নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের ব্লগ ও আমরা - ব্লগ নাকি ওয়ায-নসিহতের জায়গা নয়- “ একজন বিশিষ্ট ব্লগার” এর বয়ান (চূড়ান্ত পর্ব)

১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৪

আমাদের ব্লগ ও আমরা
ব্লগ নাকি ওয়ায-নসিহতের জায়গা নয়- “ একজন বিশিষ্ট ব্লগার” এর বয়ান (চূড়ান্ত পর্ব)

পরকালের উপাদানসমূহ ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝে না আসা স্বাভাবিক : দেখি না, তাই বিশ্বাসও করি না। যারা বলেন তাদের নিয়ে কোন বিতর্ক নয়। আলটিমেটলি যার যার হিসাব তাকেই দিতে হবে। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে বিতর্ক এড়ানো ভাল। আসলে এরা সবই বুঝে এবং সবই দেখে। কিন্তু তা চর্ম চোখে-অন্তরের চোখে নয়। চাক্ষুষ বস্তু মগজের ক্ষুধা মেটায় কিন্তু অন্তর দিয়ে যা দেখা হয় তা পরকালের ক্ষুধা মেটায়। আখেরাতের প্রতি দৃষ্টিহীনদের বর্ণনা দিতে গিয়ে মহান আল্লাহ বলেন– “আল্লাহ তাদের অন্তর এবং কানসমূহ বন্ধ করে দিয়েছেন, আর তাদের চোখসমূহ পর্দায় ঢেকে দিয়েছেন, আর তাদের জন্য রয়েছে কঠোর শাস্তি।” (বাকারা-07)

জান্নাতের নাজ-নেয়ামত, হুর-গেলমান, বাগান ও সেগুলোর দৈর্ঘ্য-প্রস্থ, একই ফলের বিভিন্ন রকম স্বাদ হওয়ার বিষয় অনেকের কাছে গালগল্প, মুখরোচক গল্প মনে হলেও প্রকৃত পক্ষে তা নয়। এই শ্রেণীর মানুষ দুনীয়ার মোহে আকর্ষিত হয়ে জান্নাতের নেয়ামত সম্পর্কে নেতিবাচক বাক্যব্যয় করে থাকে। তারা কি দেখেনা যে, ইলিশ মাছের মাথার স্বাদ এক রকম, পিঠের স্বাদ অন্য রকম, মাছের লেজের স্বাদ এক রকম আবার মাছের পেটের ভিতরে থাকা ডিমের স্বাদ ভিন্ন রকম। তারা কি দেখেনা যে, কাঁচা ফলে এক স্বাদ, পাকলে তা অন্য রকম স্বাদ। তারা কি দেখেনা একই ঔষধ সেবনে একজন সুস্থ হয় কিন্তু অপর একজনের দেহে ঐ ঔষধ কার্যকরী হয় না। তারা কি দেখেনা একই সূর্যের আলোয় দুনীয়াবাসী আলোকিত হয়। মহান আল্রাহ যদি একই মাছের বিভিন্ন অংশে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ দিতে পারেন, একই ফলে ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ দিতে পারেন তাহলে তিনি কি জান্নাতের নায-নেয়ামতের স্বাদ ভিন্ন ভিন্ন দিতে পারবেন না।

বিদ্রুপাত্বক প্রশ্ন, উত্তর জানতে নয় বিভ্রান্তি সৃষ্টি করতে করা হয় : জান্নাতের হুর বিষয়ে লেখাকে কেন্দ্র করে কেউ একজন বলেছেন জান্নাতে তার হুর লাগবে না, বিবি-বাচ্চা আর সামু থাকলে হবে (আল্লাহ তাকে ক্ষমা করুন)। অপরজন বলেছেন জান্নাতী পুরুষগণ যদি 70 টি হুর পেয়ে থাকে তবে জান্নাতি নারীরা কয়জন পুরুষ লাভ করবেন? অপর একজন প্রশ্ন করেছেন আফ্রিকার যে নিগ্রো সবচেয়ে কালো তার বিষয়ে। অপর একজন দামি ব্লগার বলেছেন ব্লগ নাকি ওয়াজ-নছিহত করার জায়গা না (শুধু মেজর জিয়া আর বঙ্গবন্ধু কন্যার গিবত প্রচারের জায়গা) ।

আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত একজন লোক যখন সুস্থ মস্তিষ্কে পকেটের টাকা খরচ করে মদপান করত: মাতলামি করে তখন তাকে আমরা বিকৃত মস্তিষ্কের লোক বলে থাকি। পরিবার-সমাজ, দেশ ও দশের স্বার্থে এদের সংশ্রব থেকে দূরে থাকাকে সবাই সমর্থন করেন। অনুরূপভাবে উপরে উল্লেখিত প্রশ্ন কর্তাগণকে আমরা বিকৃত মস্তিষ্কের অধিকারী বললে যথার্থ মূল্যায়নই হবে বলে জ্ঞান করি। কোন ঈমানদার ব্যক্তি জান্নাতের লোভে মহান আল্লাহর ইবাদত করে না বরং মহান আল্লাহর হুকুম পালন করার জন্যই ইবাদত করে। পরকালে আল্লাহ কি দিয়ে পুরুস্কৃত করবেন সেটা এবাদতগুজার ব্যক্তি তার মাথায় আনেন না যদিও আল্লাহ তায়ালা এর ইঙ্গিত দিয়েছেন কোরআনের অসংখ্য আয়াতে। ঈমানদারের ইবাদতের উদ্দেশ্য জান্নাতের জন্য যতটুকু তার চেয়ে বেশী হলো জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভের জন্য এবং সবচেয়ে বড় পুরুস্কার মহান আল্লাহর দিদার লাভের জন্য। জান্নাত না জুটলে কোন সমস্যা নাই তবে আল্লাহ না করুন যদি জাহান্নামের ফায়সলা হয়ে বসে তবে কি উপায় হবে- এটা কি ভাবনার দাবি রাখে না? জাহান্নামের একটা মুহুর্তের আযাবও কি সহ্য করা সম্ভব হবে? আল্লাহ ক্ষমা করুন। জৈনক বুজুর্গ বলেছিলেন- “আমি জান্নাতের উপযুক্ত নই তাই জান্নাতের জন্য নয় বরং জাহান্নাম থেকে বাঁচতে আল্লাহর গোলামী করি।” সুতরাং বিবি-বাচ্চা আর সামু থাকবে কিনা সেই চিন্তা বাদ দিয়ে কোন পথে রওয়ানা দিচ্ছেন সেটা ভাবুন-কাজে লাগবে।

জান্নাতী পুরুষকে 70 জন হুর দেয়া হলে জান্নাতী নারীকে কয়টি দেয়া হবে মর্মে উদ্ভট প্রশ্নকারীর হেদায়েত প্রার্থনা করি। দুনীয়ার জীবনে একজন পুরুষের বৈধমতে একাধিক বিয়ে করা সিদ্ধ। পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নাই যেখানে আইন আছে একজন পুরুষ একের অধিক বিয়ে করা যাবে না। যেভাবেই হোক (শর্তের অধিনে হলেও) একের অধিক বিয়ে করা পুরুষের জন্য ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বৈধ। কিন্তু একজন নারী একাধিক বিয়ে করা অর্থাৎ একই সময় একাধিক স্বামীর সংসার করা কোন দেশ-কাল-সমাজে চালু নাই (যদি থেকে থাকেও সেটা বর্বর বলেই গণ্য হবে)। দুনীয়ার জীবনে একজন পুরুষ একাধিক বিয়ে করা সিদ্ধ একজন নারী কর্তৃক একাধিক বিয়ে নয়। একজন পুরুষের একাধিক স্ত্রী থাকলেও সন্তানের পিতৃপরিচয় দিতে কোন সমস্যা হয়না কিন্তু এর বিপরীত হলে সমস্যা কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। তেমনি জান্নাতি জীবনেও একাধিক হুর একজন জান্নাতি পুরুষের জন্য সিদ্ধ, একজন জান্নাতী নারীর জন্য একাধিক পুরুষ নয়। সাধারণ এই বোধটুকু যাদের মাথায় ধরে না তারা নাকি শিক্ষিত!

