নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

বিশ্বাস হচ্ছে ভালবাসার শক্তি

স্বপ্নীল আমি

স্বপ্নীল আমি › বিস্তারিত পোস্টঃ

এটা কি ঠিক ????

১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪১

১২ এপ্রিল ২০১৩, শুক্রবার।

সকাল ৯টার খানিক বাদ...

ভাই...

আল্লাহ্-র-ওয়াস্তে মাদ্রাসার জন্য কিছু দান করেন...

চোখ তুলে তাকাতেই বাচ্চাগুলো ভয় পেলো।

কে পাঠিয়েছে প্রশ্ন..?

আমাদের হুজুর ফাটাইছে।

কেন পাঠিয়েছে...?

আল্লাহ্'র কথা বলে টাকা আনতে ফাটাইছে...

কোন মাদ্রাসার ছাত্র...?

হাফিজিয়া মাদ্রাসার ছাত্র।



অত্যান্ত ভয়ে আছে যেন বাচ্চাগুলো। আমি হাঁসি মাখা কন্ঠে কথা বলার আগে দু'জন দৌড়ে পালিয়ে গেলো। বাকী চার জনকে বন্ধুর মত করে কথাবার্ত বলতে শুরু করি...

নাস্তা খেয়েছে তোমরা...?

উত্তরে হ্যাঁ পাওয়া গেলো। তাদের সাথে হাসতে থাকি। কথা বলতে থাকি। তাদের ভয় কাটিয়ে তোলার চেষ্টা করি।

তোমার নাম কি...?

মো. জুবায়ের হোসেন, পিতা- কামাল, নিমসার, কুমিল্লায় বাড়ী। বাবার পেশা নার্সারী পরিচালক।

তোমার নাম...?

হেলাল, পিতা- ইসহাক, বাকশিমুল, বুড়িচং, কুমিল্লায় বাড়ী। বাবার পেশা কৃষক

তোমার...?

আবদুল আজিজ, পিতা-জহিরুল ইসলাম, বারেল্লা, কুমিল্লা। বাবার পেশা বিদেশ থাকেন।

তুমি...?

আবদুল্লাহ্, পিতা-জলিল, কেল্লাপথেহা, কুমিল্লা। বাবার পেশা বিদেশ থাকেন।



আমি সত্যিই মর্মাহত...

আমি লজ্জিত তাদের দেখে, তাদের অভিভাবকের কথা চিন্তা করে। বাবা জীবীত অথচ, তাদের হুজুর তাদের জীবনে এতিম শব্দটা জুড়ে দিয়েছে সামান্য ক'টা টাকার জন্য। ভিক্ষাবৃত্তি কচি বয়সেই ধরিয়ে দিয়েছে। মিথ্যা বলা পবিত্র বয়সেই শিক্ষা দিচ্ছে। বাবা থাকতে নিজেকে এতিম বলা শিশু বয়সেই যেন শিখিয়ে দিচ্ছে।

পরে ছবি তোলার জন্য তাদের ভিতরে সাহস জুগিয়ে লাইনে দাঁড় করিয়ে এক এক করে ছবি তুলে তাদের মাথায় হাত বুলিয়ে বসার জন্য চেয়ার টেনে দেই। তারা ভয় পায় না। তারা সাহস পেয়েছে। আমাকে বন্ধু ভেবেছে। আর প্রশ্ন করাতে সব গঁড়গঁড় করে বলে দিয়েছে। ওরা হাঁসছে আর একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে। খুব ইনজয় ফিল করছে। চেয়ারে বসে আছে।

সামান্য ক'টাকা হাতে দিয়ে আমি তাদের বললাম,

''এই টাকা মাদ্রাসায় দিবি না। তোরা চারজন মিলে খেয়ে ফেলবি। আর যদি না খেয়ে মাদ্রাসার হুজুরের হাতে দিস তাহলে হাশরের ময়দানে এর জবাব দিতে হবে। আমার দাবী থাকলো''

আমি হুজুরের মত করে হাশরের ভয় দেখালাম।

তারা চলে গেলো আর আমাকে ফেলো গেলো ভাবনায়। আমাদের অভিভবকগন কিসের আশায় তাদের মৃত বানান। কিসের লোভে তাদের সন্তানদের জীবিত অবস্থায় এতিম সাজিয়ে রাখেন। কিসের ভরসায় তাদের ছেলে-মেয়ের জীবন কে ধ্বংসের পথে ঠেলে দেয় আমি জানি না।

এরকম হাজার হাজার ছেলে হয়'ত ভন্ড হুজুরের ভন্ডামীতে তাদের জীবন ধ্বংস করে দিশেহারা। শত শত মিথ্যাবাদী হুজুরের কারণে আমাদের কচি কচি শিশুরা আজ পথভ্রষ্টের পথে এগুচ্ছে। ধ্বংস করে দিচ্ছে নিজের জীবন। ধ্বংস করে দিচ্ছে স্বপ্নময় সোনালী ভবিষ্যত।

হয়'ত তারাই একদিন হেফাজতের ইসলামের নামে মানবতাকে ধ্বংস করবে।

হয়'ত তারাই একদিন জঙ্গীবাদ কায়েম করে জাতীকে নষ্ট করবে।

হয়'ত তারাই একদিন মিথ্যে কথা বলে সাঈদী কে চাঁন্দে নিয়ে যাবে।

হয়'ত তারাই একদিন বানোয়াট গুজুব ছড়িয়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুলে শিশুর মুত্যু কথা বলবে।



আল্লাহ্ সবার মঙ্গল করুক।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১২ ই এপ্রিল, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

শ্রাবণ জল বলেছেন: আল্লাহ্ সবার মঙ্গল করুক।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.