![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
এখন তো দেখি জাতীয় সঙ্গীতের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলার সময় এসে পড়েছে । যেহেতু তিনি বলেছেন মাদরাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাইতেই হবে । কেননা, যুগের চাহিদা অনুযায়ী মাদ্রাসার সিলেবাসে অংক, ইংরেজি, বিজ্ঞান ঢোকানো গেলে জাতীয় সঙ্গীতে সমস্যা কী? এমনকি আদালত প্রশ্ন করেছেন— “আপনি দেখান পবিত্র কোরানের কোথায় আছে, জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া যাবে না?”
আমরা আদালতকে এই প্রশ্ন করব না যে, আপনি দেখান পবিত্র কোরআনে কোথায় আছে, জাতীয় সঙ্গীত গাইতেই হবে? সঙ্গীতের বিষয়ে ইসলামের সুনির্দিষ্ট বিধিমালা আছে, যা আদালতের জানা না-থাকার কথা নয় । এবং ইসলামের বিধান যে একমাত্র কোরআন নয়, তা-ও অবিদিত নয় তাদের ।
এটা ঠিক যে দেশের ধর্মীয়-শিক্ষা যুগের পথে সঠিকভাবে হাঁটতে পারে নি । কর্তৃপক্ষ মাদরাসার ধর্মীয় পুস্তকের যথাযথ সংস্কার না করে এবং আধুনিক সময়ে ধর্মের ব্যবহারিক জ্ঞানগত পাঠ্যক্রম তৈরি করতে ব্যর্থ হয়ে কেবল বিজ্ঞান ঢুকিয়ে ছাত্রদের জাতে ওঠাতে চেয়েছিলেন । এই ব্যর্থতার ফলে ক’দিন পরপর জেনারেল শিক্ষার সাথে, বুদ্ধিজীবী আর বুদ্ধির ব্যাপারীদের সাথে তাদের আপস করতে হয়, জাতির নেতার ছবি টানাতে হয়, সরকারি আপ্তবাক্য তোতাপাখির মতো আওড়াতে হয় ।
এই আপসের পরিণতিতে সেখানে ধর্মের কতখানি বাঁশ গেছে আর আর কতটুকু বাকি আছে, আদালত কি একটু খতিয়ে দেখবেন? আদালতের দায়িত্ব কি শুধু ধর্মীয়-প্রতিষ্ঠানে বিজ্ঞান ঢুকানোর খোঁজখবর নেওয়া, ধর্ম আছে কি নেই, সে-দায় তাঁর নেই? তাহলে আদালতের প্রতি ধার্মিক মানুষের দায় কতখানি?
কওমির স্বীকৃতিটা পর্যন্ত আপস করে হয়েছে। মনে হয় যেন এরা তো আসলে যোগ্য নয়, করুণা করে দেওয়া হয়েছে মূলস্ট্রিমে আনার জন্য । এত বিশাল জনগোষ্ঠী কি মানবেতর জীবনযান করবে, তাদের খয়রাত না করলে বাঁচবে কেমনে, দেশের বোঝা হয়ে যাবে না—তাই খয়রাত করা হয়েছে ।
আচ্ছা, মাদরাসায় বিজ্ঞান ঢোকানো হলো কেন? ছাত্ররা মুসলিম এবং মুসলিমদের জ্ঞানে বিজ্ঞানে বলীয়ান হতে হবে—সেজন্যে? তো স্কুল কলেজের ছেলেরা মুসলিম না? নাকি তাদের ধর্মশিক্ষার দরকার নেই বলেই তারা স্কুলে পড়ছে? বিজ্ঞান কি হুজুরদের জন্যে নাকি মুসলিমদের জন্যে? বিজ্ঞান তো তামাম মানুষের জন্যে । একইভাবে ধর্মও যে সকল মানুষের জন্য—সেটা কি অস্বীকার করেন? বিজ্ঞান শেখা লাগলে ধর্ম লাগে না কেনো? একমুখী ধর্মবান্ধব বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থার করার জন্যে আদালত কেনো স্বপ্রণোদিত হয়ে রুল জারি করছেন না?
সবকিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে যুগের নাম করে । যুগ হাঁটছে কোন দিকে কারও নজর নেই । যুগের দরকার তো ইংরেজি শেখো । ইংলিশ মিডিয়াম যাও । ইংলিশ মিডিয়াম যে কোন দিকে যাচ্ছে, তার খবর নেই । যুগের দরকার মূর্তি গড়া, বানাও মূর্তি । লক্ষ টাকা খর্চা করে যে-মানুষরূপী মূর্তি বানানো হচ্ছে, সেই মানুষ কেমন আছে, সেই মানুষেরা মাথাপিছু যে ৫০ হাজার টাকা করে ঋণী, গুম-খুন ও পরাধীনতার জাহেলিয়াতে যে তারা জেরবার—সেই খবর নেই । যুগ বলছে, পোশাক আলগা করো, তো ন্যাংটা হতে লেগেছেন । সংসারের পর সংসার ভেঙে ছোট ছোট শিশুরা যে এতিমের মতো অসহায় হয়ে পড়ছে, তার কী দরকার—আপনার দরকার যুগ ।
কী চান আপনারা? দীন-ধর্মহীন একটা রোবট জাতি তৈরি করতে? যদি বলি, এখন মুসলিম হিসেবে কী করে আমি একজন অমুসলিম কবির রচিত সঙ্গীতকে জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গাই? আমাদের জাতীয় মসজিদ আছে, জাতীয় ইমাম আছে । তাহলে জাতীয় মসিজদের অনুষ্ঠানে কি জাতীয় ইমামরাও জাতীয় সঙ্গীত গাইতে শুরু করবেন?
