নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ব্লগ ও আমরা- ব্লগ নাকি ওয়ায-নসিহতের জায়গা নয়- “একজন বিশিষ্ট ব্লগার এর বয়ান” (এক)

০৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৩

আমাদের ব্লগ ও আমরা
ব্লগ নাকি ওয়ায-নসিহতের জায়গা নয়- “একজন বিশিষ্ট ব্লগারের বয়ান” (এক)

বি.দ্র. লেখাটি বড় হওয়ায় খন্ড খন্ড করে দেয়া হল।

মানুষের পাপের কারণে দুনীয়ায় আজাব-গজব নেমে আসে- প্রচলিত এমন বিশ্বাস আমাদের সামাজে সুদীর্ঘ কালের। বলতে গেলে পৃথিবী সৃষ্টির শুরু হতেই এই বিশ্বাস প্রচলিত ও ব্যপক বিতর্কিতও বটে। এই বিতর্কের শেষ হয়তো কখনো হবে না। এই বিশ্বাসে বিশ্বাসী এবং এর বিপরীত শ্রেণীর মানুষের মধ্যেকার কাজ-কথা ও লেনদেনে বিস্তর পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। মূলত আমাদের প্রতিটি ক্রিয়াকলাপ ও তার গুরুত্ব-গভীরতা-আন্তরিকতা ইত্যাদি ফুটে ওঠে আমাদের বিশ্বাসের গভীরতা থেকেই।



পাপ-পুন্য কি : পাপের ধারণা পাওয়া যায় ধর্মীয় অভ্যাসগত কাজ হতে। যে কাজ ধর্মে নিষিদ্ধ নয় বরং অনুমোদিত, জনকল্যানকর বা হিতকর, যা সমাজে কল্যান বয়ে আনে- তা ভাল কাজ, প্রশংসনীয় কাজ। ধর্মীয় নীতি-রীতিতে এই ধরণের হিতকর কাজকে পুণ্যের কাজ বা সাওয়াবের কাজ বলেও অভিহিত করা হয় এবং প্রশংসায় পুরুস্কৃত করা হয়। যেমন- গরীবদুখীকে দান-খয়ারাত দেয়া, মানুষকে সদুপোদেশ দেয়া, অহেতুক ঝগড়া-ফাসাদে লিপ্ত না হওয়া বা এই ধরণের ক্রিয়াকলাপে কাউকে উৎসাহ না দেয়া। পক্ষান্তরে ঐ সকল কাজ হলো পাপের কাজ যা ধর্মে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যা সমাজে বিভ্রান্তি কিংবা বিশৃঙ্খার জন্য দায়ী, সমাজের মানুষের জন্য অকল্যানকর সেগুলো মন্দ কাজ। যেমন- মিথ্যা বলে মানুষের মাঝে দ্বন্দ-সংঘাত সৃষ্টি করে সমাজে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা, পরের হক নষ্ট করা, ভোগের মানসিকতায় ক্ষমতা প্রদর্শন করা। ধর্মীয় দৃষ্টিতে উক্ত কাজগুলো পাপের কাজ।


পাপের অন্য নাম অন্ধকার।

পাপ-পুন্য দেখার নয় অনুভূতির বিষয় : পাপ-পুন্য দেখার বিষয় নয় বরং অনুভূতির বিষয়। পাপ করলে গুণাহ হয় কিন্ত গুণাহ দেখা যায় না। পক্ষান্তরে পুন্যের কাজ করলে সাওয়াব হয় কিন্তু সাওয়াবও দেখা যায় না। ব্যাপারটি সম্পূর্ণই অনুভূতির বিষয়। কোন ভাল কাজ করলে ব্যক্তি হৃদয়ে এক ধরণের প্রশান্তি দেখা দেয় যা ব্যক্তিতে বিশ্বাস উৎপাদন করে যে, তিনি সাওয়াবের অধিকারী হয়েছেন। পক্ষান্তরে পাপের কাজ করলে ব্যক্তি হৃদয়ে অনুশোচনা হয়, খারাব লাগে, নিজেকে হেয় বা ছো্ট মনে হয়। ব্যক্তি হৃদয়ে অনুশোচনা-খারাব লাগা-নিজেকে হেয় বা ছোট মনে করা থেকে ব্যক্তিতে বিশ্বাস জন্মে যে, তিনি পাপের ভাগিদার হয়েছেন। ফলে হৃদয়বান ব্যক্তি যার মধ্যে পরকালের চিন্তা রয়েছে, যে ব্যক্তি পরকালে হিসাব নিকাশকে ভয় করেন তিনি পাপ কাজ হতে ফিরে আসার জন্য মনে মনে মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে অঙ্গিকারাবদ্ধ হন যে, তিনি আর উক্তরূপ পাপ কাজে অংশগ্রহণ করবেন না।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:০৩