আফ্রিকার সবচেয়ে কালো জান্নাতি পুরুষের বিষয়ে কি সিদ্ধান্ত হবে এ বিষয়ে প্রশ্ন করে একজন তার ইসলাম বিদ্বেষী চাতুরতার পরিচয় দিয়েছেন। তিনি বোধহয় দেখেননি মাসজিদে নামাযে প্রথম কাতারে ইমামের পিছনে রিকসাওয়ালা, ফকির, মিসকিন দাঁড়ালেও ধনীর দুলাল তাকে পিছন থেকে টেনে ধরতে পারে না। এটা মসজিদ, আল্লাহর ঘর- ধনী-গরীব সবাই তার মেহমান। দুনীয়ায় আল্লাহর মেহমান খানায় মেহমানের জন্য যদি এমন ব্যবহার হয়ে থাকে তাহলে জান্নাতে কি হবে সেটা বুঝাই যাচ্ছে। মহান আল্লাহর কাছে কালো-সাদা, ধনী-গরিবের কোন ভেদাভেদ নেই, আছে তাক্বওয়ার প্রশ্ন।

ব্লগ নাকি ওয়াজ-নছিহতের জায়গা নয়। ইনি সব সময় জেনারেল জিয়া আর বঙ্গবন্ধু কন্যার গিবত নিয়ে পড়ে থাকেন। ওনার কাছে মনে হয় ব্লগ রাজনৈতিক উন্মাদনা প্রকাশের জায়গা। ঠান্ডা মেজাজি এই ভদ্র লোক ম্যাও প্যাও নামক এক শব্দের আবিস্কারক। খোচায় খোচায় কথা কওয়া যার অভ্যাস। ব্লগে যদি সব চর্চা হতে পারে তবে ধর্ম কেন হতে পারে না কে জানে? ভদ্র লোক হয়তো এই প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে ব্লগ লিখে ফেলতে পারেন। ওয়াজ-নসিহত যদি কেউ না শুনতে চায় শুনবেন না, সমস্যা কোথায়? কিন্তু যারা জানে তাদের দায়িত্ব যারা জানেন না তাদের জানিয়ে দেয়া। চাই সেটা দুনীয়ার কল্যানকর কাজ হোক বা আখেরাতের। ব্লগে যদি রাজনৈতিক আলোচনা হতে পারে, অর্থনীতি-সমাজনীতি নিয়ে কথা চলতে পারে তাহলে ওয়াজ-নসিহতে সমস্যা কোথায়? বরং ভাল, এক্ষেত্রে ব্লগেও ওয়াজ-নসিহত হতে পারে-কোন সমস্যা নাই।


মন্তব্য ২৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৩৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আপনি বলেছেন যে ওয়াজ নসিহত করার জায়গা নয় ব্লগে এ কথাটি যে বা যারা বলেছে তার ঠিক বলেনি। কারণ তারা এগুলো সম্পর্কে কিছুই জানেনা। কিন্তু আমি আমার ব্যক্তিগত দিক দিয়ে বলবো- যারা ভুল তথ্য প্রয়োগ করে তাদের কি শাস্তি হবে? তবে নিশ্চয় এই শাস্তি আল্লাহ নিজেই দিবেন, ভুল তথ্য প্রয়োগকারীদের। আর ভুল তথ্য প্রয়োগ করলে মানুষতো হাসাহাসি করবেই তাই না। আপনারা পুরুষ হয়েছে কিন্তু মানুষ আর হতে পারলেন না, এই ব্যপারটা কেমন না। এটা নিয়ে তো অন্যেরা হাসাহাসি করবেই তাই না। দেখুন কোরআন আর সুন্নত নিয়ে মানুষ যে সব ভুল তথ্য দিচ্ছে এই যুগে তা নিয়ে অন্যরা একটু হাসবেই।

প্রশ্ন করবেন ভুল তথ্য কি? হ্যা সেটাই আমি বলছি- ভুল তথ্য হলো এই যে আপনারা বলেন ৭০/৭২টি হুর না পরি পাবেন বেহেস্তে ভাই এটা কিন্তু কোরআনের কোথাও নেই এমন কি আপনারা যে হাদিসের কথা বলে সেসব সহিহ হাদিসেও নেই। তবে কেনো মিথ্যে প্রচার করেন কেনো আরো বেশি গুনাহাগার হোন। ভাই ৭০/৭২টি হুরের কথা সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়নি। সেখানে বলা হয়েছে একজন জান্নাতি স্ত্রী বলেন সাথি বলেন যেটাই বলে সেটা থাকবে। যদি কারো স্ত্রী জাহান্নামী হয় তবে সে জান্নাতি একজন সাথি পাবে, যদি স্ত্রী জান্নাতী আর স্বামী জাহান্নামী হয় তবে স্ত্রী একজন জান্নাতি সাথী পাবে। আর যদি স্বামী স্ত্রী দু’জনই জান্নাতি হয় তবে তারা সমবয়সী হয়ে চিরদিন জান্নাতেই থাকবে। এটাই হচ্ছে মূল কথা। ৭২ বা ৭০ জন নয়।

