নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দ-পঠন

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

মেহেদী হাসান মঞ্জুর

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই।

মেহেদী হাসান মঞ্জুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একমাত্র কোটা পদ্ধতির সংস্কারেই কি সমাধান!

১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:০৩





বি সি এস পরীক্ষায় যে ধরনের পরীক্ষা পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়- এর মধ্য দিয়ে মেধা যাচাই হয় বলে ব্যাক্তিগতভাবে আমার হয় না। এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে মুখস্থ করার দক্ষতাকেই সবচেয়ে বেশী অগ্রাধিকার দেওয়া হয়। ছোটদের বিশেষ করে বাচ্চাদের মুখস্থ করার শক্তি বড়দের থেকে বেশী বলেই আমার ধারণা। আমি মোটামুটি নিশ্চিত- কেবলমাত্র এস এস সি পরীক্ষায় উত্তীর্নদের যদি অন্যদের পাশাপাশি বি সি এস পরীক্ষায় প্রতিযোগীতা করতে বসিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তারাই অন্যদের চেয়ে অনেক বেশী ভালো করবে।



বর্তমানে দেশে পাঁচ শতাংশ কোটা রাখা হয়েছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য। প্রতিবন্ধী এক শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য ৩০ শতাংশ, নারী ও জেলা কোটা ১০ শতাংশ করে। সব মিলিয়ে কোটার জন্য বরাদ্দ ৫৬ শতাংশ।

ফলে এর কোনো শ্রেণিতে যারা পড়েন না, তাদের প্রতিযোগিতা করতে হচ্ছে বাকি ৪৪ শতাংশের জন্য। কোটার ভাগাভাগিতে এই ৪৪ শতাংশ পড়েছে মেধার কোটায়। এই মেধা কোটা ৫০ শতাংশের কম হওয়া উচিত নয় বলেও কোন কোন বুদ্ধিজীবী মনে করেন(তথ্য সূত্র- বিডি নিউজ২৪ ডট কম)। এটাকে অবশ্য আমার মতে মেধা কোটা না বলে মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শী কোটা বলা উচিত।



কোটা পদ্ধতি অনেক সেকেলে একটি পদ্ধতি, এবং এর আর একটি বড় সুবিধা হল কোটা পদ্ধতির মাধ্যমে অনেক বেশী দূর্নীতির আশ্রয় নেয়া যায়, নিজেদের লোকজনকে নিয়ে এসে বসিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন না করে প্রকৃত মেধাবীদের আসার সুযোগ করে না দিলে কোটা প্রথা বাদ দেওয়া না দেওয়ার মাধ্যমে তেমন কিছু এসে যায় না। তার মানে আমি বলছি না যে কোটা প্রথা বহাল থাকুক। আমি বলতে চাইছি কোটা প্রথা যেমন উঠিয়ে দিতে হবে, তার চেয়েও অনেক বেশী গুরুত্বের সাথে পরীক্ষা পদ্ধতি পরিবর্তনের বিষয়ে মনযোগ দিতে হবে। সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হল- পরীক্ষার প্রশ্ন -পত্র ফাঁস ও কোঠা প্রথার বিরুদ্ধে অনেক সময় আন্দোলন করতে দেখি, পরীক্ষা পদ্ধতির পরিবর্তন বিষয়ে কাউকে কখনো আন্দোলন করতে দেখলাম না। আফসোস!



আরেকটি বিষয় সকলের খেয়াল রাখা উচিত- ৩৪ তম বি সি এস প্রিলিমিনারী পরীক্ষার ফলাফল পুনর্মূল্যায়ন ও কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবীতে শাহবাগে বাদ পড়া শিক্ষার্থীদের যে বিক্ষোভ চলছে সেখানে যেন জামাত-শিবির, হেফাজত, ধর্মীয় কোন মৌলবাদী শক্তি যেন ঘাপটি মেরে বসে থেকে তাদের ঘৃণিত শক্তির প্রকাশ যাতে না করতে পারে। পূর্বে বহুবার এরকমটি হয়েছে বলেই এবারও আশংকা জাগছে।







মন্তব্য ৭ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৭) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২০

মোঃ খালেকুজ্জামান ফয়সাল বলেছেন: দুঃখজনক আমি ঢাকায় নাই...
আমি ব্লগে শুরু করেছি অনেক আগেই...
আজ সকলের অংশ গ্রহণ আমার আনন্দিত করেছে...
কোটা বাতিল করে বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়বই...