সাইন বোর্ড বলেছেন: ওয়াজ-নসিহত বলতে উনি আসলে কি বোঝাতে চেয়েছেন, সেটা বুঝতে হবে এবং উনার বিশ্বাসটাই সবাই ধারণ করবে ও মান্য করবে কেন ? না করলে তাকে ঐসব ব্লগারদেরকে উল্টা-পাল্টা ও ন্যাক্কার জনক কথা বলার অধিকার তাকে কে দিয়েছে - সেটাও তাকে পরিষ্কার করতে হবে ।

০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:১১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ওয়াজ নসিহত বলতে উনি বুঝিয়েছেন ধর্মীয় আলোচনা। ধর্মীয় আলোচনা করা যাবে না, জেনারেল জিয়া আর বঙ্গবন্ধু কন্যার সমালোচনা করা যাবে সারাদিন।

২| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৩৮

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম নিয়ে আলোচনা করে লাভ কি?
সমাজ থেকে কি ধর্ম পেরেছে খারাপ কাজ দূর করতে? দূর্নীতি, ধর্ষন, জুলুম, খুন চলছেই। ধর্ম এবং ধর্মের ভয় মানুষের নেই।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৩৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: নিজের দোষ ঢাকতে আমরা ধর্মের দোষ খুজে বেড়াই। ধর্ম আপনি আমি পালন না করলে সমস্যা সমাধান হবে কিভাবে?

৩| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫১

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: ব্লগে সব কিছুই লেখা যাবে তবে ব্লগের শর্ত মেনে। কোনটা লেখা যাবে আর কোনটা যাবে না এটা নির্ধারণ করবে ব্লগের কর্তৃপক্ষ। উত্তেজিত হওয়ার কিছু নেই কোনও একজন ব্লগারের কথায় ভালো কাজ থেমে থাকবে না। তবে আমরা ইসলাম নিয়ে যারা লিখি তাদের লেখা যেন যুক্তিপূর্ণ ও দলিল প্রমাণ দ্বারা প্রমাণিত লেখা হয় সে ব্যাপারে আমাদের সজাগ হতে হবে। দাওয়াতের ব্যাপারে অত্যন্ত নমনীয় আচরণ করা জরুরী। জ্ঞানের মাধ্যমে মানুষকে বুঝানোর চেষ্টা করতে হবে।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

৪| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:২৪

হাবিব ইমরান বলেছেন:

আসলে ব্লগ সবার জন্যই। মত প্রকাশের স্বাধীনতা সকলের জন্য সমান। ধর্ম, বর্ণ, জাতি, দল, উপদল সকলেরই মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে।

এখন বুঝতে হবে উনি ওয়াজ-নসিহত বলতে কি বুঝিয়েছেন। এ বিষয়ে উনি ওনার মতামত দিয়েছেন এটা ওনার স্বাধীনতা। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ধর্ম একটা স্পর্শকাতর জায়গা। এ বিষয় নিয়ে যতটা কম আলোচনা করা যায় ততই ভালো। ইদানীং কিছু ধর্মীয় আলোচকরা ধর্মটাকে একটা হাস্যকর অবস্থানে নিয়ে যাওয়ায় মানুষের মাঝে ধর্ম নিয়ে একটা বিরক্তিকর অবস্থা তৈরি হয়েছে।

