নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বাস হচ্ছে ভালবাসার শক্তি

স্বপ্নীল আমি

স্বপ্নীল আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

হায়রে!!!! আমার দেশ

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫২

(আমার দেশ পত্রিকা র আজকের শিরোনাম ছিলো এই টি...................

শাহবাগিদের কারণে রাস্তা বন্ধ দুর্ভোগ চরমে : চার হাসপাতালের রোগীদের কষ্ট, রূপসী বাংলায় লালবাতি : ফুল ব্যবসা, নিউ মার্কেট ও আজিজ মার্কেটে ব্যবসায় ধস)

পড়ে দেখুন তাহলে বুজতে পারবেন মান হানি কাকে বলে ?????









কথিত গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তার নামে টানা ৪১ দিন শাহবাগের সবক’টি সড়ক বন্ধ রেখেছে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ থাকায় ভয়াবহ যানজট আর দুর্ভোগে পড়েছেন সব স্তরের মানুষ। বারডেম, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক, বিএসএসএমইউ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের রোগীদের বিড়ম্বনা এখন চরমে। লালবাতি জ্বলছে দেশের অন্যতম প্রধান পাঁচতারকা হোটেল রূপসী বাংলায় (শেরাটন)। ধস নেমেছে শাহবাগে ফুলের বাজার, আজিজ সুপার মার্কেট, এলিফেন্ট রোড ও কাঁটাবন মার্কেট এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে। সদস্য যাওয়া কমেছে ঢাকা ক্লাবেও। আর বাংলা একাডেমীর এবারের বইমেলা তো আগেই মার খেয়েছে। এত কিছুর পরও পুলিশ শাহবাগের রাস্তাগুলো খুলে দিচ্ছে না; বরং নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ করে রেখেছে সব সড়ক। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নাশকতারোধে তারা কাজ করছেন। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। রাস্তা খুলে দিতে সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী নোটিশ পাঠিয়েছেন, তারও কোনো জবাব দেয়নি পুলিশ।

বেশ কয়েক দিন থেকে অবস্থা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহবাগে ব্লগারদের ব্যানারে সমাবেশ শুরু হয়। প্রথম দিকে ওই সমাবেশে স্বল্পসংখ্যক উপস্থিতি থাকলেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও মিডিয়ার একচেটিয়া প্রচারে সেখানে জনসমাগম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আন্দোলনের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়ায় ধীরে ধীরে সেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মহাজোটভুক্ত কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কথিত গণজাগরণ মঞ্চের অনেকেই এখন একঘরে হয়ে পড়েছেন। কমেছে জনসমাগম। এরপরও পুলিশ তাদের নিরাপত্তার নামে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। পূর্বে মত্স্য ভবন, পশ্চিমে কাঁটাবন মোড়, উত্তরে রূপসী বাংলা ক্রসিং এবং দক্ষিণে টিএসসি মোড় পর্যন্ত বিশাল এলাকার সবক’টি সড়কের প্রবেশমুখে তারকাঁটার ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে; মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ। মূল মঞ্চের দু’দিকে ফের ব্যারিকেড দিয়ে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে মিরর। চলছে আগন্তকদের দেহতল্লাশি। মত্স্য ভবনের দিক থেকে কাঁটাতারের পর আবার কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে শিশুপার্কের সামনে। এছাড়া শাহবাগ চৌরাস্তায় তো বেড়ি আছেই। চার-পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে থাকা সমাবেশে শাহবাগে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাকরাইল, পল্টন, নয়াপল্টন, শান্তিনগর, বেইলী রোড, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, ইস্কাটন রোড, বাংলামোটর, পান্থপথ, কারওয়ানবাজার, সোনারগাঁও ক্রসিং, সোনারগাঁও রোড, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড, নীলক্ষেত, বকশীবাজার, হোসনীদালান, বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট এলাকার সড়কগুলো তীব্র যানজটে স্থবির থাকছে। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও ভয়াবহ যাজনট লেগে থাকে। এসব এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন রুটের গাড়িগুলো চলতে হচ্ছে ভিন্ন রাস্তায়। এতে ওইসব সড়কে পড়ছে বাড়তি চাপ। আর এ চাপ মোকাবিলায় চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

