![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........
ছোটবেলার সৃতিগুলো তেমন একটা মনে নেই , আসলে মনে থাকার মতো তেমন কিছু ঘটেইনি মনে থাকবে কি করে । তবে অগোছালো কিছু ঘটনা প্রতিনিয়তই সৃতির আঙ্গিনায় বিচরণ করে । একটা ছেলে ছিল নাম ছিল তার ইহসান , আমরা একসাথেই পড়া-লেখা করতাম , একসাথে খেলা-দুলা করতাম , বন্ধুও বলা যেতে পারে । ঐ সময় ছোট্ট ছিলাম তাই বন্ধুর অর্থ সম্পর্কে হয়তো অজ্ঞান ছিলাম তাই বল্লাম বন্ধুও বলা যেতে পারে । দারিদ্রতার দরুণ ছেলেটার হাত ছাফাই এর অভ্যাস ছিল । নিজের ঘর থেকে হোক আর অন্যের ঘর থেকে , হাত ছাফাইয়ের বেলায় কোন দিদাবোধ করত না । করবেই বা কিভাবে বোধ শক্তি কি খাক ছিল ? একদিন আমি ওর সাথে ওর এক বন্ধুর বাড়িতে যাই , সেখানে গিয়ে অনেকটা সময় একসাথে কার্টুন দেখি , ওর বন্ধুর বিভিন্ন রকমের খেলনা ছিল সেগুলো দিয়ে খেলি । এক পর্যায়ে আমাদের অজান্তেই ইহসান কিছু একটা নিয়ে ঘরের জানালা দিয়ে বাহিরে ফেলে দেয়, খেলা দুলার সমাপ্তিকালে যখন আমরা নিজ নিজ বাড়িতে যাওয়ার জন্য তাদের বাড়ি থেকে বের হই তখন ইহসান আমাকে নিয়ে ঐ জানালার সামনে আসে যেখানে বেচাড়া খেলনাগুলো ফেলেছিল । আমিতো ওর কাণ্ড দেখে পুড়োই অপ্রস্তুত, কিরে ইহসান এগুলো........ ইহসান বলল চুপ চুপ কাউকে বলবি না এগুলো দিয়ে আমরা একসাথে খেলব । আমি ওর থেকে একটু ছোট্ট ছিলাম তার মধ্যে আবার হাবা-গোবা , ও যা বুঝ দিল তা নিয়েই বাড়ি চলে গেলাম ।
কিছুদিন পর ইহসানের ঐ বন্ধু জানতে পেরে তার আম্মুর কাছে বলে, তার আম্মু ইহসানের বাড়িতে গিয়ে দিল বিচার ওর মার কাছে ওর মা ওকে জিজ্ঞেস করলে ও ওর অপকর্মের মধ্যে আমাকে আবিষ্কার করে , তারপর আসে আমার বাড়িতে বিচার , আমার বাবা তো এ কাহিনী শুনে পুড়োই অপ্রস্তুত , কিরে ইমন তুই...... আর শুরু হয়েগেলো গুরু দক্ষিনা , আমার বাবা দিতে দিতে কাহিল আর আমি নিতে নিতে অস্থির । শেষ পর্যন্ত ইহসানই কোথার থেকে যেন খেলনাগুলো বের করে ফেরত দিলো , মাঝখান দিয়ে আমি ব্যচাড়া মার খেয়ে একাকার । তারপর বাবা বল্লো ওর সাথে যেন আর না দেখি , দেখলে মার একটাও মাটিতে পড়বে না । আমারও এমন রাগ হলো ঠিক করলাম ওর সাথে আর খেলবো না । একদিন দেখি ইহসান অন্য ছেলেদের সাথে খেলছে , আমার তো ওর উপর আগে থেকেই খোব ওর জন্য বাবার কাছে মার খেয়েছি । আমি ওকে চোর চোর বলতে লাগলাম , কি করব ওকেতো আর মারা সম্ভব না কারণ আমি ওর থেকে ছোট , তাই চোর চোর বলেই কাজ চালাতে লাগলাম , ওই সময় ওর হাতে ছিল একটা খাতা সিলানোর ভোমড় ও রেগে মেগে ভোমরটা আমার বুক দিয়ে ঢুকিয়ে দিল , ঢুকিয়েই দিলো দৌড়........ আমিতো সেখানেই কাত , চিত্কার করে করে কাদঁছি , এলাকার এক আঙ্কেল দৌড়ে এসে দেখে এই অবস্থা , তিনি ভোমড়টা টেনে বেড় করার চেষ্টা করে , টান দেয়ার সময় ভোমড়ে সূতা বাঝানোড় জাগাটা আমার বুকের গোস্তের সাথে আটকে যায় । আর আমার কাদাঁ কে দেখে , আঙ্কেল সাহশ করে দেয় টান টেনে ভোমড়টা বুক থেকে বের করে । এর মধ্যে আমার বড় ভাই এসে আমাকে ডাঃ খানায় নিয়ে যায় ডাক্টার বুকের মধ্যে ব্যান্ডেজ করে দেয় । ডাক্টারকে সমস্যার কথা জিজ্ঞেস করলে উনি বলেন এখন কিছু হবে না তবে বড় হলে এর কারণে বুকে ব্যথা উঠতে পারে । এখন এমনিতে কোন ব্যথা অনুভব করি না তবে বেশি দৌড়ঝাপ করলে ব্যথাটা প্রচণ্ড আকাঁড়ে অনুভূত হয় ।
এখন কোন এক বুদ্ধিজিবীর কাব্যের সাথে এ ঘটনার মিল খুজে পাই ।
"সত্ সঙ্গে সর্গবাস, অসত্ সঙ্গে সর্বনাষ"
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২০
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: হুম কমই করি, তবে অবস্থার চাহিদা অনুযায়ি অনেক সময় করতে হয়, ধন্যবাদ লিখাটা পড়ার জন্য ।
২| ২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:১১
ফেরদৌসা রুহী বলেছেন: আহারে চোরেরে চোর কইতে গিয়ে তো আপনার অবস্থা খারাপ।
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ রাত ১০:৪৪
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: খারাপ মানে পুড়াই খারাপ, পড়ার জন্য ধন্যবাদ এমন লেখা সাধারণত মানুষ কমই পড়তে চায় ।
©somewhere in net ltd.
১|
২৫ শে নভেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০০
অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: দৌড়ঝাঁপ কম কইরেন না হলে ব্যথা বাড়বে কিন্তু