ধর্মীয় আলোচনা অবশ্যই করবেন। তবে আমাদের দেশে যেসব ধর্মীয় বিষয় প্রচলিত রয়েছে, এবং যা সবাই কমবেশি জানে সেসব বিষয় পোস্ট না করার অনুরোধ রইল। জানা বিষয় বারবার আলোচনা মূল্যহীন। চেষ্টা করবেন নতুন কিছু পোস্ট করতে। বাংলাদেশ বেশিরভাগ মানুষ মুসলিম হওয়াতে ইসলামের অনেক কিছুই জানে (মানে কি মানেনা সেটা নিয়ে আমাদের আলোচনা নয়), তো জানা বিষয়গুলো বারবার না দিলে ভালো হয়।

নতুন নতুন বিষয়গুলো দিবেন, অবশ্যই রেফারেন্সসহ দিবেন। রেফারেন্সের বাইরে না দিলে ভালো হয়। লজিক কম দেখাবেন। ইসলাম সরাসরি কোরআন-হাদিসে বিশ্বাসী, লজিকে না।



৫| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ২:৪১

নেওয়াজ আলি বলেছেন: এই বগ্ল কারো ব্যক্তিগত নয়। এখানে নিয়ম কানুন মেনে লিখুন । জানান এবং জানেন। কারো লেখা মন্তব্য পছন্দ না হলে এড়িয়ে চলুন। আমি ঠকবাজকে এড়িয়ে করি।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ঠকবাজদের এড়িয়ে চলার কৌশলটা শিখা দরকার। দয়া করে জানাবেন। সুস্থ থাকুন আপনি।

৬| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪০

চাঁদগাজী বলেছেন:


ব্লগে, আপনি একটি ওয়াজ-মাহফিল প্রাংগন খুলুন; ব্লগিং করার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগারেরা এসে কিছুক্ষণ ওয়াজ শুনে যাবেন।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: প্রস্তাব বিবেচনায় রাখলাম।

৭| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৪৮

হাবিব ইমরান বলেছেন:

চাঁদগাজী বলেছেন:

ব্লগে, আপনি একটি ওয়াজ-মাহফিল প্রাংগন খুলুন; ব্লগিং করার ফাঁকে ফাঁকে ব্লগারেরা এসে কিছুক্ষণ ওয়াজ শুনে যাবেন।
:D

_____ ওয়াজ- মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে ব্লগাররা আপনাকে দাবী করলে আপনি তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না কিন্তু। :D :D :D

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ওয়াজ মাহফিলে ওনাকে দাওয়াত দেয়ার সম্ভবনা খুবই কম। ব্লাগাররা বক্তা চিনেন।

৮| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:৫৬

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:

চোর কি কখনো শোনে ধর্মের কাহিনী !!!
তবে চুরি করতে যাবার আগে সৃষ্টিকর্তাকে
অসংখ্যবার ডাকে, তার সাহায্য প্রার্থনা করে।
আল্লাহ কখনো কখনো তার প্রার্থনাও কবুল করেন।
তাই তারা বুঝতে পারেনা যে এরা গুনাহের কাজ করছে।
আল্লাহই তাদের একমাত্র হেদায়েদ দানকারী।

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ভাল বলেছেন।

৯| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:১৫

চাঁদগাজী বলেছেন:


হাবিব ইমরান বলেছেন, "_____ ওয়াজ- মাহফিলের প্রধান বক্তা হিসেবে ব্লগাররা আপনাকে দাবী করলে আপনি তা প্রত্যাখ্যান করতে পারবেন না কিন্তু। "

-আমি ধর্মীয় ওয়াজ করলে,মুসলমানেরা ইহুদীদের মতো শক্তিশালী জাতিতে পারিণত হতে পারে?

০৭ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপাতত ঠান্ডা হোন। মাথায় কদুর তেল মাখেন।

১০| ০৬ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৪:৩৬

হাবিব ইমরান বলেছেন:


চাঁদগাজী বলেছেন: -আমি ধর্মীয় ওয়াজ করলে,মুসলমানেরা ইহুদীদের মতো শক্তিশালী জাতিতে পারিণত হতে পারে?

____ চেষ্টা করে দেখতে পারেন, শক্তিশালী হতেও পারে। একটা অন্ধ জাতির আলোর প্রদীপ হতে পারা চাট্টিখানি কথা না।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.