নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ヽヽ `` `、ヽ、、ヽ、``、ヽমেঘ、、ヽ、ヽ、、ヽ`অপরাজিতা `、ヽ、、্তুমিヽ、``、 আকাশヽヽ、`` ヽ、ヽ、`` ヽ、` `、ヽ্、ヽ``、ヽদেবদারু、、ヽ、` চা、

মেঘলামানুষ

মেঘলামানুষ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমি (১ম পর্ব)

০৩ রা মে, ২০১৯ দুপুর ১:৫৬

১ম পর্ব
কফির মগ নিয়ে সুমিত বসেছে কম্পিউটারের সামনে। আজ সে লিখতে বসবে। অনেক দিন কিছুই লেখা হয়না। কাজের ব্যস্ততার মাঝে নিজেকে হারিয়ে ফেলেছে সুমিত। কি নিয়ে লিখবে সুমিত? রেনুকে নিয়ে ওর প্রতিটা কবিতাই একি রকম। একি ধাঁচ। নতুন করে কিছু লিখতে চায় সুমিত। শেষ দেখা হবার দিন রেনু বলেছিল কোন ডায়রি সুমিত? কই আমার তো মনে পরেনা। কিসের কবিতা? লেখই যখন নিজের কাছেই রাখ। এর পর থেকে সুমিত আর কিছু লেখেনি। থেমে গেছে লেখা। আজকে মনে হচ্ছে গল্প লিখবে একটা। যে গল্পটার নায়ক সে নিজেই। নায়িকা থাকবে। খল নায়িকা থাকবে, বন্ধুরা থাকবে। থাকবে হাসি আনদ বেদনা। কিন্তু এত কিছু আনতে গেলে ছোট করে তো শেষ করাই যাবেনা। ভাবতে ভাবতেই কফির মগে চুমুক দেয় সুমিত। নাহ কফি ঠাণ্ডা করে ফেলেছে। রেনুর কথা মনে হলে সময় কিভাবে যেন ছোট মনেহয়। নাহ এভাবে হবেনা। লেখা শুরু করলেই লেখা হবে। বসে থাকলে হবেনা। কোথা থেকে শুরু করবে? নায়কের কৈশোর? মন্দ না। স্কুলে সুমিত মটেও দুরন্ত ছিলনা সুমিত। বরং স্কুলের যারা এখন সুমিতকে দেখলে অবাকই হবে। সুমিত বক বক করতে পারে। খোঁচা দিতে পারে। চুপ করে থাকেনা। মাথা নিচু করে বসে থাকেনা। চোখে চোখ রেখে কথা বলা শিখে গেছে সে।
সময়টা ছিল অন্যরকম। সকালে উঠে স্যার এর বাসা। সেখান থেকে স্কুল। ক্লাস শেষ হতে হতে বিকাল ৫ টা রেললাইন ধরে হেটে যাওয়া। লুকিয়ে ৫৫৫ এ একটা টান। ক্লাস এইটে অঙ্ক আর ইংরেজিতে কম মার্ক্স পাওয়ায় ক্লাস নাইনে উত্তীর্ণ হবার সাথে সাথে কোচিং ক্লাসে জোর পূর্বক ভর্তি করিয়ে দেন বাবা। মেয়ে বন্ধু তখনো সুমিতের হয়নি। দিবা শাখায় ছেলেদের ক্লাস হয়। লাজুক স্বভাব, ক্লাস, ক্রিকেট আর পরার চাপে কখনো মনেও আসেনি বা এমন বিচিত্র অনুভূতি সুমিতের হয়নি। কিন্তু কোচিং এর গেটে বাবার পিছু পিছু ধুকতে গুয়ে সরল রেখার মতো একজন কে দেখা গেল তাকিয়ে আছে। বুঝতে পেরেছে মেয়েটা তাকে খুঁটিয়ে দেখছে তাই সুমিত মাথা নিচু করে ধুকে পরল অফিস রুমে।
বাবা ভর্তির আনুষ্ঠানিকতা পালন করে চলে গেলেন। আমাকেও বলা হল আজকেই ক্লাস শুরু করতে। ক্লাস রুম নম্বর জেনে নিয়ে বের হয়ে এল সুমিত। চারদিকে বেস চুপচাপ কাউকে দেখতেও পাচ্ছেনা। মনেহয় স্টুডেন্ট যারা থাকতে নিজেদের ক্লাস রুমে চলে গিয়েছে। অফিস কর্মচারী বলেদিয়েছে ২য় তালায় সিঁড়ি থেকে উঠে হাতের ডান পাশেই ক্লাস হবে। ক্লাসরুমের সামনে দাঁড়িয়ে থমকে গেল সুমিত। ক্লাসরুমে কোন ছেলে স্টুডেন্ট দেখতে পাচ্ছেনা সবাই মেয়ে। স্যারের ডাক পরল তুমি কি নতুন ভর্তি হয়েছ?
-জী স্যার।
-দাঁড়িয়ে আছো কেন? ভেতরে এসো।
ক্লাসরুমে মৃদু হাসির আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। খুবই অস্বস্তি বোধ করতে লাগলো সুমিত। একদম লাস্ট বেঞ্চ টাই ফাকা অবশ্য আর কেউ বসেনি। একা বসে পরল সুমিত। স্যার বললেন। এইযে যে মেয়েরা বেচারা একা পরে গেছে লজ্জা পাচ্ছে, তোমার হাসা হাসি বন্ধ কর। ক্লাসে মন দাও।
