![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কোনো এক বেশ্যাপাড়ার পাশ দিয়ে চলে যাওয়া পথ ধরে হাঁটছিলেন ডা. লুৎফর রহমান। সহসা এক পতিতা রমণীর মুখে পড়েন তিনি। খদ্দের বুঝেই হয়তো সেই রমণী কালজয়ী এই স্রষ্টাকে কাছে ডেকেছিলেন। লুৎফর রহমান বিব্রত হয়ে বললেন– আমি তোমাকে কী দেবো? সাহিত্যিকের পকেটে তো পয়সা নেই।
কয়েকদিনের অনহারী রমণী বড় আশা নিয়ে হাত পেতেছিলেন। উত্তরের আঘাত সইতে না পেরে বললেন– আমি আপনাকে নারী জীবনের শ্রেষ্ঠ সম্পদ দেবো। বিনিময়ে আপনি আমাকে দু’মুঠো ভাতের পয়সা দিতে পারবেন না?
প্রতিবার বাড়ি যাবার পথে এই সকল মহিয়সী নারীর সামনে দিয়ে আমাকেও যেতে হয়। আরিচার ওপাড় গেলেই দৌলদিয়া। পাশেই পড়বে জাঁকালো বেশ্যাপাড়া। খবরে পড়ি ইমানি চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে মাদরাসার তালেবানে এলম লাঠি-সোটা আর দেশিয় হাতিয়ার নিয়ে তাদের উৎখাতে নেমেছেন। বেশ্যাপাড়ার খড়ের, ছনের, বাঁশের তৈরি নোংরা অপবিত্র ক্লেদাক্ত ঘরগুলো তারা ধুলোয় মিশিয়ে দিতে চান। খেয়ে না খেয়ে, দুধের বাচ্চা (জারজ তো বটেই), ক’টা হাঁস-মুরগি আর কারো কারো বৃদ্ধ বাবা-মাকে নিয়ে খোলা আকাশের নীচে তিনদিন তিনরাত কাটিয়ে দেন পতিতা রমণীরা। মাথার ওপর ঝুলছে সাতদিনের আলটিমেটামের খড়্গ। তালেবান তাদের হুমকি দিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে পাড়া ছেড়ে হিজরত না করলে তারা সারা মহল্লায় আগুন জ্বালিয়ে দেবে ।
কয়েক বছর আগে একই ধরনের হুমকির মুখে হিজরত করতে বাধ্য হয়েছিলেন নারায়ণগঞ্জের টানপাড়ার বেশ্যারা। আজকাল শোনা যায়, তাদের বেশিরভাগের আশ্রয় মিলেছে ঘোড়াশালের সারকারখানার পাশে কোথাও। টানবাজারে আজকাল আর পতিতার ছায়া চোখে পড়ে না তেমন। কেবল কয়েকটা নেগেটিভ ইংলিশ ছবির পোস্টার ঝুলতে দেখা যায়। পাশেই বড় মার্কেট। অগুণতি সিডির দোকান। ভন ভন করে উড়ে আসা মাছি। আর বেশ্যা তাড়ানো মানুষের গলা ফাটানো চিৎকার– দিইয়ো নাগো বাসর ঘরের বাত্তি নিভাইয়া...। এ যেনো ঘরে ঘরে পতিতা গড়ে তোলার উন্মুক্ত আয়োজন।
সবাই জানে, শহর নগরের ভাসমান পতিতা, কিংবা টানবাজার-দৌলদিয়া-ঘোড়াশালে পাড়া গেড়ে বসা বেশ্যাদের নাইনটি নাইন পার্সেন্ট এই কলঙ্কিত পেশাটায় আসেন আক্ষরিক অর্থেই বাধ্য হয়ে। চাকরির লোভে এসে বিক্রি হয়ে যাওয়া, প্রেমের ফাঁদে আটকা পড়ে সব খোয়া যাওয়া, ধর্ষণের শিকার হয়ে সমাজের থুক্কারের মুখে পড়া, অপহরণের কবলে পড়ে সম্ভ্রম হারানো, অথবা পতিতা মায়ের পেটে জন্ম নেয়ার দোষে পতিতা বনে যাওয়া মেয়েই বেশি। ভাসমান পতিতাদের দলে আছে গ্রাম থেকে ক্ষুধার জ্বালায় আসা গার্মেন্টসগামী মেয়েরা। অন্ধ বা প্রতিবন্ধী সেজে ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে বের হওয়া নারীরা। শহরে তো রাতে মাথার গোঁজার ঠাঁই মেলে কেবল বাড়িওয়ালা আর ভাড়াটিয়াদের। এর বাইরে যে নারীই মাথা রাখে পিচ ঢালা পথের ফুটপাতে, কমলাপুর রেল স্টেশনে, সদরঘাটের পন্টুনে, তিন রাত ঘুমানোর পরে বীর পুরীষদের (পুরুষ অর্থে) প্রেম প্রেম খেলা সহ্যের সীমা ছাড়ালে চতুর্থ রাতেই তাকে বেশ্যাত্ব বরণ করতে হয়। বাঁচার পন্থা একটাই, আদর করতে এলেই কলার ধরে গর্জন করা– শুয়োরের বাচ্চা, নিবিই যখন নে, কিন্তু পকেটের পয়সা একটাও সাথে নাথে নিতে পারবি না। নইলে দেখবি তোর ইজ্জতে ক্যামনে দাগ লাগাই..
