![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ধীরে ধীরে পরিষ্কার হচ্ছে, সত্যিকারের রাজাকার আসলে কারা । ৭১-এ কিন্তু অনেক শান্তিকমিটির সদস্যও সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে জীবনবাজি রেখেছেন, মুক্তিযোদ্ধাদেরও বাঁচিয়েছেন বহুজন । তারপরও তাদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিলেন হানাদার ও মুক্তিবাহিনী উভয় দলের গানপয়েন্টে । যার ফলে কেউ কেউ মুক্তিযোদ্ধারাদের হাতেই নিহত হয়েছেন, কেউ আবার হাতেনাতে হানাদারদের চোখে ধরা পড়ে শহিদ হয়েছেন । উদাহরণ হিসেবে আপনি জাফর ইকবালের নানার কথা ধরতে পারেন ।
একইভাবে নি:সন্দেহে বলা যায়, অনেক মুক্তিবাহিনীর সদস্যও ছিলেন, যারা মনন-মানসে ছিলেন রাজাকার । এমনকি মুক্তিযোদ্ধা সেজে রাজাকারি করেছেন এমন ইতিহাসও কম নয় । যুদ্ধের পরে যেসব রাজাকার মুক্তিযোদ্ধার সেজেছেন, তাদের আলাপ বাদ । সম্ভবত সে-কারণেই ৫ মে শাপলা চত্বরে হামলার সময় আমরা সেই পাক-হানাদার বাহিনীর নৃশসংতারই ছায়া দেখেছি । সুতরাং তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাও কোনোসূত্রে ‘রাজাকার’ হতে পারে, সেই সন্দেহ আপনি উড়িয়ে দিয়েন না ।
দ্বিতীয়ত: এইসব রাজাকারি দলের কথা বাদ দিলে একাত্তরের ঘনঘটায় এই দেশের শতকরা ৯৮ ভাগ মানুষই মুক্তির পক্ষের মানুষ ছিলেন, তা আজ হলফ করেই বলা যায় । কাদের সিদ্দিকীর মতো অনেকে তা বলেছেনও বটে । হতে পারে অনেকেই পাকিস্তান বিভাজন চাননি কিন্তু বাঙালিদের মুক্তি তারা ঠিকই চেয়েছেন । পাকিস্তান ভাঙতে চাননি, কারণ তারা নিজেরাই বহু জেল-জুলম সয়ে পাকিস্তান গড়ায় ভূমিকা রেখেছিলেন । বঙ্গবন্ধুও ছিলেন তাদের একজন । মুসলমানদের অস্তিত্ব রক্ষায় পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্যে তিনি যেভাবে জেহাদ করেছেন, ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র প্রথম ৫০ পৃষ্ঠা পড়লেই আপনার হৃদয়ঙ্গম হয়ে যাবে ।
আরও আশ্চর্যের কথা হলো, যারা পাকিস্তান চেয়েছেন, তারা সবাই আবার মুক্তি চান নি—শুধু পাকিস্তানই চেয়েছেন । এরা পাকিস্তান হওয়ার আগেই খানিকটা ক্ষমতার স্বাদ পেয়েছেন এবং পাকিস্তান হলে যে সে-স্বাদে আরও মাত্রা পাবে, তাতে তারা নির্দ্বিধ ছিলেন । তাদের একদল কংগ্রেসের অর্থ পকেটে পুরেও পাকিস্তানের পক্ষে ভোট দিয়েছেন । এরাই খাজা নাজিমুদ্দিনের লোক । তারা সীমানা ভাগাভাগি শেষ হওয়ারও আগেই পাকিস্তানে গিয়ে মন্ত্রিত্ব দখল করছেন । ভারতের মুসলিমদের কী হবে, কিংবা পাকিস্তানের হিন্দুদের রক্ষা কী করে করা যাবে—সেই চিন্তা যেন কিছুতেই তাদের আক্রমণ না করে, সে-জন্যে মদ্যপানও করেছেন প্রচুর । হোসেন সোহরাওয়ার্দির মতো মহৎ লোকেরা তাই আজীবন পাকিস্তানের জন্যে লড়েও হিন্দু-মুসলিমকে দাঙ্গা থেকে বাঁচাতে বাকি জীবন বলতে গেলে ভারতেই থেকে গিয়েছিলেন, ক্ষমতা পাওয়ার বদলে হয়েছিলেন ক্ষমতাসীনদের চক্ষুশূল। সে এক বিরাট ইতিহাস ।
এইসব কথা এই জন্যে বললাম যে, এই যে মতিয়া চৌধুরি গং, তারা যে চিৎকার করে ‘মুক্তিযুদ্ধ করেছি, মুক্তিযুদ্ধ চলবে, রাজাকারদের দেখে নিব’ টাইপের হুংকার দিচ্ছেন—এমন ছাত্রদের বিরুদ্ধে যারা মুক্তির কথা বলছে, বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়ছে, এমনকি এদের বিরাট সংখ্যক রাজাকারের ফাঁসি দাবি করে শাহবাগেও ভিড় জমিয়েছিল—এতে কি এটাই প্রমাণ হয় না যে, মুক্তিযুদ্ধ যদি তারাও করেও থাকেন, তবে যে-কারণেই করুন মুক্তির জন্যে করেন নি? এবং একই কারণেই কি তিনি মুক্তিকামী মানুষের সে-কালের নেতা বঙ্গবন্ধুর চামড়া দিয়ে ডুগডুগি বাজাতে চেয়েছিলেন?
