নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক

ভালো আছি

মনযূরুল হক › বিস্তারিত পোস্টঃ

পুঙ্গব

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ১:৫৫


(বিধিবদ্ধ সতর্কতা : গল্পে প্রাপ্তবয়স্ক উপাদান থাকতে পারে । শিশু ও নারীদের পাঠ ক্ষতিকর)

আফগানিস্তানে যাওয়াটাই কাল হয়েছে লোকটার । একটা তরতাজা বীর্যবান পুরুষ ছিল, ছেলে বয়সে মার্কিন সেনা-খাতায় নাম লিখিয়েই অপারেশন ইরাক । তারপর আরব্য উটের মূত্রে পিত্ত টাইটম্বুর করে সোজা আহমদ শাহ দুররানির অন্দর মহলে—আফগানিস্তান । কিন্তু সেখানে গিয়ে স্বদেশেপ্রেমের পিচ্ছিল বাঁশের আগায় চড়েছে মাত্র— দুর্ভাগ্য, তখনই লিঙ্গটা খোয়াতে হলো । এমনকি তালেবানি হামলায় উন্নতবিশ্বের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধায় পালিত সুবোধ অণ্ডকোষটাও রেহাই পায় নি । সে এক মর্মান্তিক কাহিনী ।

দেশের চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা ভাবনায় পড়ে গেলেন । তেতুল গাছের পাতার মতো এক লক্ষ মানুষের বিচি যে দুই লক্ষ হয়, এই হিসাব তারা ক্যালকুলেটর ছাড়াই বলতে পারেন বটে, কিন্তু সারা বিশ্বে তাদের অবদানের সংখ্যা যে কত—ট্রাস্টিবোর্ডের শুমারিতেও তার কোনো সীমা-সরহদ বের করা যায় নি । তারাই এশিয়া-আফ্রিকায় কোটি শিশুকে বিনামূল্যে নাসিকাবন্ধ টিকা পান করিয়েছেন, কিশোর-কিশোরীকে এন্টিপ্রেগনেন্সি ওরাল কাঠি উপহার দিয়েছেন, ওয়ার্কশপ করে করে হাতেকলমে অজস্র উত্থানরহিত তরুণ-যুবাকে সঠিক অর্গাজমের কানুন শিখিয়েছেন, হাইব্রিড প্রজনন সংস্করণ ঘটিয়ে প্রবীণা নারীর মেনোপজ জারি রেখেছেন আমু দরিয়ার মতো বহমান, এমনকি দাম্পত্য জীবনে বেটাইমে কন্ডোম ব্যবহারই যে গরিবদেশগুলোতে শারমেয়র চেয়েও দুরন্ত গতিতে বাচ্চা পয়দা হওয়ার একমাত্র কারণ—এই বাণী তাদের চেয়ে উচ্চৈ:স্বরে পৃথিবীতে আর কেউ ঘোষণা করে নি ।

ডা. জেরাল্ড ব্রান্ডেশার কম্পোজিট টিস্যু অ্যালোট্রান্সপ্লান্টেশন প্রোগ্রামের সায়েন্টিফিক ডিরেক্টর, জনহপকিন্স বিশ্যাবিদ্যালয়ের এসোসিয়েট প্রফেসর এবং প্লাস্টিক রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি ডিপার্টমেন্টের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সদস্য । দেশের এই দুর্দিনের ছায়া তার চোখমুখ কালো করে দিয়েছে । তলপেটে চুলকাতে চুলকাতে তিনি ভাবলেন—এইবার আমেরিকার পতন অনিবার্য । যেই হারে সেনা-সৈন্যরা জেনিটেশনারি ইনজুরিতে ভুগছে, তাতে আগামিতে যে-কোনো দেশে যুদ্ধে যাবার আগে তারা সম্মিলিতভাবে সরকারি কোষাগারে তাদের অণ্ড-লিঙ্গ জমা রাখার আন্দোলন করে বসতে পারে । ২০০১ সাল থেকে এ-পর্যন্ত দেড়যুগে কয়েকহাজার সৈন্য পৌরুষ হারিয়েছে । আর এই যে অফিসার সার্জেন্ট ব্রেন্ডান ম্যারেকো, সে তো একেবারে হাঁটে হাড়ি ভেঙে দিয়েছে । আরে ব্যাটা তুই তো গেছিস যুদ্ধে, জান বাঁচাতে না-পারোস অন্তত পেনিসটা বাঁচাবার ফিকির তো করবি, নাকি? নিম্নাঙ্গে একটা বুলেটপ্রুফ গার্ডার পরে ঘুমালেই হয় ! কেটে-কুটে গেলেও না হয় থলে করে নিয়ে এলে জোড়াতালি দিয়ে একটা হিল্লে করা যেতো । তা না, বোমা খেয়ে তিনি চলে এসেছেন আমেরিকায়, আর ওদিকে তার অণ্ড-লিঙ্গ সব বারুদের গন্ধের সাথে মিশে আফগানের আকাশ-বাতাস সুরভিত করছে । মার্কিনি মান-ইজ্জতের গুদামে যদি পর্যাপ্ত সাপ্লাই না থাকতো, তাহলে কী অপমানটাই না দেখতে হতো আজ যা-হোক। তিনি হেড অব দ্য ডিপার্টমেন্ট ডা. এন্ড্রু লিকে এই জাতীয় দুর্যোগের কথা সবিস্তারে খুলে বললেন ।

