নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দ-পঠন

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

মেহেদী হাসান মঞ্জুর

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই।

মেহেদী হাসান মঞ্জুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

ধর্মকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলার এখনই শ্রেষ্ঠ সময়ঃ

১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৫৬







কোন দুর্বৃত্ত লোক বা গোষ্ঠি যদি তার হাতে ভয়ানক কোন মানবধ্বংশী অস্ত্র নিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা ও আরো বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করতে করতে এগিয়ে আসতে শুরু করে তাহলে নিশ্চিতভাবেই আমাদের প্রথম কাজটি হবে- ঐ দুর্বৃত্ত লোক বা গোষ্ঠীকে পাকড়াও করে তার হাতের ভয়ানক অস্ত্রটি কেড়ে নেয়া এবং তারপরে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো-এবং বিচারের মাধ্যমে তার কৃত অপরাধের জন্য উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করা। ঐ দুর্বৃত্ত লোক বা গোষ্ঠিটির হাত থেকে মানবধ্বংশী অস্ত্রটি কেড়ে না নিয়ে তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো- খুব বেশী সুবিধাজনক বলে মনে হয় না। কারন যখন তার বিচারকার্য শুরু হবে এবং বিচারের রায়ে তার উপযুক্ত শাস্তির ব্যাবস্থা করার চেষ্টা করা হবে তখন সে প্রাণপণে নিজেকে বাঁচাতে ঐ ভয়ানক অস্ত্রটির ব্যাবহার শুরু করবে- এটা তার জন্য খুবই স্বাভাবিক বিষয়। সাধারণ অবস্থাতেই সে যখন তার হাতের অস্ত্রটিকে যত্রতত্র ব্যাবহার করে নানা ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটিয়ে তোলে সে ক্ষেত্রে তার উপর যখন আক্রমণ আসবে সে তখন অস্ত্র হাতে বসে থাকবে- এটা কোন সুস্থ চিন্তার বিষয় হতে পারেনা।

৭১ এ আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় কিছু দুর্বৃত্ত ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতার সুযোগে জামাত-শিবির নামক ভয়ানক মানবধ্বংশী অস্ত্রটি হাতে তুলে নিয়ে মানবতা বিরোধী অসংখ্য ধরনের যুদ্ধাপরাধ সংগঠিত করে। ঐ সময় তারা কি কি অপরাধ সংগঠিত করেছে তা নতুন করে বলার কোন প্রয়োজন নেই- কারন আমরা সকলেই তাদের অপরাধ এবং অপরাধের ধরন সমন্ধে কমবেশী অবগত। স্বাধীনতার ৪২ বছর কেটে গেছে- তাদের হাত থেকে মানবধ্বংশী ভয়ানক অস্ত্রটি যেমন কেড়ে নেয়া সম্ভব হয় নি ঠিক তেমনিভাবে ইতিপূর্বে তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানোও অনেকটা সুদূর পরাহত থেকে গেছে। যুদ্ধাপরাধীদেরকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো কেন সম্ভব হয়নি? এর পিছনে অনেকেই অনেক ধরনের যুক্তি উপস্থাপন করবেন। কিন্তু আমার কাছে সুস্পষ্টভাবে মনে হয় যে-ধর্মভিত্তিক রাজনীতির বৈধতার সুবিধায় তাদের হাতে জামাত-শিবির নামক ভয়ানক অস্ত্রটি বহাল তবিয়তে সুরক্ষিত অবস্থায় থাকার কারনেই সেটা সম্ভব হয়ে উঠে নি। এমনকি এই কারনে তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ধরনের রাজনৈতিক সুযোগ সুবিধাও পেয়ে আসছে। এই অস্ত্রটি তাদের হাতে থাকার কারনে একটি ডানপন্থী দলের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে এই বাংলার মাটিতে ক্ষমতার মসনদে পর্যন্ত বসেছে। আমরা শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখেছি আর দেয়ালে মাথা ঠুকেছি-নিরুপায়তাই ছিল আমাদের একমাত্র আশ্রয়- আমাদের করার কিছু ছিল না। তারা আমাদের চোখের সামনে দিয়ে সরকারী গাড়িতে বাংলাদেশের পতাকা লাগিয়ে রাজপথ ধরে বীর দম্ভে এগিয়ে গেছে। মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিসৌধে তাদের পা রেখে তাকে কলংকিত করতেও তাদের পিছপা হতে দেখা যায় নি। ধর্মীয় মৌলবাদের উত্থান ঘটিয়ে গ্রেনেড ও বোমা হামলার মাধ্যমে আরো অনেক গনহত্যা চালিয়েছে। সেই রক্তের দাগ এখনও বাংলার মাটিতে অনেকটাই কাঁচা। স্বাধীনতার এই ৪২ বছর ধরে প্রগতিশীল শক্তির যেকোন অগ্রযাত্রায় সবসময় তারা প্রধান বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে এই ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক অপশক্তিগুলো। বর্তমানেও তারা ঐ ডানপন্থি দলটির জোটের শরিক হয়ে প্রধান বিরোধীদলের সুবিধা ভোগ করে আসছে। চিহ্নিত যুদ্ধাপরাধীদেরকে বাঁচাতে বিভিন্ন সময়ে হরতাল ডেকে বাসে আগুন দিয়ে সাধারন মানুষকে জীবন্ত অগ্নিদগ্ধ করছে, দোকান-পাট পুড়িয়ে দিচ্ছে, দেশের অর্থনীতিতে কোটি কোটি টাকার লোকসান ঘটাচ্ছে, জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।