কোরআনে কোন কোন সুরায় হুরের কথা বলা হয়েছে হুর মানিই সাথী। হোক সে পুরুষ হোক সে নারী। (স্বামী স্ত্রী দু’জনই জান্নাতি হয় তবে তারা সমবয়সী হয়ে চিরদিন জান্নাতেই থাকবে) এই কথা টি কোরআনের কোন একটি সুরায় আছে। এটা কোরআনের রেফারেন্স। আসা করি বুজতে পেরেছেন। তাই ভুল তথ্য প্রয়োগ করবেন না আর মানুষও হাসাবেন না।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২১

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: Click This Link

২| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: দ্বিতীয়তো একাধিক বিয়ে কথা বলেছেন না পুরুষদের? হায়রে ভাই আপনারা মানুষ না, নিজেদের পুরুষ বলে দাবী করেন না আপনারা ওটাই, পুরুষই আপনারা মানুষ আর না। ইসলাম ধর্মে কোথাও আছে বলেন তো একাধীক বিয়ের কথা। বলেন, কোথায় আছে তার রেফারেন্স দেন। দেখি পারেন কিনা, জানি পারবেন না পারলেও ভুল তথ্য দিবে সেটা আমার জনা আছে। মানুষ কি আপনাদের লেখা দেখে শুধু শুধু হাসাহাসি করে এই জন্যই করে।

একমাত্র, একমাত্র কোরআনেই আছে একটি বিয়ে কথা সে হোক ছেলে সে হোক মেয়ে। তবে বিপদে পরলেই দুই, তিন, চার বিয়ের কথা বলা হয়েছে। তাহলে রেফারেন্সটি দেখবেন এবং ভালো করে মন দিয়ে করবেন। - তাহরেই মনে করবেন নিজেকে জ্ঞানী-
(সুরা নিসা অধ্যায় চার, আয়াত-৩, “আর যদি ভয় হয় এতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না; তবে বিয়ে করে নেও তাদের মধ্যে হতে দুই, তিন, চার জন; যদি সুবিচারে ভয় হয় তবে একজনই উত্তম। এতে অন্যায় না হওয়ার সম্ভবনা বেশি।”)
ব্যাখ্যাটি বুজতে পেরেছেন, না বুজলে বলছি, এই আয়াতটি তখনকার ছেলেদের জন্য বেশি প্রচালিত ছিল। কারণ তখন দাশ/দাশী, এবং এতিম ছিল বেশি। এখনো আছে তবে তথনকার মতো নয়। এখনকার এতিমরা আছে তাদের প্রতি বেশি কঠোর হয় মানুষ। তাই এতিমের জ্বাল কেউ বুজে না। যাগগে বাদ দেই এখনকার এতিমদের কথা।

অসহয় কোন এতিম মেয়ে যাতে অন্যের দ্বারা অত্যাচারিত না হয় বা অত্যাচার না করা হয় সেই জন্য এতিমদের বেলায় এটা বলা হয়েছে। এটা কোন সাধারণ মেয়ে বা ছেলেদের কথা বলা হয়নি। ইজ এ ক্লিয়ার। এটা হচ্ছে কোরআনের ব্যাখ্যা সেখানে সয়ং আল্লাহর বানী। এটা কোন মানুষের ভুল তথ্য বানী নয়।