এ পথে নিরেট শরীরের টানে আসে যারা, তারা উপর তলার নারী। তারা পতিতা নয়; বড় লোকেরা তাদের সোহাগ করে বলে ‘সোসাইটি গার্ল’। অবশ্য তাদেরকেও সেক্স মেনিয়াক ভাবা ঠিক নয়। কারণ তারাও আমাদের সমাজের পয়জন থেকে তৈরি। হেমলক সমাজের ভুলভুলাইয়ার জালে ফেঁসে যাওয়া নারী। এদের বেশিরভাগই প্রচণ্ড রকমের মেধাবী। মেধার কামড়ে কিছু করে দেখানোর জন্যে, সেলিব্রিটি সেজে বন্ধুদের টেক্কা দেবার বাসনায়, ভালো ইউনিভার্সিটিতে স্ট্যাটাস বজায় রাখার অভীপ্সায় কোনো কুক্ষণে এরা আলোর ঝলকানির মোহে পড়ে যায়। প্রথমে নাইট বারে সীসা চিবিয়ে, তারপর নাইট ক্লাবের মদমত্ত জলসায় উদ্দাম ড্যান্স করে এরা ভেতরে জমে থাকা খেদ, জিদ আর মেদ পানি কররতে চায়। এখানেই একটা নতুন পরিচয়ের ধাঁধায় পড়ে যায় নারী। তারপর এটাকেই চালিয়ে নিতে তার প্রয়োজন হয় অর্থ, ক্ষমতা এবং আরো কিছু। অতএব..
কেননা, একজন নারী জানে (জানে না তার সঙ্গী পুরুষটিও), তার কাম-বাসনা কখনোই একজন পুরুষের মতো সর্বগ্রাসী নয়, যতটা সর্বপ্লাবী সে ভালোবাসায়। অথচ এই ভালোবাসার দায় তাকে সবসময়ই মেটাতে হয় একমাত্র শরীর দিয়েই। বস্তুত তার কাছে আসলে একজন পুরুষকে তৃপ্ত করার মতো শরীর ছাড়া আর কিছুই নেই। কেননা, একজন নারী জন্মের পর থেকে নারী হয়ে ওঠার নিরীক্ষাকালটায় ঠিক ঠিক বুঝে নেয়, আমাদের পুরুষেরা তার শরীর ছাড়া আখেরে আর কিছুকেই বিশ্বাস করতে পারে না। যেহেতু সমাজ পুরষের, সমাজের আনন্দ, ক্ষুধা, মোহ, জৌলুস, অর্থ, খ্যাতি– সব কিছুর নিয়ন্তা পুরুষ। তাই আমাদের নারীকে এই সমাজের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে চাইলেই বারবার পুরুষের সামনে শরীর কোরবান করতে হয় পাহাড়সম ঘৃণা আর সাগরসম অশ্রু নিয়ে।
প্রসঙ্গক্রমে বলি, আমাদের মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম জানে, যুদ্ধের কত বীরাঙ্গনা নারীকে বারাঙ্গনা হয়ে এখনো অভিশাপ পোহাতে হয় বিহারে, আসামে, রাওয়ালপিন্ডিতে, এমনকি নিজ মাতৃভূমি বাংলাদেশের ঘরে বসেও। দৌলদিয়া বা টাঙ্গাইলের বেশ্যাপাড়া খুঁজলে বাকি জীবন বারবণিতা হয়ে কাটানো তেমন কতক বীরাঙ্গনা আজো মিলে যাবে নির্ঘাত। অন্তত পতিতা হয়ে যাওয়া শ’খানেক যুদ্ধশিশু তো মিলবেই। আমাদের হুজুর জোটের নেত্রী খালেদার পরিণতিও কি তেমন কিছু হতে পারতো না? যুদ্ধের পরে কি জিয়া আশঙ্কা করেন নি যে, খালেদা পাকসৈন্যদের রেপক্রীড়ার শিকার হয়েছেন? আমাদের জানা নেই। আমরা এ-ও জানি না, জাহাঙ্গীর নগরের সেই ১০০ মেয়ের পরবর্তী জীবনে কী ঘটেছিলো? তাদের ক’জন বেশ্যা হয়ে বাঁচলো, আর ক’জন কুলটা হয়ে মরলো; যাদের ধর্ষণ করার আনন্দে মিষ্টির হল্লা বইয়ে দিয়েছিলো একজন আওয়ামী সন্তান।
কিন্তু এসব জেনে আমরা কী করবো?