১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৫

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার ব্লগটি না পড়েই মন্তব্য করে বসেছেন। যা হোক কোটা বাতিলের আন্দোলন তো করা হল অনেক এবার কেউ একটু দাঁড়িয়ে পরীক্ষা পদ্ধতি সংস্কারের বিষয়ে কথা বলুন তো দেখি। কোটার কারনে যারা সুযোগ পেয়েছে তাদের সাথে যারা সুযোগ পায়নি- তাদের খুব বেশী পার্থক্য দেখি না। মুখস্থ বিদ্যায় পারদর্শিতা বেশী থাকতে পারে- এটা মেনে নিচ্ছি।

২| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ দুপুর ২:২৯

জািকর েহােসন002 বলেছেন: 30% Quota is too much for less than 1% population. This is very much injustice

৩| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৪:৫০

প্রচুর বলেছেন: আমাদের দেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা? কমবেশি ১% এর বেশি মনে হবেনা। অথচ তাদের কোটা দেওয়া হচ্ছে ৩০%! কি হাস্যকর বিষয়। সামরিক বাহিনীতে কোটা নেই সেটা খুবই সুন্দরভাবে চলছে তাহলে বিসিএসসহ অন্য চাকরীতে কোন কোটার দরকার আছে বলে মনে হয়না। আর কোটা যদি একান্তই রাখতে হয়ে তবে তা অবশ্যই সহনীয় পযায়ে থাকতে হবে। কোনভাবেই সব ধরনের কোটা মিলে ২০-৩০% এর বেশি হওয়া উচিত নয়। তাহলে জাতী মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারবেনা।
পিএসসির কমকতারাই বলছেন কোটাগুলোতে শেষ অবধি কোটা পূরণ হয়না। তাহলে বুঝুন কোটাধারীরা কত্ত মেধাবী।

৪| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৫:৩৪

হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মুক্তিযোদ্ধারা ঘরবাড়ী ফেলে বিনা বেতনে জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ না করলে আমাদের জন্য চাকরীর কোটা থাকত মাত্র ১০%
বাকী ৯০% থাকত উর্দূভাষীদের জন্য।

কোটা সিষ্টেম বাংলাদেশের শুরু থেকেই চলছে ৪২ বছর ধরে কোন বিতর্ক ছাড়াই।
কোটা ব্যাবস্থা পৃথিবীর অনেক দেশেই চালু আছে, আছে ধনাঢ্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অষ্ট্রেলিয়াতেও আছে।
আমেরিকায় ২য় মহাযুদ্ধ ফেরত সৈনিক, ভিয়েতনাম ফেরত যোদ্ধাদের ও তাদের পোষ্যদের উচ্চহারে কোটা চালু আছে।

৫| ১০ ই জুলাই, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:১৯

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: আপনারা এখানে যে আলোচনা করছেন- তাতে মনে হচ্ছে মূল লেখা না পড়েই নিজেদের মত করে আলোচনা শুরু করে দিয়েছেন। এটা খুবই দুঃজনক বিষয়। এই আলোচনা আপনারা অন্যকোথাও গিয়ে চালালে আপনাদের জন্যই তা ভালো হবে।

৬| ১১ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:১০

সোহেল সি এস ই বলেছেন: এই লোটা ভর্তি কোটা নিয়ে যারা মোটা কথা বলে তাদের বোটাসহ মূলৎপাটন করলে গোটা দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটা এখন সময়ের দাবি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.