নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

জুয়ারী

মেষ তাড়ুয়া

আমি এম আর জান্নাত স্বপন, বাংলাদেশ ও বাংলা ভাষাকে খুব ভালবাসি। ব্লগিং করা উপভোগ করি

মেষ তাড়ুয়া › বিস্তারিত পোস্টঃ

প্রযুক্তি, আউটসোর্সিং ও আমি : হামার উন্নতি হামরা করমো , দেখি অভাব কতদিন থাকে ...

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ বিকাল ৫:১৮

প্রযুক্তি আর গনমাধ্যম এর বদওলতে এই যুগে সারা পৃথিবী একটি দেশের মত হয়ে গেছে এবং অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি হয়েছে আমাদের মত দেশের জন্য। আমরা ঘরে বসেই সারা বিশ্বের যে কারো কাজ করে দিতে পারি । অথচ, আমরা কয়জন এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করছি? আমরা পরিশ্রমী জাতি,সারাদিন পরিশ্রম করে অল্প কয়েক টাকা পেলেই খুশি হওয়া জাতি। আজকাল দেশে অনেকেই যুবসমাজকে কোন পরিশ্রম করা ছাড়াই গাড়ি , বাড়ি এবং অনেক টাকার স্বপ্ন দেখাচ্ছে এবং যুবসমাজ প্রতিনিয়তই প্রতারিত হচ্ছে। আমার মনে হয় পৃথিবীতে এমন বোকা নেই যে কোন কারন ছাড়াই আপনাকে টাকা দিবে। আমাদের পরিশ্রম করে উপার্জন করার মানসিকতা থাকতে হবে। আমাদের নব গঠিত রংপুর বিভাগে রয়েছে বিশাল শিক্ষিত বেকার জনবল। আমরা ইন্টারনেট জগতটাকে বেছে নিতে পারি। আমাদের ভাগ্য উন্নয়নে । বেকারত্ব এর গ্লানি মুছে দিতে পারি খুব সহজেই । যেতে হবে না বিদেশে কিংবা চাকরি নামক সোনার হরিনের পিছনে ছুটতে হবে না । আমরা নিজেদেরকে তৈরী করতে পারি আন্তর্জাতিকমানের নাগরিক হিসেবে। দিন বদলের স্বপ্ন দেখি এবং বিশ্বাস করি প্রচলিত ভুল ভেঙ্গে আজকের আমাদের পক্ষেই সম্ভব সেই কাঙ্খিত দিন বদল ঘটানো। হামার উন্নতি হামরা করমো , দেখি (মঙ্গা ) অভাব কতদিন থাকে । জাগো বাহে কণ্ঠে সবাই । স্বপ্নের দুয়ার আজি দিলাম খুলে



চলে এসো সব স্বপ্নচারীরা...



বাস্তবিকই , ইন্টারনেট বিনোদনের একটা শক্তিশালী মাধ্যম। বিনোদনের চেয়ে ভাল শব্দ হবে টাইম পাস। বেশিরভাগ নেট ব্যবহারকারীর নেট ব্যবহার সম্ভবত টাইম পাসের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আশেপাশে যা দেখছি তাতে মনে হচ্ছে নেটের মাধ্যমে আমাদের সময়ের অপচয়ই হয়। তবে এখন ট্রেন্ড আস্তে আস্তে পরিবর্তন হচ্ছে। এখন অনলাইনে আয়ের ব্যাপারটা সবার সামনে আসতে শুরু করেছে। মেগাবাইট ব্যবহার করার জন্য আমাদের পয়সা খরচ করতে হয়, সেই পয়সা খরচ করে যদি কিছু ডলার আয় করা যায় তবে ব্যাপারটা বোধহয় মন্দ হয় না।



আউটসোর্সিং হল উইকিপিডিয়ার ভাষায় কোন প্রতিষ্ঠানের চলমান কোন কাজে সাহায্য করা বা করে দেয়া যেটা পূর্বে তারা নিজেরাই করত। আমি যেটা বুঝি সেটা হচ্ছে, অনলাইনে কোন কাজ করে দেবার মাধ্যমে টাকা আয় করা। আর এই কাজে কোন বাধা ধরা অফিস টাইম নেই বলে এক বলি ফ্রিলান্সিং। কোন কাজ করারও বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু যেই কাজটি আপনি নেবেন সেটা সময়মত সুচারুরূপে সম্পন্ন করতে পারলেই হল।



পাঠক ! আউটসোর্সিংয়ের ভুবনে প্রবেশ করার আগে কিছু ব্যাপার জানা থাকা প্রয়োজন। প্রথমত আপনি যে কাজ করতে ইচ্ছুক সে কাজে অবশ্যই দক্ষ হতে হবে। যেমন কেউ যদি ওয়ার্ডের কাজ করতে চান তবে মাইক্রোসফট ওয়ার্ডের গভীর জ্ঞান থাকা প্রয়োজন।



