![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সাহসী বলতে কি বোঝায়? আমরা সাহসী বলতে বুঝি যে বিপদের পরোয়া না করে নিজ লক্ষ্যে অটল থেকে লক্ষ্য অর্জনের পথে অগ্রসর হয়, তাকে। সাহসের আরও কিছু ডেফিনেশন আছে। আমাদের দেশে সবচেয়ে সাহসী প্রজন্ম ধরা হয় মুক্তিযুদ্ধের সময়কার প্রজন্মকে যারা মৃত্যুভয় তুচ্ছ করে অসীম সাহসে ভর করে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ইতিহাস বিখ্যাত এক অসম যুদ্ধে।
কিন্তু হালে সাহসের সংজ্ঞা বোধ হয় বদলে গেছে। পার্শ্ববর্তী দেশে সাহসী অভিনেত্রী বলতে বুঝায় যারা খোলামেলা পোষাকে বা পোশাকবিহীন অবস্থায় ক্যামেরার সামনে দাঁড়াতে বা সহ অভিনেতার সাথে অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনিয় করতে কোন রকম সংকোচ বা দ্বিধা করেনা। আমাদের দেশের নায়িকাদের এতদূর যাওয়া লাগেনা। মোটা দাগে হাত পা দেখা যায় - এরকম গাঢ় রঙয়ের পোশাক পরে রাস্তায় বের হলেই তাকে সাহসী বলা চলে। কিন্তু আফসুস, এটুকু সাহস দেখাবার মত মেয়ে আমাদের রাস্তাঘাটে দেখা যায়না বললেই চলে।
কিন্তু সৌদি আরবের ব্যাপারটা কি? ইসলাম ও শেষ নবীর জন্মস্থানের ইজ্জত রক্ষার্থে সেদেশে মুসলিম পুরুষ ও নারীদের চলাচলে কিছুটা কড়াকড়ি অনেক আগে থেকেই ছিল। এ নিয়ে পশ্চিমা দেশে বিস্ত্র সমালোচনা থাকলেও দেশের ভেতরে এ নিয়ে তেমন একটা উচ্চবাচ্য থাকেনি। মেয়েদের গাড়ি চালানো, মাহরাম ব্যতীত ভ্রমণ করা, পর্দা ছাড়া চলাফেরা করা নিষিদ্ধ ছিল - কিন্তু এসব আইন কেবল সৌদী নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য ছিল। পশ্চিমা দেশের মেয়েরা কোন কাজে সৌদি ভ্রমণে এলে সৌদি রীতিনীতিকে কাঁচকলা দেখিয়ে খোলা চুলে উড়ে বেড়াত আর তার ছবি সংবাদ মাধ্যমে পোস্ট করে সৌদি মেয়েদেরকে 'স্বাধীনতার' লোভ দেখাত।
সৌদি সরকারও সেই তথাকথিত স্বাধীনতার গুরুত্ব বুঝে কড়াকড়ির রাশ টানতে শুরু করেছিল। প্রথমে গ্যালারিতে নারী পুরুষ একসাথে বসে খেলা দেখা, তারপর কন্সার্ট, তারপর সিনেমা হল, তারপর গাড়ি চালাবার অনুমতি দেওয়া - মোট কথা স্বাধীনতার লোভে পড়া নারীরা যা মনে মনে চাইছিল, সরকার এক এক করে সব উম্মুক্ত করে দিচ্ছিল। আর কিছুদিন ধৈর্য্য ধরলে হয়তোবা পর্দার বিধানও তুলে দিত, কিন্তু ব্যাপারটা সেনসিটিভ বলে এটা বাস্তবায়ন করতে সময়ের প্রয়োজন ছিল।
কিন্তু সৌদি তরুণী রাহাফ আল কুনুনের আর তর সইছিলনা। বয়েস ১৮ বছর হয়ে গেছে। বিশ্ববাসীকে এই সময়েই যদি তার রূপ সৌন্দর্য দেখানো না যায়, তবে তার আর মূল্য কি? তাই সাহসী (!) হয়ে ওঠার জন্য সে এই সময়টাই বেছে নিয়েছে। সৌদি রীতিরীতিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখানোর জন্য সে পালিয়ে প্রথমে যায় সেক্স নগরী বলে খ্যাত ব্যংককে। যদিও থাই সরকারের তাকে রাখতে আপত্তি ছিলনা, তারপরেও এই তরুণীকে ইসলামের বিরুদ্ধে মোক্ষমভাবে ব্যবহার করা যবে - এই সম্ভাবনার কথা চিন্তা করে তাকে নিয়ে জাতিসঙ্ঘ, অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার মধ্যে কাড়াকাড়ি পড়ে যায়। সৌদি থেকে পালানো এই মেয়ে সবদিক থেকে আমেরিকার কাছাকাছি দেশ কানাডকেই তার পছন্দের আবাস হিসেবে বেছে নেয়। আর কানাডাও এরকম ফ্রিডম স্যাম্পল পেয়ে এত খুশি হয় যে বাকবাকুম করে তাকে 'ব্রেভ কানাডিয়ান' খেতাব দিয়ে দেয়। ধন্য ধন্য সাহসী নারী।