সেদিনই মেডিকেল সেন্টারে জরুরি মিটিং তলব করা হলো । তারপর জাতির জনক আব্রাহাম লিংকনের মতো নির্জলা গণতান্ত্রিক ভাষণ দিলেন ডিরেক্টর । একেকটি আমেরিকান প্রাণের জন্য লিঙ্গ কতটা জরুরি, লিঙ্গে ঘাটতি হলে দেশের সকল ভায়াগ্রার ফ্যাক্টরি, যাবতীয় নাইট ক্লাব, সবগুলো ব্রোথেল, হলিউডের মতো সুবৃহৎ ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি, মিডিয়া-ম্যগাজিনের ঘর-দুয়ার কুল্লেকুল বিরান হয়ে যাবে । ফলত: কীভাবে সমগ্র দেশের অর্থনীতি বিনা-লাদেনেই টুইন-টাওয়ারের মতো ধ্বসে পড়বে এবং শতবছরের পরিকল্পনায় পরিপুষ্ট করে তোলা যৌবনবতী নারীরা তখন মানবাধিকার হারিয়ে ভিন-জাতির শুক্র বহন করতে বাধ্য হবে— সবকথা তিনি গুছিয়ে বললেন । দেশের এই সংকটময় সময়ের আশু বিপদ বুঝতে বুদ্ধিমান চিকিৎসকদের দেরি হলো না ।

সভায় পিনপতন নীরবতা বিরাজ করছে । যথানিয়মে সেখানে একজন বঙ্গদেশি ইন্টার্ন উপস্থিত ছিলেন, যে এই মাত্র ক’দিন আগে ডাক্তার জেরাল্ডকে অ্যাসিস্ট করার অনুমতি পেয়েছে । জেরাল্ডের ধীমতি ভাষণ শুনে তার বারবার স্বদেশীয় জনকের ভাষণের মাধুর্যই মনে পড়ছিল । সুতরাং ঝট করে বঙ্গসন্তান হাতটা উঁচিয়ে ধরল ওটি-রুমের দো-নলা সিজারের মতোই— আই হ্যাভ আ ভেরি এক্সক্লুসিভ আইডিয়া, স্যার । সবগুলো প্রশ্নবোধ চোখ তার উপর আছড়ে পড়ল । প্রথমে ঘাবড়ে গেলেন ইন্টার্ন । তারপরই মনে হলো, সোনার দেশের মানুষ আমি, সোনা-সংস্কারে তো আমাকে ভয় পেলে চলবে না । উন্নিশশো একাত্তরে এই মার্কিনদের সপ্তম নৌবহর আগমনের ঘোষণাও তো আমাদের কাবু করতে পারে নাই । বলো বীর, উন্নত মম শির । সে চোখ ঘুরিয়ে ডাক্তার জেরাল্ডের দিকে তাকাল । জেরাল্ড সামান্য অসন্তুষ্টি ভাব গোপন রেখেই সম্মতিসূচক মাথা নাড়লেন ।

মার্কিনমুলুকের এই রিসার্চ সেন্টারে কাজ করা যে-কোনো বঙ্গসন্তানের কাছে স্বপ্নের চেয়েও বেশি । সেইখানে সে আসতে পেরেছে, এমনকি বোর্ড মিটিঙে কথাও বলার সুযোগ পেয়েছে আজ! এই সুসময়ে তার অনেক স্মৃতিই মনে পড়ছে । তাদের এলাকার চেয়ারম্যানের নাম ছিল লালমিয়া । নির্বাচনের সময় টাকা দাখিল করে আসার পরে দেখেন, সিলেকশন পেপারে আনরস মার্কাটা ঠিকই আছে, কিন্তু লালমিয়ার জায়গায় কী করে যেন সোনামিয়া বসে গেছে । গ্রামের উচ্চশিক্ষিত এক তরুণের পরামর্শে তিনি নির্বাচন কমিশন বরাবর দরখাস্ত লিখলেন— যথাবিহিত সম্মান প্রদর্শনপূর্বক বিনীত নিবেদন এই যে, আমার নাম লালমিয়া । ভুলবশত সোনামিয়া উঠিয়া গিয়াছে । সুতরাং মিয়ার জায়গায় মিয়া ঠিক রাখিয়া সোনা কাটিয়া লাল করিয়া দিবেন ।

