নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যে জানে জ্ঞানী গুণী তার কাছে শেখার আছে। মাথামোটার কাছে আমার কিছু শেখার নাই। আচরণে তার বংশের এবং ব্যক্তিক আভিজাত্য প্রকাশ পায়।সম্মান যতটুকু দিবেন ততটুকু ফেরত পাবেন।

এম ডি মুসা

আমি জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব নই। আমি কোন কবিও নই।কবিতা লেখি, শখের বিষয়। জানি ছন্দ জানি মাত্রা এই নিয়ে আমার পথ যাত্রা।। কুসংস্কার এবং অন্যায় বিরুদ্ধে সোচ্চার। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আমার বুকের ভেতর মজুদ করা।

এম ডি মুসা › বিস্তারিত পোস্টঃ

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক

২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:১০

ভারত বাংলাদেশ সম্পর্ক ১৯৭১ সাল থেকে আমরা জানি কিন্তুু না আমরা এক সময় সবাই ভারতীয় ছিলাম। ১৯৪৭ পূর্বে সময়কার আমরা ছিলাম পূর্ব বাংলা। আমাদের নাম যে আগে বাংলা ছিল, এটা সবাই জানে ১৯৫৬ সালে পূর্ব বাংলা নাম পরিবর্তন করে পূর্ব পাকিস্তান করা হয়।

১৯৭১ সালের ভারত বাংলাদেশ ভালো মজবুত সম্পর্ক ছিল। আমাদের বন্ধু প্রতিবেশি সম্পর্ক সবচেয়ে সেরা সম্পর্ক। ভারত আমাদের ১৯৭১ সালে যেীথ বাহিনি গঠন করার ফলে যে আমাদের বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। আমরা একথা ভালো করেই জানি। যেীথ বাহিনী গঠন না করলে কত নিরীহ মানুষের আরো মরতে হতো। আমাদের স্বাধীনতা পেতে আরো কঠিন হতো। তাই ভারতে যে ইন্দিরা গান্ধিকে আমাদের থেকে ধন্যবাদ ‍ও কৃতজ্ঞতা।

আসল কথা খোলসা করা দরকারঃ ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মাতৃভূমি বিরোধী, স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি এবং বংশধর মনে করে, ভারতের জন্য পাকিস্তান জয় লাভ করতে পারে নাই। বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না , তাই সব সময় তারা ভারতের বিপক্ষে থাকে ।

আমি এটা দেখেছি বহু লোক আছে যারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না। বাঙালি জাতির কিছু অংশ এখনো মনে করে পাকিস্তান ভালো ছিল। তাই দেশেটাকে তারা পাকিস্তান বানাতে চায় তাদের এদেশ অধিকার দিলে ভুল হবে। দুঃখ জনক হলেও সত্য এই ধরণের লোক সরকারি ও চাকরি করে। ১৯৭৪ সালে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ কে স্বীকৃতি দেয়। বাংলার আলো বাতাস খেয়ে আজো বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়না। বাঙালির পাকিস্তানি পক্ষপাতী জাতির অংশ বেইমান আর আর নেই। সেই পাকিস্তানের সাপোর্ট বংশধর আজো বাংলাদেশ স্বাধীনতা বিরোধী এবং ভারত বিরোধী হয়ে থাকে।

ভারত বাংলাদেশ ১৯৭১ পরবর্তী সম্পর্কঃ সেই মহান ইন্দিরা গান্ধি নেই বলে আমাদের দিন দিন সীমান্ত হত্যা হচ্ছে। এটার জন্য বাংলাদেশ দুঃখ জনক হলেও সত্য আমাদের সেই মহান ইন্দিরা গান্ধি নেই বলে আমাদের বাংলাদেশ প্রতি দয়ার আর সহনীয় নজর নেই।