বাংলাদেশের কোনো মন্ত্রী-এমপিকে বলেন মসজিদে গিয়ে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে । তিনি প্রথমে গেয়ে মাদরাসার মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার প্রচলন উদ্বোধন করুক । যদি তাতে তার কলজে কাঁপে, যদি তাতে তিনি রাজি না হন, তাহলে তার কাছে প্রশ্ন করুন যেই সঙ্গীত মসজিদে গাওয়া যায় না, সেটা কী করে মাদরাসায় গাওয়া হবে? আদালত কি জানেন, দেশের বিপুল সংখ্যক মাদরাসায় ক্লাসও চলে মসজিদের ভেতরে বসে?
আমরা পূর্বেই বলেছিলাম—মাদরাসায় কোরআন-হাদিস শেখানো হয় । তো একটা ছেলে কি জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কোরআন পড়তে বসবে? নাকি এটা দরকার যে, সমস্ত স্কুল-কলেজ ও সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো সকালে কোরআন তেলাওয়াত দিয়ে শুরু হওয়া?
আমার তো মনে হচ্ছে, আমরা কোন জাতি—সেই প্রশ্নের মীমাংসার সময় এসেছে । আমরা কি মুসলিম নাকি বাংলাদেশি? জাতীয়তাবাদ কি আমাদের ধর্মের চেয়ে বড়, নাকি জাতীয়তাবাদ নিজেই ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে? জাতীয়তাবাদ যদি ধর্ম হয়, তাহলে সর্বশ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে ইসলাম ছাড়া অন্যের কোনো ধর্মের বিধান মানতে আমরা রাজি নই ।
আর যদি যুক্তি তোলেন—অন্য মুসলিম দেশেও জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয় । তাহলে তাদের বলব, তাদের জাতীয় সঙ্গীত শুনে দেখুন, ধর্মের ভাবধারা সেখানে কতখানি জড়িয়ে আছে । সৌদিআরব, মিশর, তুরস্ক, ফিলিস্তিন, পাকিস্তান, আফগান, লিবিয়া, বাহরাইন, মালয়শিয়ার জাতীয় সঙ্গীত শুনুন । তারপরও যদি গাইতে বলেন, তাহলে দেশের জাতীয় সঙ্গীত নতুন করে নির্বাচন করুন—যা আমরা মসজিদেও গাইতে পারব, যা স্বদেশের চেতনায় আমাদের যতখানি উদ্দীপ্ত করবে, ধর্মের প্রতি তার চেয়ে কোনো অংশে কম ঋদ্ধ করবে না ।
নইলে শুধু শুধু সাংঘর্ষিক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে না দিয়ে জাতীয় সঙ্গীত না গেয়েও কারা দেশে সবচে’ কম অপরাধপ্রবণ এবং কারা গেয়েও দেশের বারটা বাজাচ্ছে সেই হিসাব করুন । হাদাকুমুল্লাহু রব্বুল আলামীন ।
সূত্র : https://bit.ly/2GyCaZC
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৭
মনযূরুল হক বলেছেন: খোঁজেন, নি:সন্দেহে পেয়ে যাবেন, আশা করি...
২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৪০
মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, দেশপ্রেম তৈরী হবার জন্য। ভালো কথা।।
কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত দশ বছর ধরে, শপথ পাঠ করে যে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেয় তার কি হবে??
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
মনযূরুল হক বলেছেন: দেশপ্রেম তৈরির থেকেও বেশি হলো, দেশ রক্ষার প্রত্য থাকা । যাদের নিজেকে রক্ষা করতেই হিমসিম খেতে হয়, আর দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হয়, তাদের দেশ রক্ষার প্রত্যয় আর কতটুকু উপাকার দেবে?
৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৮
চোরাবালি- বলেছেন: আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থাটাই পরিবর্তন করতে হবে যা আজ পর্যন্ত স্বার্থের অন্তরালে অপরিবর্তনীয় আছে। মাদ্রাসা আর স্কুল দুটিকে আলাদা পার্টিশনে ভাগ করে ফায়দা লুটতে চায়। প্রতিটি মানুষই কোন না কোন ধর্মে বিস্বাসী। যারা ধর্মে বিশ্বাসীনা সে সংখ্যা খুব কম শতকরা ভাগে আসবে না মনে হয়।
স্কুলে ধর্মীয় শিক্ষার গুরুত্ব বাড়িয়ে দিলেই হয়ে গেল। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিভেদ থাকলো না।
আমার দেখা কিছু লোক দুর্নীতিবাজ চরিত্রহীনরা কোন ধর্ম মানে না কারণ ধর্ম মানতে গেলে সেগুলি বহাল রাখতে পারবে না। আর তারাই আমাদের সমাজের বড় কাটা আজ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৭
মনযূরুল হক বলেছেন: একটা বেসিক স্তর পর্যন্ত অবশ্যই একমুখী শিক্ষার ব্যবস্থা থাকাটা জরুরি । তারপর যারা যে-বিষয়ে বিশেষজ্ঞ হতে চায় হবে; এখানে বাধ্য করার তো কিছু নেই । এখন পুরো দেশের মানুষকে কেবল এই শিক্ষা-ব্যবস্থার কারণে দ্বিমুখী চরিত্র নিয়ে বেড়ে উঠতে হয় ।..
৪| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৫৯
বিদ্রোহী ভৃগু বলেছেন: সত্য বলার আকালে দারুন সত্যকে যুক্তযুক্ত ভাবে উপস্থাপন করেছেন বলে কৃতজ্ঞতা।
++++++
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:০৮
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার উত্তরোত্তর উৎসাহই প্রেরণা যোগায়..