যুদ্ধাপরাধীদের হাতে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির জামাত-শিবির নামক ভয়ানক অস্ত্রটি হাতে থাকার কারনেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ডানপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো তাদের সাথে জোটবদ্ধ হয়ে ক্ষমতায় যাওয়ার প্রতিযোগীতায় নিজেদেরকে শক্তিশালী করতে চেয়েছে। এধরনের সুযোগ পেয়ে যুদ্ধাপরাধী নামক দুর্বৃত্তগুলো তলে তলে নিজেদের আঁখের খুব ভালোভাবেই গুছিয়ে নিতে সক্ষম হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে বাংলার মাটিতে নিজেদের ভিত্তি খুব শক্ত ভাবেই দাঁড় করিয়েছে। এখানে একটি আশার কথা হল- যুদ্ধাপরাধী নামক এই দুর্বৃত্তরা জনসাধারনের মনে কোন দিন স্থান করে নিতে পারে নি। ধর্মের বিভিন্ন ধরনের ধোঁয়া তুলে কিছু কিছু মানুষের মনে ক্ষণকালীন দ্বিধা-দন্দ্ব তৈরী করতে সামান্য কিছুটা মাত্রায় সক্ষম হয়েছে কেবল। শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্রিক গড়ে উঠা সারা দেশব্যাপী গণবিপ্লবে জনগনের সেই দ্বিধা বোটা খসা নষ্ট ফলের মতই ঝরে পড়েছে। জামাত-শিবিরের রাজনীতি ও ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবীতে তারা জোট বেঁধেছে, একাত্ম হয়েছে- এমনকি তাদের গতিপ্রক্রিয়া দেখে মনে হচ্ছে তারা এটা প্রতিরোধ করতে মরণপণ সংগ্রামে নামতেও পিছপা হবেনা। কেউ কেউ অবশ্য ক্ষীণ স্বরে বলতে শুরু করেছেন জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করাই যথেষ্ট- ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করা এই মূহুর্তে দরকার নেই- এতে হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আমি তাদের এই বক্তব্যের সাথে কোনমতেই একমত পোষণ করতে পারছিনা। কারন শুধুমাত্র যদি জামাত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে তারা দলের নাম পাল্টে ফেলে আবার রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে তাদের অপকর্মগুলো করতে শুরু করে দেবে- এক্ষেত্রে তাদের ভোল পাল্টানোরও কোন দরকার হবেনা। কারন তাদের ভোলটি হচ্ছে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি, তার বৈধতাতো শুধুমাত্র জামাত-শিবিরের রাজনীতি বন্ধ করার কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে না। যারা এই মুহূর্তে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে দাঁড়ায় তাদের যুক্তি গুলো আর ধোপে টেকে না। কারন তারা বলার চেষ্টা করে বাংলার মানুষ ধর্মপ্রান- ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগতে পারে। এই বিষয়টিকে ইদানিং আমার সত্য বলে মনে হয় না- কারন শাহবাগের প্রজন্ম চত্বর কেন্দ্রিক শুরু হওয়া সারাদেশব্যাপী গন বিপ্লবে লাখ লাখ ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তি ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধের দাবীতে সোচ্চার হচ্ছে। এই কথায় কারো সন্দেহ থাকলে শাহবাগে গিয়ে আমার কথার সত্যতা জেনে আসতে পারেন।