পেটের হাসিটা তুঘলকি কায়দায় নিয়ন্ত্রণ করে বঙ্গসন্তান তুলে ধরল তার আইডিয়া । সম্মানিত ভদ্রে… আজ অত্যন্ত দু:খ ভারাক্রান্ত হৃদয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি । আপনারা সবই জানেন এবং বুঝেন…আজ আমরা কী সুমহান এক বিপদের মুখোমুখী হয়েছি । কিন্তু আমি মনে করি, বিপদ থেকে যদি ভালো কিছু হয়, তাহলে বিপদই আমাদের সোনালী আঁশ । আমার মনে হয়, এতদিনে পরে আমেরিকা সত্যিকার অর্থে এমন একটি গবেষণার কাজে হাত দিতে পারবে; যা পৃথিবীব্যাপী নতুন আরেকটি যুগের সূচনা করবে । এবং আপনাদের গবেষণাকর্মে আস্থা রেখেই বলতে চাই, খুব অল্প সময়েই সেটা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে । কেউ দাবায়ে রাখতে পারবে না…
—বাট হাউ’স দিস পসিবল..? অনেকগুলো কণ্ঠ একসঙ্গে কোরাস করল ।
—ওকে আই এক্সপ্লেইন দ্যাট..। বক্তৃতার জোশের মধ্যে ব্যাঘাত ঘটায় সামান্য অস্বস্তি হলো তার । একটুখানি গলাখাকারি দিয়ে সে বলল— বাট তার আগে জিনিসটা কী হবে এবং তার প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আমাদের বিস্তারিত জানা দরকার । সে বলে চলল— ভাইয়েরা আমার, আমেরিকার মতো পশ্চিমা দেশে লিঙ্গের প্রয়োজনীয়তা কত ব্যাপক, সে-সম্পর্কে ইতোমধ্যে আপনারা যথেষ্ট অবগত হয়েছেন । আমি এ-বিষয়ে কথা বলে আপনাদের সময় নষ্ট করব না । কিন্তু আমি বলতে চাই, একজন পুরুষের একটা করে মাত্র লিঙ্গ থাকলে এই লিঙ্গের বিরাট প্রয়োজনীয়তা কোনোদিনই সঠিকভাবে পূরণ হওয়া সম্ভব নয় । দেখুন, একটি লিঙ্গ হওয়ার ফলে পুরুষরা একই সঙ্গে তার বউ ও গার্লফ্রেন্ড সমান ও সৎভাবে রাখতে পারছে না । কেননা, আমেরিকান নারীরা যতই উদার হোক, স্বামীর ব্যাপারে এখনও তারা কনজার্ভেটিভ রয়ে গেছে মধ্যযুগের মতোই । এমনকি অবিবাহিত ছেলেরা একাধিক গার্লফ্রেন্ড বহন করতেও হিমশিম খাচ্ছে কেবল একটি সেটেলড লিঙ্গ থাকার কারণে । আমার মতে, এর সমাধান একটাই—এক্সট্রা পোর্টেবল লিঙ্গের আবিষ্কার । তাহলে প্রত্যেকে নারী তার অধিকার ফিরে পাবে । বউকে বলা যাবে যে, তোমার সম্পদ আমি অন্যকারও জন্য ব্যবহার করব না, প্রয়োজনে সেটা তুমি তোমার কাছেই হেফাজত করতে পারো । যুদ্ধে যাবার আগেও সেনারা চাইলে সেই সম্পদ দেশে রেখে যেতে পারবে এবং ডিউটিকালীন নিজ নিজ লকারে বদ্ধ করেও রাখতে পারবে । এতে করে আবুগারিব ও গুয়ান্তানামোতে যে-সকল সেক্সুয়াল-টর্চার কাণ্ডে আমাদের মার্কিনি ইজ্জতে সামান্য কারচুপি হয়েছে, তার কোনো সম্ভাবনা আর থাকবে না ।…
সকলে তন্ময় হয়ে বঙ্গসন্তানের সায়েন্টিফিক ভাষণ শুনছিলেন । পানি পানের জন্যে একটু থামতেই সমস্বরে প্রশ্ন উঠলো— প্লিজ, টেল মি, হাউ’স দিস পসিবল?..
বঙ্গসন্তান পাল্টা প্রশ্ন করল— সোফিয়ার মতো বিশ্বজয়ী রোবট বানাতে যারা পারে, তাদের পক্ষে পুংলিঙ্গ বানানো সম্ভব কি না?
—অবশ্যই সম্ভব, ফিজিক্যালি ট্রান্সপ্লান্টেশনের কাজ এরা আগেও আমরা করেছি । কিন্তু পাওয়ার কম্বিনেশন কী করে হবে? অর্থাৎ সেক্সুয়াল পাওয়ার অ্যাডজাস্টমেন্ট সম্ভব নয়, বিকজ ইট’স ভেরি ন্যাচারাল।
—সেটাও সম্ভব হতে পারে, যদি আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা শামিল হয় । আমি এটাকে অর্ডিয়াল হিসেবেই নিচ্ছি । এবং সে-বিষয়ে আমি বিস্তারিত গবেষণা ও মেটারিয়ালস ডা. জেরাল্ড ব্রান্ডেশারের কাছে উপস্থাপন করবো ।