স্যারের সাথে অভিনেতা জাহিদ হাসানের আশ্চর্য জনক মিল রয়েছে। এ জন্যই স্যারের চেহারা এত চেনা চেনা লাগছিল সুমিতের কাছে। বকুল স্যারের জেনারেল ম্যাথ ক্লাস চলছে। মেইন গেট দিয়ে ঢোকার সময় যে মেয়েটাকে দেখেছিল সুমিত, তাকেও দেখতে পেল সুমিত। একটু পর পর মেয়েতা তাকাচ্ছে। কিছু একটা ইশারা করল কিন্তু সুমিত ধরতে পারলনা। ক্লাস রুমে কথা বলা একদমি পছন্দনা সুমিতের তাই সহপাঠী লক্ষ্য করা বাদ দিয়ে স্যারের লেকচারে মন দিল সুমিত।
২৬-২৭ টি মেয়ে আর সুমিত একা ছেলে ক্লাসে। এভাবেই সুমিতের ক্লাস শুরু। ক্লাস শেষে সবাই সুমিতকে ঘিরে ধরে। নাম, স্কুলের নাম সবার জানার আগ্রহ বেশি। অবশেষে সেই পরিচিত মুখ।
-তুমি লজ্জা পাচ্ছ কেন? আমরা সবাই তো বন্ধু। কোন সমস্যা ফিল করলে আমাকে বলবে ঠিক আছে? আমার নাম লিসা।
-আছা ঠিক আছে বলব। চুপ করে থাকে সুমিত।
বেশ ভালো ভাবেই কিছু দিন কেটে যায় সুমিতের। সবার সাথে একটু একটু করে সখ্যতা গড়ে ওঠে। অবশেষে আরও ২ জন ছেলে ভর্তি হয়। আইডিয়াল স্কুল থেকে আসা আরেফিন আর রায়েফ। ক্লাস, হাসি আনন্দ গান বেশ ভালই সময় কেটে যাচ্ছিল সুমিতের। সে দিন টার কথা সুমিত আজো ভোলেনি। ক্লাসের মাঝে লিসা চিরকুট দিল “ক্লাস শেষে যেওনা একটু কাজ আছে থেক। -লিসা”
হ্যা বলাই হয়নি আমরা কয়েকজন বেশ ভালো বন্ধু হয়ে গিয়েছিলাম। পপি, রায়েফ, আরেফিন, লিসা, মুন আর আমি। আমরা ক্লাসের চলাকানিল সময় চিরকুট দিতাম।
ক্লাস শেষ অপেক্ষা করছি গেটের কাছে। লিসা আর ক্লাসের আরও ২ টা মেয়ে আঁখি আর রলি ৩ জন সামনে এসে হাজির।
লিসা- চল একটু কাজ আছে।
- কোথায়? কি হল আবার।
আঁখি- তুমি কি ভয় পাচ্ছ?
- না ভয় পাব কেন?
রলি- কাছেই দূরে যাবনা তো।
৩জন মেয়ে বন্ধু আর আমি বের হলাম। কেমন জানি ভয় ভয়। কি হল আমি কি করলাম, কোথায় যাব ভাবছি। একটু হেটে এসে রাজারবাগ পুলিশ লাইনের মোরে কনফেকশনারি সেখানে ধুকে গেল। আমিও পিছে পিছে ঢুকলাম। ৩ জন মিলে কিছু কিনছে। আমি দাঁড়ান। আমাকে দোকানের মাঝেই ঘিরে ধরল তিনজন। লিসা একটা আইসক্রিম হাতে ধরিয়ে দিল, আঁখি পকেটে ফাইভ স্টার চকলেট গুঁজে দিল আর রলি ২ টা কলম। আমি হতভম্ভ হয়ে ৩জনের মুখের দিকে তাকিয়ে আছি। ৩ জনের মুখে মুচকি হাসি সেই সাথে যোগ হয়েছে দোকানদার মামার হাসি। এরকম অদ্ভুত মুহূর্তে থেকেই সবাই খুব কাছের বন্ধু হয়ে যায়।

*********
গল্প আমার কখনই লেখা হয়ে ওঠেনি। কবিতা গুলো আসলে সবি উদ্দেশ্য নিয়ে লেখা ছিল। অনেক লিখেছি। ভালো হতে হবে এমন মন নিয়ে লিখিনি কখনো। যা মনে এসেছে লিখেছি। গল্প টাও আসলে ঝোঁকের মাথায়। আমার পচা পচা লেখা যারা হজম করেন তাদের কাছে আমি ক্ষমা প্রার্থী।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা মে, ২০১৯ রাত ৯:৩৩

মাহমুদুর রহমান বলেছেন: লেখা ভালো হচ্ছে।চেষ্টা করুন আরও ভালো লিখতে।আপনি সফল হবেন আমার বিশ্বাস ।

০৪ ঠা মে, ২০১৯ বিকাল ৪:৪৩

মেঘলামানুষ বলেছেন: ধন্যবাদ

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.