১৯ শে জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:১৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: হুর সম্পর্কীত মন্তব্যের জবাব ইতিপূর্বে দেয়া হয়েছে। আশা করি এতদবিষয়ে আপনার জ্ঞানের শূন্যতা পরিপক্কতা লাভ করেছে।
এবার জানুন আপনার দ্বিতীয় মন্তব্যের সঠিক ব্যাখ্যা। আপনার প্রথম প্রশ্ন- কোথায় আছে একাধিক বিয়ের কথা? অথচ আপনি নিজেই সূরা নিসার 3 নং আয়াতের অনুবাদ উল্লেখ করে সেই প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন (যদিও উক্ত আয়াতের পুরো অনুবাদ উল্লেখ করেননি)। একজন বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীর এমন কাঁচা কাজে প্রাইমারির স্টুডেন্টও হাসবে বলে মনে করি।
আমার শিরোনামের লেখাটির শেষ খন্ডে আমি একাধিক বিয়ের যে কথা বলেছি অর্থাৎ 4টি বিয়ের যে কথা বলেছি তা শর্তের অধিনে করা যাবে মর্মে বলেছি। আর সেই শর্ত হলো, সকল স্ত্রীদের মধ্যে সমতা বিধান করার কথা। সমতা বিধান করতে না পারলে একটিই যথেষ্ট যা কুরআনে বলা হয়েছে। কুরআনে সমতা বিধান করার শর্ত সাপেক্ষে 4টি পর্যন্ত বিয়ে করার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। আমার বর্ণনা কুরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বর্ণনা বিধায় লোকজন হাসাহাসি করার কোন সুযোগ নাই। তবে বিকৃতমস্থিস্কের ব্যক্তিবর্গের ব্যাপারটা অবশ্য ভিন্ন। তারা তো ইসলামের যে কোন হুকুম-আহকাম নিয়োই বিদ্রুপ করে থাকে।
আসেন, এবার আপনার মন্তব্যের খুটিনাটি বিশদ আলোচনা করা যাক। অতি চাতুরতার সাথে আপনি সূরা নিসার 3নং আয়াতের পুরো অর্থ উল্লেখ না করে নিজের নির্বুদ্ধিতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনি অনুবাদ উল্লেখ করেছেন এভাবে-“আর যদি ভয় হয় এতিম মেয়েদের প্রতি সুবিচার করতে পারবে না; তবে বিয়ে করে নেও তাদের মধ্যে হতে দুই, তিন, চার জন; যদি সুবিচারে ভয় হয় তবে একজনই উত্তম। এতে অন্যায় না হওয়ার সম্ভবনা বেশি। ” অথচ উক্ত আয়াতের প্রকৃত অনুবাদ হবে এমন-“আর যদি তোমরা ভয় কর যে, এতীম মেয়েদের হক যথাযথভাবে পূরণ করতে পারবে না, তবে সেসব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভাল লাগে তাদের বিয়ে করে নাও দুই, তিন, কিংবা চারটি পর্যন্ত। আর যদি এরুপ আশঙ্কা কর যে, তাদের মধ্যে ন্যায়-সঙ্গত আচরণ বজায় রাখতে পারবে না, তবে একটিই; অথবা তোমাদের অধিকারভূক্ত দাসীদেরকে, এতেই পক্ষপাতিত্বে জড়িত না হওয়ার অধিকতর সম্ভবনা।”
আপনার বর্ণিত অনুবাদে “তবে বিয়ে করে নেও তাদের মধ্যে হতে” শব্দসমূহ দ্বারা সহব্লগার পাঠকবৃন্দ কাদের বিয়ে করার কথা বুঝবেন? এতিমদের না অন্যদের? এবার আপনি ব্যাখ্যা করুন। সেই প্রশ্ন রইল আপনার কাছে। পাশাপাশি মূল আয়াতের যে অনুবাদ (পূর্ণাঙ্গ আয়াতের সঠিক অনুবাদটি) আমি উল্লেখ করেছি তাতে উল্লেখিত “তবে সেসব মেয়েদের মধ্য থেকে যাদের ভাল লাগে” দ্বারা বুঝায় এতিমদের নয় বরং এতিমদের স্বার্থ সংরক্ষণের সুবিধার্থে এতিমদের বিয়ে না করে ঐ সকল মেয়েদের মধ্যে হতে দুই, তিন বা চার জনকে বিয়ে করতে বলা হয়েছে (মেয়েরতো অভাব নেই, বিয়ে যদি করতেই হয়, তবে অন্য স্ত্রী লোকদের মধ্যে থেকে একাধিক বিয়ে করতে পারে। এতিম মেয়েদের বিয়ে করবে না, অন্য মেয়েকে বিয়ে করে নেবে।) যাদেরকে বিয়ে করতে ইচ্ছুক পাত্রের (এতিমের অভিভাবকত্ব গ্রহণকারী) ভাল লাগে বা পছন্দ হয়। বিষয়টি বিশদ ব্যাখ্যার দাবি রাখে। বিস্তারিত ব্যাখ্যা তাফসিরের কিতাবে দেখে নিবেন। কোন প্রেক্ষিতে সূরা নিসার উক্ত আয়াত নাযেল হয়েছে এবং এর পিছনের ইতিহাস আপনার জানা দরকার। তা না হলে জীবনভর ভুল ধারণা পোষণ করত: অন্ধকারের মধ্যে ঘুরপাক খেতে থাকবেন। একজন সহব্লগার শুভাকাঙ্খি দ্বীনি বোনের গোমরাহির মধ্যে ডুবে থাকা আমি মোটেও পছন্দ করব না।
কি বুঝাতে বা বলতে চাচ্ছেন সেটা আবশ্যই পরিস্কারভাবে, অর্থগত সামঞ্জস্যতা বজায় রেখে বলবেন। আপনার মন্তব্যদুটি বেশ অগোছালো ছিল, শব্দের বানানে হাস্যকরভাবে ভুল ছিল-সেদিকে নজর দিবেন। নাহলে, আপনি নিজিই অন্যের হাসির খোরাকে পরিণত হতে পারেন। যা হোক, তারপরেও আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুস্থ থাকুন-সেই প্রত্যাশায়।
পুনশ্চ: একাধিক বিয়ের বৈধতা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বতন্ত্র একটি লেখা নিয়ে আপনাদের সম্মুখে যত দ্রুত সম্ভব উপস্থাপিত হবো ইনশাআল্লাহ।