শাহবাগের সমাবেশের কারণে ঢাকার বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে যাতায়াতকারী রোগী ও ছাত্রছাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন।

সাধারণ মানুষ বলছেন, এ অবস্থা সভ্য কোনো দেশে চলতে পারে না। আন্দোলনের নামে আর কতদিন রাস্তা বন্ধ রাখা হবে। ঢাকার সেগুনবাগিচার বাসিন্দা আলী আহাম্মদ বলেন, এখনকি জনদুর্ভোগ হচ্ছে না! অথচ শুক্রবার মুসল্লিরা জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে চাইলেই পুলিশ গুলি শুরু করে। এখানে পুলিশ তাদের তুলে দিচ্ছে না কেন।

নিউ এলিফ্যান্ট রোডের শওকত ভবনের ব্যবসায়ী মোর্শেদ আহমেদ জানান, শাহবাগে রাস্তা বন্ধের কারণে ক্রেতারা মার্কেটে যাচ্ছেন না বললেই চলে। এতে তাদেরও বেচাকেনা শূন্যের কোটায়। সানজরি জরি হাউসের একজন স্টাফ জানান, দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতেই ভয় পাচ্ছেন; ব্যবসা হবে কী করে।

ঢাকার বিজয়নগরের ব্যবসায়ী শাহ সুফি জানান, শাহবাগের সমাবেশের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্য তাদের বেচাবিক্রি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। সারাদিনে কোনো কোনো দোকান বউনিও করতে পারে না। পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত গাজীভবন ও পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের মদতে টানা সমাবেশ করতে থাকায় দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে ঢাকার বাইরে থেকে পাইকাররা আসছেন না; তাই শপিংমলগুলোয়ও বেচাকেনা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

কথিত গণজাগরণ মঞ্চের কারণে তাজা ফুলের সবচেয়ে বড় আড়ত শাহবাগের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। এখন কেউ সেখানে বিয়ের গাড়ি সাজাতে যায় না। বিক্রেতারা সারাদিন অলস সময় কাটান। ভরা মৌসুম হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা বসে আছেন মাথায় হাত দিয়ে। ফুলকলি ফুলঘর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শফিক জানান, আগে যেখানে দিনে গড়ে এক-দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতেন, এখন ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। শাহবাগ ফুলের আড়তের ব্যবসায়ী তসলিম উদ্দিন জানান, রাস্তা বন্ধ থাকায় পাইকাররা যেমন আসেন না, তেমনি ক্রেতাও নেই। এতে মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে।

ঢাকার অন্যতম বিলাসবহুল পাঁচতারকা হোটেল রূপসী বাংলা—এ হোটেলের ব্যবসায় এখন লালবাতি জ্বলছে। গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকায় কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি। রিসিপশন থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র দুই মাস আগেও হোটেল অগ্রিম সিট বুকিং না দিলে রুম পাওয়া যেত না। এখন সেখানে চলছে অতিথির খরা। কোনো কোনো ফ্লোরে এক-দুটো কক্ষে বোর্ডার আছেন। অধিকাংশ কক্ষ ফাঁকা থাকছে। শেরাটনের রেস্টুরেন্টগুলোর ব্যবসাতেও ধস নেমেছে। এতে বড় লোকসান গুনতে হবে এ হোটেলটিরও।

আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা, তার ওপর ৪১ দিনের আন্দোলন তাদের ব্যবসায় ধস নামিয়ে দিয়েছে। শ্রাবণ প্রকাশনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, শাহবাগের আন্দোলনের কারণে এবার বইমেলায় চরম মন্দা গেছে। এখনও ক্রেতারা মার্কেটে যাচ্ছেন না রাস্তা বন্ধ থাকায়। এ অবস্থায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার অবস্থা হয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে তরুণদের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জাগরণ সমাবেশ হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ওই রাতেই মিরপুরে খুন হয় রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা নামে এক ব্লগার। ওই রাতেই ফের ঘোষণা দেয়া হয় ২৪ ঘণ্টা আন্দোলন চলানোর। আন্দোলনের ১৭তম দিনে সারাদিনের পরিবর্তে শুধু বিকালে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়।