সাহসী নারীর গল্প তো অনেক শুনলেন। এবার দেখুন কিছু ভীতু নারীর ছবিঃ
এই বালিকার নাম আহেদ তামিমি। এর ঘটনা আশা করি সবাই জানেন।
ফাতিমা ফারহিন। হিজাব না খোলায় ভারতের লখনৌ এর সেন্ট জোসেফ স্কুলের এই ছাত্রীকে স্কুল থেকে বের করে দেয়া হয়েছে।
ফারিহা নিজাম। যুক্তরাষ্ট্রের ১৯ বছরের এই বালিকাকে পাবলিক ট্রান্সপোর্টে প্রায়ই নানা অস্বস্তিকর ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। একবার এক মহিলা টেনে ছিড়েও ফেলেছে বলে সে তার টুইটারে জানিয়েছে।
গ্লোরিয়া গুমি নামে কেনিয়ার এই মেয়েটি নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে ঈমান রক্ষার সংগ্রাম করে যাচ্ছে। নাস্তিক পিতামাতার এই কন্যা এখনো তার ঈমানে অটল আছে।
রোমানিয়ার মেয়ে স্টেফানি হিজাব পড়ায় তার পরিবার ও সমাজের নানা রকম কটুক্তি সহ্য করে যাচ্ছে।
সিঙ্গাপুরের নও মুসলিম সিতি নূরকে হয় হিজাব না হয় চাকরি এই দুটোর একটা বেছে নিতে হলে তার বস। তিনি জবাব দেন, চাকরি চলে গেলে আরেকটা পাব, কিন্তু যে সত্যের সন্ধান আমি পেয়েছি, তা চাইলেও সবাই পায়না।
সৌদি তরুণীকে 'ব্রেভ কানাডিয়ান' উপাধি' দেয়া কানাডার ১৭ বছরের এই তরুণী লায়লা ইসলাম গ্রহণ করায় তার পরিবার তাকে ত্যাগ করে। বন্ধু বান্ধবের আর্থিক সাহায্যে লেখাপড়া শেষ করা এই তরুণী এখন বিবাহিত জীবন যাপন করছেন।
বাংলাদেশী হিজাবী তরুণী সালমা আফরোজের প্রচন্ড কষ্ট হয়েছে ইসলাম বিদ্বেষী দেশ অস্ট্রিয়ায় নিজের ধর্ম পালন করতে। 'আল্লাহ আমার সাথে আছেন' এরকম কনফিডেন্ট নিয়ে তিনি সেখানে ঈমান নিয়ে টিকে আছেন।
২| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:২০
আরোগ্য বলেছেন: সৌদিতে যে কি হচ্ছে। বলার ভাষা নেই।
১৪ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ৯:২৪
বাংলার মেলা বলেছেন: সম্ভবত এটা সৌদির একটা চাল। 'আনভেইল্ড' সৌদি নারীদের কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ার মত স্বপ্নের দেশে যে কত চাহিদা, সেটা জনমনে ঢুকিয়ে দেবার জন্য একটা উদ্দেশ্যমূলক নাটক - যাতে পর্দা প্রথা তুলে দিতে কোন প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে না হয়।
৩| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০১
ছায়ীদ আল আরিফ বলেছেন: ভালো লাগলো। ধন্যবাদ।
৪| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:০৬
চোরাবালি- বলেছেন: এই মেয়েকে একটা টোপ বা আধার হিসেবে ব্যবহারের উদেশ্যে তৈরী করা হয়েছে অনেক আগে থেকেই হয়তো।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:১৯
কবির১২০৩ বলেছেন: নারী যেত থাক পুরুষে কাছে দৃবল।
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:২০
তারেক_মাহমুদ বলেছেন: ভাল পোষ্ট, সৌদী নারীদের চমকপ্রদ কাহিনী জেনে ভাল লাগলো।
৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৩৯
নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
সৌদি আরবে নতুন বিয়ে বিচ্ছেদ আইন চালু যা নারীদের স্বার্থরক্ষায় যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। দেশটিতে অনেক সময় স্ত্রীদের না জানিয়েই বিচ্ছেদ করেন স্বামীরা। তাতে অসম্মতি জানানো তো দূরে থাক, অনেক সময়ে খোরপোশের আবেদনটুকু জানানোর সুযোগ পান না স্ত্রীরা। সেই সব মেয়েদের পাশে দাঁড়াতে নতুন আইন প্রণয়ন করেছে সৌদি আরবের সরকার। এবার থেকে আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করার আগে অন্তত মোবাইলে মেসেজ পাঠিয়ে স্ত্রীকে সে কথা জানাতে হবে। নতুন নিয়ম চালু হলে মেয়েরা বিচ্ছেদ পরবর্তী সুযোগ-সুবিধার জন্য আবেদন জানাতে পারবেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, এ সবই সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের ‘ভিশন ২০৩০’ প্রকল্পের অংশ। দেশের সাধারণ মানুষদের যে সামাজিক এবং অর্থনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেগুলো সফল করতেই মেয়েদের আইনগুলোকে সহজ করা হচ্ছে। এরই মধ্যে তিনি জনসমক্ষে মহিলাদের গাড়ি চালানোর অধিকার দিয়েছেন। এছাড়া স্টেডিয়ামে পুরুষদের পাশে বসে ফুটবল ম্যাচ দেখার অনুমতি দিয়ে এই ধরনের দৃষ্টান্ত সরকার আগেই রেখেছে। বিয়ে বিচ্ছেদের এই আইন সেই তালিকায় নবতর সংযোজন।
৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১০
জুনায়েদ বি রাহমান বলেছেন: সাহসের হামলা, নির্যাতন, স্বাধীনতা, মানবিকতা সবকিছুর সংজ্ঞাই আস্তে আস্তে বদলে যাচ্ছে।
১৫ ই জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:০৪
বাংলার মেলা বলেছেন: পর্দানশীন নারীদেরকে তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস ও রীতিনীতি বজায় রাখতে প্রতিনিয়ত যে সংগ্রাম করতে হচ্ছে, তাকে আর সাহস বলা যায়না। কে এক তরুণী বোরখা পড়তে ভালো লাগেনা বলে দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে 'সাহসী' হয়ে গেল।
৯| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ রাত ৮:১২
রাজীব নুর বলেছেন: সৌদি একটা বর্বর রাষ্ট্র ।
১০| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৬
আখ্যাত বলেছেন: কানাডায় আশ্রয় পাওয়া সেই সৌদি তরুণী নিজের স্বাধীনতাকে উদযাপন করছেন। তার এই স্বাধীন জীবনে সঙ্গী হয়েছে মদ, শুকরের মাংস আর গাঁজা।
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ সকাল ১০:২৭
বাংলার মেলা বলেছেন: এখন বন্দি জীবন থেকে মুক্তি না হোক, মদ শুকরের মাংস আর গাঁজার লোভে হলেও যাতে সৌদি নারীরা পালানোর চেষ্টা করে - সে আশায় বুক বেঁধে আছে লেজকাটা এই শেয়াল।
১১| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৪৭
আখ্যাত বলেছেন: Click This Link
১২| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৩৭
টারজান০০০০৭ বলেছেন: আহ ! সাহাবীয়া রা. দের উত্তরসূরির এই দুরবস্থা ! আল্লাহ হেদায়েত দান করুন। আমিন !