৩| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:৫৯

রাজীব নুর বলেছেন: আজকাল কোথাও শান্তি নাই।
লোকজন ধর্ম থেকে দূরে সরে গেছে। কোরআন হাদীস মেনে কেউ চলছে না। হয়তো আরো একশ বছর পর মানুষের কোনো ধর্মই থাকবে না। এযুগের লোকজন পরকাল নিয়ে ভাবে না। পরকালের শাস্তি নিয়ে তাদের মনে ভয়ডর কিচ্ছু নেই।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৮

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এযুগের লোকজন কেমন যেন বেশীরভাগ আপনারই মতো চিন্তা -ভাবনা, তারা হয়তো আপনার মতো আধুনিক মুসলিম।

৪| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৪০

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
আখেরাত বা পরকাল হলো বিশ্বাসীদের জন্য।
যারা পবিত্র কোরআনে বারে বারে হুসিয়ারী
দেবার পরেও পরকালের হিসাব নিকাস ও
শাস্তি ও পুরস্কারের চিন্তা করেনা তারা নাস্তিক।
নাস্তিকরা তাদের ভ্রান্ত মতবাদ প্রচারের জন্য
ব্লগ ব্যাবহার করে থাকে। তাই ব্লগে ধর্মীয়
আলোচনা শুরু হলে তাদের গ্রাত্রদাশ শুরু
হয়। ব্লগ ওয়াজ করার যায়গা নয় বলে
প্রচারণা চালায়। ব্লগে সব আলোচনা
হতে পারলে ওয়াজ নসিহত কেন নয়?

৫| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:৫৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: @ নূর ভাই -

আপনি অল্প কথায় সব বলে দিয়েছেন। এ জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। আপনি আমার দেশী ভাই তাই মাঝে মাঝে মজা করি। রাগ করবেন না।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: মাঝে মাঝে মজা করুন- সবসময় নয়।

৬| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:০২

দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: ১০০% নিশ্চিত না হয়ে ধর্ম নিয়ে কথা না বলাই ভালো কারণ ভুল তথ্য দিলে কেউ বিপথগামী হবে, কেউ ঠাট্রা বিদ্রুপ করবে।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: পরামর্শের জন্য ধন্যবাদ। লেখায় কোন ভুল থাকলে বলবেন প্লিজ, শুধরে নিব ইনশাআল্লাহ।