কয়েক দিন থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সারাদিনই প্রজন্ম চত্বর থাকছে সুনসান নীরব। বিকালের দিকে ইমরানসহ কয়েকজন সেখানে যান। সঙ্গে থাকেন ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এক-দেড়শ’ লোকের জমায়েত হয় সেখানে। উপস্থিত জনতার চেয়েও পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দারাই থাকে বেশি। আর ওই সমাবেশ কভারেজ করার জন্য বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন থেকে যান শতাধিক সাংবাদিক।

জানা গেছে, প্রায় ৪১ দিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করলেও পুলিশ কখনোই তাদের রাস্তা থেকে তুলে দেয়নি; বরং পুলিশ কন্ট্রোলরুম খুলে, সিসিটিভি বসিয়ে সেটি পাহারা দিচ্ছে। এরই মধ্যে একজন আইজীবী রাস্তা বন্ধ রাখার বৈধতা বিষয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছেন।

শাহবাগের রাস্তা খুলে দিতে সরকারকে আইনগত নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহবাগ চত্বর জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, যোগাযোগ সচিব, পুলিশের আইজি, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি), শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ডাক মারফত ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের নিশ্চয়তা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা ঢাকা মহানগর পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশের পরিপন্থী। শাহবাগ এলাকার চারপাশে বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, জাতীয় জাদুঘর, শিশুপার্ক, ঢাকা ক্লাব, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্যমান। প্রতিদিন এ রাস্তা বন্ধ থাকায় অফিসগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এবং জরুরি চিকিত্সার জন্য যাওয়া রোগীরা চিকিত্সাসেবা নিতে পারছেন না।

অপর এক আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ জানান, শাহবাগের সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। যেহেতু সমাবেশের অনুমতি নেয়া হয়নি, তাই সেটি বেআইনি; সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিও বেআইনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের উচিত, স্বীয় ক্ষমতাবলে এ সমাবেশ তুলে দেয়া। তিনি আরও বলেন, পেনাল কোডের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী এ বেআইনি সমাবেশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সরকারের আকুণ্ঠ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতায় থাকায় এসব বেআইনি সমাবেশের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনই নেয়া হচ্ছে না; বরং দিনকে দিন জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

শাহবাগে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তা দবিরুল ইসলাম বলেন, গণজাগরণ মঞ্চে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নাশকতারোধে তারা শাহবাগে অবস্থান করছেন। শাহবাগ এলাকা এবং গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তার স্বার্থে এ এলাকায় যানচলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। যে সময়ে সমাবেশ থাকছে না, ওই সময় সীমিত আকারে একমুখী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় বলে তিনি জানান।

শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাহবাগে কিছু সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখে কিছু সড়ক মাঝে মধ্যে খুলে দেয়া হচ্ছে। গতকালও একটি সড়ক খোলা ছিল। ওসি আরও জানান, পুরো শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আগের তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকে যুক্ত হয় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সন্দেহভাজনদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও গোয়েন্দা মোতায়েন রয়েছে শাহবাগে।কথিত গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তার নামে টানা ৪১ দিন শাহবাগের সবক’টি সড়ক বন্ধ রেখেছে পুলিশ। গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো বন্ধ থাকায় ভয়াবহ যানজট আর দুর্ভোগে পড়েছেন সব স্তরের মানুষ। বারডেম, ইব্রাহিম কার্ডিয়াক, বিএসএসএমইউ ও ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের রোগীদের বিড়ম্বনা এখন চরমে। লালবাতি জ্বলছে দেশের অন্যতম প্রধান পাঁচতারকা হোটেল রূপসী বাংলায় (শেরাটন)। ধস নেমেছে শাহবাগে ফুলের বাজার, আজিজ সুপার মার্কেট, এলিফেন্ট রোড ও কাঁটাবন মার্কেট এলাকার ব্যবসা-বাণিজ্যে। সদস্য যাওয়া কমেছে ঢাকা ক্লাবেও। আর বাংলা একাডেমীর এবারের বইমেলা তো আগেই মার খেয়েছে। এত কিছুর পরও পুলিশ শাহবাগের রাস্তাগুলো খুলে দিচ্ছে না; বরং নিরাপত্তার অজুহাতে বন্ধ করে রেখেছে সব সড়ক। এ বিষয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য হচ্ছে, গণজাগরণ মঞ্চে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নাশকতারোধে তারা কাজ করছেন। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা দিচ্ছেন। রাস্তা খুলে দিতে সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী নোটিশ পাঠিয়েছেন, তারও কোনো জবাব দেয়নি পুলিশ।

