নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আনন্দ-পঠন

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই

মেহেদী হাসান মঞ্জুর

লিখতে গিয়েই নিজেকে খুঁজে পাই।

মেহেদী হাসান মঞ্জুর › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমাদের গ্রামের একটি কিশোরী মেয়ে যৌন নির্যাতনের(গনধর্ষনের) শিকার হয়েছে। (প্রথম পর্ব)

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ রাত ৩:৫১



আমাদের গ্রামে স্থায়িভাবে বসবাস করা প্রায় সকল মানুষ কুসংস্কার প্রবনতা, ধর্মীয় গোঁড়ামি, অজ্ঞানতা ও অসচেতনতার মানদন্ডে তাদের অবস্থান অনেকটাই কাছাকাছি। তাদের চিন্তা-চেতনার মধ্যেও তেমন কোন হেরফের সচারচর লক্ষ্য করা যায় না। অর্থনৈতিক দিক থেকে তারা উঁচু-নিচু হলেও আর অন্যান্য সকল দিক থেকে সকলেই প্রায় একই মাপের। পড়াশুনা বা চাকুরীর সুবাদে যারা ঢাকা কিংবা অন্যান্য শহরে দীর্ঘদিন ধরে বসবাস করে তাদের মধ্যে হাতে গোনা দুই-একজন বাদে আর সকলের সাথে- তারা ঈদ, পূজা-পার্বন উপলক্ষে ছুটি কাটাতে গ্রামে আসলে লক্ষ্য করা যায়- গ্রামে স্থায়ীভাবে বসবাস করা লোকজনের সাথে কথা-বার্তার ভঙ্গী, আচার-আচরণ ও পোশাক-পরিচ্ছদ বাদে চিন্তা-ভাবনা ও অন্য সকল বিষয়ে তাদের মধ্যে তেমন কোন ধরনের পার্থক্য নেই। কোন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরী হওয়া প্রতিক্রিয়ায় দেখা যায়, অন্যান্যদের সাথে তাদের মতামত একই স্রোতে একই দিকে সমান তালে প্রবাহিত হচ্ছে।



আমাদের সকল গ্রামবাসীর মধ্যেই “গ্রামপ্রেম” নামক একটি অদ্ভুত জিনিস তীব্র আকারে বিদ্যমান। তাদের এই “গ্রামপ্রেম”টা শুধুমাত্র গ্রামের মান-সন্মান সংক্রান্ত ব্যাপারে একান্তভাবে জড়িত থাকে। অন্যকোন দিকে গ্রামের উন্নতি-অবনতির ব্যাপারে “গ্রামপ্রেমে”র তেমন কোনধরনের সম্পৃক্ততা নেই। কিছু কিছু ঘটনার কারনে আমাদের গ্রামের মান-সন্মান হঠাত বেড়ে উঠে বা অনেক নীচে নেমে যায়ঃ গ্রামের কোন লোক যদি আশেপাশের গ্রামের কাউকে আচ্ছামত মারধোর করতে পারে তাহলে তাদের গ্রামের মান-ইজ্জ্বত যায় বেড়ে। গ্রামের সকলে মিলে পিঠ চাপড়িয়ে লোকটিকে বাহবা দিতে থাকে, গ্রামে সে পায় বীরের মর্যাদা। বিপরীতক্ষেত্রে আমাদের গ্রামের কেউ যদি অন্যগ্রামের কোন লোকের কাছ থেকে পিটুনি খেয়ে আসে তাহলে গ্রামের মান-ইজ্জ্বত সব যায় নষ্ট হয়ে। পিটুনী খাওয়া লোকটির উপর বর্ষিত হতে নানা ধরনের কটুক্তি ও গালিগালাজ। এবং সেই ঘটনার কোন কারন খুঁজে বের করার বা শালিশী বৈঠকের মাধ্যমে তা মীমাংসা করার কোনরকম চেষ্টা না করে গ্রামের মান-ইজ্জ্বত পুনুরুদ্ধারকল্পে সেই গ্রামের কোন লোককে(যদিও লোকটি ঐ মারধোরের ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত নয়, এমনকি হয়তো ঘটনাটি সম্পর্কে বিন্দুমাত্রও কিছু জানে না) হাতের নাগালে পেলে তাকে ধরে আচ্ছামত প্রহার করে বা সাথে সাথে পাশের গ্রামটির উপর আক্রমনের পরিকল্পনা করে বা সদল-বলে আক্রমন করে বসে। গ্রামের লোকের কথা হল- আগে পাল্টা আক্রমন হবে, হারানো মান-সন্মান পুনরুদ্ধার করব তারপর শালিশী বৈঠক- তার আগে নয়। প্রেম, বিয়ে সংক্রান্ত ঝামেলায় ও কোন ধরনের যৌনহয়রানি বা যৌননির্যাতনের ঘটনায় শিকার-মেয়েটি যদি হয় আমাদের গ্রামের তাহলে আমাদের গ্রামের মান-সন্মান অনেক নীচে নেমে যায়। গ্রামের লোক মার খেয়ে ফিরলে যে পরিমাণ নিচে নামে, এক্ষেত্রে তার থেকেও আরো অনেক নীচে নামে। এক্ষেত্রে মেয়েটি ও তার পরিবারের উপর গ্রামের মানুষজন রোষান্বিত হয়ে উঠে। মেয়েটির পরিবারকে আটক রাখার বা তাদের ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ার পরিকল্পনা করতে থাকে। ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে গ্রাম থেকে বের করে দিতে না পারলেও শালিশী বৈঠক ডেকে আটক রাখে। এই আটক রাখা মানে হচ্ছে, গ্রামের মানুষ এই পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলা থেকে শুরু করে সম্পূর্ন যোগাযোগ ছিন্ন করে ফেলবে, পরিবারটির লোকজনের যেকোন ধরনের সামাজিক কর্মকান্ডে অংশগ্রহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে। আটককৃত পরিবারের মানুষের মানসিক অবস্থা এমন বিপর্যস্ত হয়ে যায় যে, তারা মনে করে এর বাড়িঘর ভেঙ্গে গ্রাম থেকে বের করে দেওয়ায় এর চেয়ে ভালো ছিল। বিপরীতক্ষেত্রে ছেলেটি যদি আমাদের গ্রামের হয় তাহলে মান-সন্মান নষ্ট হবে তো দূরের কথা উল্টো সমৃদ্ধ হয়। এই ছেলেটিও গ্রামের মধ্যে কিছুটা হলেও বীরের মর্যাদা পায়।