৫| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:১৪
আকিব হাসান জাভেদ বলেছেন: ভাবছি , জাতীয় সঙ্গীতটা দুই দিন পরে এক আলীফ দুই আলীফ টানে পড়তে হবে কিনা । ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো দুনিয়াবি জ্ঞানে দীক্ষিত হচ্ছে বুঝতে হবে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
মনযূরুল হক বলেছেন: ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো দুনিয়াবি জ্ঞানে দীক্ষিত হচ্ছে বুঝতে হবে।
৬| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১:৫৩
এ আর ১৫ বলেছেন: ধর্মীয় অধর্মীয় সকল স্কুল লেভেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগিত গাওয়া বাদ্ধতা মুলক । যে প্রতিষ্ঠান সেটা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমুলক ব্যবস্থা গ্রহন করা উচিৎ ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১২
মনযূরুল হক বলেছেন: এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হবে, বুঝতেই পারছেন..।
মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ..।
৭| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ২:১৬
রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম এযুগে পুরোপুরি পালন করা সম্ভব নয়। পালন করতে গেলে পিছিয়ে পড়তে হবে।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৩:১৩
মনযূরুল হক বলেছেন: কথাটা মানতে পারছি না । বরং ধর্মের বিধান মানুষকে প্রগতিশীল হতে শেখায় । নিজেরা একটা কিছু গড়ে সেটাকে যুগের যুক্তিতে দাঁড় করিয়ে ধর্মকে প্রশ্নবিদ্ধ করা আসলে ধর্মকে বুঝতে না-পারারই নামান্তর ।...
৮| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:১৬
শাহ আজিজ বলেছেন: জাতীয় সঙ্গীতটাকে হামদ বা নাত এর মত মনে করুন দেখবেন মসজিদে গাইলেও তা না মুমকিন হবে না। জাতীয় সঙ্গীত গাইতেই হবে , সর্বত্র ।।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৪
মনযূরুল হক বলেছেন: জাতীয় সঙ্গী যদি হামদ-নাতের মতো ন্যূনমত কোনো যোগ্যতা অর্জন করতো, তাহলে সেটা ইবাদত মনে করে গাইতাম । মসজিদে তো বটেই, তাহাজ্জুদে উঠেও পাঠ করতাম ।...
ধন্যবাদ..
৯| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ বিকাল ৪:২০
পদ্মপুকুর বলেছেন: অনেকদিন পর একটা শক্তিশালী লেখা দেখলাম মনে হচ্ছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। উপরে রাজীব নুর যেমনটা বলেছেন যে বর্তমান সময়ে পুরোপুরি ধর্মপালন অসম্ভব- এই বোধটা তৈরী করার জন্যই এ রকম অপ্রয়োজনীয় বিভিন্নমুখী কর্মকান্ড চালানো হচ্ছে বলে মনে হয়।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৬
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার পরামর্শটাই প্রয়োজনীয় মনে হচ্ছে বেশি ।
শুভকামনা রইল আপনার জন্যে..।
১০| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:০৩
এভো বলেছেন: ভাই জাতীয় সংগিত গাওয়ার মধ্যে সমস্যাটা কি আমি সেটা বুঝলাম না এবং আপনার এ পোষ্ঠিংটায় কোন গ্রহন যোগ্য ব্যাখা পেলাম না । অমুসলমান লিখেছে এটা কোন গ্রহন যৌগ্য কারন বলে মনে হচ্ছে না । একটু ভালোভাবে ব্যাখা করলে ভালো হয় । পাকিস্থান আমলে তো ঠিক ই জাতীয় সংগিত গাওয়া হোত ।
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৭
মনযূরুল হক বলেছেন: যে জাতীয় সঙ্গীতে কোরআনিক কোনো ভাবধারা নেই, সেই জাতীয় সঙ্গীত কোরআনিক প্রতিষ্ঠানে গাইতে বাধ্য করাই প্রধান সমস্যা...
১১| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৪৫
ইনাম আহমদ বলেছেন: আপনারা কি বাঙালী জাতির অংশ নন? বাংলাদেশের নাগরিক নন? দেশে থেকে দেশের সুযোগসুবিধা ভোগ করেন না? তবে দেশের জাতীয় সঙ্গীত গাইতে গলায় বাঁধবে কেন?
যদি অমুসলিম কবির রচিত সঙ্গীত গাইতে এতোই বাধে তবে অমুসলিম ভাষায় কথা বলেন কেন? বাংলা ভাষায় তো বেশীরভাগ শব্দই এসেছে হিন্দুয়ানী সংস্কৃত থেকে। আরবী সামান্য কয়েকটা শব্দ আছে মাত্র।
আপনারা এক কাজ করুন, সরকারের কাছে অনুরোধ করুন যাতে আপনাদের মহান মুসলিম কবি আল্লামা ইকবাল রচিত 'পাক-সার জমিন' গাইতে দেয়া হয়। আর বাংলা ভাষায় ব্লগিং না করে আরবী বা উর্দু ভাষায় ব্লগিং করুন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৪৮
মনযূরুল হক বলেছেন: না, আমরা বাঙালি জাতির অংশ নই, আমরা বাংলাদেশি । এটাও জানি যে, একসময় নিজেদের যারা বাঙালি বলত, তারাই এখন বাংলাদেশি জাতীয়বাদের কথা বলে । একই সঙ্গে 'বাঙালি থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে' যাওয়ার সময়ই রবিঠাকুরের জাতীয় সঙ্গীত মূল্যহীন হয়ে পড়ে, যদি আপনি এই সঙ্গীতটি রচনার ইতিহাস জেনে থাকেন তাহলে স্বীকার করতে বাধ্য হবেন ।
রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা রাষ্ট্রের কর্মকর্তারাই তো নেয় আমাদের মতো আমজনতা থেকে, আমরা রাষ্ট্রেরটা নেই, নিজেদের দাবি থেকে । জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে নিতে হবে বাপু এটা আপনি কোথায় পেলেন?
ভাষা আরবী-উর্দু হলেই মুসলমান হয় না । ইহুদিরাও আরবীতে কথা বলে । ভাষায় কে কী প্রকাশ করছে সেটাই বিষয় । একই কাপড় দিয়ে ধুতি পড়ে হিন্দুর উপাসনা হয়, পাগড়ি পড়ে হয় মুসলমানের । হিন্দুর ধুতি কেড়ে পাগড়ি বাঁধার কী দরকার, পাগড়ি কেড়ে ধুতি পড়াও অন্যায় । .... আশা করি বুঝতে পেরেছেন...