বেশ কয়েক দিন থেকে অবস্থা পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, ট্রাইব্যুনালে জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়ার পর গত ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকার শাহবাগে ব্লগারদের ব্যানারে সমাবেশ শুরু হয়। প্রথম দিকে ওই সমাবেশে স্বল্পসংখ্যক উপস্থিতি থাকলেও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও মিডিয়ার একচেটিয়া প্রচারে সেখানে জনসমাগম বৃদ্ধি পায়। কিন্তু আন্দোলনের স্বরূপ উন্মোচিত হওয়ায় ধীরে ধীরে সেখানে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ বন্ধ হয়ে গেছে। এখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও মহাজোটভুক্ত কিছু ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ হয়ে পড়েছে। কথিত গণজাগরণ মঞ্চের অনেকেই এখন একঘরে হয়ে পড়েছেন। কমেছে জনসমাগম। এরপরও পুলিশ তাদের নিরাপত্তার নামে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বন্ধ করে রেখেছে। পূর্বে মত্স্য ভবন, পশ্চিমে কাঁটাবন মোড়, উত্তরে রূপসী বাংলা ক্রসিং এবং দক্ষিণে টিএসসি মোড় পর্যন্ত বিশাল এলাকার সবক’টি সড়কের প্রবেশমুখে তারকাঁটার ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে; মোতায়েন করা হয়েছে কয়েক হাজার পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দা পুলিশ। মূল মঞ্চের দু’দিকে ফের ব্যারিকেড দিয়ে বসানো হয়েছে আর্চওয়ে মিরর। চলছে আগন্তকদের দেহতল্লাশি। মত্স্য ভবনের দিক থেকে কাঁটাতারের পর আবার কাঁটাতারের ব্যারিকেড দেয়া হয়েছে শিশুপার্কের সামনে। এছাড়া শাহবাগ চৌরাস্তায় তো বেড়ি আছেই। চার-পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনীর ভেতরে থাকা সমাবেশে শাহবাগে দীর্ঘদিন থেকে রাস্তা বন্ধ থাকায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট কাকরাইল, পল্টন, নয়াপল্টন, শান্তিনগর, বেইলী রোড, মালিবাগ, মৌচাক, মগবাজার, ইস্কাটন রোড, বাংলামোটর, পান্থপথ, কারওয়ানবাজার, সোনারগাঁও ক্রসিং, সোনারগাঁও রোড, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড, মিরপুর রোড, নীলক্ষেত, বকশীবাজার, হোসনীদালান, বিশ্ববিদ্যালয়, গুলিস্তান, প্রেস ক্লাব, হাইকোর্ট এলাকার সড়কগুলো তীব্র যানজটে স্থবির থাকছে। এমনকি ছুটির দিনগুলোতেও ভয়াবহ যাজনট লেগে থাকে। এসব এলাকা দিয়ে যাতায়াতকারী বিভিন্ন রুটের গাড়িগুলো চলতে হচ্ছে ভিন্ন রাস্তায়। এতে ওইসব সড়কে পড়ছে বাড়তি চাপ। আর এ চাপ মোকাবিলায় চরম বিড়ম্বনা পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে।

শাহবাগের সমাবেশের কারণে ঢাকার বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের চিকিত্সা কার্যত ভেঙে পড়েছে। ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন হাসপাতালের রোগী ও তাদের স্বজনরা। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসাতালে যাতায়াতকারী রোগী ও ছাত্রছাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়েছেন।