অনেকদিন আগে ঘটে যাওয়া একটা ঘটনার ব্যাপারে মাঝে মাঝে পক্ককেশ বৃদ্ধলোকদের শুধু প্রচন্ড গর্ভ ভরে কথা বলতে দেখা যায়, সেই ঘটনাটি হল- বেশ পূর্বে নাকি একবার( এখন জীবিত থাকা অনেকেই নাকি তখন জন্মগ্রহনই করেনি) এই গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে চলা ছোট নদীটির ওপারে অবস্থিত গ্রামের মানুষের সাথে এক ঐতিহাসিক ঝগড়া হয়। পাশের গ্রামের লোকজন নদী ডিঙ্গিয়ে আমাদের গ্রামে আক্রমন করতে এলে গ্রামের লোকজন নিজেদের মধ্যকার সকল বিবাদ ভুলে একসাথ হয়ে নানা ধরনের হাতে বানানো অস্ত্র-পাতি নিয়ে লড়াই করে তাদেরকে পরাজিত করে, তাদেরকে নদী ঝাপিয়ে গ্রাম ছাড়া করে। তখনকার দিনে আশেপাশের সকল গ্রাম আমাদের গ্রামের ভয়ে তটস্থ হয়ে থাকত। আমাদের গ্রামের লোকজনদেরকে আশে-পাশের গ্রামের মানুষজন সালাম দিয়ে চলত, বাজারে গিয়ে আমাদের গ্রামের নাম উচ্চারণ করলে খাজনা পর্যন্ত মাফ। আমাদের গ্রামের মেয়েদের দিকে পাশের গ্রামের কোন মানুষ চোখ তুলে তাকানোরও সাহস পেত না। আমাদের গ্রামের লোকেরা আশে-পাশের গ্রামের মেয়েদের সাথে ফষ্টিনষ্টি করে চলে আসতে পারত নির্বিঘ্নে। পুরাতনরা আফসোস করে, এখন আর সেই গ্রাম নেই, সেই মানুষও নেই, নেই সেই গৌরবও। আমাদের গ্রাম আবার কবে তার হারানো মান-সন্মান ফিরে পাবে, এমন কোন ঘটনা ঘটবে যা ইতিহাস হয়ে থাকবে, আশেপাশের সকল গ্রামের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারবে- এই ধরনের চিন্তা আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের সার্বক্ষণিক। গ্রামের বর্তমান প্রজন্মের মানুষজন মনে করে, অনেক কষ্টে তারা গ্রামের মান-ইজ্জ্বত এখনও কিছুটা হলেও বজায় রাখতে পেরেছে বলেই এখনও এখানে বসবাস করা যাচ্ছে, তা নাহলে কবেই তাদেরকে গ্রাম ছেড়ে উঠে যেতে হত। গ্রামের প্রভাব-প্রতিপত্তি না থাকলে পাশের গ্রামের লোকজন তাদেরকে গ্রামে ঢুকে পিটিয়ে যাবে। গ্রামের মান-ইজ্জ্বত ও প্রভাব-প্রতিপত্তির প্রশ্ন শুধুমাত্র তাই “গ্রামপ্রেমে”র ব্যাপার মাত্র নয় অস্তিত্বের প্রশ্নও বটে। তাই গ্রামের এখনও যতটুকু ইজ্জ্বত আচ্ছে- তা বাঁচানোর জন্য তারা মরণপণ সংগ্রাম করতে প্রস্তুত। গ্রামের মান-সন্মান রক্ষার ব্যাপারে ভবিষ্যত প্রজন্মের দিকে তারা খুব সন্দিহান দৃষ্টিতে তাকায়। বর্তমান প্রজন্ম মনে করে তারা মারা যাবার পর গ্রামটি আর বসবাসের উপযুক্ত থাকবে না।