১২| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৪
হাফিজ বিন শামসী বলেছেন:
খুবই যুক্তিযুক্ত, ধারালো এবং শক্তিশালী লেখা।
দেশের কিছু সংখ্যক নাগরিক যেমন শুধু ধর্মীয় শিক্ষায় শিক্ষিত তেমনি বেশির ভাগ সংখ্যক নাগরিক ধর্মীয় শিক্ষা থেকে একেবারেই বঞ্চিত। আমরা ধর্মীয় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত নাগরিক। ধর্মীয় শিক্ষা যেহেতু আমাদের নেই তাই ধর্মের চর্চা আমাদের মাঝে থাকবে কী করে। ধর্ম আমরা বুঝি না বিধায় ধর্মকে আমরা নিষ্প্রয়োজন মনে করি। জীবনকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে বাঁধা মনে করি। সারা জীবন ছুটাছুটির পরে ক্লান্ত শরীর নিয়ে শেষ বিকেলে সেই ধর্ম কর্মে আমরা শান্তি খুঁজে ফিরি।
লেখাটা প্রিয়তে রেখে দিলাম। ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫০
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার ধর্মবোধ প্রেরণাদায়ক । অসংখ্য ধন্যবাদ....
১৩| ৩১ শে মার্চ, ২০১৮ রাত ৯:৫৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: মাদ্রাসায় জাতীয় সংগীত গাইতে হবে - আমি এর বিরোধী নই। সবাইকে গাইতে না হলেও একজন রিপ্রেসেন্ট করতে পারে। তবে এও সত্য যে সাধারন শিক্ষার স্কুলগুলোতেও সেরকমভাবে কোরান তেলাওয়াত দিয়ে শুরু করা জরূরী। সেইটার দিকে আবার বেশীর ভাগেরই অনীহা। তখন তারা প্রতিবাদ করবে।
"জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়, দেশপ্রেম তৈরী হবার জন্য। ভালো কথা।। কিন্তু ক্লাস ওয়ান থেকে টেন পর্যন্ত দশ বছর ধরে, শপথ পাঠ করে যে ফাঁস হওয়া প্রশ্ন পেয়ে পরীক্ষা দেয় তার কি হবে?? "
এইটা কোন যুক্তি নয়, কুযুক্তি। ধর্মীয় শিক্ষা পেয়েও কি মানুষ চুরি ডাকাতি করে না। তার জন্য কি ধর্ম শিক্ষা বন্ধ করতে হবে?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫২
মনযূরুল হক বলেছেন: কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বাধ্য করা এবং জেনারেল প্রতিষ্ঠানে কোরআন তেলাওয়াতেও বাধ্য করা উভয়টাই অনুচিত বলেই মনে করি । ..
১৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০০
হেলালুদ্দীন বলেছেন: ধর্ম সম্পর্কে যার যতো বেশি অজ্ঞতা তার মন্তব্যগুলোও তেমন বোকা বোকা। বিষয়টি আসলে শুধু ধর্মের সঙ্গেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং যে কোন বিষয়েই বক্তার জ্ঞান যখন থাকে ভাসা ভাসা, তার কথায় প্রকাশ হতে থাকে অজ্ঞতা ও মূর্খতা।
সুন্দর লেখার জন্য লেখককে ধন্যবাদ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: পাঠের জন্য আপনাকেও ধন্যবাদ
১৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:০৩
দপ্তরবিহীন মন্ত্রী বলেছেন: এগুলো হলো স্রেফ ফাইজলামি। হেডাম নাই মাদ্রাসা বন্ধ করার, তাই এখন জাতীয় সঙ্গীত জোর করে গাওয়াতে চাইছে। অবস্থা এমন যে, গুটিকয়েকে সংখ্যালঘু চেতনামারানি যা বলে, তাই এখন সরকার মানতে চায়। অবাক করার বিষয় পেটের তাগিদে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরাও প্রতিবাদ করতে পারছে না।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৩
মনযূরুল হক বলেছেন: পেটের তাগিদে শিক্ষক ও ছাত্র ছাত্রীরাও প্রতিবাদ করতে পারছে না খাঁটি কথা
১৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৩৬
শাহিন-৯৯ বলেছেন: সময়ের দাবি মিটিয়েছে এই লেখাটি।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১২:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: ধন্যবাদ পাঠের জন্য..।
১৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:১৭
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: লেখাটি আবার ভাল করে পড়লাম। ঠিক কি কারনে জাতীয় সংগীত গাইলে মাদ্রাসার জাত যাবে তা বুঝলাম না। লেখার শেষদিকে বলা হয়েছে ভিন্ন দেশের জাতীয় সংগীতে ধর্মীয় ভাবধারা রয়েছে যা আমাদের জাতীয় সংগীতে নেই। সেটাই প্রতিবাদের কারন। মানে অনাস্থা বর্তমান জাতীয় সংগীতের প্রতি।
"আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি ।
চিরদিন তোমার আকাশ, তোমার বাতাস, আমার প্রাণে বাজায় বাঁশি ॥
ও মা, ফাগুনে তোর আমের বনে ঘ্রাণে পাগল করে,
মরি হায়, হায় রে—
ও মা, অঘ্রানে তোর ভরা ক্ষেতে আমি কী দেখেছি মধুর হাসি ॥"
এখানে অনাস্থা প্রকাশ করার মত কোন শব্দ রয়েছে কি? না নেই।
জাতীয় সংগীত রচনার উদ্দেশ্য নিয়ে কিছু বিতর্ক রয়েছে। তা থাকতেই পারে। সবকিছু নিয়ে সবসময় বিতর্ক থাকে। কিন্তু তা যতক্ষন না সর্বসাধারন কর্তৃক সুচিন্তিত ভাবে গৃহীত হবে ততক্ষন জাতীয় সংগীত তার নিজ মহিমায় অটল থাকবে। তা স্কুল মাদ্রাসার মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কারিকুলামে অন্তর্ভূক্ত থাকবে। ক্ষেত্র ভেদে শিথিল হতে পারে কিন্তু বাদ দেয়া যাবে না।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৫
মনযূরুল হক বলেছেন: কেনো বাদ দেওয়া যাবে না? জাতীয়তাবাদে সমস্যা হবে, এই জন্যে?
১৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৪:৪৩
কল্পদ্রুম বলেছেন: আপনার পুরো লেখাটা পড়লাম।উপরের পক্ষে বিপক্ষে কয়েকটি মন্তব্যও পড়লাম।আমি ধর্ম,ইতিহাস কিংবা রাজনীতি কোন বিষয়েরই বিশেষজ্ঞ নই।একজন সাধারণ নাগরিক এবং মুসলিম হিসেবে আপনার যুক্তিগুলোকে আমার কাছে গ্রহণযোগ্য মনে হলো না।সঙ্গীত নিয়ে যে ইসলামে সুনির্দিষ্ট নীতিমালার কথা বললেন আমার জানামতে সেখানে ঢালাওভাবে সব সঙ্গীতের ধরণকে নিষিদ্ধ করা হয়নি।আমাদের জাতীয় সঙ্গীতে তো কোন ধর্মের বিরুদ্ধে কোন কথা লেখা নাই।সুতরাং এটাকে বাদ্যযন্ত্র ছাড়া খালি গলায় গাইলে সমস্যা কি!আর মসজিদে জাতীয় সঙ্গীত গাইতে বলার উদাহরণ দেওয়া একেবারেই কূটযুক্তি।মাদরাসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আর মসজিদ আমাদের ইবাদতের স্থান--দুটোর মর্যাদা এক কাতারে ফেলা কি হাদীস দ্বারা সমর্থিত?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:১৮
মনযূরুল হক বলেছেন: মাদরাসা সাধারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয় । মাদরাসা ইবাদত শিক্ষা করার স্থান । বাকি যেহেতু আপনার যুক্তিই পছন্দ হয় নি, তাই অন্য কথাগুলোতে মন্তব্য করতে চাচ্ছি না..
ধন্যবাদ..
১৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:১৩
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
আগে বলুন মাদ্রাসা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান?
এই উপমহাদেশের বাইরে পৃথিবীর কোথায় আছে মাদ্রাসা?
মোগল ও ফার্সিরা এই উপমহাদেশে মাদ্রাসা মক্তব প্রচলন করেছিল। নিউইয়র্ক দুএকটা মাদ্রাসা আছে সেসব বাংগালীরাই করেছে।
খাটি ইসলামে স্কুল-মাদ্রাসার কোন স্থান নেই।
আলকায়দা-আইএস,বোকোহারাম এইসব সালাফি খাটি ইসলাম মতাবলম্বীরা মাদ্রাসা সহ যে কোন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানককে হারাম মনে করে।
জাতীয়সংগিতের পিছে না লেগে বোকোহারামজাদাদের মত গোড়াথেকেই মানে স্কুল-মাদ্রাসা সহ সব নিষিদ্ধকরণ করে খাঁটি ইসলাম চালু করেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২১
মনযূরুল হক বলেছেন: এই উপমহাদেশের বাইরে পৃথিবীর কোথায় আছে মাদ্রাসা? একটা দারুণ প্রশ্ন করেছেন ।
তবে মাদরাসা কেনো এলো সেইখানে গেলে আর এই প্রশ্নটা করার দরকার হতো না । যখন অন্যসব শিক্ষাঙ্গন থেকে ইসলামকে চুলের মতো বের করা শুরু হয় এবং সেক্যুলার লেবাস পরা ধার্মিকার তাতে তা দেয়, তখনই মাদরাসার প্রচলনের প্রয়োজন হয় ।
আর কথায় কথায় জঙ্গি উদাহরণ টেনে আনা আসলে বকধার্মিকদেরই বৈশিষ্ট্য বলে মনে করি...
২০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ ভোর ৬:৫৮
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: মাদ্রাসায় জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ায় সমস্যাটা কি একটু ক্লিয়ার করবেন???
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২২
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনি কি লেখাটা পড়েছেন, একটু বলবেন?
২১| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:১৩
এভো বলেছেন: : যে জাতীয় সঙ্গীতে কোরআনিক কোনো ভাবধারা নেই, সেই জাতীয় সঙ্গীত কোরআনিক প্রতিষ্ঠানে গাইতে বাধ্য করাই প্রধান সমস্যা...
