নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

......পরিচয়টা অপ্রকাশ্যই থাক.......

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ

......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলার জমিন থেকে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন উপড়ে ফেলা সময়েরদাবি।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:১২

দেশের অবস্থা ভালো নয়। কোথাও মানুষের নিরাপত্তা নেই, মানুষ আজ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে । একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও হতাহতের ঘটনা ঘটছে। মানুষের মধ্যে ভয়ভীতি দিনে দিনে বাড়ছে।
প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, সামনে অনেক বিপদ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমেরিকা জঙ্গি বানিয়ে এদেশে আসতে চায়। তাই আইএস’র নামে তারা ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং এর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, সরকারবিরোধী দেশ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। বাংলাদেশকে কোনো মতে অনিরাপদ ঘোষণা করা ও বাংলাদেশে আইএস আছে, জঙ্গি আছে, যদি এমন ধরনের কিছু স্বীকার করানো যায় তাহলে বাংলাদেশের ওপর তারা হামলা করতে পারে।
অতএব, দেশ ভালো আছে, এমন কথা বলার সুযোগ নেই।
বিস্ময়কর ব্যাপার হলো, একটি মহল সম্পূর্ণ নির্বিকার। মহলটি গান-বাজনা, সঙ্গীত ও নাটকে মেতে আছে।
তাদের আয়োজন কখনো লোকসঙ্গীত উৎসবের নামে, কখনো উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসবের নামে ভারতীয় শিল্পীদের ‘শো’ চলছে। এই মুহূর্তে রাজধানীর আর্মি স্টেডিয়ামে চলছে শাস্ত্রীয়সঙ্গীতের মহা-উৎসব। পাঁচ দিনের এই উৎসবে অংশগ্রহণকারী শিল্পীদের যে তালিকা পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে, তাতে দেখা গেছে, সবাই ভারতীয় শিল্পী । এই আয়োজনে একটি দিনও বাংলাদেশী শিল্পীদের জন্য রাখা হয়নি। অথচ কে না জানে, উপমহাদেশের উচ্চাঙ্গসঙ্গীতে বাংলাদেশীদের অবিস্মরণীয় অবদান রয়েছে। বিস্ময়ের আরও একটি দিক হলো, এসব অনুষ্ঠানে সরকারের প্রয়োজনীয় সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা দেয়া হচ্ছে। যখন ঘরে-বাইরে, পথে-ঘাটে মানুষ নিরাপত্তাহীন, যখন গণগ্রেফতার, গণতল্লাশি, বিশেষ করে মসজিদ-মাদ্রাসায় তল্লাশির নামে হয়রানি করা হচ্ছে, তখন উৎসবগুলোতে পূর্ণ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হচ্ছে। বিনা টিকিটের শ্রোতা দর্শকদের নিরাপত্তা দিতে রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে, যাতে মানুষের কষ্ট ও দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। ভারতীয় শিল্পীদের শো মানে, ভারতীয় সংস্কৃতির শো। এদেশে এমন কিছু সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা শিল্প, সাহিত্য সঙ্গীত, নৃত্য ও সংস্কৃতির নামে ভারতীয় সংস্কৃতির প্রসার ঘটাচ্ছে এবং যথারীতি সরকারী সহযোগিতাও পাচ্ছে । এরা এসব অনুষ্ঠানের জন্য অর্থ কোথায় পাচ্ছে সেটা একটা বড় প্রশ্ন এবং তার কোনো জবাব নেই। সংস্কৃতির মূল উৎস ধর্ম। সংস্কৃতি বিনির্মাণে ধর্ম সর্বাপেক্ষা প্রভাবক ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ ইসলাম ধর্মাবলম্বী হওয়ায় তাদের সংস্কৃতিতে ইসলামের প্রভাব সঙ্গতকারণেই বেশী। একই ভাবে ভারতে অধিকাংশ মানুষ হিন্দু ধর্মাবলম্বী হওয়ার কারণে তাদের সংস্কৃতিতে হিন্দু ধর্মের অধিক প্রভাব রয়েছে। ফলে দু’দেশের সংস্কৃতির পার্থক্য অনিবার্যভাবেই থাকবে এবং আছে। অবস্থাদৃষ্টে এটা স্পষ্ট, বাংলাদেশের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতিনীতির ওপর ভারতীয় ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও সামাজিক রীতিনীতি চাপিয়ে দেয়ার একটা অপতৎপরতা চলছে। একেই বলে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন। এই আগ্রাসন ঠেকাতে না পারলে আমাদের জাতীয় সাংস্কৃতি রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে।
বহুদিন ধরেই আমাদের দেশে নীরবে-কৌশলে ভারতীয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চলছে। দলে দলে ভারতের কবি-সাহিত্যিক, চিত্রশিল্পী, সঙ্গীত শিল্পী, চলচ্চিত্র, নাট্য ও নৃত্যশিল্পী আসছেন, শো করছেন, কাজ করছেন এবং পারিতোষিক নিয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
এটা বহু পুরনো কথা, যদি কোনো জাতিকে ধ্বংষ করতে হয়, তাহলে আগে তার সংস্কৃতিকে ধ্বংস করে দিতে হবে। কোনো জাতি তার ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও নীতি-আদর্শ হারালে তার রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রিক অস্তিত্ব থাকে না। আমাদের ওই রকম পরিণতি যাতে না হয়, সে জন্য অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। ভারতসহ সকল ভিনদেশী অপসংস্কৃতি প্রতিহত করার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। বাংলার জমিন থেকে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন উপড়ে ফেলা সময়েরদাবি। এ ব্যাপারে সরকার, রাজনৈতিক সংগঠন, শিল্পী-সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিসেবীদের এগিয়ে আসতে হবে। অন্যথায় আমাদের ধ্বংষ অনিবার্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:২১

বাংলার ফেসবুক বলেছেন: প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বলেছেন, সামনে অনেক বিপদ রয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, আমেরিকা জঙ্গি বানিয়ে এদেশে আসতে চায়। তাই আইএস’র নামে তারা ষড়যন্ত্র করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বয়ং এর আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বলেছেন, সরকারবিরোধী দেশ ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। বাংলাদেশকে কোনো মতে অনিরাপদ ঘোষণা করা ও বাংলাদেশে আইএস আছে, জঙ্গি আছে, যদি এমন ধরনের কিছু স্বীকার করানো যায় তাহলে বাংলাদেশের ওপর তারা হামলা করতে পারে।
অতএব, দেশ ভালো আছে, এমন কথা বলার সুযোগ নেই। @ ভাইসহমত । আসলে আমরা নিজের অবস্থান থেকে বিবেচনা করলেই দেশের অবস্থান কি বুঝতে পারবেন। দেশ ২ ভাগে ভাগ হইছে। একটা শাসক দল আর একনি নিযাতিত। এখন সময় এসেছে রুখে দাড়ানোর জন্য। নিজের পায়ে দাড়িয়ে নিজের অধিকার আদয় করতে হবে। যে যেখানে আছেন সেখান থেকেই আধিকার অদায়ের জন্য করণীয় কাজ গুলি করে যান।

৩০ শে নভেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:৩৩

মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ভাই, ধন্যবাদ ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.