আমাদের গ্রামের একটি মেয়ে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে- এরকম একটি খবর যখন পুরোগ্রামে ছড়িয়ে পড়ে তখন দেখা দেয় প্রায় একমুখী ধরনের একটি প্রতিক্রিয়া। গ্রামের বেকার যুবকদের মুখ দিয়েই কেবলমাত্র প্রতিক্রিয়াটি তীব্রভাবে ফুটে উঠে আর বাদ-বাকী সকলের মধ্যে প্রতিক্রিয়াটি দেখা দেয় বেকার যুবক ছেলেদের দিকে তাদের প্রশ্রয়মূলক অবস্থানের মধ্য দিয়ে। তাদের মনের ভাবটা এরকমঃ গ্রামের মান-সন্মানও প্রভাব-প্রতিপত্তি এতদিন ধরে আমরা রক্ষা করে আসছি, এখন তোমাদের পালা তোমরা রক্ষা কর- আমরা আছি তোমাদের পাশে। তবে যেহেতু আমাদেরকে কাজ-কর্মে সর্বদা ব্যাস্ত থাকতে হয়, সংসার ছেলে-মেয়ে আছে তাই সরাসরি এখন আর কোন ধরনের ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তে পারবো না। এই ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে তাদের প্রতিক্রিয়া কেবলমাত্র কাছের লোকজনের সাথে আলাপচারিতার মধ্য দিয়ে প্রকাশ হয়, বা এ ধরনের মান-ইজ্জ্বত হানিকর কোন ঘটনা ঘটার ফলে ভেতরে জমা হওয়া পুঞ্জীভূত ক্ষোভের তাড়নায় স্বগতোক্তি করে উঠে। বেকার যুবক ছেলেদের প্রতি সমালোচনায় মুখর হতেও তাদের দেখা যায়। না, এই আজকালকার ছেলেগুলো কোন কাজের না। কই আমাদের সময় তো এ ধরনের কোন ঘটনার জন্ম হতে পারেনি কখনও। আর তখন যদি এ ধরনের ঘটনা ঘটত তাহলে কখন এদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে গ্রাম-ছাড়া করে দিতাম! গ্রামের বেকার যুবক যারা গ্রামের পাশে নদীর ধারে কিছু দোকান-পাট হয়ে সামান্য একটু বাজারের মত গড়ে উঠা জায়গায় বসে বসে সিগারেট খায়, নিজেরা বসে আড্ডা দেয়, এদিক-সেদিক ঘুরে বেড়ায়। “গ্রামপ্রেম” এ সবসময় তাদেরকে তাড়িত করে বেড়ায় ও গ্রামের অবস্থান নিচে নেমে যাওয়ার দুঃশ্চিন্তায় বুদ হয়ে থাকতে দেখা যায়। তারা তাদের মুখের ভাবটি সবসময় এমন করে রাখে যেন গ্রামের মান-ইজ্জ্বত ও প্রভাব-প্রতিপত্তি রক্ষাকল্পে যেকোন ধরনের যুদ্ধে নামতে তারা সদা প্রস্তুত। বড়দের সমালোচনায় এরাও মুখর হয়- ওদের সময়ই তো গ্রামের ভেতরে এ ধরনের অসামাজিক কর্মকান্ড শুরু হয়েছে। তখন কিছুই করতে পারেনি আর এখন শুধু বড় বড় কথা বলে।