সেদিনকার মতো সভার সমাপ্তি ঘোষণা করা হলো । সকলেই প্রবল কৌতূহল আর একরাশ সন্দেহের যন্ত্রণায় ধুঁকতে ধুঁকতে প্রস্থান করলেন । কিন্তু ডাক্তার জেরাল্ড নড়লেন না এবং এই বঙ্গসন্তানকেও নড়তে দিলেন না। নিচু স্বরে বললেন— তোমাকে ডা. এন্ড্রু লি স্যার যেতে বলেছেন । বঙ্গসন্তান ঠিক এটারই অপেক্ষায় ছিল । জেরাল্ড করবে ছাতা, এত বড় আবিষ্কার ওর মতো এসোসিয়েট লোকের হাতে দেওয়া আর বালিতে পেচ্ছাব করা সমান । ডা. এন্ড্রু লি-কেই ধরতে হবে । সে বড় স্যারের রুমের দিকে পা বাড়াল । চকিতে পিছনে ফিরে দেখলে ডাক্তার জেরাল্ড একমনে তলপেট মালিশ করছেন । সম্ভবত অধিক চুলকানির ফলে চামড়া ছিলে গেছে তার ।
রুমে ঢুকতেই একটা রাম ধমক খেলো সে— এইসব কাণ্ডকারখানার হেতু কি ভদ্রে? তুমি আমাকে আগে ইনফর্ম না করে ওখানে গবেষণাটা তুললে কেনো?
—তুলি নাই স্যার, ওটা আপনার জন্যেই রেখে দিয়েছি । এ-আবিষ্কার আপনার হবে, শুধু আপনার ।
—বুজরুকি বাদ দাও । মূল কথায় আসো, হোয়াট ইজ দ্য মেটার?
—স্যার, এক-দুই কথায় মেটার বোঝানো যাবে না । আপনাকে বরং একটা গল্প বলি, তাহলে সহজ হবে ।
—ওকে, স্টার্ট ইট..
—আমাদের দেশে এক ছোকড়া সদ্য এমবিবিএস পাস করে এসে নিজের এলাকার বাজারে ছোটকদের একটা চেম্বার নিয়েছে । উদ্দেশ্য, ভিনদেশে উচ্চতর পড়াশুনার আগে সামান্য হাতযশ যাচাই করা । প্রথম দিনেই একজন অদ্ভূত রোগীর দেখা পেল সে, লোকটার স্ক্রোটামে প্রচণ্ড ব্যথা । ছেলেটা রোগীকে দেখেই বুঝলো, সমস্যা গুরুতর, প্রস্টেট গ্রন্থি ফুলে উঠছে, দ্রুত সমাধানে যেতে না পারলে ব্যথায় মারা যাবে । সে ঝুঁকিটা নিল এবং পেশেন্টের অ্যাটেন্ডেন্সকে বলল, এখনই একটা অপারেশন করতে হবে, আপনারা ঘাবড়াবেন না । যা-হোক, শর্টকাটে বলি, ছেলেটা স্ক্রোটাম কেটে অণ্ডদুটি একটা পিরিচে রাখল, তারপর যা যা করা দরকার করে যেই না আবার অণ্ডদুটি কোষবদ্ধ করতে যাবে, দেখে একটা অণ্ড নেই ।
—নেই মানে? হোয়াট হ্যাপেন্ডস ? ডা. এন্ড্রু লি উত্তেজনা ধরে রাখতে পারলেন না ।
—হি ডোন্ট নো, স্যার । বাট দেখে যে, একটা বড় রাওয়া মুর্গি কক কক-অ-অ ক-অ-অ ডাকতে ডাকতে পালিয়ে যাচ্ছে । যা বোঝার তা বুঝে নিল । ওটাই সুখাদ্য ভেবে অণ্ডতে ঠোকর মেরেছে মুরগি ।
—আর ইউ কিডিং?
—নো স্যার । বাংলার গ্রাম স্বচক্ষে না দেখলে আপনি এই দৃশ্যের হকিকত বুঝবেন না । যাই হোক যা বলছিলাম । এখন সেই ডাক্তার ছেলেটা তো ভীষণ বিপদে পড়ে গেলো । কী করবে এখন? রোগী বাঁচাতে গিয়ে তো নিজেই মারা যাচ্ছে ।
— সে মারা যাচ্ছে মানে? কী বলছ এসব?
—আহ্ হা, রাম ধোলাই খেতে হবে না? রোগীর অণ্ড মোরগে নিয়ে গেছে শুনলে রোগীর আত্মীয়রা ডাক্তারকে আস্ত রাখবে? যা-হোক, আসল কথা শোনেন, অল্পবয়সী ছেলে তো, চট করে বুদ্ধি খেলিয়ে নিল । একটা মাটির ছোট্ট ডেলা অণ্ডের সাইজে গড়ে নিল । তারপর গ্রামদেশের একটা বলকারক ভেষজ-নির্যাসের সঙ্গে মিশিয়ে সেটাকেই জায়গামত প্রতিস্থাপন করে দিল ।
—বলো কি? তাতে কিছু হয় নি?
