নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

তুমি উঠে এসো মাঝি-মাল্লার দলে

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৩৩


স্পেনের বিখ্যাত সুফি মুহিউদ্দিন ইবনুল আরাবি তার প্রার্থনার শুরুতে বলতেন— হে প্রভু, আমাকে আপনার অসীম একত্বের গভীর সমুদ্রে নিয়ে যান।’ যারা আল্লাহকে পাবার সাধনায় কাটিয়েছেন পুরো জীবন, তাদের রচনায় এই সমুদ্র আর তার গভীরে যাবার আকুতি বারবার উঠে এসেছে। কেনো এমন সমুদ্র গভীরে তারা যেতে চেয়েছেন তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তারা। কেউ বলেছেন—একটি রাতের অন্বেষায়; এবং এই রাতই হলো ‘হাজার মাস থেকে উত্তম’ রাত। কেউ বলেছেন—জোয়ারের অসংখ্য তরঙ্গের ভেতর হারিয়ে গিয়েও একটি ‘প্রবাহ’ খুঁজে পাবার বাসনায়। আবার কেউ বলেছেন—যদিও সমুদ্রে তরঙ্গের মেলা অজস্র, কিন্তু এখানে একটি ‘উম্মাহ’ গঠনের প্রত্যয় আছে, কারণ, এখানে আছে পানির মতো তরল উপাদান, আর প্রত্যেক তরঙ্গের আছে গন্তব্যে এগিয়ে যাবার নিজস্ব বৈশিষ্ট্য। এটা ঠিক যে, প্রতিটি তরঙ্গের এগিয়ে যাবার জন্য সময়ের প্রয়োজন হয়, স্থানের দরকার হয়। এমনকি তরঙ্গের পথেই মিথ্যা গর্ত ও গহ্বরও থাকে। বিশ্বাসী মানুষের জীবন ঠিক এমনই সমুদ্রের তরঙ্গের মতো, বহতা পানির মতো। তাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, আছে একাকার হয়েও নিজস্ব প্রবাহে এগিয়ে যাবার বিশেষণ। বিশ্বাসই তাদেরকে এই গতিপথ দান করে ।

এইসব কথা বড় গভীর শোনায়। বড় অচেনা অচেনা লাগে। চিন্তা-বোধ-বুদ্ধি খেই হারিয়ে ফেলতে চায়। যদিও এই সত্য জানা যায়, আল্লাহর একত্বের সান্নিধ্য পেতে গভীর সমুদ্রে নাবা ছাড়া আমাদের গত্যন্তরও নেই। সুতরাং সাগর জলে কিশতি ভাসাতেই হবে।

এক.
‘খয়রে উম্মাহ’ কুরআনের একটি গুরুত্বপূর্ণ শব্দবন্ধ। ‘শ্রেষ্ঠ জাতি’ বলে যদিও তার অনুবাদ করা হয়, কিন্তু এমন নয় যে, সেই ‘জাতি’ তৈরি হয়ে আছে। যদি তৈরি ধরা হয়, তাহলে এটাও মানতে হবে যে, সেই জাতি তাদের দায়িত্ব পালন করেছে। ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ জাতি, যাদের উদ্ভব হয়েছে মানুষের জন্য, তোমরা তো সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা দাও এবং আল্লাহতে বিশ্বাস রাখ।’ সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা প্রদানের ক্ষেত্রগুলো গুণে গুণে তুলে ধরা সহজ নয়, এমনকি পৃথিবীর কোনো ‘কাজ’ সত্তাগত সৎ বা অসৎ হওয়ারও যোগ্যতা রাখে না—সৎ বা অসৎ হয় আদেশ-নিষেধেরই গুণে। মিথ্যা বলাও কখনও আবশ্যক হয় এবং সত্য বলাও নিষিদ্ধ হতে পারে। কিন্তু সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজে বাধা প্রদানের প্রক্রিয়া কী হবে, তা নির্ধারণ করা জটিল কিছু নয়।