২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১২:৫৫
বাংলার মেলা বলেছেন: আপনি কাদেরকে সাহাবীয়া রা এর উত্তরসূরী বলেছেন? লঙ্কায় জন্ম হলেই সবাই রাবণ হয়না। সৌদিতে বসে মদ গাঁজা আর শুকরের মাংস খাওয়া যায়না বলে কেউ পালিয়ে কানাডা গেলেই সে সাহসী হয়না। আসল সাহসী ঐসব মুসলিমাহ যারা বিরুদ্ধ পরিবেশে নিজেদের ঈমান টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। আল্লাহ এরকম দুয়েকটা লেজ কাটা শেয়ালকে হেয়াদাত না দিলে ইসলামের কোন ক্ষতি বৃদ্ধি নেই। সামু যেরকম পাঁঠা পালন করে, আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও তেমন দুয়েকটা লেজ কাটা শিয়াল পালা উচিত।
১৩| ২২ শে জানুয়ারি, ২০১৯ দুপুর ১:০০
পাঠকের প্রতিক্রিয়া ! বলেছেন: (আসল সাহসী ঐসব মুসলিমাহ যারা বিরুদ্ধ পরিবেশে নিজেদের ঈমান টিকিয়ে রাখতে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত)
ঠিক।
সামু যেরকম পাঁঠা পালন করে, আমেরিকা তথা পশ্চিমা বিশ্বেরও তেমনদুয়েকটা লেজ কাটা শিয়াল পালা উচিত
সামুতে ইদানিং পাঁঠার বিচি কর্তন করা হয়।
১৪| ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:১৮
অনল চৌধুরী বলেছেন: ভন্ড মোনাফেক অার বক-ধার্মিক হওয়া যতো সোজা,প্রকৃত ধার্মিক হওয়া ততোই কঠিন।
সারা পৃথিবী এরকম ভন্ডে ভর্তি।তাইতো মুখে ধর্মকথা বললেও সব ধর্মে নিষেধ থাকার পরও প্রায় সবাই চুরি,ঘুষ দুর্নীতি অার ব্যাভিচার করে।মদ খায়।
০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫১
বাংলার মেলা বলেছেন: সৌদিতে বসে গাঁজা আর শুয়োর খাওয়া যায়না বলে সেখান থেকে পালিয়ে থাইল্যান্ডে আশ্রয় নেয়া সেই বালিকাকে নিজের দেশে নিতে কানাডা আর অস্ট্রেলিয়ায় টানাটানি পড়ে যায়। কিন্তু অমুসলিম দেশে থেকে যেসব মুসলমানেরা প্রতিনিয়ত বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হচ্ছেন, তাদেরকে আশ্রয় দেবার জন্য কোন সামর্থবান মুসলিম দেশ আগ্রহ দেখাচ্ছেনা।
©somewhere in net ltd.
১|
১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৫:৫৫
মুহাম্মাদ খাইরুল ইসলাম বলেছেন: সুন্দর পোষ্ট: ধন্যবাদ বাংলার মেলা