![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
বিগ ব্যাশে মেলবোর্ন
রেনেগেডসের হয়ে হোবার্ট
হ্যারিকেনসের বিপক্ষে ম্যাচে
টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকার দিয়েই
ভীষণ কাণ্ড ঘটিয়েছেন ওয়েস্ট
ইন্ডিজ ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল। বিগ
ব্যাগ সম্প্রচার সংস্থা চ্যানেল
টেনের নারী সাংবাদিক তাঁর
সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় তিনি এমন
কিছু মন্তব্য করেন, যা মোটেও
ভালোভাবে নেয়নি কেউ।
ব্যাপারটা ক্ষুব্ধ করেছে সেই নারী
সাংবাদিককে, সম্প্রচার সংস্থা
চ্যানেল টেনসহ বিগব্যাশ কর্তৃপক্ষকে।
তাঁর ফ্র্যাঞ্চাইজি মেলবোর্ন
রেনেগেডসও পুরো বিষয়টিকে
অগ্রহণযোগ্য মনে করছে।
ব্যাপারটা অনেকদূর গড়িয়ে
যাওয়াতেই কিনা, নিজের
‘কৃতকর্মে’র জন্য ক্ষমা চেয়েছেন
‘ক্যারিবীয় হ্যারিকেন’ গেইল।
বলেছেন, স্রেফ মজা করেই তিনি
সেই কথাগুলো বলেছিলেন। কিন্তু জল
যে এতদূর গড়িয়ে যাবে, সেটা তিনি
ভাবেননি।
সেই নারী সাংবাদিককে কী
বলেছিলেন গেইল? হোবার্ট
হ্যারিকেনসের বিপক্ষে আউট হয়ে
ফেরার পর সাংবাদিক মেলানি
ম্যাকলাফলিনকে তাঁর সাক্ষাৎকার
নেওয়ার সময় গেইল বলেন, ‘আমি
তোমাকে সাক্ষাৎকার দেব বলেই
আউট হয়ে এসেছি। প্রথম দেখাতেই
তোমার চোখদুটো আমার দারুণ
লেগেছে। চল না ম্যাচ শেষে
কোথাও একটু বসি।’ গেইলের এই
মন্তব্যকে বিগব্যাশ কর্তৃপক্ষ
‘অনভিপ্রেত’ ও ‘অগ্রহণযোগ্য’ হিসেবে
অভিহিত করেছে।
পুরো বিষয়টি নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায়
আলোচনা-সমালোচনার ঝড় এখন
তুঙ্গে। সামাজিক যোগাযোগের
মাধ্যমগুলোতে কেউ গেইলের মুণ্ডুপাত
করছেন, কেউ তাঁর পক্ষে
দাঁড়িয়েছেন। অনেকেই বলছেন, নিছক
দুষ্টুমি করে বলা এই মন্তব্যকে এত গুরুত্ব
দিয়ে জলঘোলা করার কোনো
মানেই হয় না। অনেকেরই মন্তব্য,
সরাসরি সম্প্রচারিত ওই ম্যাচটি
যেহেতু অপ্রাপ্ত বয়স্ক অনেকেই
দেখছিল, তাই ম্যাকলাফলিনের প্রতি
এমন ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করা উচিত হয়নি
গেইলের।
সমালোচনার ঝড়ের মধ্যেই মঙ্গলবার
মেলবোর্ন বিমানবন্দরে
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে
গেইলের এই ক্ষমাপ্রার্থনা। বলেছেন,
‘আমার মন্তব্যে সাংবাদিক
ম্যাকলাফলিন আহত হলে আমি তাঁর
কাছে ক্ষমা প্রার্থী। আমি যে মন্তব্য
করেছি, তা সম্পূর্ণ মজা করে করা।
তাঁকে আঘাত করা বা অসম্মান করার
কোনো উদ্দেশ্য আমার ছিল না।’
গেইল ম্যাকলাফলিনের সঙ্গে পরে
যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ
হয়েছেন। তিনি চেয়েছিলেন কথা
বলে পুরো পুরো বিষয়টি মিটিয়ে
ফেলতে, ‘আমি তাঁর সঙ্গে গতরাতে
যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলাম
কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি।’
রেনেগেডসের প্রধান নির্বাহী
স্টুয়ার্ট কভেন্ট্রি গেইলের বিরুদ্ধে
ব্যবস্থা গ্রহণের ইঙ্গিত দিয়েছেন,
‘গেইল যে ধরনের মন্তব্য করেছেন,
তাতে আমরা সত্যিই দুঃখিত। আমরা
ইতিমধ্যেই সাংবাদিক
ম্যাকলাফলিনের কাছে ক্ষমা
প্রার্থনা করেছি। আশা করছি কারও
জন্যই ম্যাক তাঁর পেশাগত ক্ষেত্রে
অস্বস্তি বোধ করবেন না। তিনি একজন
দুর্দান্ত ক্রীড়া সাংবাদিক, এ ধরনের
আচরণ তিনি কারও কাছ থেকে পেতে
পারেন না।’
গেইলের সঙ্গে পুরো বিষয়টি নিয়েই
তাঁরা আলোচনায় বসেছিলেন বলে
জানিয়েছেন কভেন্ট্রি, ‘আমাদের
দলের কিছু নীতিমালা আছে।
আচরণবিধি আছে। আমরা গেইলের
সঙ্গে বসেছিলাম। ক্রিকেট
অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে
আলোচনা হয়েছে। গেইলের বিরুদ্ধে
দলগতভাবে আমরা কিছু শাস্তিমূলক
ব্যবস্থা গ্রহণ করলেও করতে পারি।’
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান
নির্বাহী জেমস সাদারল্যান্ড
বলেছেন, ‘এ ধরনের আচরণ সহ্য করা হবে
না।’
সাবেক অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক ইয়ান
চ্যাপেল প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ গেইলের ওপর।
তিনি বলেছেন, ‘গেইলের ক্ষমা
চাওয়ার মধ্যেও এক ধরনের উগ্রতা
আছে। আমি তাঁর ক্ষমা প্রার্থনার
মধ্যে কোনো অনুশোচনা বা
অপরাধবোধের ইঙ্গিত পাইনি।’
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ সকাল ৯:৪৪
বিজন রয় বলেছেন: ভাল।