গুণেমানে বেশ ভালো জেনেই একজন মুফতি সাহেবের দ্বারস্থ হয়েছিলাম আমি। প্রশ্ন করেছিলাম– পতিতাদের নিয়ে আমাদের কী করার আছে? কী বলে ইসলাম?
তিনি বললেন– ‘আযযানিয়াতু ওয়াযযানি’ আয়াতের হুকুম প্রয়োগ করতে হবে। রজম করতে হবে তাদের ওপর।
বললাম– সোসাইটি গার্লদের সম্পর্কে বলছেন? তাহলে সেটা মানা যায়, কিন্তু দৌলদিয়া বা টাঙ্গাইলের বেশ্যাপাড়ার মেয়েরা? দারিদ্রের কষাঘাতে ক্লিষ্ট শহরের ভাসমান পতিতারা?
–সবার বেলায় একই বিধান। তারা নিজেরাই নিজেদের সর্বনাশ করছে। রিজিকের জিম্মাদার আল্লাহ ।
–কিন্তু বেশ্যাপাড়া থেকে তো পালিয়ে আসাও অসম্ভব। আপনি একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন..
–তুমি কি আমার সাথে ঠাট্টা করছো? (বেশ বিরক্ত হয়ে বললেন)
–ভাই, সমাজ তো তাদের আর জায়গা দেয় না, দিচ্ছে না। বহু মেয়ে বিক্রি হবার পরে কোনোমতে পালিয়ে বাঁচতে চেয়েছিলো। কিন্তু তাদের মা-বাবা, পরিবার, তাদের রক্তের আত্মীয়-স্বজন পর্যন্ত তাদেরকে ঘাড় ধাক্কা দিয়ে তাড়িয়ে দিয়েছে...
–ঠিকই তো করেছে। কেনো তাদের জায়গা দেবে? তারা সমাজকে নষ্ট করেছে, যুব সমাজকে ধ্বংস করেছে এরাই..
বললাম– তাহলে তাদের হত্যা করাই ইসলামের সিদ্ধান্ত?
বললেন– অবশ্যই। কে তাদের বাধ্য করেছে? এটা তাদের পেশা। তারা কেনো এই পেশা বেছে নিলো? আল্লাহর জমিন প্রশস্ত। প্রলোভনে পড়ে তারা নিজেদের সর্বনাশ করেছে। সাথে দেশকেও।
অথচ এতক্ষণ তাকে এই বাধ্য হওয়ার কথাগুলোই বুঝিয়ে বললাম। ইচ্ছে হলো জিজ্ঞেস করি– নারীর অন্য কোন পেশাটা আপনাদের মতো ফতোয়াবাজরা সহজে মেনে নেয়? করলাম না। উদাহরণ তুলে ধরলাম– একটা মেয়ের সাথে ছয়টা মাদরাসার ছাত্র সেক্স করার জন্যে দরকষাকষি করেছে (এখানে মাদরাসার ছাত্র বলে কোনো গোষ্ঠীকে অপমান করা উদ্দেশ্য নয়, যেহেতু মাদরাসার ছেলেরা পতিতাদের উৎখাত করতে চাইছে, তাই প্রমাণটা তাদের মধ্য থেকে এলেই বেশি শক্তি পায়– সেজন্যে)। মেয়েটা এক পর্যায়ে ১৮০ টাকায় রাজি হলে ছাত্ররা বললো, ৯০ টাকা দেবো। মেয়েটা শেষমেষ তাতেও রাজি হয়েছিলো। সেই ছাত্রদের একজন আমাকে বলেছে, তারা শেষপর্যন্ত মেয়েটাকে আর নেয় নি, বরং ধোঁকা দিয়ে চলে এসেছে...। এতে কি প্রলোভন বোঝা যায়? একেকজনের কাছে মাত্র ১৫ টাকা দিয়ে শরীর বিক্রি করবে কেবল প্রলোভনের কারণে, এটা হতে পারে?