—না, লোকটা মরে নি । যদিও ছেলেটা ধারণা করেছিল, বাঁচবে না । তাই সে তক্ষুণি রোগীকে বিদায় দিয়েই পালিয়েছে । কিন্তু বহুকাল পরে লোকটার সাথে দেখাও হয়েছিল তার কাকতালীয়ই বলা যায় । লোকটা জানায়, সে ভালোই আছে; সামান্য ব্যতিক্রম ছাড়া । অর্থাৎ, তার অণ্ডথলির একটা পাশে লোম হয় না, ঘাসের মতো কী যেন গজায় ।
—আনবিলিইভেবল।
—তা বটে, স্যার । কিন্তু আমাদের মূল প্রসঙ্গে ফিরতে হবে । তার আগে বলে নিই, ওই ছোকরাটাই হলো আপনার সামনে বসা এই বঙ্গসন্তান, মানে আমি ।
—ইউ ! রিয়েলি ? ওহ মাই গড ! আই লাভ ইউ ম্যান ।
—ওকে স্যার, লাভ-লস পরে দেখা যাবে । শুনুন, পরে বহু গবেষণা করলাম বিষয়টা নিয়ে । মেডিকেল সায়েন্সে এ-এক বিস্ময় । মানুষের অণ্ডকোষই যে তার বলশক্তির ভাণ্ডার, তাতে সবাই একমত বটে । কিন্তু অণ্ডথলিতে একটি নয়, দুটি অণ্ড থাকার কারণ কী, সেটা একটা রহস্য । কিন্তু আমি আবিষ্কার করলাম, দুইটা অণ্ডের মধ্যে বা-পাশেরটা হলো প্রতিবাদীশক্তি এবং ডানপাশেরটা হলো কর্মশক্তির । আমাদের দেশের পুরুষরা হলো অলস ও ঢেমনা পর্যায়ের । নিজের মেয়েও যদি রেইপ হয়, তাহলে প্রতিবাদ না-করে তাকে বরং রেপিস্টের সঙ্গে বিয়ে দিয়ে দেয় । দুই যুগ ধরে দুই নারী ক্ষমতা নিয়ে চুলাচুলি করলেও দেশের কয়েকটি পুরষের পৌরুষ জেগে ওঠে নি একবারও। অথচ আপনাদের আমেরিকায় দেখেন, নারী-স্বাধীনতার আঁতুড়ভূমি হয়েও হিলারিকে প্রেসিডেন্ট পদে আপনারা বসাতে নারাজ । এইসব কারণে আমাদের দেশের পুরুষদের বা-পাশের অণ্ড কোনোই কাজে লাগে না । ঘটনাক্রমে ওই লোকটার মুর্গিভক্ষিত অণ্ডটাও ছিল বা-পাশের; তাই ওটার অরিজিনাল অনুপস্থিতি তার শরীরে কোনো প্রভাব ফেলে নি । সঙ্গে ভেষজটা থাকায় যৌনশক্তিতেও কোনো প্রভাব পড়ে নি ।
—বুঝলাম, এখন আমাদের করণীয় কী, সেটা বলো ।
—প্রথম করণীয় হলো, স্যার, ওই ভেষজটা সংগ্রহ করা । তারপর পোর্টেবল পেনিস ও স্ক্রোটাম তৈরি করে তাতে সেই ভেষজ দিয়ে পাওয়ার রিপ্লেসমেন্ট করা যায় কি না, পরীক্ষা করা । তবে আমার মনে হয়, সম্ভব । কেননা, আমেরিকান বিজ্ঞান অনেক অগ্রসর এখন । আমাদের দেশে তো কিছুই নেই, তারপরও যেহেতু কেবল সেই ভেষজের গুণে মাটি দিয়েই একটা অণ্ড প্রতিস্থাপন করা গেছে, সুতরাং এখানে তো এটা ডালা-ভাত । দরকার শুধু উলটকম্বল ।
—উলটকম্বল? হোয়াট ডু ইউমিন বাই দিস..?
—ওটাই স্যার সেই ভেষজ । ইংরেজিতে বলে ‘ডেভিলস কটন’। আমাদের আরও আছে, ষাণ্ডার তেল, তালমাখানা, কলকাতা হারবাল ইত্যাদি ইত্যাদি । সোনার দেশের মানুষ না আমরা? আমাদের বিরাট সংখ্যকের পুরুষের পুষ্টিচাহিদা তো স্যার ওইসব দিয়েই পূরণ হয়। গ্রামে শহরে এমন কোনো অলিগলি নেই যে এইসব বলকারকের সরবরাহ নেই । আমাদের তো আপনাদের মতো অ্যারোমেটিক ভায়াগ্রার ফ্যাক্টরি নেই, স্যার ।
—ওকে, তাহলে তুমি দ্রুত সেটা জোগাড়ের ব্যবস্থা করো । আজই ফ্লাইট ধরে দেশে যাও । প্রয়োজেনে ফুডমিনিস্টারের সঙ্গে উলটকম্বল ইমপোর্ট করার বিষয়ে আলাপ করে এসো, আমি আমাদের মিনিস্ট্রিতে কল করে দেবো ।