জাতীয় সংগিত কি নাথ , হাম্দ বা কির্তন ভজন যে ডিভাইনের ভাবধারা থাকতে হবে ?? জাতীর জন্য জাতীয় সংগিত, কোন একটা বিশেষ ধর্মের জন্য নহে , আপনি কতক গুলে মুসলিম দেশের জাতীয় সংগিতের কথা বলেছেন সেখানে নাকি কোরানের ভাবধার আছে ---- আমাকে দেখান পাকিস্থানের জাতীয় সংগিতে সেটা কোথায় আছে ? তুরস্ক বা মালোয়েশিয়ার জাতীয় সংগিতে কোথায় আছে ? অন্য গুলোতে কি আছে জানি না । পাকিস্থানের জাতীয় সংগিত আমার এক সময়ে মুখস্ত ছিল এবং এখনো অনেক লাইন মনে আছে ।
আপনি দাবি তুলেছেন মসজিদে জাতীয় সংগিত গাওয়ার কথা নিয়ে ??? কেউ তো ধর্মীয় উপাসনালয়ে জাতীয় সংগিত গাওয়ার দাবি করেনি , কেউ কি বলেছে মসজিদ, মন্দির, গির্জা ,গুরুদ্বার, পেগোডা ইত্যাদিতে জাতীয় সংগিত গেতে হবে ? মাদ্রাসা একটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেখানে অবশ্যই গেতে হবে , যদি বাংলাদেশের ভিতরে এর অবস্থান হয় । যারা এর বিরুধীতা করবে তাদের রাষ্ট্রদোহী হিসাবে বিচার করা যেতে পারে ।
আপনার জাতীয় সংগিত না গাওয়ার খোড়া যুক্তি ধোপে টিকেনা ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
মনযূরুল হক বলেছেন: জাতীয়তাবাদের কোনো যুক্তি ও দেশপ্রেমের কোনো অবস্থানকেই আমরা ধর্মের উপরে স্থান দেবো না । এবং ধর্মকে পাবলিক স্ফেয়ার থেকে বের করে প্রাইভেট লিমিটেডে পরিণত করার পক্ষপাতী নই
ধর্ম কোনো বিভাজ্য বিষয় নয় । দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয়তাবাদ ভাগ হয়, কিন্তু ধর্ম ঠিকই রয়ে যায় স্বমহিমায় । বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে এলেও যেহেতু পূর্বের জাতীয়তাবাদ রক্ষার সঙ্গীতটাই জাতীয় সঙ্গীত রয়ে যায়, সুতরাং যুক্তির ধোপে টেকার যুগ সেখানেই খতম ।
তদুপরি মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ..।
২২| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৭
বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: মুসলিম হয়েও কয়েকজন সহ ব্লগার কীভাবে মাদ্রাসাতে (ইসলাম ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) জাতয়ি সঙ্গীত গাওয়ার পক্ষে বলছেন তা বোধগম্য নয়। গান বাজনার ব্যপারে কী বেসিক ঠিক করে দেয়নি ইসলাম? স্বতন্ত্র একটা প্রতিষ্ঠানে কেন জোর করে গাওয়াতে হবে গান?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৮
মনযূরুল হক বলেছেন: একই প্রশ্ন আমারও..
২৩| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:০৩
রানা সাহেব বলেছেন: আদালত যদি মাথামোটা টাইপ রায় দেয় তাহলে হতাশা ছাড়া আর কি থাকে
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
মনযূরুল হক বলেছেন: আদালত রায় দেয় নি, রিট খারিজ করেছে মাত্র । আদালতের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখতে হবে..
২৪| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৭
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন:
আমারাই আধুনিকতার নামে ধর্মের বারটা বাজাচ্ছি।
কিন্তু আমরা সেটা উপলব্ধি করিনা। দুঃখ এখানেই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:২৯
মনযূরুল হক বলেছেন: হুমমম, এখানেই দুঃখ..
২৫| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪০
এভো বলেছেন: দেশভাগের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয়তাবাদ ভাগ হয়, কিন্তু ধর্ম ঠিকই রয়ে যায় স্বমহিমায় । বাঙালি জাতীয়তাবাদ থেকে বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে এলেও যেহেতু পূর্বের জাতীয়তাবাদ রক্ষার সঙ্গীতটাই জাতীয় সঙ্গীত রয়ে যায়, সুতরাং যুক্তির ধোপে টেকার যুগ সেখানেই খতম
কি উদ্ভট কথা বলছেন ---- আমারা নাগরিক হিসাবে বাংলাদেশি এবং জাতীয়তাবাদ বাঙ্গালী -- যেটা সংবিধানে লিখা আছে , মাঝে সেটা বি এন পি পরিবর্তন করেছিল সেটা এখন আর নাই । তাই জাতীয়তাবাদ বাঙ্গালী আছে সংবিধান অনুযায়ি। জাতীয়তাবাদ জনিত সমস্যা হলে সেই অজেকশন তো বিএনপির দেওয়ার কথা , তারা তো দিব্বি জাতীয় সংগিত গাচ্ছে, মাদ্রাসা তো জাতীয়তাবাদ চেতনার ধারক নহে , তাহোলে এমন খোড়া যুক্তি কেন ভাই , একটু আগে বললেন কোরানিক ভাবধারা নাই , এখন বলেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ , বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদিরা তো নিয়মিত জাতীয় সংগিত গা্য় , তারা জয় বাংলা বলে না , বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে ।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:০৯
মনযূরুল হক বলেছেন: ভাই, আপনি সম্ভবত রেগে আছেন, অথবা বিরোধিতার জন্যে ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন । তাই উদ্ভট ও খোঁড়া শব্দগুলি আপনাআপনি চলে আসছে..।
আপনার যুক্তিগুলো কিন্তু খুবই ভালো লাগছে । ভালো থাকবেন..
২৬| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৩৩
মোঃ মাইদুল সরকার বলেছেন: আমরাই ধর্মের বারোটা বাজাচ্ছি।
অথচ আমরা তা বুঝেও বুঝছিনা।
দুঃখ এটাই।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৭
মনযূরুল হক বলেছেন: হুমমম.. একমাত্র এইটাই দুঃখ..।
২৭| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪১
নতুন নকিব বলেছেন:
বিরক্তিকর এবং উদ্ভট কিছু মন্তব্য পোস্ট থেকে ডিলেট করেছেন বলে স্বস্তিবোধ করছি। পোস্টে ধন্যবাদ।
ভাল থাকবেন।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:৪৮
মনযূরুল হক বলেছেন: ডিলিট না করে উপায় ছিল না ।
ধন্যবাদ আপনাকেও । শুভ কামনা রইল..।
২৮| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:০৪
হাসান রাজু বলেছেন: আচ্ছা, মাদরাসায় বিজ্ঞান ঢোকানো হলো কেন? ছাত্ররা মুসলিম এবং মুসলিমদের জ্ঞানে বিজ্ঞানে বলীয়ান হতে হবে—সেজন্যে? তো স্কুল কলেজের ছেলেরা মুসলিম না? নাকি তাদের ধর্মশিক্ষার দরকার নেই বলেই তারা স্কুলে পড়ছে? বিজ্ঞান কি হুজুরদের জন্যে নাকি মুসলিমদের জন্যে? বিজ্ঞান তো তামাম মানুষের জন্যে । একইভাবে ধর্মও যে সকল মানুষের জন্য—সেটা কি অস্বীকার করেন? বিজ্ঞান শেখা লাগলে ধর্ম লাগে না কেনো? একমুখী ধর্মবান্ধব বিজ্ঞানভিত্তিক শিক্ষার ব্যবস্থার করার জন্যে আদালত কেনো স্বপ্ণোদিত হয়ে রুল জারি করছেন না? - আসলে এখানে কি বলতে চাইলেন ? মূলত কি জানতে চাইলেন? মাদরাসায় বিজ্ঞান ঢোকানো হলো কেন? মানে উচিৎ হয়নি?