নবীজির উম্মাহ গঠনের দর্শন ছিলো— ভালো ব্যবহার ও ভালোবাসার সঙ্গে সকল মানুষের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রাখা। হোক সে ইহুদি। হোক সে কুরআনের ভাষায় অভিশপ্ত। ইহুদি হলেই সে শত্রু নয়, ইহুদি যখন নবীজির প্রতিবেশী, তখন তাঁর নিজের ঘরে রান্না গোশতের ঝোলও তার ঘরে পৌঁছে গেছে। পারস্পরিক সুসম্পর্কের প্রভাব ও ক্রিয়া সীমাহীন। ইসলামের সূচনালগ্নে যখন মুসলিম ও অমুসলিমদের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্কহীনতা ও বিবাদ বজায় ছিলো, তখন দেখা গেছে, হোদায়বিয়ার সন্ধি পর্যন্ত ঊনিশ বছরে মুসলমানদের সংখ্যা হয়েছে দেড় হাজার। কিন্তু এরপরে, অর্থাৎ হোদায়বিয়ার সন্ধির পরে মক্কা বিজয় পর্যন্ত দুই বছরে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দশ হাজারে। এর এক বছর পরেই তাবুক যুদ্ধের সময় সংখ্যাটি হয়েছে ত্রিশ হাজার। এবং তার এক বছর পরে বিদায় হজ্জের সময় সোয়ালাখ মানুষের জমায়েত হয়েছে। এর রহস্য একমাত্র এটাই যে, ভালোবাসা ও আন্তরিকতার সঙ্গে পারস্পরিক মেলামেশা বজায় ছিল। কিন্তু শর্ত হলো, সত্যিকারের ভালো ব্যবহার হতে হবে। ভণিতা বা খোশামোদি যেনো না হয়। নয়তো মানুষ মাথায় চড়ে যাবে এবং লাভের বদলে তা ক্ষতি বয়ে আনবে।

শ্রেষ্ঠ উম্মাহ গঠনের প্রক্রিয়ার কথা বিদায় হজ্জের ভাষণেও মূর্ত হয়েছে— আরবের ওপর আজমের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই, আজমের ওপর নেই আরবের। দাস-দাসীদের প্রতি আচরণে আল্লাহকে ভয় করো, তোমরা যা খাবে, তা-ই তাদের খাওয়াবে, যা পরবে, তা-ই তাদের পরাবে।

দুই.
সন্দেহ নেই, হেরা গুহার ধ্যানমগ্নতা কাটতে নবীজির সময় লাগে নি। আল্লাহর আদেশ— হে রসুল, আপনার ওপর যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা পৌঁছে দিন। তখনই তিনি সোচ্চার হলেন— ইন্নামা আনা মুবাল্লিগ, আল্লাহু ইয়াহদি..আমি শুধু তাবলিগ করে যাব, হেদায়েত আল্লাহ দেবেন। কিন্তু আমরা অবাক হয়ে লক্ষ্য করি, সেই আরবের যুবক, যিনি সব্যসাচী ফজলদের সংগঠন ‘হালাফুল ফুজুল’-এ গিয়ে মানব কল্যানের শপথ করেছেন, যিনি কাবা নির্মাণে পাথর কাঁধে বয়ে কাবা শ্রমিকদের মতো ঘাম মুছেছেন, যিনি ব্যবসায়ের পণ্য নিয়ে গেছেন মক্কা থেকে সিরিয়ায়; নবুয়তের সুমহান ‘পদবী’ পাবার পরেও তার জীবনধারায় কোনো বদলই ঘটে নি। এমনকি যিনি এই মাত্র ক’দিন আগেও জাবালে নুরে গুহার আঁধারে ধ্যানমগ্ন সময় কাটিয়ে কিছুটা সাধুর জীবনে চলে গিয়েছিলেন, তিনি আবারও ফিরে এসে লাকড়ি কুড়ানোর কাজ করছেন, কোবা মসজিদের পাথর তুলছেন, কিংবা কোদাল নিয়ে নেমেছেন খন্দকে। এমনকি অবিশ্বাসীরা বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে বলল— মালি হাযার রসুল..এ কেমন রসুল, সে তো আমাদেরই মতো খাবার খায়, হাটে-বাজারে যায়! হাবশার একজন কৃষ্ণাঙ্গ গোলামের জন্য এতো দরদ কেনো তার? তিনি কেনো অভিজাত মক্কার জাঁকজমক হারিয়ে কৃষককুলের মদিনায় ভিড়ে গেলেন? ধনিক সমাজের বৈঠকে একজন অন্ধকে দেখেও কেনো তিনি ভ্রুকুঞ্চিত করতে পারছেন না?