সংলাপ সাকসেস । বঙ্গসন্তান সাফল্যের হাসি নিয়ে বেরিয়ে আসছে । দেখে যে, জেরাল্ড স্যার বোর্ডরুমে এখনও স্থির একই জায়গায় বসা—জাতির ভাবনায় কাতর । মাঝেমধ্যে তলপেট চুলকাচ্ছেন । দেখেই সঙ্গে সঙ্গে সে আবার বড় স্যারের রুমে ঢুকলো ।
—স্যার, আরেকটা জিনিস লাগবে..
—হোয়াট?
—পাগলা মলম । জেরাল্ড স্যারকে দেখি মাঝেমধ্যে তলপেট চুলকান । আমাদের দেশের পাগলা মলম এই রোগের একমাত্র ওষুধ, স্যার । সারা বাংলাদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছে । চুলকানি তো দূরের কথা, একটা ঘামাচি পর্যন্ত আপনার শরীরে থাকতে পারে না একটা পাগলা মলম ব্যবহারে ।..
—শুনে এন্ড্রু লি’র মনটাই ভালো হয়ে গেলো । ডাক্তারি জীবনে এত ভালো ছেলে তিনি আর দেখেন নি । তিনি বঙ্গসন্তানকে কাছে ডাকলেন । তারপর খুব ধীর কণ্ঠে বললেন— তুমি কি সত্যিই চাও আবিষ্কারের স্বীকৃতিটা আমার হোক?
—জ্বি, স্যার, আমি সিরিয়াস ।
—কেনো চাও, বলো তো । প্লিজ, সংকোচ করো না ।
বঙ্গসন্তান জানে—কেনো । কিন্তু সেটা বলা যাবে না । সে তো আর বলতে পারে না যে, দেশের মানুষ যদি জানে, উত্তাদা-বাড়ির খোকন হালদার উলটকম্বলের রস দিয়ে আমেরিকান সেনাদের লিঙ্গ সংস্কার করেছে। তাইলে চৌদ্দগায়ে ঢি ঢি পড়ে যাবে । বন্ধু-বান্ধব, পরিচিত-অপরিচিত লোকজনের উপহাস আর তিরস্কারে দেশে ফেরার উপায় থাকবে না, সারা জীবন তারেক জিয়ার মতো বিদেশেই পঁচে মরতে হবে । বরং তার ইচ্ছা, এই আবিষ্কারক টিমের মধ্যে যেন তার নাম-গন্ধও কোথাও না থাকে । তাই সে একটা লাজুক হাসি দিয়ে বললো— স্যার, আমি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক। আমরা বাঙালিরা নামের কাঙাল না । পৃথিবীতে বহু অবদান আমাদেরও আছে, কিন্তু মানুষকে জানাই না । স্টিফেন হকিংয়ের চেয়েও বড় বিজ্ঞানী জামাল নাসের আমাদের পাড়া গায়ে ঘুমায়, একদিন পত্রিকায় নিউজও হয় না । তা ছাড়া, স্যার, প্রজেক্ট যেহেতু আপনার পরিচালনাতেই হচ্ছে, আর আমিও আপনার ছাত্রসম, তাই চাই আপনার নামেই ওটা উদ্ভাবিত হোক ।…
শুনে এন্ড্রু লি’র খুশি আর ধরে না । কিন্তু বঙ্গসন্তানের কথা তখনও শেষ হয় নি । সে বলল— তবে স্যার আমার একটা ভিন্ন স্বার্থ আছে, যদি আপনি অনুমতি দেন.. । চোখ নিচু করে ফেলল সে ।
—বলো তুমি, আমাকে বন্ধু ভেবে ফ্রিলি বলতে পারো ।
—আপনারা যদিও আপনাদের সেনাদের শুশ্রূষার কথা ভাবছেন, আমি ভাবছি আমাদের দেশের কথা ।
—সেটা কী করকম?
সে নত-চোখেই বলল— আপনাদের আমেরিকানদের প্রতিবাদী শক্তি মাত্রাতিরিক্ত বেশি । আপনারা একদিকে মানবতাবাদী আবার সারাপৃথিবীতেই আপনারাই সবচে’ বড় যুদ্ধবাজ । কিন্তু দেখুন, আমাদের দেশের মানুষ প্রতিবাদী কম । আশেপাশে নেপাল-ভুটানের মতো পিচ্চি পিচ্চি দেশের গায়ে তারা কখনও আঁচড়ও কাটে নি । সীমান্তে ভারতীয়রা পাখির মতো গুলি করে মারলেও আমরা নিশ্চুপ । বার্মার মতো ফালতু দেশ এত হম্বিতম্বি করছে, লাখ দশেক উদ্বাস্তু মানুষের বোঝা চাপিয়ে দিয়েছে, যদিও আমাদের সেনাবাহিনীর সামনে তারা নস্যি । স্যার, আমি গবেষণা করে দেখেছি, সাইজেও বাংলাদেশি অণ্ডকোষের বা-পাশটা আমেরিকান অণ্ডকোষের চাইতে খানিক ছোট । এর কারণ, আমাদের দেশীয় বলকারক ফুডে জেনেটিকলি এমন কিছু আছে, যার ফলে পুরুষেরা ধর্ষণের মতো বীর্যকর্মে জেগে উঠলেও প্রতিবাদে জেগে ওঠে না । আমি চাই, উলটকম্বলের গুণে আমেরিকান সেনাদের মধ্যেও যেন জেনেটিক্যালি এই পরিবর্তনটা ঘটে, তাদের প্রতিবাদীশক্তি যেন ব্যালান্সড হয়ে আসে । তাতে করে তাদের মানবতা বাকি থাকলেও যুদ্ধের তেজ হবে শিথিল ।
—বাহ, তুমি তো বেশ মানবতাবাদী ।
—ঠাট্টা করলেন, স্যার? আমরা মানবতা-বিরোধী অপরাধের বিচার করেছি সত্য, তার মানে আপনাদের মত অত মানবতাবাদী হতে পারি নি । আমরা আসলে নিজেদের দেশকে ভালোবাসি । আমাদের দেশ ইদানিং জঙ্গি-জঙ্গি কাণ্ডে জেরবার । তাই ভয় হচ্ছে, কবে না-জানি সেই ধুয়াতুলে আপনাদের সেনারা বাংলাদেশেও হামলে পড়ে । তার আগে যদি এই আবিষ্কারটা সফল হয় এবং আমাদের দেশের সরকারও উলটকম্বল এক্সপোর্টে আমেরিকান বাজার ধরতে সক্ষম হয়, তাহলে কয়েক বছরের মধ্যেই এর ফলাফল আমেরিকান জনবজীবনেও পড়বে । কেননা, আমি নিশ্চিত, সাধারণ আমেরিকানরাও এত সুপেয় শরাব কস্মিনকালে পান করে নি । তার চেয়েও বড় কথা হলো, যদি সত্যি সত্যি পোর্টেবল পেনিস ও স্ক্রোটাম আবিষ্কার করা যায় এবং যুদ্ধের সময় তারা সেটাকে লকারে খুলে রেখে যায়, তাহলে তো খেলখতম ।
—খেলখতম মানে?
—আমরা তো দেখেছি অণ্ড সঙ্গে থাকতেও পুরুষ সবসময় প্রতিবাদী হয় না, আর না থাকলে তো প্রশ্নই আসে না । পৃথিবীতে অণ্ডকোষবিহীন কোনো বীর যুদ্ধে জিতেছে এমন নজির নেই । সুতরাং আমি চাই আমেরিকানদের এমন জাতিতে পরিণত করতে, যারা আর কখনও আগ্রাসন করতে পারবে না ।
এতক্ষণ পর সে সরাসরি স্যারের চোখের দিকে তাকাল । তারপর একটিমাত্র শব্দ ‘স্যরি’ বলেই রুম থেকে বেরিয়ে গেলো । ডা. এন্ড্রু লি হতবাক হয়ে তাকিয়ে রইলেন তারা গমন পথে ।