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪২
মনযূরুল হক বলেছেন: বোঝার চেষ্টা করেন । জানেন তো চেষ্টার ফল সুমিষ্ট হয়?
ধন্যবাদ..
২৯| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫৭
অনন্য দায়িত্বশীল আমি বলেছেন: বুঝতে পারছি কি কমু।
০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৩:০৯
মনযূরুল হক বলেছেন: ========
৩০| ০১ লা এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৪৫
উম্মু আবদুল্লাহ বলেছেন: একজন শিশুর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সেজন্যেই শিশু নিকেতনকে নানাধরনের নিয়ম শৃংখলার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। শিশুকে শপথ নিতে দেশ প্রেমের, জাতীয় পতাকা ্উত্তোলন করতে হয়, জাতীয় সংগীত গাইতে হয়। যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাধারন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, তাকেও এসব নিয়মের মধ্য দিতে যেতে হবে। সেটা ইংলিশ মিডিয়াম হোক, মাদ্রাসা হোক কিংবা বাংলা মিডিয়াম হোক না কেন। আমরা ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনুমতি দেই এই অর্থে যে সেখানকার কারিকুলামে ধর্মীয় অংশের প্রাধান্য থাকবে। সাধারন শিক্ষায় সাধারন শিক্ষার প্রাধান্য থাকবে। কিন্তু ধর্মীয় শিক্ষার প্রতিষ্ঠান থেকে সাধারন শিক্ষার অংশ একেবারে তুলে দেয়া যায় না, কিংবা সাধারন শিক্ষার অংশ থেকে ধর্মীয় শিক্ষা একেবারে তুলে দেয়া যায় না। তেমনি করে ইংলিশ মিডিয়াম থেকে বাংলা একেবারে তুলে দেয়া যায় না।
কোন বিশেষ বিষয় যদি সুনির্দিষ্ট ভাবে ইসলাম বিরোধী হয় তবে তা নিয়ে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ অবশ্যই আপত্তি তুলতে পারে। কিন্তু জাতীয় সংগীত আদৌ ইসলামের সাথে সাংঘর্ষিক কিনা সেইটাই তো প্রমানিত হয় নি। হামদ নাত গাইলে ঠিক আছে কিন্তু জাতীয় সংগীত গাইলেই যত সমস্যা - এটা যুক্তি হিসেবে ধোপে টেকে না।
জাতীয় সংগীত নিয়ে আপত্তি তোলে ভারতের মুসলিমরা যখন "বন্দে মাতরম"কে জাতীয় সংগীতের প্রস্তাব করা হয়। "বন্দনা" না "পূজা" মুসলিমরা শুধু আল্লাহ ব্যতিরেকে কাউকে করতে পারে না। সেই আপত্তি গ্রাহ্য করা হয় এবং জাতীয় সংগীত পাল্টে "জন গন মন অধিনায়ক" করা হয়। সেই সংগীত নিয়েও বিতর্ক রয়েছে যে রবীঠাকুর এটি ইংরেজদের উদ্দেশ্যে লিখেছিলেন। সে যাই হোক, অন্তত সংগীতের লিরিকে কোন সমস্যা নিয়ে মুসলিমরা আপত্তি তোলেন নি।
০২ রা এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১০:১১
মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার কথাগুলো চমৎকার । কিন্তু এখানে মোটাদাগে একটা চিন্তার ফারাক স্পষ্টভাবে ধরা পড়ে । আপনার চিন্তায় ধর্ম হলো পারলৌকিক, সুতরাং যারা জাগতিক বিষয়কে চায়, তারা বর্তমান নিয়মেই চলবে । আর যারা পারলৌকিক বিষয়কে চায় তাদেরকেও অনুমিত দেওয়া যায় । এই তো?