আরেকটি বিষয় হল- ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ করলে যদি আসলে কিছু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানাও হয় তাতে করে তেমন কিছু ক্ষতি বৃদ্ধি হয় না। দেশ থেকে শকুনীদের দূর করতে এবং মানুষকে গনহত্যার হাত থেকে বাঁচাতে প্রয়োজনে সামান্য কিছু মানুষের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করা যেতেই পারে-ধর্মীয় অনুভূতিতে সামান্য আঘাতের কারনে কেউ নিশ্চিত ভাবে মারা যায় না কিন্তু ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগে এই দুর্বৃত্তরা গনহত্যা ঠিকই চালায়-তাদের এই গনহত্যার কবল থেকে ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিও রেহাই পায় না। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ও তার পরবর্তীতে অনেক ধর্মপ্রাণ ব্যাক্তিও ধর্মভিত্তিক মৌলবাদী রাজনীতির গনহত্যার শিকার হয়েছেন।

বাংলার জনগন যখন যুদ্ধাপরাধী, ধর্মীয় মৌলবাদী শক্তির বিরুদ্ধে তার সর্বোচ্চ সচেতনতা ও শক্তি নিয়ে জেগে উঠেছে তখন যুদ্ধাপরাধীদের প্রেতাত্মারা জামাত-শিবির নামক ভয়ানক অস্ত্রটি হাতে নিয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানো শুরু করেছে। আক্ষরিক অর্থেই তারা গুলি চালাচ্ছে, গাড়ি-দোকানপাটে আগুন দিচ্ছে, নানা ধরনের ভাংচুর চালাচ্ছে। জনগন যত বেশী মাত্রায় জেগে উঠতে শুরু করবে- তাদের প্রতিক্রিয়া দেখানোর মাত্রাও সেই পরিমানে বেড়ে উঠবে বলেই আমার ধারনা। অনেক পূর্বেই ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ ও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের উপর নিষধাজ্ঞার মাধ্যমে যদি তাদের হাতে বেড়ে উঠা জামাত- শিবির নামক মানবধ্বংশী অস্ত্রটি যদি কেড়ে নেয়া হত তাহলে তারা আজকে এই সুযোগ পেত না। তাদের জুজুর ভয়ে আমাদের বিচারপতিরাও গনহত্যার মত অপরাধ সংগঠিত করার অপরাধে কাউকে ফাঁসির হুকুম না দিয়ে, ১৪ বছরের কারাদন্ড দিতে পারতেন না। বিচারপতিগন এতে করে অবশ্য তাদের উপর জনগনের আস্থার উপরে মারাত্বকভাবে অসন্মান দেখিয়েছেন।

শুধুমাত্র ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করার মধ্য দিয়েই তাদের প্রতিরোধ করা সম্ভবপর হয়ে উঠবেনা। ধর্মভিত্তিক রাজনীতি নিষিদ্ধ হওয়ার ফলে হয়তো তাদের সুনির্দিষ্ট দলটি ভেঙ্গে যাবে কিন্তু তাদের অপকর্ম করার সুযোগ খুব বেশী ব্যাহত হবেনা। তারা বিভিন্ন ডানপন্থী রাজনৈতিক দলের মধ্যে ছদ্মবেশে ঢুকে পড়ে সেখানে আরো বেশী মাত্রায় ধর্মের ব্যাবহার শুরু করে দিবে। ঐ নির্দিষ্ট ডানপন্থি দল থেকে তারা কোন ধরনের বাঁধা পাওয়া তো দূরের কথা তাদের অনেক বেশী উৎসাহিত করা হবে কারন প্রত্যেকটি ডানপন্থী দলই রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাবহার করে ক্ষমতায় আসতে খুব বেশী পছন্দ করে। রাজনীতিতে ধর্মের ব্যাবহারে অনেক বেশী পারদর্শিতার ফলে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ছদ্মবেশী জামাতীরা ডানপন্থী দলগুলোর নেতৃত্বের আসনে প্রতিষ্ঠিত হবে। বড় বড় মন্ত্রিত্ব নিয়ে ক্ষমতায় এসে বিষবাষ্প ছড়াতে শুরু করবে। যুদ্ধাপরাধী ও তাদের প্রেতাত্মাদের থেকে দেশ ও দেশের মানুষকে রক্ষাকল্পে ধর্মকে রাজনীতি থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন করে ফেলা ছাড়া গতন্তর নেই। এই বিষয়ে জনগনকেও আরো বেশী সচেতন করে তুলতে হবে। রাজনৈতিক প্রজ্ঞা সম্পন্ন শিক্ষিত তরুনরা এই বিষয়ে জনগনকে সচেতন করার কাজে এগিয়ে আসবে বলেই আমার ধারনা।