পুনশ্চ : তারপরের ইতিহাস আর বলার অপেক্ষা রাখে না । জনহপকিন্স ইউনিভার্সিটির প্লাস্টিক রিকনস্ট্রাকটিভ সার্জারি ডিপার্টমেন্টের চিকিৎসাবিদরা পরীক্ষামূলকভাবে জনৈক মার্কিন সেনার লিঙ্গ ও অণ্ডকোষ প্রতিস্থাপন করতে সফল হয়েছেন । বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল মিডিয়া গুরুত্বের সঙ্গে এই সংবাদ অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে প্রচার করেছে । এন্ড্রু লি ও তার টিমের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে আকাশে-বাতাসে । টিমের একমাত্র বাংলাদেশি সদস্য ছাড়া সবাই অপারেশনের ছুরি-কাচি নিয়ে ক্যামেরার সামনে পোজ দিচ্ছে । বঙ্গসন্তান তখন টিভির রিমোট হাতে নিজের রুমে বসে বিড়বিড় করছে— শালারা, এইবার দেখবি খেলা । লিঙ্গ নিয়ে বাহাদুরি করো, না । সারা পৃথিবীরে বন্দুকের লিঙ্গ দেখায়া বেড়াও । উলটকম্বল সাপ্লাই যদি বন্ধ কইরা দিই না, তাইলেই দেখবি তোর নিজের লিঙ্গেরই কী দশা হয় । যুদ্ধ মারাও । তোর বউ যখন রাতে টান মেরে লিঙ্গ ছিঁড়ে ফেলে বলবে, নতুন আরেকটা লাগিয়ে আনো এইটা পছন্দ না, তখন বুঝবি যুদ্ধ কারে কয় ! জঙ্গি-যুদ্ধ করবি না লিঙ্গ-যুদ্ধ করবি? শালার হুমুন্দির পুতেরা, বাঙ্গালি দেখছো, বাঙ্গালির পোংটামি দেখো নাই…

