![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
......... ”ক্ষুদ্র করো না হে প্রভু আমার হৃদয়ের পরিসর, যেন সম ঠাঁই পায় শত্রু-মিত্র-পর .........
একদা এক যুবক ছেলের খুব ক্ষুধা লাগল । সে খাবারের খোঁজে বেড় হলো কিন্তু কোথাও খাবার পেলোনা এবং দুর্ভাগ্যবসত কেউ তাকে খাবারও দিলো না । তাই সে সহ্য করতে না পেরে এক ব্যক্তির বাগান থেকে একটি আপেল না বলে খেয়ে নিলো । পরবর্তীতে ছেলেটি তার কর্মের জন্য লজ্জিত হলো এবং ওই বাগানের মালিকের নিকট ক্ষমা চাইতে দৌড়ে গেল ।
কিন্তু মালিক তাকে ক্ষমা করবেনা বলে জানিয়ে দিলো এবং বিচার দিবসে আল্লাহর নিকট এর ফয়সালার দাবি করলো ।
যুবকটি বিনীত সুরে বারবার তাকে ক্ষমা করার অনুরোধ করলো । কিন্তু মালিক বারবার অস্বীকৃতি জানালো ।
এক পর্যায়ে মালিক বাসার ভেতরে চলে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিলো । কিন্তু যুবকটি মালিক বাসা থেকে বেড় হওয়ার আগ পর্যন্ত বাসার সামনে দাড়িয়ে রইল । এক পর্যায়ে মালিক বেড় হলে সে আবার ক্ষমা করে দেওয়ার অনুরোধ করতে থাকলো ।
এবার মালিক রাজি হলো । কিন্তু একটি শর্ত জুড়ে দিলো । আর তা হলো তার মেয়েকে বিয়ে করতে হবে । আর এতে যুবকটি খুশি হয়ে গেলো ।
কিন্তু মালিক তাকে জানালো তার মেয়ে অন্ধ, বধির, বোবা এবং অকেজো । আর যদি তার এই মেয়েকে বিয়ে না করে সে তাকে ক্ষমা করবে না ।
আর এতে যুবকটি খুব হতাশ হলো । কিন্তু তার পাপ থেকে ক্ষমা পাওয়ার জন্য বিয়েতে রাজি হলো ।
কিন্তু যুবকটি বিয়ের পর ঐ মেয়েকে দেখে আশ্চর্য হলেন । কারণ মেয়েটি ছিলো তার পিতার দেওয়া বর্ণনার বিপরীত ।
তখন যুবকটি তার স্ত্রীকে জিজ্ঞেস করলো, তোমার সম্পর্কে তোমার পিতা এমন বর্ণনা করলেন কেন ?
সে (মেয়েটি) বললো, আমার পিতা অনেকদিন যাবত আমার জন্য ভালো ছেলে খুঁজতে ছিলেন । কিন্তু খুঁজে পাচ্ছিলেন না । তাই আপনার আল্লাহভীতি দেখে আপনাকে পরীক্ষা করার জন্য এরকম করেছিলেন । আর আমি অন্ধ ঠিকই, তবে হারাম দৃষ্টি থেকে; আমি বধির ঠিকই, তবে হারাম কথা শোনা থেকে; আমি বোবা ঠিকই, তবে হারাম বলা থেকে এবং আমি অকেজো ঠিকই, তবে হারাম কর্ম থেকে ।
'সুবাহান আল্লাহ'
----------------------------
শিক্ষাঃ
* মানুষের হক্ব নষ্ট করার সাথে জড়িত পাপের ক্ষমা মানুষ থেকেই নিতে হয় ।
* আল্লাহ তার প্রিয় বান্দার (ছেলে/মেয়ের) জন্য আরেক প্রিয় বান্দা (মেয়ে/ছেলে) নির্ধারণ করে রাখেন । আর আল্লাহর নিকট প্রিয় হওয়ার একটি বড় উপায় নিজেকে হারাম কর্ম থেকে দূরে রাখা ।
"আল্লাহ তা'আলা আমাদের সবাইকে হারাম কাজ থেকে বেচে থাকার তাওফিক দান করুণ, আমিন, সুম্মা আমিন ।।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:২৪
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: জ্বি ভাই এটা বাস্তব ঘটনা।.....
২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৩৮
অভ্রনীল হৃদয় বলেছেন: সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৪
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ...
৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:৫৬
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: আপনি অর্ধেক টুকু বল্লেন এবং কিছূটা ভিন্নতা দিয়ে
ঐ ছেলেটি বাগদাদে বসবাস করত। ঐ বছর সেখানে দুর্ভিক্ষ চলছিল। এবং অনাহারে প্রায় ৩/৭ দিন কাটানোর পর একদিন নদীতে একটা আপেল ভেসে যেতে দেখে ক্ষুধায় দ্রুত তা তুলে খেয়ে ফেলেন। পলে মনে অনুশোচনা এলে নদী ধরে এগিয়ে গিয়ে বাড়ীর সন্ধান পান। এবং এই না বলে খাবার জণ্য অনুশোচনা প্রকাশ করে ক্ষমা চান।
বাড়ী মালিক ১২ বছর গোলামীর শর্তে ক্ষমা করতে রাজী হয়।
১২ বছর পার হলে শেষে ঐ উক্ত শর্ত জুড়ে দেন। এবং বিয়ের পর তিনি বাসর ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসেছিলেন। মেয়ের পিতা তাকে বেরিয়ে আসার করাণ জানতে চাইরে বরেন- আপনি যেরকম মেয়ের সাথে বিয়ে দিয়েছেন ঘরেতো সেই মেয়ে নেই। অন্য নারী বসে আছে। তাই আমি দৌড়ে বেরিয়ে এসেছি। বাকী ব্যাখ্যা কাছাকাছি।
আর তিনি অন্য কেউ নন গাউসে পাক বড়পীর হয়রত আবদুল কাদের জিলানীর সম্মানীত পিতা হয়রত আবু সালেহ মূসা আল হাসানী রহ: এবং সেই পূন্যবতী নারী ছিলেন উম্মুল খায়ের ফাতিমা রহ:
ভাল থাকুন।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৩৬
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: ধন্যবাদ জানিয়ে দেয়ার জন্য, আমার জানা ছিল না ।
৪| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৮:১২
প্রামানিক বলেছেন: এ ঘটনা তো বাগদাদের বড় পীর আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর বাবা মায়ের কাহিনী এবং বাস্তব কাহিনী।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪০
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: জ্বি ভাই...
৫| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ৯:৪৫
ধমনী বলেছেন: ভৃগু ভাই বলে দিয়েছেন। বর্ণনাকে এতটা সংক্ষেপ করা উচিত নয়, যা কাহিনীকেই হত্যা করে।
০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:৪৫
মুহাম্মদ তারেক্ব আব্দুল্লাহ বলেছেন: মূল ঘটনাটি আমার জানা ছিল না, আর আমার মূল উদ্দেশ্য ছিল এটা থেকে যে শিক্ষাটা অনুধাবন করা যায় সেটাকে শেয়ার করা।
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫
মোঃ আবু সিয়াম বলেছেন: যতদূর জানি এটা বাস্তব।