্ম নেয়

যাই হোক ভালো থাকবেন। অনেক অনেক শুভকামনা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.