এইভাবে নবীজি কি নীচে নেমে গেলেন, নাকি উপরে উঠে এলেন? যে বঞ্চিত মানবতার মুক্তির জন্য তার আবির্ভাব হয়েছে, সেই মানবদের বাইরে তিনি আর কোথায় যেতে পারেন? তিনি যে সমুদ্রে কিশতি ভাসাতে চেয়েছেন, তার জন্য তাকে কিশতিতেই উঠতে হয়েছে, তাকে মাঝি-মাল্লার দলে একাকার হয়ে থাকতে হয়েছে। একটি দ্বিতল কিশতি। নীচের তলার মানুষদের মিঠা পানির জন্য উপরের তলায় যেতে হয়। তাতেও কিন্তু উপরের তলার মানুষ খুশি থাকবে, কখনও বিরক্ত হবে না। এমন যেন না হয় যে, নীচের কেউ উপরের লোকদের কষ্টের কথা ভেবে কিশতির পাটাতন গলুই ফুটো করে ফেলে। পানি তো পেতেই হবে। পিপাসা নিবারণে নোনা পানিই কোন ছার। যদি এমনই হয়, যদি উপরের লোকেরা নীচের লোকদের বাধা না দেয়, তাহলে সবারই সলিলে সমাধি হবে।

তিন.
খয়রে উম্মাহ গঠনে মাঝি-মাল্লার দলে ভিড়বার কোনো বিকল্প নেই। গাট্টি-পুটলি মাথায়, ডেক-পাতিল-ডেকচিসহ একই কাতার বেঁধে যখন কাতারের যুবরাজ হাঁটেন তুরাগের পাড়ে হাবশি আফ্রিকানদের ভিড় ঠেলে, মিশরের পাইলট চলেন তারই দেশের সিমের বীজ আর রুটির শর্মা বানানো বাবুর্চির পাশে হাসতে হাসতে, ইয়েমেনের চিকিৎসক মসজিদের এক কোণে নিমগ্ন আলাপে থাকেন বাংলাদেশের দুর্গন্ধমুখো রিক্সাচালকের সাথে, ফিলিস্তিনের প্রফেসর যখন উচ্চৈ:স্বরে বাজতে থাকা সিডির দোকানে ঢুকে পড়েন বলেন—‘ইয়া আল্লাহ, সালাহ, সালাহ’, তখন কি নববী যুগের দৃশ্যই আবার স্মৃতির অলি-গলি ভেঙে বেরিয়ে আসে না? যখন শান্তিরক্ষী হিসেবে সদ্য কঙ্গোর জঙ্গল চষে আসা সেনাকর্মকর্তা একটা আলাভোলা মাদরাসা ছাত্রকে বিনীত স্বরে বলে— হুজুর, দোয়া কুনুতটা একটু শেখান, পঞ্চাশ বছরের জীবনে কখনও বিতরে দোয়া কুনুত পড়া হয় নি, তখন কি আকাশের দিকে মুখ তুলে আরেকবার শোকর জেগে ওঠে না? তখন কি মনে পড়ে না— আমার প্রতিটি কথা জনে জনে পৌঁছে দাও, হতে পারে যার কাছে বার্তা পৌঁছেছে বাহকের তুলনায় সে বেশি উপকৃত হবে?

প্রাসঙ্গিকভাবে ইমাম আবু হানিফার রহ. একটি ঘটনা বর্ণনা করা যায়। তিনি বলেন— আমি ইহরামমুক্ত হতে জনৈক হাজামের কাছে গেলাম মাথা মুণ্ডানোর জন্য। জিজ্ঞেস করলাম— মাথা কামাতে কত নেবে? সে বললো—হাদাকাল্লাহ, ইবাদতের মধ্যেও দামাদামি চলে? বসে পড়ো, তুমি যা পারো দিয়ো। আমি লজ্জিত হয়ে বসলাম যেদিকে, সেটা কেবলার দিক ছিল না। সে আমাকে কেবলামুখী হতে ইশারা করল। এরপর মাথার বাম দিক আমি তার সামনে এগিয়ে ধরলাম। সে তাও শুধরে দিয়ে বলল— ডানদিকটা দাও। সে মাথা কামাতে লাগল। আমি চুপ করে রইলাম, বিস্ময়ে ঘোর কাটছিল না। সে বলল— চুপ করে কেনো, তাকবির বল। কাজ শেষ হলে আমি গন্তব্যে রওনা হলাম, সে বলল— আগে দু’রাকাত নামাজ পড়ে নাও। ভাবলাম— ইলম নেই এমন একজন হাজামের পক্ষে কী করে এতো কিছু জানা সম্ভব? সে-ই বলল— আমি তো আতা ইবনে আবি রাবাহকে রহ. এমন করতে দেখেছি। এবং মানুষকে সেমতে আমল করতে বলছি।

