নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যারা ইমান আনে এবং সৎকাজ করে তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত যার নিচ দিয়ে প্রবাহিত রয়েছে নহর সমূহ ( আল কুরআন)“সত্য ও সুন্দরকে ভালবাসি, অন্যায়- অবহেলা দেখলে খারাপ লাগে, তাই ক্ষদ্র এ প্রয়াস “

মোঃ খুরশীদ আলম

মোঃ খুরশীদ আলম, চট্টগ্রাম

মোঃ খুরশীদ আলম › বিস্তারিত পোস্টঃ

রাসুল স. ছিলেন মহান আল্লাহর অসীম দয়ার প্রতিবিম্ব

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১০:৩৩


রাসুল স. ছিলেন মহান আল্লাহর অসীম দয়ার প্রতিবিম্ব



মহান আল্লাহর অনুগ্রহপ্রাপ্তির সহজ তরিকা হলো রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করা। এর কোন বিকল্প হতে পারে না। মহান আল্লাহ পাক যেমন দয়ালু তার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লামও তেমনি দয়ালু। আল্লাহ পাকের দয়ার প্রতিবিম্ব ছিলেন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম। তার কাছে যখন কোন ব্যক্তি মোসাফাহা (হ্যান্ডশেক) করার জন্য হাত বাড়িয়ে দিতেন তিনি হাত ছেড়ে দিতেন না ঐ পর্যন্ত যতক্ষণ না আগন্তুক তার হাত ছাড়িয়ে নিতো।

যেই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম দুনীয়ার জিন্দেগিতে এমন মহান ছিলেন কাল কেয়ামতের মাঠে উম্মতের প্রতি তিনি ঠিক এমন ব্যবহারই করবেন-বিপরীত নয়। কিন্তু আমাদের শুধু মাত্র তার সুন্নতের আমল যথাযথভাবে করে যেতে হতে।

আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন অগণিত গুণে গুনান্বিত। তিনি নিজে থেকে কারো প্রতি কিছু চাপিয়ে দেন না। বান্দা যতক্ষণ মহান আল্লাহর প্রতি তার হস্ত প্রসারিত করে রাখে ততক্ষণ মহান আল্লাহ তার কুদরতি হাত সম্প্রসারিত করে রাখেন। বান্দা তার প্রতি এক হাত এগিয়ে আসলে মহান আল্লাহ দশ হাত এগিয়ে আসেন। বান্দা গুণাহের নাপাকিতে ডুবে থাকলেও তার প্রতি ফিরে আসার সাথে সাথেই তিনি বান্দাকে গুণাহ হতে পানাহ দান করে স্বচ্ছ করে তুলেন। দুনীয়ার জীবনে মহান আল্লাহ যেমন তার সৃষ্টি জীবের প্রতি পরম অনুগ্রহশীল তেমনি আখেরাতের জিন্দেগীতেও তিনি সেই রকম অনুগ্রহশীল ও ক্ষমাশীল আচরণই করবেন। আমাদের শুধু নবী স. এর আদর্শ মেনে চলতে হবে-ব্যাস, কাজ এটুকুই।

আল্লাহপাক বড় মেহেরবান ও দয়ালু। বান্দার প্রতি আপন হাত প্রসারিত করে তা আবার সঙ্কুচিত করেন না। জৈনক কবি বলেছেন “ যার ইচ্ছা আসুক, যার ইচ্ছা যাক, এই দরবারে বাধা প্রদানকারী কেহ নাই।” বান্দা যদি মহান আল্লাহর দিক হতে হাত টেনে নেয় তবে তিনিও হাট টেনে নিবেন। কারন মহান আল্লাহ জোর করে কারো প্রতি নেয়ামতের বোঝা চাপিয়ে দেন না। আল্লাহর কোন ঠেকা নাই যে, আমরা না চাইলেও তিনি আমাদেরকে নেয়ামত দিতেই থাকবেন। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরানের দশম পারায় সূরা তওবার বাহাত্তর নং আয়াতের শেষাংশে বলেন, “.... আল্লাহর সন্তুষ্টিহ হলো সবচেয়ে বড় নেয়ামত....।” মহান আল্লাহর নেয়ামতকে অবিরত ধারায় পেতে (সন্তুষ্টি অর্জন করতে) বান্দাকেই এগিয়ে আসতে হবে মহান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম এর পদাঙ্ক অনুসরনের মাধ্যমে।