গ্রামের একটা মেয়ে যৌননির্যাতনের শিকার হয়েছে- এই খবরটি যখন এই বেকার যুবকদের কাছে পৌঁছে তখন সন্ধ্যা নেমেছে কেবল। তারা বাজার এলাকায় নদীর ধারে বসে আড্ডা দিচ্ছিল এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য গ্রহন করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, খবরটি শোনামাত্র তারা লাফিয়ে উঠে, আলাদা-আলাদা রাজনৈতিক দল সমর্থন করার করনে তাদের মধ্যে যে বিভাজন তৈরী হয়েছিল সেগুলোর কথা মুহূর্তে ভুলে গিয়ে একত্রিত হয়, “গ্রামপ্রেম”এর তীব্র তাড়নায়। মেয়েটিকে লক্ষ্য করে শুরু হয়ে যায় নানা ধরনের যৌনউদ্দীপনামূলক অশালীন-মন্তব্য। তারা তারস্বরে চিৎকার শুরু করতে আরম্ভ করে। না, না আর সহ্য করা যায় না- এর একটা বিহিত এখনই করতে হবে। গ্রামের যুব সমাজ এ ধরনের ঘটনা কখনই মেনে নেবে না। গ্রামের মাতাব্বররা ঠিক মত বিচার-শালিশ করতে পারেনা বিধায় গ্রামটি ধীরে ধীরে এমন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তখনই যদি পরিবারটিকে আটক রাখা হত তাহলে এই ধরনের ন্যাক্কারজনক ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারত না। এই ঘটনার বিচার গ্রামের যুব সমাজ করবে, হা মোক্ষম বিচার করে সকল গ্রামবাসীকে দেখিয়ে দেবে- তারা কি করতে পারে। গ্রামের নষ্ট হয়ে যাওয়া মান-সম্ভ্রম আবার তারা ফিরিয়ে আনবে। এই ব্যাপারটা নিয়ে তাদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়ে যায়। তারা খুব স্বল্প সময়ের এই স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, এখনই মেয়েটির বাড়ি-ঘর ভেঙ্গেচুরে, জ্বালিয়ে-পুড়িয়ে দিয়ে তাদের “গ্রামপ্রেম”এর জ্বলন্ত প্রমান দিতে হবে। এধরনের সিদ্ধান্তে তারা খুব সহজেই চলে আসত পারল কারন পূর্ব অভিজ্ঞতা থেকে তারা মোটামুটি নিশ্চিত- এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামের সাধারন মানুষগুলো তেমন কোন বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া না দেখালেও মেয়েটির ঘর-বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সকলে তাদেরকে সমর্থন জানাবে, কেউ সামান্যতম বিরোধীতা করবে না বা দু-একজন করতে চাইলেও সাহস পাবেনা। কারন তারা সকলেই জানে এই মেয়েটি ও তার পরিবারের কারনেই আমাদের গ্রামের মানসন্মান যতটুকু অবশিষ্ট ছিল তাও নষ্ট হয়ে গেল। এদেরকে গ্রামছাড়া করতে না পারলে এধরনের ঘটনা ঘটতেই থাকবে। তারা ভেবে নিল, এই মেয়েটি নিশ্চয় দেহব্যাবসার সাথে জড়িত, নইলে সে যৌননির্যাতনের শিকার হতে যাবে কেন! তারা তাদের নেশাদ্রব্য পকেটে পুরে সদলবলে মেয়েটির বাড়ির দিকে রওনা হল। নেশাদ্রব্য গ্রহন করার জন্য কিছুক্ষণ পরে অবশ্য ঐদিকেই রওনা হত।

