নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

চারপাশের সব অসাধারণ প্রতিভাবানদের ভিড়ে অতি সাধারন একজন। ভালোবাসি বৃষ্টিতে ভিজে বৃষ্টিকে অনুভব করতে, ভালোবাসি কোন এক জোছনা রাতে আঁধারে মিশে যেতে, ভালোবাসি বন্ধুত্ব, প্রান খোলা হাসি, গান, কবিতা আর আঁধারে হারিয়ে যাওয়া একাকী।

শূন্যভুবনের মেহেদী

অজস্র শব্দমালার বিবর্ণ এপিটাফের ছোট্ট এক বিন্দু

শূন্যভুবনের মেহেদী › বিস্তারিত পোস্টঃ

হঠাৎ করে এক মহাপুরুষের দেখা এবং অতঃপর অপেক্ষা . . . !

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:২৮

মাথায় হাজার হাজার গিট্টু লাগানো জট মার্কা চিন্তা করতে করতে যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভারের নীচ দিয়ে আকাশপানে চেয়ে হেঁটে যাচ্ছি। হঠাৎ কে যেন ডাকলো বলে মনে হল। আশেপাশে খুঁজে কাউকে পেলাম না । আবারো ডাক। নাহহ, কেউ তো নিশ্চয়ই ডাকছে! হঠাৎ আমার পিলে চমকে উঠলো। দেখলাম এক হাতি আমায় ডাকছে। এত্তো মোটা, মনে হয় আমাকে প্যারাসিটেমল ট্যাবলেটের মতো ক্যোঁৎ করে গিলে ফেলতে পারবে!
- কিরে মেহেদী, কেমন আসস ?
- ভালো ভাই ! আপনি ভালো ?
- চিনস নাই আমারে তাই না ?
- না ভাই কোন হাতির সাথে আমার পরিচয় ছিলো বলে তো মনে নাই !
- আরে আমি তোর স্কুলের তারাবাত্তি ! ক্লাস ফোরে যে পরিচয় হইছিল !
- ওয়াও ! ( নিজের অজান্তেই মুখ থেকে বের হয়ে গেলো )
কারণ হচ্ছে ওর নাম তারাবাত্তি । আর এই নাম বলার কারণ ও ছিল তারাবাতির মতো লম্বা আর চিকন। ও যে এত্তো মোটা হবে সেটা কল্পনাতীত ছিল!
- এই অবস্থা ক্যামনেরে ?!!
- আর বলিস না, কি যে হইছে কিছু না খাইয়া হাওয়া খাইলেও গ্যাস-বেলুনের মতো ফুইল্লা যাই ! :(

এই কথা সেই কথা বলতে বলতে বেশ কিছু সময় যেন মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেলো। হঠাৎ যাত্রাবাড়ী মোরে বেশ শোরগোল শোনা গেলো। আমরা ২ জনেই ছুঁটে গেলাম। একটি টোকাই বাসের সাথে নাকি ধাক্কা খেয়েছে আর মাথা ফেটে গেছে। সবাই গোল হয়ে টোকাইকে দেখছে। ১২-১৩ বছরের একটা বাচ্চা। কেউ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছে না বা কেউ পাশেও যাচ্ছে না। টোকাই বলেই হয়তো আমার মতো সবার ভিতরেই একটা অবহেলা। আমি সবার সাথে গিয়ে দাঁড়ালাম, কিন্ত তারাবাত্তি দৌড়ে বাচ্চাটির কাছে গেলো, পরম মমতায় কোলে তুলে একটা রিক্সা ডেকে রিক্সায় উঠে বাচ্চাটিকে নিয়ে হাসপাতালে চলে গেলো! আমি খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারলাম - তার শুধু শরীরই বিশাল না, মনটাও বিশাল। আমি এবার মন থেকেই বললাম – ‘ওয়াও’ !
ওয়াও বলাটা যে কতো ভালোলাগার তা বলে বুঝানো সম্ভব না । এই ভালোলাগার বোধটা যেন অনুভূতির অনেক গভীরে । হাজারবার ধরার চেষ্টা করেও ধরা যায় না । কারণ কিছু কিছু অনুভূতি সম্পূর্ণ নিজস্ব ! এই অনুভূতিগুলো কাউকে বলে বুঝানো যাবে না, লিখে প্রকাশ করা যাবে না, ভাষায় শব্দের অপ্রতুলতা অবশ্যই অবশ্যম্ভাবী ! সে কিন্ত আমাকে একবার বলেও গেলো না বা তার নাম্বার দিলো না বা আমার নাম্বারও নিলো না ! কিন্ত আশ্চর্যের ব্যাপার আমার কেন যেন মনে হল তার সাথে আবারো আমার দেখা হবে । সে মহাপুরুষ পর্যায়ের মানুষ । মহাপুরুষদের আমরা শুধু বইয়েই পাই কিন্ত সত্যিই যখন তেমন কেউ আমাদের সামনে আসে আমরা হকচকিত হয়ে যাই । এই হকচকিত অবস্থার জন্যেই হয়তো আমি তার সাথে গেলাম না !
আমি জানি তার সাথে দেখা করানোর দায়িত্ব প্রকৃতির হাতেই, আবারো কোন এক অদ্ভুত সময়ে অদ্ভুত মুহূর্তে তার সাথে আমার দেখা হবে । আমি অপেক্ষা করে আছি . . . !

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ১:০২

বিপরীত বাক বলেছেন: এটা তো মহাবেকুব (!)..
এ যুগে লাভ ছাড়া যারা কাজ করে তারা সবসবময় নিচে পড়ে থাকে।।

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১১:৩৯

শূন্যভুবনের মেহেদী বলেছেন: ঠিক তবে সব সময় ঠিক না :)

২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:০২

বিপরীত বাক বলেছেন: আরে রাখেন মিয়া যতসব তত্তকথা।।।

ঐ মহাবেকুব (!) টা যে রাস্তায় ছেলেধরা হিসেবে গণপিটুনি তে মরা যায়নি সেজন্যে শুকু গুজরানি করেন।।।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.