সাধারণ মানুষ বলছেন, এ অবস্থা সভ্য কোনো দেশে চলতে পারে না। আন্দোলনের নামে আর কতদিন রাস্তা বন্ধ রাখা হবে। ঢাকার সেগুনবাগিচার বাসিন্দা আলী আহাম্মদ বলেন, এখনকি জনদুর্ভোগ হচ্ছে না! অথচ শুক্রবার মুসল্লিরা জুমার নামাজের পর মিছিল বের করতে চাইলেই পুলিশ গুলি শুরু করে। এখানে পুলিশ তাদের তুলে দিচ্ছে না কেন।

নিউ এলিফ্যান্ট রোডের শওকত ভবনের ব্যবসায়ী মোর্শেদ আহমেদ জানান, শাহবাগে রাস্তা বন্ধের কারণে ক্রেতারা মার্কেটে যাচ্ছেন না বললেই চলে। এতে তাদেরও বেচাকেনা শূন্যের কোটায়। সানজরি জরি হাউসের একজন স্টাফ জানান, দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসতেই ভয় পাচ্ছেন; ব্যবসা হবে কী করে।

ঢাকার বিজয়নগরের ব্যবসায়ী শাহ সুফি জানান, শাহবাগের সমাবেশের পক্ষে-বিপক্ষে উত্তেজনাকর পরিস্থিতির জন্য তাদের বেচাবিক্রি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। সারাদিনে কোনো কোনো দোকান বউনিও করতে পারে না। পাইকারি বাজার হিসেবে পরিচিত গাজীভবন ও পলওয়েল মার্কেটের ব্যবসায়ীরা বলেন, সরকারের মদতে টানা সমাবেশ করতে থাকায় দেশে একটি শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এতে ঢাকার বাইরে থেকে পাইকাররা আসছেন না; তাই শপিংমলগুলোয়ও বেচাকেনা শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে।

কথিত গণজাগরণ মঞ্চের কারণে তাজা ফুলের সবচেয়ে বড় আড়ত শাহবাগের ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নেমেছে। এখন কেউ সেখানে বিয়ের গাড়ি সাজাতে যায় না। বিক্রেতারা সারাদিন অলস সময় কাটান। ভরা মৌসুম হওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা বসে আছেন মাথায় হাত দিয়ে। ফুলকলি ফুলঘর নামে একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী শফিক জানান, আগে যেখানে দিনে গড়ে এক-দেড় লাখ টাকার ফুল বিক্রি করতেন, এখন ১০ হাজার টাকাও বিক্রি হয় না। শাহবাগ ফুলের আড়তের ব্যবসায়ী তসলিম উদ্দিন জানান, রাস্তা বন্ধ থাকায় পাইকাররা যেমন আসেন না, তেমনি ক্রেতাও নেই। এতে মার্কেট বন্ধ করে দেয়ার উপক্রম হয়েছে।

ঢাকার অন্যতম বিলাসবহুল পাঁচতারকা হোটেল রূপসী বাংলা—এ হোটেলের ব্যবসায় এখন লালবাতি জ্বলছে। গতকাল সরকারি ছুটির দিন থাকায় কর্মকর্তাদের পাওয়া যায়নি। রিসিপশন থেকে জানানো হয়েছে, মাত্র দুই মাস আগেও হোটেল অগ্রিম সিট বুকিং না দিলে রুম পাওয়া যেত না। এখন সেখানে চলছে অতিথির খরা। কোনো কোনো ফ্লোরে এক-দুটো কক্ষে বোর্ডার আছেন। অধিকাংশ কক্ষ ফাঁকা থাকছে। শেরাটনের রেস্টুরেন্টগুলোর ব্যবসাতেও ধস নেমেছে। এতে বড় লোকসান গুনতে হবে এ হোটেলটিরও।