সবিশেষ— ঠিক এইভাবে একটি সার্থক উম্মাহ গড়ে ওঠে। একজন হাজাম কিংবা মুচি, একজন আলেম কিংবা প্রফেসর, একজন ব্যবসায়ী কিংবা একজন প্রকৌশলী সবাইকে কাছাকাছি একই পানির তরঙ্গের মতো একাকার হয়ে থাকতে হয়। আপন গন্তব্যে যেতে যেতে হারিয়ে যেতে হয় একই অভীপ্সায়। আল্লাহর অসীম একত্বের গভীর সমুদ্রে পৌঁছার জন্য একই কিশতিতে উঠে আসতে হয়। তখন বড়ত্বে সংকোচ জাগে, বিলাসিতায় বিব্রতী আসে, ক্ষুদ্রতায় আর তুচছতায় সৃষ্টি হয় পরম প্রাপ্তির অনুভূতি। এক জীবনে তখন আর তৃপ্ত হয় না মানুষ, একটি অসীম জীবনের প্রত্যাশা ভর করে সমগ্র সত্তায়। পৃথিবীর সকল যন্ত্রণা মধুর হয়ে যায় কাওসারের অমীয় শরাবের প্রতীক্ষায়। ধর্মের মহত্ত বিকশিত তখনই। দিনের দাঈ ও রাতের ডাহুক কহর দরিয়ার তীরে কী খোঁজে, তা বুঝতে আপনাকে সেই মাঝি মাল্লার দলেই উঠে আসতে হবে। সিঁড়িপোতা বন্দরে নোঙ্গর তোলা কিশতি ভাসাবে এই মাল্লারা— ওয়া সাইয়া‘ঊদু কামা বাদাআ।...

সূত্র :
১.হোয়াট ইজ সুফিজম, মার্টিন লিংগস, পৃষ্ঠা ১
২. কুরআন, ৯৭ : ৩
৩. কুরআন, ২ : ১১০
৪. ইউনুস পালনপুরী, বিখড়ে মূতী, ৮/১৬৯
৫. কুরআন, ৫ : ৬৮
৬. হাদিস, জামিউস সাগীর, ৬৩৮৫
৭. কুরআন, ২৫ : ৭
৮. হাদিস, সহিহ বুখারী, ২৪৯৩
৯. হাদিস, তিরমিজি, ১৩৮৯
১০. আবু হানিফা নুমান, ৪৮৪, ৪৯৪

মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৮

মাহমুদুর রহমান সুজন বলেছেন: অনেক সুন্দর পোস্ট। যাযাকাল্লাহ খায়ের।

২৫ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:০১

মনযূরুল হক বলেছেন: আল্লাহ আপনাকেও উত্তম প্রতিদান দিন...

২| ২৬ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ১২:২৮

সত্যপথিক শাইয়্যান বলেছেন: অনেক গভীর আর তাৎপর্যপূর্ণ লেখা। তবে, কিছু শব্দের বাংলা অর্থ ব্রেকেটে দেওয়া যেতো। যেমন- উম্মাহ, ওয়া সাইয়া‘ঊদু কামা বাদাআ ইত্যাদি।

আর, ইবনুল আরাবী'র তত্ত্ব পরবর্তীতে অনেক বিখ্যাত মুসলিম মনীষী ভুল প্রমাণ করেছিলেন।

‘হালাফুল ফুজুল’ মনে হয় 'হিলফুল ফুজুল' হবে।

সর্বোপরি, সামু ব্লগে ব্যতিক্রমী একটি লেখার কাতারে থাকবে আপনার পোস্ট।

২৬ শে মার্চ, ২০১৮ সকাল ৮:৩৩

মনযূরুল হক বলেছেন: ইবনুল আরাবীর তত্ত্ব এখানে দেওয়াটা উদ্দেশ্য নয় এবং তার সূফিজম স্বীকৃতই ছিল । এখানে তার প্রার্থনার একটি ঢঙ দেখানো উদ্দেশ্য মাত্র । উম্মাহ তো উম্মত, দল..
‘ওয়া সাইয়া‘ঊদু কামা বাদাআ’ হাদিসের অংশ । যেখানে বলা হয়েছে, ইসলাম নিতান্তই সাধারণ দিনমজুর মাঝি-মাল্লা টাইপের শ্রেণির মধ্য দিয়েই প্রকাশিত হয়েছে এবং সূচনালগ্নে মতোই আবারও তাদের কাছে ফিরে যাবে ।

শব্দটা আসলে ‘হালাফুল ফুজুল’.. হালাফ মানে শপথ, ফুজুল মানে ‘ফজল’ নামধারী কয়েকজন, যাদের প্রতিজনের নামের সঙ্গেই ‘ফজল’ ছিল । ‘হিলফুল’ উচ্চারণটা ভুল, যেমন মূল উচ্চারণ হলো ‘সাজদা’, কিন্তু আমরা বলছি ‘সেজদা’ বা ‘সিজদা’..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.