![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ইসলামে দু’য়ার গুরুত্ব, তাৎপর্য ও ফজিলত
দৃষ্টান্ত- ইবরাহীম আ. এর দু’য়া : মহান আল্লাহর প্রতি নবী ইবরাহীম আ. যে দু’য়া করেন তা সবিস্তারে বর্ণনা এসেছে সূরা ইবরাহীম-এ। “স্মরণ কর, ইবরাহীম বলেছিল : হে আমার রব! এই শহরকে নিরপদ করুন এবং আমার ও আমার পুত্রদেরকে মূর্তী পূজা হতে দূরে রাখুন। হে আমার রব! এই সব মূর্তী বহু মানুষকে বিভ্রান্ত করেছে; সুতরাং যে আমার অনুসরণ করবে সেই আমার দলভূক্ত, কিন্তু কেউ আমার অবাধ্য হলে আপনিতো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। হে আমাদের রব! আমি আমার বংশধরদের কতককে বসবাস করালাম অনুর্বর উপত্যকায় আপনার গৃহের নিকট। হে আমাদের রব! এ জন্য যে তারা যেন সালাত কায়েম করে, সুতরাং আপনি কিছু লোকের অন্তর ওদের প্রতি অনুরাগী করে দিন এবং ফলফলাদি দ্বারা তাদের রিযকের ব্যবস্থা করুন যাতে তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। হে আমাদের রব! আপনিতো জানেন যা আমরা গোপন করি এবং যা আমরা প্রকাশ করি; আকাশমন্ডলি ও পৃথিবীর কিছুই আল্লাহর কাছে গোপন থাকে না। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহরই প্রাপ্য যিনি আমাকে আমার বার্ধক্যে ইসমাইল ও ইসহাককে দান করেছেন। আমার রব আবশ্যই প্রার্থনা শুনে থাকেন। হে আমার রব! আমাকে সালাত কায়েমকারী করুন এবং আমার বংশধরদের মধ্যে হতেও, হে আমার রব! আমার প্রার্থনা কবুল করুন। ”- সূরা ইবরাহিম, (আয়াত সংখ্যা- 35-40)
খেয়াল করলে দেখা যাবে, মহান নবী ইবরাহীম আ. আল্লাহর কাছে যাবতীয় অকল্যানকর ব্যবস্থা ও গায়েরুল্লাহ হতে মুক্ত থাকার জন্য প্রার্থনা করেছেন। পাশাপাশি নবী আ. এর দু’য়ায় মহান আল্লাহ সর্ববিষয়ে (প্রকাশ্য ও অপ্রকাশ্য) জ্ঞানী তার স্বীকারোক্তিও এসে গেছে। পিতা-মাতা-সন্তান ও অনুসারীদের কল্যান চেয়ে তিনি দু’য়া করেছেন এবং মহান আল্লাহর অপার কৃপা বৃদ্ধ বয়সে তাকে সন্তান দানের ব্যাপারে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেছেন।
ইবরাহীম আ. এর দু’য়া হতে আমারা দু’য়া করার পথ-পদ্ধতি ও ধরণ শিখতে পাই। এবং এও আশ্বস্ত হতে পারি যে, মহান আল্লাহ অনেক দেরীতে হলেও তার বান্দার প্রার্থনা আবশ্যই কবুল করেন। তাই প্রার্থনা বা দু’য়া করাকালীন অস্থির ও অধৈয্য হলে চলবে না রবং সুন্নত পদ্ধতিতে মাহান আল্লাহ পাকের নিকট কবুলিয়াতের মুহুর্তসমূহে নিরবচ্ছিন্নভাবে দু’য়া করে যেতে হবে। (আল্লাহ তার মুমিন বান্দাদের তাওফিক দান করুন)
২| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১:২৩
রাজীব নুর বলেছেন: দোয়ায় কাজ হয় না। এই সত্য যত তাড়াতাড়ি মেনে নিবেন তত ভালো।
১৯ শে আগস্ট, ২০২০ সকাল ৯:৫৩
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: তিরমিযি শরীফের ৬ষ্ঠ খন্ডের ৩৩৮১ নং হাদিস “ জাবির রা. হতে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, রাসুল স. কে আমি বলতে শুনেছি, কোন ব্যক্তি ( আল্লাহ তায়ালার কাছে) কোন কিছু দু’য়া করলে আল্লাহ তায়ালা তাকে তা দান করেন কিংবা তার পরিপ্রেক্ষিতে তার হাতে কোন অকল্যান প্রতিহত করেন।, যতক্ষণ পর্যন্ত সে কোন গুনাহের কাজে লিপ্ত হওয়ার বা আত্নীয়তার বন্ধন ছিন্ন করার জন্য প্রার্থনা না করেন। ”
৩| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ বিকাল ৪:৪৯
ঘরহীন বলেছেন: আমি একজনকে চিনি, যার দোয়া কখনো বিফলে যায় না। আল্লাহতাআলা কাউকে কাউকে হয়তো সেই ক্ষমতা দেন। সুন্দর পোস্ট।
৪| ১৮ ই আগস্ট, ২০২০ রাত ৮:১৯
সাড়ে চুয়াত্তর বলেছেন: আল্লাহ আমাদের সঠিকভাবে দোয়া করার তৌফিক দান করুন।
©somewhere in net ltd.
১|
১৮ ই আগস্ট, ২০২০ দুপুর ১২:৫২
মোহামমদ কামরুজজামান বলেছেন:
আল্লাহ আমাদের যথাযথ উপায়ে সর্বদা দো‘আ করার তওফিক দান করুন ।