বিঃ দ্রঃ এই লেখাটিতে আমি বিভিন্নজনের নানা ধরনের বক্তব্যকে আমার নিজের ভাষায় গুছিয়ে বলার চেষ্টা করেছি। কারন তাদের আঞ্চলিক ভাষায় বলা কথাগুলো অনেকেই ঠিকমত বুঝে উঠতে পারবেন না। আরেকটি বিষয় হল, তাদের বক্তব্যগুলোতে যৌন উদ্দীপনামূলক স্ল্যাং এর প্রচন্ড রকম ছড়াছড়ি। কোনমতেই স্ল্যাং গুলোকে আমি এই লেখায় ব্যাবহার করতে চাই নি।

মন্তব্য ১১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১১) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১০

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: খুব সাধারণ কিছু শব্দে অসাধারণভাবে ফুঁটিয়ে তুলেছেন আমাদের গ্রামগুলোর ঘৃণ্য চিত্র। গ্রামগুলো বললাম কারণ কমবেশী বাংলাদেশেরে সব গ্রামের চিত্রটা একই রকম। আমার নিজের গ্রাম নিয়েও আমার অভিজ্ঞতা এরকমই। পরের পর্বে জমিজমা নিয়ে দাঙ্গা-মামলা এসব তুলে আনবেন আশা করি।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৬

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ধন্যবাদ- দ্যা ফ্রিল্যান্সার। আমার কাছেও মনে হয়েছে বাংলাদেশের সবগ্রামের চিত্রই এরকম। আমি আসলে একটি মেয়ের যৌন নির্যাতনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে যে ধরনের প্রতিক্রিয়া গ্রামের মানুষের মধ্যে হয়, সেটাকে প্রাধান্য দিয়েই লেখাটির পরিকল্পনা করেছি। জমি-জমা নিয়ে দাঙ্গা-মামলা অন্তত এই লেখায় তুলে আনতে পারছিনা বলে দুঃখিত। তবে জমি-জমা নিয়ে দাঙ্গা-মামলার বিষয়ে সম্পূর্ন একটা লেখাই হতে পারে। আমি সেরকম একটা লেখা তৈরী করার চেষ্টা করতে পারি।

২| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৬

খেয়া ঘাট বলেছেন: একটা বাস্তবকাহিনী তুলে ধরেছেন।
তারা তাদের নেশাদ্রব্য পকেটে পুরে সদলবলে মেয়েটির বাড়ির দিকে রওনা হল। - কী আজিব কান্ড।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৮

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: ধন্যবাদ-খেয়াঘাট। হ্যা, আমাদের গ্রামের মানুষগুলো বড়ই অদ্ভুত।

৩| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:১৭

খেয়া ঘাট বলেছেন: ব্রাহ্মনবাড়িয়ার গ্রামে গ্রামে নাকি এরকম প্রচন্ড মার দাংগা লেগেই থাকে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:২৯

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: বাংলাদেশের সব গ্রামের চিত্র মোটামুটি একই রকম।

৪| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:০৭

মোঃ আনারুল ইসলাম বলেছেন: আমার গ্রামটি পদ্মা নদীর পাড়ে অবস্থিত।এখানে মারামারি ফাটাফাটি কিছুই নেই বরং এখানকার মানুষেরা একে অপরের আত্নার আত্নীয়। আমি ৯০ সনের দিকে একবার শুধু মারামারী দেখে ছিলাম দুই গ্রামের আধিপত্র নিয়ে ।আমি গর্বিত আমার গ্রাম নিয়ে।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:৩৫

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: আমি আমার গ্রাম নিয়ে গর্ব করতে পারিনা, ঠিক তেমনি পারিনা আমার দেশ নিয়েও।

৫| ০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৯:১৮

আশরাফুল ইসলাম দূর্জয় বলেছেন:
গ্রামে গোষ্ঠী কেন্দ্রিক আধিপত্যের দ্বন্দটা ভয়াবহ।

০৮ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ১১:২৭

মেহেদী হাসান মঞ্জুর বলেছেন: হ্যা, ঠিক বলেছেন- আশরাফুল ইসলাম দূর্জয়।

৬| ১৩ ই নভেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:২৬

দ্যা ফ্রীল্যান্সার বলেছেন: লেখক বলেছেন: "আমি আমার গ্রাম নিয়ে গর্ব করতে পারিনা, ঠিক তেমনি পারিনা আমার দেশ নিয়েও।"

একসেলেন্ট।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.