বাংলাদেশর প্রতি ভারতের কিছু অবহেলা প্রভাব কেনঃ আমি মনে করি এদেশ থেকে হিন্দুরা চলে যাচ্ছে তাতে সেখানে ভারত সরকার তাদের কোনো কারণ ছাড়া নাগরিকত্ব দিচ্ছে। ভারত সরকার মনে করে হিন্দুরা এই দেশে ভালো নেই।
তাই বাংলাদেশের প্রতি সু দৃষ্টি রাখে না। আমি বর্তমানে অনেক হিন্দু ভাইয়ের সাথে কথা বলেছি , বলছি ভাই এদেশ তো আপনারও জন্মভূমি আপনি কেন ছেড়ে যাবেন, ভারত মনে করে আপনারা ভালো নেই তারপর চলে যায়, এতে দেশের বদনাম হচ্ছে। এই বিগত কোরবানি ঈদের আগেও একজন থেকে কথা বলেছি তিনি বলেছেন, কেউ আঘাত করেনা কিছু্ আঘাত নিরবে করা হয়।

আমি এতে তার কথায় সমর্থন করতে পারি না, কারণ তাদের জাতির অংশ কমে যাওয়ায় তাদের সংস্কৃতি ও তাদের কালচার মিলাতে না পেরে তারা চলে যায়। তারা একা হয়ে পড়ে সমাজে মিশতে পারে না। কেন চলে যায়, তারা স্বাধীন দেশে তাদের থাকার অধিকারও আছে। সেটা সংবিধানে ও আছে।

এমনকি অনেক আছে তারা ছেলে মেয়ে বিয়ে দেওয়ার জন্য পাত্র পাত্রী পায়না। এতে তারা সবাই যদি এদেশ থেকে চলে যায়, এমন হয়েছে তারা একা হয়ে পড়ে তাদের সংস্কৃতি মিলাতে পারে না। এটা আমাদের জন্য দুঃখজনক।

আমি মনে করি আপনারা ফিরে আসুন গোষ্ঠি সহকারে এদেশ আমার আপনার সকলের। আপনি কেন ভারতকে জন্মভূমি মনে করবেন এদেশে জন্মগ্রহণ করে। আক্রমনের কিসের ভয় আমরা আছি তো, ভয় নেই ভাই। হিন্দু মুসলিম, সবাই ভাই ভাই।
মানুষ আমরা এ আমার পরিচয়।


মন্তব্য ৮ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৮) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

নাহল তরকারি বলেছেন: হিন্দুদের সংস্কৃতি আলাদা ও মুসলিমদের সংস্কৃতি আলাদা। পরকারের নরখ ও জাহান্নামের ভয়ে কেউ ধর্ম থেকে বাহির হতে পারে না। মনের ভেতরে পরকালের ভয় থাকা যার যার ব্যাক্তিগত ব্যাপার।

মুসলিম গরু কুরবানী দেয় কারন ইসলাম ধর্মে গরুর গোস্ত খাওয়া অবৈধ না। তাই মুসলিম গরুর গোস্ত খায়। এখানে হিন্দুদের মনে আঘাত দেওয়ার জন্য গরুর গোস্ত খাওয়া হয় না। কিছু কিছু হিন্দু মনের আবেগে, মুসলিমদের ভুল বুঝে ফেসবুকে প্রতিবাদি পোস্ট করে। এই ভুল বুঝাবোঝি মোটেও কাম্য না। হিন্দু ও ইসলাম ধর্মে যেসব জিনিস কমন যেমন “মিথ্যে কথা বলা পাপ, পরকীয় করা পাপ। পরের ক্ষতি করা পাপ।” এই জাতীয় কমন জিনিস নিয়ে আমরা হিন্দু মুসলিম ঐক্য হতেই পারি।


আমরা পাকিস্তান থেকে কেন আলাদা হয়েছি সেটা আমরা বই পড়লেই জানতে পারি। শেখ মুজিবুর রহমান যদি বুদ্ধি করে ভারতীয় সেনা সদস্যদের ভারতে পাঠাতে না পারতেন তাহলে কি হতো সেটা ভেবে দেখেছেন? এতদিনে হয়তো বাংলাদেশ ভারতের প্রদেশ হয়ে যেতো হয়তো। ফেসবুকে অনেক স্থানে আমরা শুনতে পাই, ইউটুবে ভিডিও দেখতে পাই যে ইস্কন নাকি অখন্ড ভারত রাষ্ট্র করতে চায়। আমরা যদি এখন ভারতের প্রদেশ হয়ে যাই তাহলে ১৯৭১ সালে যুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনে আমাদের কি লাভ হলো?