এই দুর্বৃত্তদের বাংলার মাটি থেকে নিশ্চিহ্ন করতে হলে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে হবে তা হল- তাদের অর্থনৈতিক, চিকিৎসা সেবা মূলক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো এবং নানা ধরনের কুৎসা ও অপপ্রচার ছড়ানোর কাজে ব্যাবহৃত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও ভার্চুয়াল মাধ্যমগুলোকে বাজেয়াপ্ত করা। এগুলোকে পরবর্তীতে জাতীয়করনের মাধ্যমে জনগনের কাজে লাগানোও সম্ভব।

স্বাধীনতার ৪২ বছরের মধ্যে জনগন যুদ্ধাপরাধীদের প্রতিহত করতে এমনভাবে আর জেগে উঠেনি। জনগনের পিঠ এবার দেয়ালে ঠেকে গেছে- এবার তারা সম্মুখ সমরে নামতেও প্রস্তুত। জনগনের মনে যুদ্ধের দামামা বেজে উঠেছে ভীষণ রবে। এই বারে তাদের শিকড় সহ উপড়ে ফেলতে হবে, অনেক বছর যাবত আমরা এই যুদ্ধ করে এসেছি আর নয়- এই বারে তাদের উপর মরণ কামড় হানতে হবে। এই মুহুর্তে ধর্মকে পুরোপুরি রাজনীতি থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলতে না পারলে সামনে আমাদের জন্য ভয়াবহ বিপদ অপেক্ষা করে আছে।

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:০৬

মেঘ বালকের কথা বলেছেন: ৭১ সালে কি ভাবে ধর্মকে ব্যাবহার করে জামাত অপকর্ম করেছিলো সেটা এতদিন বাবা মার মুখে শুনে এসছিলাম। এবার আমার পরিনত বয়সে দেখলাম কি ভাবে সার্থসিদ্ধির জন্য জামত পবিত্র ধর্মকে কলুষিত করলো এবং করে যচ্ছে।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:২৮

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ধর্মকে কলুষিত করার সুযোগ আর কাউকে দেয়া হবেনা। এবার জনগন জেগে উঠেছে- গণ বিপ্লবের দামামা বাজছে মানুষের মনে। ধর্ম এবার রাজনীতি থেকে পুরোমাত্রায় বিচ্ছিন্ন হবে।

২| ১৩ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:৩৩

বুদ্ধু বলেছেন: যতদূর জানা যায় ৭১-এ জামাত শিবির ছিল চুনোপুটির মত। তাদের সংখ্যা ছিল হাতে গোনা। তখন নেতৃত্বে ছিল মুসলিম লীগ। মুসলিম লীগের নেতারা এবং তাদের অনুসারীরা ছিল স্বাধীনতার ঘোর বিরোধী। কারণ তারা যুক্তি দেখাতো তারা চরম ত্যাগ স্বীকার করে, বহু রক্তের বিনিময়ে মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এদেশের স্বাধীনতা হাসিল করেছে। দেশটা আবার ভারতের ক্ষপ্পরে পড়ে মুসলমানদের অস্তিত্ব বিপন্ন হোক এটা তারা চায়নি। কিন্তু এ ধারণা তাদের ভুল ছিল বলে আমি মনে করি। কারণ স্বাধীন দেশের নাগরিক হওয়ার মত আনন্দ, তৃপ্তি এবং সুখ আর কিছুতে হতে পারে না। যাই হোক স্বাধীনতার পরে বঙ্গবন্ধু সবুরখানের মত মুসলিম লীগ নেতাকেও ক্ষমা করে দিয়েছিলেন। তার কবরও সংসদ ভবনের সামনে তারই নির্দেশে হয়েছিল। মনে হয় বঙ্গবন্ধু সবাইকে ক্ষমা করে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশ গঠনে এগিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আর বিভেদ সুষ্টি না করে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর আদর্শই উত্তম আদর্শ।

১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫২

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: সামুর মত ব্লগে আপনার মত লোক কিভাবে লেখার সুযোগ পায় তা বুঝে উঠে পারছিনা।

৩| ১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৪৯

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: কোন ধরনের যুক্তির ধার না ধরেই আন্দাজে কিছু কথা বলে গেলেন- সাহস থাকলে এই কথাগুলো শাহবাগ গিয়ে বলে আসেন। তখন বুঝতে পারবেন আন্দাজে কথা বলার কি সাজা হয়। আপনার মন্তব্যের উত্তর দেয়ার ইচ্ছা আমি হারিয়ে ফেলছি। এখন গণ বিপ্লব শুরু হয়েছে-আপনার সাথে ফালতু তর্ক করার সময় আমার নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.