আজিজ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ীরা জানান, অর্থনৈতিক মন্দার কারণে এমনিতেই ব্যবসায় মন্দা, তার ওপর ৪১ দিনের আন্দোলন তাদের ব্যবসায় ধস নামিয়ে দিয়েছে। শ্রাবণ প্রকাশনীর নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, শাহবাগের আন্দোলনের কারণে এবার বইমেলায় চরম মন্দা গেছে। এখনও ক্রেতারা মার্কেটে যাচ্ছেন না রাস্তা বন্ধ থাকায়। এ অবস্থায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার অবস্থা হয়েছে।

গণজাগরণ মঞ্চের মিডিয়া সেল সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে শাহবাগের প্রজন্ম চত্বরে তরুণদের নেতৃত্বে আন্দোলন চলছে। ৮ ফেব্রুয়ারি মহাসমাবেশ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি জাগরণ সমাবেশ হয়েছে। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি সমাবেশে আন্দোলনকারীরা ঘোষণা দেন, বিকাল ৩টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ওই রাতেই মিরপুরে খুন হয় রাজীব হায়দার ওরফে থাবা বাবা নামে এক ব্লগার। ওই রাতেই ফের ঘোষণা দেয়া হয় ২৪ ঘণ্টা আন্দোলন চলানোর। আন্দোলনের ১৭তম দিনে সারাদিনের পরিবর্তে শুধু বিকালে সমাবেশ করার ঘোষণা দেয়া হয়।

কয়েক দিন থেকে সরেজমিনে দেখা গেছে, সারাদিনই প্রজন্ম চত্বর থাকছে সুনসান নীরব। বিকালের দিকে ইমরানসহ কয়েকজন সেখানে যান। সঙ্গে থাকেন ছাত্র ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা। এক-দেড়শ’ লোকের জমায়েত হয় সেখানে। উপস্থিত জনতার চেয়েও পুলিশ, র্যাব ও গোয়েন্দারাই থাকে বেশি। আর ওই সমাবেশ কভারেজ করার জন্য বিভিন্ন পত্রিকা ও টেলিভিশন থেকে যান শতাধিক সাংবাদিক।

জানা গেছে, প্রায় ৪১ দিন ধরে রাস্তায় অবস্থান করলেও পুলিশ কখনোই তাদের রাস্তা থেকে তুলে দেয়নি; বরং পুলিশ কন্ট্রোলরুম খুলে, সিসিটিভি বসিয়ে সেটি পাহারা দিচ্ছে। এরই মধ্যে একজন আইজীবী রাস্তা বন্ধ রাখার বৈধতা বিষয়ে উকিল নোটিশ দিয়েছেন।

শাহবাগের রাস্তা খুলে দিতে সরকারকে আইনগত নোটিশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের একজন আইনজীবী একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া। নোটিশপ্রাপ্তির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শাহবাগ চত্বর জনসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি। অন্যথায় উচ্চ আদালতে আইনের আশ্রয় নেয়া হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে। জনসাধারণের চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার প্রেক্ষাপটে সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্র সচিব, যোগাযোগ সচিব, পুলিশের আইজি, র্যাবের মহাপরিচালক (ডিজি), ঢাকা সিটি করপোরেশন দক্ষিণের প্রশাসক, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি), শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) ডাক মারফত ওই নোটিশ পাঠানো হয়।

অ্যাডভোকেট একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া সাংবাদিকদের জানান, মানুষের স্বাভাবিক চলাচলের নিশ্চয়তা সংবিধান স্বীকৃত অধিকার। সংবিধানের ৩৬ অনুচ্ছেদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রের প্রতিটি নাগরিকের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের সাংবিধানিক দায়িত্ব। সরকার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করা ঢাকা মহানগর পুলিশ অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালের অধ্যাদেশের পরিপন্থী। শাহবাগ এলাকার চারপাশে বারডেম হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতাল, জাতীয় জাদুঘর, শিশুপার্ক, ঢাকা ক্লাব, কেন্দ্রীয় পাবলিক লাইব্রেরিসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বিদ্যমান। প্রতিদিন এ রাস্তা বন্ধ থাকায় অফিসগামী যাত্রীরা চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন এবং জরুরি চিকিত্সার জন্য যাওয়া রোগীরা চিকিত্সাসেবা নিতে পারছেন না।