২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৪২

এম ডি মুসা বলেছেন: গুজবে সব সময় সত্য হয়না ভাই।

২| ২৭ শে জুন, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

নাহল তরকারি বলেছেন: আমার এটা শুধু ব্যাক্তিগত মতামত।

৩| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:৪১

গিয়াস উদ্দিন লিটন বলেছেন: হিন্দুরা তাদের জন্মভূমি এই দেশকে কখনো নিজের দেশ মনে করেনা। আমার পরিচিত এমন কোন হিন্দু চাকুরীজীবী বা ব্যবসায়ী নাই যার ওপারে বাড়ি নাই।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৬

এম ডি মুসা বলেছেন: তারা এই দেশ থেকে যাওয়ার কোনো কারণ দেখছি না সবাই চলে যায় বাকিরা যাওয়া ছাড়া উপায় দেখে না

৪| ২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ৯:১০

কামাল১৮ বলেছেন: স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত ভারতের সাথে সম্পর্ক খুব একটা খারাপ হষ নাই।অনুপ চেটিয়াকে অস্ত্রদিয়ে সাহায্য করা ভুল ছিলো।যেটা বিএনপি জামাত করেছিলো পাকিস্তানের পরামর্শে।মনে রাখতে হবে ভারত এখন চতুর্থ বৃহত শক্তি।আমাদের তিন দিকে ভারত।

২৭ শে জুন, ২০২৪ রাত ১১:১৯

এম ডি মুসা বলেছেন: সেটা সবাই জানে । তবে বাংলাদেশ ধর্মীয় স্বাধীনতা থাকা উচিত। মুসলমানে রা মুসলমানের ক্ষতি করে তাদের েইমান কতটুকু। ভিন্ন ধর্মকেন মিলেমিশে থাকতে পারে না। গরু খাওয়া প্রাণি হত্যা বন্ধ করুক। মুসলিম হিন্দু সমস্যা দূর হয়ে যাবে। তারপর কোরবানি এলে বহু গরু ভারত থেকে আসে। সেগুলো কারা পালে হিন্দুরা তাহলে তারা কেন এগুলো বিক্রি করে<

৫| ২৮ শে জুন, ২০২৪ রাত ৮:২৮

প্রামানিক বলেছেন: হিন্দু ধর্মের জাত পাতের কারণে বাংলা দুইভাগ হয়েছে। হিন্দু ধর্মে চারটি জাতি। সবচেয়ে নিম্ন জাতি হলো শূদ্ররা। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের শতকরা নব্বই ভাগের উপরে শূদ্র জাতি। কামার, কুমার, তেলি, ঢুলি, মালি, মুচি, মেথর, চাড়ালসহ অনেক পদবীর লোক শূদ্র। এরা নিজেরাই নিজেদের ধর্মে নিম্ন বর্ণের জাতি। এদের হাতের কোন খাবার ব্রাহ্মণরা খায় না তাতে ব্রহ্মণের জাত যায় অথচ এই শূদ্ররাই মুসলমান বাড়িতে ভাত খায় না জাত যাবে বলে। শূদ্ররা হিন্দু হওয়ার পরও তাদের ধর্মগ্রন্থ বেদ পড়ার অধিকার নাই। ব্রাহ্মণরা যা বলে তার উপরেই হৈ হৈ করে। জাত গেল জাত গেল করতে করতেই তারা দেশটাকে দুইভাগ করে বর্তমান সমস্যার সৃষ্টি করেছে। হিন্দু মুসলিম ধর্ম নিয়ে বলতে গেলে অনেক বলতে হয়। মন্তব্যে এতো কিছু বলা সম্ভব নয়।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.