কিন্তু আমাদরে ভাবনা ঠিক আপনার বিপরীত । আমরা ভাবি, এমন শিক্ষাব্যবস্থাই সকলের জন্য দরকার, যা পার্থিব জগতে সবচে’ কল্যাণকামী বিবেচিত হবে এবং পার্থিব নৈতিক শৃঙ্খলা বজায় রাখার নিমিত্তেই ধর্মীয় অনুশাসন তাতে বিধিবদ্ধ থাকবে । সুতরাং ধর্মবান্ধব বিজ্ঞানভিত্তিক একমুখী শিক্ষাব্যবস্থার বিকল্প নেই । পার্থিব জগতে এমন ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে শিক্ষা গড়ে উঠলে তা পারলৌকিক জগতকেও সুন্দর করবে, এ-জন্যে পৃথক ভাবনার প্রয়োজন হয় না ।
সুতরাং একটি দেশের সিংহভাগ মানুষ যখন নিজেদেরকে একটি ধর্মীয় পরিচয়ে বেড়ে ওঠাতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে, তাদের জাতীয়তায় ধর্মের আবেশ থাকা অত্যন্ত জরুরি । কেবল ধর্মটা কে বেশি মানে এবং কম মানে সেই দিকে বিবেচনা করে জাতীয় বিধিবিধান রচনা করা যেতে পারে না ।
একটা সঙ্গীত রচনার উদ্দেশ্যই যদি এমন হয়, যা আমরা জাতীয়ভাবেই গ্রহণ করতে পারি না এবং ধর্মীয়ভাবেও নয়, একই সঙ্গে নির্দিষ্ট সেই ধর্মের মানুষের প্রতি তার বীতশ্রদ্ধ মেজাজও প্রকাশিতই থাকে, তাকে সেই জাতি কেবল লিরিকের মন্দ কিছু নেই, সেই বিবেচনায় জাতীয় সঙ্গীত গড়তে পারে না- তার চেয়ে সুন্দর লিরিক, যা দেশপ্রেম, বিশ্বাস উভয়ে আরও বেশি মহিমান্বিত- তা বিদ্যমান থাকার পরেও । এটাই জাতি হিসেবে হীনম্মন্যতার চূড়ান্ত প্রকাশ ।
কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো, কেবল ধর্মের বুজরুকি তুলে যেমন আমাদের ওপর একাত্তরে নিপীড়ন হয়েছে, ঠিক সেই একইরকমভাবে এ-দেশে ধর্মীয় শিক্ষাকেও পৃথক রাখা হয়েছে । বলতে গেলে ধর্মীয় ব্যক্তিত্বরাও তেমন প্রতিষ্ঠানগুলো গড়তে ও আঁকড়ে রাখতে বাধ্য হচ্ছেন । কিন্তু ধর্মই যাদের কাছে পণ্যের মতো বাণিজ্যিক বিষয়, তারা ধর্মকে গুরুত্ব আর কী দেবে? তারপরও যখন সেই ‘উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ একটি রচনা কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গাইতে বাধ্য করা হয়, তখন স্বভাবতই আমরা বেদনাহত হই ।
আপনি বললেন লিরিকের কথা, আমি আপনাকে আরও একটু আগ বাড়িয়ে বলি, যদি লিরিকেও কোনো সমস্যা থাকতো (এবং হিন্দু ধর্মে দুর্গা ও কালি থেকেই জাতীয় সঙ্গীতে মাতৃবাদ বিষয়টা এসেছে বলেই অনেক আলেম মনে করেন) তাহলেও যদি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে গাইতে বাধ্য করা হতো, তখনও বিরাট একশ্রেণির মানুষের কাছে গাওয়া বৈধই থাকতো । কেননা, তখন বলা হতো, যদি বাধ্য করা হয়, তখন তো শূকরের গোশতও মুসলমানদের খাওয়া বৈধ । যেমন মাদরাসায় নারী শিক্ষিকা নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে বলা হয়েছে শিক্ষিকাদেরকে পর্দা করতে বলা যাবে না, এটা তাদের ইচ্ছাধীন । সরকারী প্রজ্ঞাপন অনুসারে মাদরাসার অফিসে ছবি টানাতে বাধ্য করা হয়েছে, যেখানে সম্মানের জন্য ছবি সংরক্ষণ ইসলাম বৈধি মনে করে না ।
আর কিছু বলার নেই..
৩১| ১৯ শে জুন, ২০১৮ রাত ১১:৪৪
মো মুসফিকুর রহমান রুম্মান বলেছেন: আমি এ বিষয়ে যেমন একটা মন্তব্য করতে চাই তেমনি আপনার থেকেও কিছু জানতে চাচ্ছি। সবাই সব কিছু জানবে না সেটাই স্বাভাবিক।
ক্লাসে ১-১০ম পর্যন্ত স্কুল গুলোতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া হয়। আপনি-আমি বিষয়টা নিয়ে ভেবেছি তাই বুঝতে পারছি এটা বিভিন্ন চরণে ইসলামে শিরক।
কিন্তু যারা ১-১০ম পর্যন্ত পড়ছে তারা কি সবাই এই বিষয়টা নিয়ে ভেবে দেখছে? বেশিরভাগ স্টুডেন্ট এ থেকে শুধুই দেশপ্রেমের বিষয়টা অনুভব করে বলে আমি মনে করছি। আপনি বা আমি এ বিষয়টা নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করেছি তাই বুঝতে পারছি এটা শিরক কিনা। কিন্তু বেশিরভাগ স্টুডেন্ট শুধু দেশপ্রেমের বিষয়টাই মনে অনুধাবন করছে। তারা কেউ ভাবছে না শিরকের বিষয়টা বা প্রতিটা চরণের মর্ম বুঝছে না। ফলে তাদের মাথাতেই আসেনা এখানে- তোমার আকাশ, তোমার বাতাস বলতে কার কথা বলা হচ্ছে।
যারা জানে না তাদের জানানো উচিত, তবে যেসব স্টুডেন্ট এর মাথায় শিরকের বিষয়টা আসেই না তারা কি গুনাহের অন্তর্ভুক্ত হবে নাকি? কারণ তারা শুধু দেশের কথায় বুঝতে পারছে।
আপনি-আমি বিষয়টা জানি তাই সচেতন হতে পারছি। আর ইসলামের এতো নিয়ম আমরা কেউই ১০০% বিশুদ্ধ জানতে বা পালন করতে পারি না। সেক্ষেত্রে যারা শিরকের বিষয়টা জানে না তাদের ক্ষেত্রে?
ধন্যবাদ।
২২ শে জুন, ২০১৮ রাত ৮:২৬
মনযূরুল হক বলেছেন: যারা জানে না, তাদের জানানো আবশ্যক । যারা জানে তাদের এটাই প্রধান কাজ । আর যারা না জানে, তারা প্রাপ্তবয়স্ক হলে তাদেরও জানা জরুরি, অপ্রাপ্তবয়স্কদের তো বাধ্যবাধকতা নেই.. বাধ্য হলেন অপ্রাপ্তবয়স্কদের অভিভাবকগণ.. তারা তাদের পোষ্যদের কেনে জানাচ্ছেন না, এ জন্য জিজ্ঞাসিত হবেন...
©somewhere in net ltd.
১|
৩১ শে মার্চ, ২০১৮ দুপুর ১২:৩০
মোঃ খুরশীদ আলম বলেছেন: এই পোষ্টটা ২দিন আগে কোথায় যেন পড়েছি বলে মনে হচ্ছে।