অপর এক আইনজীবী অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ জানান, শাহবাগের সমাবেশ শুরুর আগে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাছ থেকে কোনো ধরনের অনুমতি নেয়া হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। যেহেতু সমাবেশের অনুমতি নেয়া হয়নি, তাই সেটি বেআইনি; সেখানে জনদুর্ভোগ সৃষ্টিও বেআইনি। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারের উচিত, স্বীয় ক্ষমতাবলে এ সমাবেশ তুলে দেয়া। তিনি আরও বলেন, পেনাল কোডের ১৪৩ ধারা অনুযায়ী এ বেআইনি সমাবেশ করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু সরকারের আকুণ্ঠ সমর্থন ও সব ধরনের সহযোগিতায় থাকায় এসব বেআইনি সমাবেশের বিরুদ্ধে কোনো অ্যাকশনই নেয়া হচ্ছে না; বরং দিনকে দিন জনদুর্ভোগ বাড়িয়ে দেয়া হচ্ছে।

শাহবাগে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালনরত পুলিশ কর্মকর্তা দবিরুল ইসলাম বলেন, গণজাগরণ মঞ্চে হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই নাশকতারোধে তারা শাহবাগে অবস্থান করছেন। শাহবাগ এলাকা এবং গণজাগরণ মঞ্চের নিরাপত্তার স্বার্থে এ এলাকায় যানচলাচল বন্ধ রাখা হচ্ছে। যে সময়ে সমাবেশ থাকছে না, ওই সময় সীমিত আকারে একমুখী যানবাহন চলাচলের অনুমতি দেয়া হয় বলে তিনি জানান।

শাহবাগ থানার ওসি সিরাজুল ইলাম জানান, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে শাহবাগে কিছু সড়ক বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপরও জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় রেখে কিছু সড়ক মাঝে মধ্যে খুলে দেয়া হচ্ছে। গতকালও একটি সড়ক খোলা ছিল। ওসি আরও জানান, পুরো শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসটি পর্যন্ত নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে। আগের তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়ে ককটেল বিস্ফোরণের পর থেকে যুক্ত হয় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। আর্চওয়ে ও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে সন্দেহভাজনদের ব্যাগ ও দেহ তল্লাশি করা হচ্ছে বলে জানান তিনি। পুলিশের সঙ্গে র্যাব ও গোয়েন্দা মোতায়েন রয়েছে শাহবাগে।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ৯:৫৮

ত্রিকোণ বলেছেন: টানা ১মাসের বেশী একটা রাস্তা আন্দোলনের নামে বন্ধ করা কি সমর্থন যোগ্য?

আপনার উওর যদি না হয় তাহলে আপনার চুলকানীর কারণ বলবেন।

আর যদি উওর হ্যা হয় তাহলে আপনাকে কিছু বলার নাই।

২| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০১

টাইম পাস বলেছেন:

৩| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:০৬

টাইম পাস বলেছেন: এটা আমার মত প্রকাশের স্বাধীনতা

৪| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১০:৩৩

বিকারগ্রস্থ মস্তিস্ক বলেছেন:

ঢাকায় থাকেন তো ? ঘুড়ে আসুন কাল অথবা পরশু -

শাহাবাগ থেকে -

৫| ১৮ ই মার্চ, ২০১৩ রাত ১১:১১

আশিকুর রহমান ১ বলেছেন: ভাইজান আপনাদের না শপথ করাইছে রাজাকারের পত্রিকা আমার দেশ কখনো না পড়ার জন্য? এক মাস না যাইতেই ভুইলা গেলেন? যাদের শপথ এরই ঠিক নাই তারা করবো দেশ উদ্ধার! ব্যপক বিনুদিত হইলাম। ;)

৬| ১৯ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১০

স্বপ্নীল আমি বলেছেন: আশিকুর রহমান ১.ভালো.কাক ভালো কিছু দেখলেও কাকা ,খারাপ দেখলেও কিছু দেখলেও কাকা
ইংরেজি তে একটা pharse & idioms আছে ......IDIOTS BLUFFING AT EVERY TIME

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.