এমন প্রশ্ন শুনে উত্তেজিত হয়ে ওঠা স্বাভাবিক হলেও তিনি শান্ত মেজাজেই উত্তর দেন– অবশ্যই। তার শরীর-চাহিদা না থাকলে কিছুতেই এত কম টাকায় রাজি হতো না সে। এই নোংরামি দূর করার জন্যেই ‘আযযানিয়াতু ওয়াযযানি’ আয়াতের হুকুম প্রয়োগের...
আমি আর কথা বাড়াই না। বিদায়ের সময় বললাম– আপনি যদি আরেকটু সুস্থভাবে জবাব দিতেন! নোংরা তো ছিলো ওই পুরুষগুলো, মেয়েটার কী দোষ?
পাঠক, আমার আরো কিছু বলার আছে..প্লিজ..
আজ যেই তালেবানে এলমগণ দা-কাঁচি, ছুরি-তরবারি নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ছেন, তারা যদি এই যন্ত্রগুলো কেনার পয়সাটাও তাদের উদ্ধারে ব্যয় করতেন, তাদের পতিতাপল্লী উৎখাত বিষয়ক প্রোগ্রামের খরচটা এদের পুনর্বাসনের জন্যে দান করতেন, তাহলে অন্তত দশটা নারী বেঁচে যেতো পৃথিবীর ধিক্কার থেকে, হয়তো আখেরাতের কৈফিয়ত থেকেও।
একটু বোঝা দরকার– যদি এলম শেখা ফরজ হয়, তাহলে কি শেখানোটাও ফরজ না হয়ে পারে? যদি নারীর জন্যে পর্দা করা ফরজ হয়, তাহলে কি তাকে পর্দায় রাখার ফরজিয়্যাতটাও মাসঊলের ওপর বর্তায় না? সুতরাং এই বেশ্যাপাড়া উৎখাত যদি ফরজ হয়, তবে এই বেশ্যা বনবার সব আয়োজন নির্মূল করা ফরজ হবে সবার আগে। বেশ্যার পেটের ক্ষুধা, গায়ের দারিদ্র, পরিবারের থুৎকার আর সমাজের ধিক্কার এবং সবিশেষ পুরুষের হিংস্র কাম-বাসনা ধূলিস্যাৎ করতে হবে তারও আগে। নইলে যেই ফরজ অনাদায়ের ফলে সে বেশ্যা হলো, সেই অপরাধ তার একার গায়ে চাপানো যাবে না, সে অপরাধ আমারও। সুতরাং এই ফরজ আদায় না করে কেবলই বেশ্যা হওয়ার অপরাধে তাকে হত্যা করা হলে তাকে বেশ্যা বানাবার অপরাধে আমাকেও কতল করা ফরজ হয় ‘হুকুমের আসামি’ হিসেবে হলেও। নইলে সেটা অমানবিক আর বেইনসাফি হবে। এটা ইসলাম হতে পারে না। ইসলাম ইনসানিয়্যাত আর আদলতের ধর্ম। মুকাদ্দামাতুল ওয়াজিবে ওয়াজিবুন। এটা কি কেবল অজু আর নামাজের বেলায়?
পুনশ্চ :
১. ব্যাভিচারের চেয়ে সুদের গুনাহ বেশি। এ-ই যদি হয়, তাহলে সুদি ব্যাংক নির্মূলে নামতে হয় সবার আগে। আল আহাম ফাল আহাম– এই তারতীবের দাবি এটাই। ব্যাংক থেকে মাদরাসাগুলোর অ্যাকাউন্ট ক্লোজ করতে হবে তারও আগে।
২. নামুন সেই মাফিয়াদের বিরুদ্ধে, যারা মেয়েদের পতিতাপল্লীকে শেল্টার দিয়ে রেখেছে। কোনো মেয়েকে পালাতে পর্যন্ত দেয় না। নামুন সেই প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে, যাদের প্রতারণায় গ্যাংরেপের শিকার হয়ে পতিতা হচ্ছে অজস্র নারী। আন্দোলন করুন সেই মন্ত্রী-এমপিদের বিরুদ্ধে, যারা পতিতাদের বলে সমাজের সেফটি বাল্ব।
৩. জানেন তো, পতিতাদের রিক্সা-ভ্যানের মতো লাইসেন্স দেয় সরকার, তাদের আয়ের ট্যাক্সের পয়সা জমা হয় সরকারের রাজস্বে, তারপর বন্টন হয়ে আসে আমাদের সবার ঘরে ঘরে।
৪. তাদের বিয়ে ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করুন। সমাজ নষ্টের অভিশাপ যদি তার গায়ে লাগে, তবে তার প্রতি জুলুমের অভিশাপ থেকে আপনিও বাঁচতে পারবেন না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২২
মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ....