মহান আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনের পরে তার গোলামি হতে বিরত হয়ে পড়া দুর্ভাগ্যের কারণ বটে। আমাদের সেই প্রিয়জন যে প্রতিদিন সময় করে সাক্ষাত লাভ করতো, হঠাৎ করে যদি সাক্ষাত বন্ধ করে দেয় আমরা তার প্রতি রুষ্ঠ হয়ে পড়ি। মহান আল্লাহর ব্যাপারেও তাই। এবাদতগুজার যদি মহান আল্লাহর এবাদত হঠাৎ করে বন্ধ করে দেন তাহলে আল্লাহও তার প্রতি রুষ্ঠ হন। বান্দা ও প্রভুর মধ্যে সম্পর্কোচ্ছেদ ঘটে। তাই যে কোন বিপদ-আপদে, প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হয়ে মহান প্রভুর সান্নিধ্য হতে বিমুখ হওয়া উচিত নয়। কেননা মহান আল্লাহ তার প্রিয় গোলামকে বিপদ দিয়েই পরীক্ষা করে দেখতে চান।

একদা হযরত মুসা আ. চলার পথে একটি পাথরকে ক্রন্দনরত দেখতে পেয়ে কান্নার কারণ জিজ্ঞাসা করলেন। পাথর উত্তর দিল, পাথর দোযখে যাবার বিষয়টি যখন হতে আমি জেনেছি “ ওয়াক্বুদুহান্নাস ওয়াল হিজারাত।” তখন হতে আমি ক্রন্দনরত আছি। মহান আল্লাহর দরবারে মুসা আ. দোয়া করলেন, হে আল্লাহ! এই পাথরকে আপনি দোযখে দিবেন না। আল্লাহ মুসা আ. এর দোয়া কবুল করলেন। ফেরার পথে সেই পাথরকে নবি মুসা আ. পুনরায় কান্নারত দেখে জিজ্ঞাসা করলেন, মহান আল্লাহ তোমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন তাহলে কেন কান্না করছো ? পাথর উত্তর দিল সাময়িকভাবে কান্না থামালেও যেই মহান বন্ধুর বদৌলতে আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করেছেন তাহলে সেই বন্ধুকে (কান্নাকে) ভুলে থাকি কেন?

আল্লাহর পথের যাত্রীগণ! মহান আল্লাহর গোলামীর দ্বারা যদি আত্নার সন্তুষ্টি ও শান্তি এবং অদৃশ্য সুখ লাভ হয়ে থাকে তবে সেই মুজাহাদা ও চেষ্টা তদবির ত্যাগ করা কেন? বরং হাজারো দুঃখ-কষ্টে কোন মুহুর্তেই তার প্রেম থেকে বিরত ও গাফেল না হওয়াই সফলতার লক্ষণ।

মহান আল্লাহ আমাদেরকে রাসুল স. এর আদর্শ অনুসরনের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন করার তাওফিক দিন। আমিন।

মন্তব্য ১৮ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (১৮) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৪

সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আমাদের রসুল (সাঃ) ছিলেন ‘রাহমাতুল্লিল আলামিন’ তথা সমগ্র বিশ্বের জন্য রহমত। আল্লাহতালা তার প্রিয় বান্দাদেরই বিপদ আপদ বেশী দেন। সবচেয়ে বেশী বিপদ এসেছে আম্বিয়া (আঃ) দের উপর। এরপর আল্লাহর কাছে মর্যাদার ক্রম অনুযায়ী যারা আছেন তাদের উপর বিপদ এসেছে মর্যাদার অনুরুপ। তাই বিপদে ভেঙ্গে পড়লে চলবে না

০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:২৯

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: অনেক সুন্দর ও সাবলিল মন্তব্যে অনুপ্রাণিত হলাম। সফলতার একটাই রাস্তা ধৈর্য আর অধ্যবসায়।
রাসুল স. এর মত এবং পথের উপর আমরা যেন থাকতে পারি আমৃত্যু সেই শুভকামনা রইল- আপনার এবং আমার জন্য।

২| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সকাল ১১:৫০

রাজীব নুর বলেছেন: আল্লাহকে পেতে হলেন নিয়মিত নামাজ পড়তে হবে।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৭

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: সবার আগে আক্বিদা শুদ্ধকরণ, তারপর নামায ও পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এবাদত।
আক্বিদা অশুদ্ধ হলে নামাযে কোন কাজ হবে না।

৩| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৩

খায়রুল আহসান বলেছেন: এ ধরণের লেখা পড়লে মনটা নরম হয়ে যায়, বিগলিত হয়ে যায়।
হে আল্লাহ, বাড়িয়ে রেখেছি হাত,
যোগ্য নই পেতে তোমার সাক্ষাৎ,
তবু এ হাত যেন চির প্রসারিত রয়,
তোমার দয়ার আশে, হে করুণাময়!

জাযাকাল্লাহু খায়রান!

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আল্লাহ আপনার প্রার্থনা কবুল করুন।
অনুপ্রানিত হলাম আপনার শালীন মন্তব্যে। ভাল থাকবেন। দু’য়ার দরখাস্ত রইল।

৪| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:১৫

কাজী ফাতেমা ছবি বলেছেন: খুব সুন্দর লেখা ভাই
আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দিন

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫২

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আমিন।

৫| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২০

আলমগীর সরকার লিটন বলেছেন: সত্যই চমৎকার লেখেছেন আলম দা

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: চমৎকার মন্তব্যে চমৎকারভাবে অনুপ্রানিত হলাম ভাই। ভাল থাকবেন।

৬| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:২৮

এভো বলেছেন: রাসুল স. ছিলেন মহান আল্লাহর অসীম দয়ার প্রতিবিম্ব

উপরের স্ট্যাটমেন্ট কি শিরক নহে ? আল্লাহর সাথে কারো , তুলনা বা এসোসিয়েট করা বা আল্লাহর প্রতিবিম্ব বলা ইত্যাদি শিরক করার সামিল বা শরিক করা । নাউযুবিল্লাহ

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৪৬

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: আল্লাহ মহান। তিনি ক্ষমাশীল, দয়ালু ও অন্যান্য গুণের অধিকারী। মহান আল্লাহর গুণাবলী রাসূল স. এর মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। সেই দিক থেকে প্রতিবিম্ব শব্দটা শিরকি বা কুফরী হতে পারে না। আমরা সালাতে রাসুল স. এর উপর দুরুদ শরীফ পড়ে থাকি। তাহলে কি সেটা শিরক হবে? কখনো না।
দেখেন, আমরা অনেক সময় স্ত্রীকে বলে থাকি, তুমি না আমার মায়ের মতো, কিংবা বন্ধুকে বলে থাকি “ তুই আমার বাবার মতো কাজ করেছিস।” তাহলে, তারা কি মা বা বাবা হয়ে যাবে? আসলে না। বরং বুঝাতে চাচ্ছি স্ত্রী তার মায়ের মতো ভাল কাজে পারদর্শী কিংবা বন্ধুটি তার বাবার মতো ভাল কাজ করেছে।
যা হোক, আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য মোবারকবাদ রইল।

৭| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ দুপুর ২:০০

নতুন বলেছেন: বানু কুরাইজার ঘটনায় রাসুল সা: অসীম দয়ার পরিচয় দিয়েছিলেন?

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৩

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: বানু কুরাইজার ঘটনা এখনো পড়া হয়নি। ইনশাআল্লাহ পড়ে ফেলবো। ভাল থাকবেন।

৮| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ সন্ধ্যা ৭:৩৬

নগরবালক বলেছেন: সিরিয়া ইয়েমেনের লোকজনের পেটে খাবার নাই, তাদের পেট ভর্তি সৌদি বোমা।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: কি করতে বলেন?

৯| ০৩ রা আগস্ট, ২০২০ রাত ৯:১৭

নুরুলইসলা০৬০৪ বলেছেন: আল্লাহ মানুষেরই প্রতিবিম্ব।

০৫ ই আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৪

মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: যে যেমনটি চিন্তা করে আরকি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.