তাহলে রাজাকার কে? যিনি মানুষের মুক্তি চান, বৈষম্যর বিরুদ্ধে যিনি, তিনি—নাকি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তি বলে জাহির করে যিনি মানুষের মুক্তির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন তিনি?
বিস্ময়ের কথা হলো, ছাত্রলীগ করুক কিংবা করুক ছাত্র ফেডারেশন, তাদেরও আজকাল টাকার বস্তা নিয়ে নিজেদেরই মন্ত্রীদের কাছে ছুটতে হয় চাকরির জন্যে । তাহলে দলবাজ নয়, এমন নিরীহ গরীব মেধাবীদের কী হালত বলেন তো? তা ছাড়া যেখানে একটা সরকারি পদও ঘুষ ছাড়া বগলদাবা করা যায় না, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমামও হয় যেখানে ঘুষ দিয়ে, কোটার সুবিধা থাকার পরও ঘুষ দিয়ে কোটা পূরণ করতে হয়, সেখানে যদি সরকার কোটা বাদ দিয়েও দেয়, তাতেই বা কী লাভ? আমার মনে হয়, ঘুষের বিরুদ্ধে যদি আন্দোলনটা হতো এবং ঘুষটাকে যদি কন্ট্রোল করা যেতো, তাহলে ৫৬ ভাগ বাদ দিলে যে ৪৪ ভাগ থাকে তাতেই মেধাবীরা যথেষ্ট জায়গা দখল করতে পারতো । আর যদি ঘুষ বন্ধ না হয়, তাহলে কোটা থাক-বা না-থাক গরিব মেধাবীরা বঞ্চিতই থেকে যাবে চিরকাল, কিছুতেই তাদের স্থান হবে না।
তবু এইটকু বিশ্বাস আমরা রাখতেই পারি যে, যতটা সততার সাথে কোটা-বিরোধী আন্দোলন এখনও চলছে, তাতে এই ছাত্ররা যদি সরকারি পদস্থ হয়, তাহলে তারা অবশ্যই অন্তত ‘চেতনার ড্রামমুক্ত’ বাংলাদেশ উপহার দেবে—এবং তাতেই আমাদের বহুলাংশে সফলতা আসবে । আল্লাহ এই দেশকে রক্ষা করুন, দেশের মানুষকে শুভবুদ্ধি দিন এবং মুক্তিকামী মানুষকে বিজয় দান করুন । আমিন ।।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫২
মনযূরুল হক বলেছেন: সেটাই তো সমস্যা..
২| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
ভুয়া মফিজ বলেছেন: কোটা ফোটার ব্যাপারটাই একটা ডিসক্রিমিনেশান। তবে কোটা থাক বা না থাক, যোগ্য লোকের চাকুরী প্রাপ্তি এই দেশে এখনও আশ্চর্যের বিষয় বটে!! চেতনা জাগ্রত করার আগে ক্ষমতাসীনদের মুল্যবোধ জাগ্রত করা জরুরী। আর মহান মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ব্যাবসা বন্ধ করা আরো জরুরী।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১১
মনযূরুল হক বলেছেন: যোগ্য লোকের চাকুরী প্রাপ্তির জন্যেই কিন্তু কোটা সংস্কার জরুরি । বাকি সব বিষয়ে সহমত পোষণ করি ।..
৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:০৮
শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কোটা সংস্কার চাই যে কোন মূল্যে
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১১
মনযূরুল হক বলেছেন: এখন এটাই একমাত্র স্লোগান হওয়া উচিত..
৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:১৯
সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: স্বাধীন দেশে নাগরিকদের মাঝে বৈষম্য উন্নতি এবং অগ্রগতির অন্তরায়। আর সেই বৈষম্যের শিকার যদি মেধাবিরা হয় তাহলে তো দেশ এগিয়ে যাওয়া খুবই কঠিন। তাই স্বাধীন দেশে নাগরিকদের মাঝে কোনো প্রকার বৈষম্য থাকা উচিত নয়।
দেশের স্বার্থে খুবদ্রুত এই বৈষম্য দূর করতে হবে বলে মনে করি।
পরিশেষে, আপনার লেখায় যথার্থ যুক্তি আছে। কোটা সংস্কারের পক্ষে লেখাটি খুব-ই উপযুক্ত। ধন্যবাদ
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
মনযূরুল হক বলেছেন: স্বাধীন দেশে নাগরিকদের মাঝে কোনো প্রকার বৈষম্য থাকা উচিত নয়
৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৬
কাওসার চৌধুরী বলেছেন: মুক্তিযোদ্ধা কোটা কোন অবস্থাতে ১০% এর বেশি নয়। স্পেশাল বিসিএস বন্ধ করতে হবে। নাতি-পুতি কোটা বাতিল করতে হবে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৪৯
মনযূরুল হক বলেছেন: অবশ্যই, অবশ্যই..
৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৩৭
মেমননীয় বলেছেন: "শাহারিয়ার ইমন বলেছেন: কোটা সংস্কার চাই যে কোন মূল্যে"
কোটা সংস্কার হবে!
কিন্তু চাকরি পেতে মূল্য দিতে হবে!
বিনামূল্যে, কোটা সংস্কার করে চাকরির জন্য আন্দোলন প্রয়োজন।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫০
মনযূরুল হক বলেছেন: বিনামূল্যে, কোটা সংস্কার করে চাকরির জন্য আন্দোলন প্রয়োজন। এইটা একটা কাজের কথা বলেছেন..
৭| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৪৪
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: কোটা পদ্ধতি বন্ধ না হলে এদেশে নামে মাত্র শিক্ষিত সৃষ্টি হবে, কাজের কাজ কিছুই হবে না। আমি সেটা শীল দিয়ে বলতে পারি। জ্ঞানীরা দিনদিন নিজেদের জীবন বাঁচিয়ে রাখতে এই কোটার বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে নিবে, আর তারা হয়ে যাবে রাস্ট্রের শত্রু! (অবাক এই তিউড়ি)
আসলে, যারা আজ কোটার বিরুদ্ধে, প্রকৃতপক্ষে তারাই কিন্তু দেশের সুদীর্ঘ ভবিষ্যৎ নিয়ে স্বপ্ন দেখছে। আমরা আমাদের প্রত্যেকের অবস্থান থেকে এই অবৈধ পদ্ধতি বাতিলের দাবী জানাই।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫১
মনযূরুল হক বলেছেন: তবে কিছু সুবিধাবাদী লোক থাকাও বিচিত্র নয়..
৮| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ২:৫০
পদ্মপুকুর বলেছেন: এটাতো বিশ্বব্যাপী একটা খেলা। যে তোমার নিজের জন্য হুমকি, তাকে আগে সন্ত্রাসী/জংগী ট্যাগ লাগাও, তারপর তাকে মেরে ফেল... নতুন করে যদি কোন যুদ্ধ হয়, তখন বোঝা যাবে চেতনার দৌড় কার কদ্দুর। গতকাল রাতে এটিএন নিউজে টকশোতে এক কোটাধারী প্রতিবন্ধীকে দেখলাম গলার রগ ফুলিয়ে চোখ লাল করে ছাগলের মত চেচিয়ে আন্দোলনকারীদের রাজাকার সাব্যাস্ত করছে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৪
মনযূরুল হক বলেছেন: নতুন করে যদি কোন যুদ্ধ হয় ভাই, কী মনে হয়, সেখানেও রাজাকার থাকবে না? এরা যারা এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাহির করছে, তারাই হবে রাজাকার..
৯| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:১৮
রাজীব নুর বলেছেন: একজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে কেন কোটা পদ্ধতিতে মেরুদণ্ডহীনের মতো সরকারি চাকরি নিতে হবে?
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৫
মনযূরুল হক বলেছেন: সেই প্রশ্ন এখন মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের পক্ষ থেকে ওঠা উচিত..
১০| ১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৪:৫৭
সৈয়দ তাজুল বলেছেন: বিচিত্র প্রাণিরা সবসময় সুবিধা তৈরি করে না, অনেক সময় তাদের অপকর্মে তারা নিজেরা সহ পার্শ্ববর্তীদেরকেও ক্ষতিগ্রস্ত করে।
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ বিকাল ৫:০২
মনযূরুল হক বলেছেন: সেটা অবশ্য মন্দ বলেন নি..
©somewhere in net ltd.
১|
১০ ই এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৫১
দেশ প্রেমিক বাঙালী বলেছেন: কোটা নিয়ে কিছু বললেই তো রাজাকার ট্যাগ দিচ্ছে!