স্যরি, ভাই...ওটা আসলে নরসিংদীর ঘোড়াশাল হবে...এডিট করে দিয়েছি...
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৫২
বাক স্বাধীনতা বলেছেন: হবে না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২২
মনযূরুল হক বলেছেন: হওয়া দরকার....
৩| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১:৪০
জনম দাসী বলেছেন: গোপন প্রণয়নকারীর চেয়ে প্রকাশ্য লজ্জা গ্রহন করা অনেক উত্তম। অর্থাৎ, কাজ না পেলে ভিক্ষা করো তবু দেহ বিকিকিনি কেন? ভিক্ষা করা পাপ নয়, কিন্তু ব্যাভিচার মহা পাপ এবং হারাম। একজন ভিক্ষুক সামনে এসে দাড়ালে তাকে সবাই দূর দূর করে, অথচ এদের কে কেউ দূর দূর করে না। হায়রে সমাজ; জেনা কারিকে যদি কেউ মহীয়সী বলে তবে বড় দুঃখের সহিত বলতে হয়... সে ঈমানদার নয়। রাস্ট্রের চেয়েও বড় দায়িত্ব প্রতিবেশীর। দশজন প্রতিবেশী সমুখে এগিয়ে এসে কিছু অর্থ দানে তাদের কর্ম ব্যবস্থা করতে পারেনা। কিন্তু গোপনে বেশ টাকা গুজে দিয়ে আনন্দ কিনতে পিছ পা হন না।
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ ভোর ৬:২৫
মনযূরুল হক বলেছেন: কথা তো মিলেতালে সেই একটাই...ভিক্ষা করবেন ? ছাদ নেই, রাতে শোবেন কোথায় ? তো সেটাই পরিণতি ?
আর ঈমানদার হবার সংজ্ঞাটা না হয় এড়িয়েই গেলাম...আমার কিন্তু বাঁধে না...
ধন্যবাদ...
৪| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ বিকাল ৫:০৫
জনম দাসী বলেছেন: কথা গুলি আমি আপনাকে উদ্দেশ্য করে বলিনি। ওদের ব্যাথায় ব্যাথিত হয়ে আপনি যা লিখেছেন তা কজন লিখতে পারে। এমন প্রতিবাদী আর মহা সত্য লিখতে গেলে অনেকেই অনেক রকম ভালোর আগে মন্দ ভেবে নেয়। হয়তো অনেকে এমনও ভেবে বসেন লেখার আর কিছু পাইলো না বেটা। সে ক্ষেত্রে আমি আপনাকে স্যালুট জানাই। মূলত আমি সমাজ কে উদ্দেশ করে বলেছি। সত্য ভাবে যদি নেন তবে দেখবেন, মানুষ ভিক্ষের ঘোর বিরুধি। কিন্তু ওটাতে নয়। আমি যদি বলি সব পাপের মুল উৎস এই শ্রেণী টা। ভুল হবে কি। এই শ্রেণীটার জন্যই ভেঙ্গে যায় কোন লক্ষ্মীর সংসার। এই শ্রেণীকে পাওয়ার জন্যই পুরুষের অবৈধ পথে আয়ের মহড়া দিন দিন বেড়েই চলছে। ঘরের বউ কে দুবেলা দুমুঠো মোটা ভাত ঠিক মত দিতে পারেনা। অথচ দেখেন গিয়ে...... ভাল থাকুন ভাই সাহেব। আর লিখতে পারছিনা।
০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৪
মনযূরুল হক বলেছেন: তা কি আর বুঝি নি ! কিন্তু দু:খটাই যে ঘোচে না।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ...
৫| ২৪ শে জানুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৪:২৪
আততায়ী আলতাইয়ার বলেছেন: আরেকটা সমাধান হুযুরদের কাছে জনপ্রিয় হতে পারে তাহল এদেরকে তাদের দ্বিতীয় বা তৃতীয় বৌ এর স্থান দেয়া
২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ সন্ধ্যা ৭:৪২
মনযূরুল হক বলেছেন: হুমমম...। এইটা একটা ভালো কথা বলেছেন...।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা ডিসেম্বর, ২০১৫ রাত ১২:৪৭
সাবুজ বলেছেন: একমত ।টাংঙ্গাইলের সারখানাটা কোথায় ?