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ২:১৮

ঠাকুরমাহমুদ বলেছেন: হুমায়ুন আহমেদ স্যার মারা গিয়ে বিড়াট বিপদে ফেলে গেছেন আমাদের, মানুষ গল্প উপন্যাস পড়া থেকে বিমুখ হয়ে পরেছে তাছাড়া আছে শত শত টিভি চ্যানেল ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গল্প উপন্যাস কে পড়বে - সময় কোথায় ! আমার ছাপা খানা নেই আর গল্প উপন্যাস পড়ার পাঠকের ঘাটতি তো বাড়ছে প্রবল - তা না হলে আপনার লেখা আমি রাইট নিতাম ছাপাতাম দেখতাম পাঠক প্রতিক্রিয়া । খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখা - ধন্যবাদ ।।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৩৯

মনযূরুল হক বলেছেন: আপনার উচ্ছ্বসিত প্রশংসায় খেই হারিয়ে ফেলছি । ধন্যবাদ, ভাই.. শুভ কামনা রইল.।

২| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৩:২৯

কাওসার চৌধুরী বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা। অনেক দিন পর ভাল একটা লেখা পড়লাম।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

মনযূরুল হক বলেছেন: অশেষ ধন্যবাদ, ভাই.. ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো..

৩| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৭:৪১

এ্যান্টনি ফিরিঙ্গী বলেছেন: অসাধারণ, চমৎকার, দারুন একটি লেখা।।।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৮:৪০

মনযূরুল হক বলেছেন: অনেক অনেক ধন্যবাদ..

৪| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ৯:০০

সোহাগ তানভীর সাকিব বলেছেন: মেডিকেল বিয়ষক পোষ্ট তেমন একটা দেখা যায় না। আপনি করেছেন বেশ ভালো লাগলো।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩০

মনযূরুল হক বলেছেন: লেখার সময় কিন্তু মেডিকেল বিষয়ক পোস্টের ধারণাটা ছিল না, লিখতে লিখতে কিছুটা হয়ে গেছে । আপনি ডাক্তার হলে ভুল-ভালো বলতে পারেন ।..

৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৩০

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন:

কি সাহসী লেখা!!!!!:P:P

চায়না/কোরিয়ান

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

মনযূরুল হক বলেছেন: চায়না/কোরিয়ান বিষয়টা বুঝলাম না । তবে লজ্জা-শরমের অনুষঙ্গ নিয়ে লিখতে একটু সাহস তো লাগেই । যা আছে কপালে বলে চালিয়ে দিলাম আর কি !
ধন্যবাদ জানবেন..

৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ সকাল ১১:৪৩

সনেট কবি বলেছেন: চমৎকার একটি লেখা।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩২

মনযূরুল হক বলেছেন: প্রশংসার জন্য অশেষ ধন্যবাদ, কবি..

৭| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১২:২৮

শাহ আজিজ বলেছেন: ওয়াও , ১৯৭৮ সালে সহপাঠী/ পাঠিনীদের নিয়ে আলাপ করছিলাম আমাদের লাইব্রেরিতে আমরা সোনা জমা রেখে দেব কারন ওই সময় কোন এক মহিলা তার স্বামীর লিঙ্গচ্ছেদ করেছিল । আলাপ জমে উঠেছিল । ৪০ বছর আগের কথা । পাঠিনীরা বলল তারা রিসার্চের জন্য ওই সোনা লাইব্রেরি থেকে তুলতে পারবে কিনা । আমি সমস্বরে বললাম অবশ্যই , আলাপ বোধ হয় কোন কুচক্রির কারনে ভেস্তে গিয়েছিল -------- আপনার গল্প আমায় টেনে নিয়ে গেল সেই পেছনের দিনে ---- ধন্যবাদ ।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৭

মনযূরুল হক বলেছেন: জেনে ভালো লাগলো যে এই ভাবনার পথিক আমি প্রথম নই । যাই হোক লিঙ্গ-প্রতিস্থাপন যেহেতু শুরু হয়েছে, পোর্টেবল লিঙ্গ হতে দেরি হবে না ।..

৮| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ দুপুর ১:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: আপনি তো সুপারুস্তম।
এই রকম পোষ্ট ঘন ঘন প্রসব করুন।

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৮

মনযূরুল হক বলেছেন: ভাই, প্রসব করলে তো ভেসে যাবে, তার চেয়ে লেখাই কি ভালো না :)

অশেষ ধন্যবাদ জানবেন..

৯| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৮:৩৯

মো: নিজাম উদ্দিন মন্ডল বলেছেন: পেনিসের আকার কাদের কি রকম তাই লিখেছিলাম। পুরোটা আসে নি?:(

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৮ রাত ৯:১৩

মনযূরুল হক বলেছেন: ওকে, ভাই..
:) :)

১০| ০৩ রা মে, ২০১৮ দুপুর ২:২৬

এস এম এ যাহিদ ফুয়াদ বলেছেন: বাংলা সাহিত্যের অন্যতম রস রচনা!

০৩ রা মে, ২০১৮ বিকাল ৪:৩২

মনযূরুল হক বলেছেন: এত বড় প্রশংসা ! অশেষ ধন্যবাদ..

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.