৭| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১:৫৯

নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি ইসলাম নিয়ে লিখতেছেন , লিখেন । কিন্তু লেখার নিচে কে কি বলছে তা জুড়ে দেওয়ার দরকার নেই। মারা যাওয়ার পর অবিবাহিত অবিশ্বাসী লোকটারও মৌলভী ডেকে জানাজা নামাজ পড়ে কবর দেয়। এতেই পরাজয় সেই অবিশ্বাসীর।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি ইসলাম নিয়ে লিখতেছেন , লিখেন । কিন্তু লেখার নিচে কে কি বলছে তা জুড়ে দেওয়ার দরকার নেই। মারা যাওয়ার পর অবিবাহিত অবিশ্বাসী লোকটারও মৌলভী ডেকে জানাজা নামাজ পড়ে কবর দেয়। এতেই পরাজয় সেই অবিশ্বাসীর- জনাব অবিশ্বাসী বলতে কাদের বুঝালেন?

৮| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:০৫

মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। ব্লগ সবই হবে ধর্মীয় আলোচনা, গান, গল্প, কবিতা, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি।

নুরু ভাই সুন্দর বলেছেন। আসলে ব্লগকে যে যেভাবে নিবে ব্লগটা তার কাছে সেরকমই হবে।

১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:১৫

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বলেছেন:
সুন্দর বলেছেন। ব্লগ সবই হবে ধর্মীয় আলোচনা, গান, গল্প, কবিতা, সাহিত্য, রাজনীতি, অর্থনীতি।

নুরু ভাই সুন্দর বলেছেন। আসলে ব্লগকে যে যেভাবে নিবে ব্লগটা তার কাছে সেরকমই হব। - ভাল বলেছেন।

৯| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৪৪

আহলান বলেছেন: যারা পরলৌকিক বিষয় নিয়ে অবিশ্বাসের দৃষ্টি ভঙ্গি নিক্ষেপ করেন, তারাই কিন্তু আবার পানিকে বিশ্লেষান করে অক্সিজেন আর হাইড্রজেনের অনু আবিষ্কারকে বিজ্ঞান বলে অজ্ঞান হয়ে যান। যা দেখা যায় না, তা যদি ভাবনাতেই না আসে, তবে মানুষ ঘুমরে ঘোরে স্বপ্ন দেখে কিভাবে? স্বপ্নে মানুষ হাসে কাঁদে, কষ্ট পায় কিভাবে? ... যার যার বুঝ তার তার ... অন্তর দেখা যায় না, কিন্তু অন্তরই মানুষরে সব কিছুর কেন্দ্রবিন্দু ....

১০| ১৩ ই জুলাই, ২০২০ বিকাল ৫:৫৪

চাঁদগাজী বলেছেন:



আমার বক্তব্য নিয়ে লিখেছেন, আমি টেরও পাইনি; এখন 'ম্যাঁওপ্যাঁও' শব্দটা দেখে বুঝলাম। ওয়াজ করা মানে ধর্মীয় বক্তব্য রাখা; সমস্যা হচ্ছে, যারা ধর্ম নিয়ে ব্লগে লেখেন টেখেন, প্রায় সবাই ভুলভ্রান্তি ও অপধারণার অবতারণা করে থাকেন, লেখাগুলো ইন্টারেষ্টিং হয় না, ব্লগের মান কমে যায়।

১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: ধর্ম ব্যাপারটা কেমন যেন বস, এটা করা যাবে না, ওটা করা যাবে না, এভাবে চলা যাবে না, ওভাবে চলা যাবে না। শুধু না আর না। আপনার মতো জ্ঞানী লোকেরা এতো না মেনে চলবে কিভাবে, বলেন। অবশ্য না এর অনুসরণেও মজা আছে। সবাই সে মজা পায় না।

১১| ১৪ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৫৪

নীল আকাশ বলেছেন: নেওয়াজ আলি বলেছেন: আপনি ইসলাম নিয়ে লিখতেছেন , লিখেন । কিন্তু লেখার নিচে কে কি বলছে তা জুড়ে দেওয়ার দরকার নেই। মারা যাওয়ার পর অবিবাহিত অবিশ্বাসী লোকটারও মৌলভী ডেকে জানাজা নামাজ পড়ে কবর দেয়। এতেই পরাজয় সেই অবিশ্বাসীর।
১০০% হক কথা। নিজেই সাক্ষী এই ঘট্নার।

১২| ১৬ ই জুলাই, ২০২০ সকাল ১০:৪৯

কামরুননাহার কলি বলেছেন: যখন কেউ সত্যিটা প্রচার করে বা লেখে তখন আর ভালো লাগে না তাইনা ভাই? আসলে বুলনতো আমরা মানুষ হিসেবে এমনই হয়ে থাকি।

১৬ ই জুলাই, ২০২০ দুপুর ১২:২২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনার প্রথম মন্তব্যের উত্তর দেয়া হয়েছে। লিংক ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন। ভাল থাকুন ইনশাআল্লাহ। আপনাকে ধন্যবাদ আমার ব্লগে আসার জন্য।

১৩| ১৯ শে জুলাই, ২০২০ বিকাল ৩:২৬

কামরুননাহার কলি বলেছেন: আমাকে তো বেশ ভালো ভাবেই বললেন আমি নাকি চতুরতা করে লিখেছি। আর আপনি তো বার বার চতুরতা করে সেই একই কথা একই বিষয়টা বলে যাচ্ছেন। আমি কি আমার লেখায় বলেনি যে পুরুষদের জন্য একাধিক বিয়ে করা বৈধ নয় সেটা কেনো বুঝতে পারছেন না। কেনো বার বার চতুরতা করে একই বাক্য বকে যাচ্ছে। আমি তো জানি এই একাধিক বিয়ের ব্যাপারটি তখনকার সময় ছিল এটা কোন সাধারণ পুরুষদের জন্য নয়। কেনো তর্ক করছেন। আমাকে আপনি কিসের এতো রেফারেন্স দিচ্ছে। যদি আপনারা এতো এতো রেফারেন্স টানেন ধর্ম নিয়ে তাহলে তো আমরাই অন্ধকার জগতে ডুবেই থাকবো। কার রেফারেন্স বিশ্বাস করবো আমরা। এই যে নিচে একটি এই আয়াতের শানেন নযুন দেখেনআমাকে তো বেশ ভালো ভাবেই বললেন আমি নাকি চতুরতা করে লিখেছি। আর আপনি তো বার বার চতুরতা করে সেই একই কথা একই বিষয়টা বলে যাচ্ছেন। আমি কি আমার লেখায় বলেনি যে পুরুষদের জন্য একাধিক বিয়ে করা বৈধ নয় সেটা কেনো বুঝতে পারছেন না। কেনো বার বার চতুরতা করে একই বাক্য বকে যাচ্ছে। আমি তো জানি এই একাধিক বিয়ের ব্যাপারটি তখনকার সময় ছিল এটা কোন সাধারণ পুরুষদের জন্য নয়। কেনো তর্ক করছেন। আমাকে আপনি কিসের এতো রেফারেন্স দিচ্ছে। যদি আপনারা এতো এতো রেফারেন্স টানেন ধর্ম নিয়ে তাহলে তো আমরাই অন্ধকার জগতে ডুবেই থাকবো। কার রেফারেন্স বিশ্বাস করবো আমরা। নিচে আমার লেখা
আয়াতটি তখনকার সময়ের জন্য নাজিল হয়েছে। শানেন নযুন দেখেন

২১ শে জুলাই, ২০২০ সকাল ১১:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আপনি দ্রুত আপনার মাথার চিকিৎসা করান। যে স্ক্রিনশর্ট দিয়েছেন তাতে কোথায় লেখা আছে যে, পুরুষদের জন্য একাধিক বিয়ে করা বৈধ নয়। বরং সূরা নিসার ৩নং আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট এখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, পুরুষদের জন্য একাধিক বিয়ে করা (সর্বোচ্চ ৪টি) আগে থেকেই যেহেতু অনুমতি প্রাপ্ত (এ আয়াত নাযিল হওয়ার আগে থেকেই) সেহেতু এ আয়াত ৪টি বিয়ে সংক্রন্ত নয় বরং ইয়াতিমদের সম্পদ বন্টনে সুষম অবস্থা বিরাজ রাখার স্বার্থে। এ আয়াতে একত্রে চার জনের বেশি স্ত্রী গ্রহণ অবৈধ করে দেওয়া হয়েছে-অনুবাদটি চোখে দেখেননি মনে হয়।
চারজন স্ত্রী একত্রে রাখার বিষয়টি আগে যেমন বৈধ ছিল তা বর্তমানেও আছে। প্রচলিত আইন সেটা ভিন্ন বিষয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.