অনলাইনে কত ধরনের কাজের সুযোগ যে থাকে ! ৫০০ ডলারের প্রজেক্ট থেকে ১০ সেন্টের কাজ। সার্চ ইঞ্জিন অপ্টিমাইজেশন, টাইপিং, ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব ডিজাইন, ওয়েব প্রোগ্রামিং, অডিও-ভিডিও এডিটিং, পিকচার এডিটিং, এনিমেশন তৈরি, প্রেজেন্টেশন তৈরি ইত্যাদি থেকে শুরু করে ছোট ছোট কাজ যেমন ফেসবুক লাইক, শেয়ার, পোষ্ট, ব্লগ পোষ্ট, ফোরাম পোষ্ট, একাউন্ট সাইন আপ, মেইল সাইন আপ, ব্লগ পোষ্টের কমেন্ট করা —ইত্যাদি অসংখ্য কাজ।



যারা ভাবছেন, যারা এখন আউসোর্সিং করছে তারা একটা সময় ঝরে পড়বে তারা নিশ্চিত বোকার স্বর্গে বাস করছে। কারণ একাডেমিক কোয়ালিফিকেশন বা কাগজের সার্টিফিকেট যদি না-ও থাকে, এই কাজ করে তারা যে রিচ প্রোফাইল আর এক্সপেরিয়েন্স তৈরি করছে, সেটাই তাদের জীবিকার জন্য যথেষ্ট হবার কথা। যারা কাজ করছে তারা সবাই ক্রিয়েটিভ এবং পুরোপুরি টেকনিক্যাল। আমার ধারনা, খুব বেশি অভাগা বা অথর্ব না হলে কোনও ফ্রিল্যান্সাররাই ভবিষ্যতে ঝরে পড়বে না। এদের ফিউচার ঝরঝরে।



কীভাবে ঝরঝরে সেটা একটু খুলে বলি।



১. অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার:



আইফোন আর এন্ড্রয়ড অ্যাপ্লিকেশনের জয়জয়কার সারাবিশ্বে। কমপক্ষে আরও ১ দশক এরা রাজত্ব করবে টেকি বিশ্বে। আমার ধারণা, ডেস্কটপ অ্যাপ্লিকেশনের চাহিদা আগামী ৩ বছরের মধ্যে পুরোপুরি শেষ হয়ে যাবে। জীবনযাত্রা হয়ে যাবে পুরোপুরি মোবাইল বা ট্যাবলেট অ্যাপ্লিকেশনভিত্তিক। সুতরাং, যারা এসব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপ করবেন, তারা কোনওদিন ভাতে মরবে না, এটা গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি। তবে মাইক্রোসফট উইন্ডোজ ফোনের অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপারদের ফিউচার কী হবে, তা নিয়ে আমি সন্দিহান।



২. ওয়েব সাইট/ওয়েব অ্রাপ্লিকেশন ডেভলপার:



আউটসোর্সিং বিশ্বে নাকি সবচে’ বেশি চাহিদা ওয়েব সাইট/ওয়েব অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপারদের। এরাই নাকি বাকি সবার চেয়ে বেশি কামাচ্ছে। আগামী বছরগুলোতেও এদের চাদিহা বাড়া বৈ কমার কোনও লক্ষন দেখছি না।



৩. গ্রাফিক্স ডিজাইনার/ওয়েব সাইট ডিজাইনার:



এদের কাজ পুরোটাই সৃজনশীল। যতদিন তারা তাদের ক্রিয়েটিভিটিকে ঠিকমতো ধরে রাখতে পারবে, ততদিন পর্যন্ত এদের ফিউচার ঝরঝরে। ক্রিয়েটিভ সেক্টরে কম্পিটিশন অন্য দুই সেক্টরের চেয়ে কম। দশজন ফ্রি ল্যান্সারদের ভেতর সাকুল্যে তিনজন পাবেন গ্রাফিক্স ডিজাইনার বাকি সব হয় ওয়েব নাইলে অ্যাপ্লিকেশন ডেভলপার। কারণ সেগুলো হাতে কলমে শিখিয়ে পড়িয়ে দেয়া যায়, কিন্তু ক্রিয়েটিভ ডিজাইনিং মাথা থেকে যেমন আসে, তেমনি আসে হৃদয় থেকেও। মজার ব্যাপার হলো, ব্রেইন স্টর্মিং কিন্তু ডিজাইনারদেরই বেশি করতে হয়।



আমাকে একটা লোগো ডিজাইন করতে যে পরিমাণ সময় ধরে স্কেচ করতে হয়, (সেটা ফটোশপে নামানোর কথা তো বাদই দিলাম), সে পরিমাণ সময় দিয়ে একজন দক্ষ ওয়েব ডেভলপার দুটো এইচটিএমএল ৫ ওয়েব সাইট বানিয়ে ফেলতে পারবেন।



সুতরাং, তিনটি খাতই অসম্ভব সম্ভাবনাময়। অনেকে ফটোগ্রাফি আউটসোর্সিং করেন। তবে এই সেক্টরটা বাংলাদেশে এখনও ততটা মার্কেট পায়নি। আমার ধারণা, আগামী দেড়-দু’বছরের ভেতরেই ফ্রিল্যান্স ফটোগ্রাফাররা বাকি ৩ সেক্টরের সঙ্গে সমান তালে কমপিট করবে।



বাংলাদেশে আউটসোর্সিং-এর মাত্র শুরু। দেশের সাধারণ জনগণ এখনও এর আউটপুট পাওয়া শুরু করেনি। যখন পাবে তখন বুঝবে যে কী জিনিসকে তারা এতদিন অবহেলা করেছে।



খুব শীঘ্রই একটা সময় আসবে যখন একটা পরিবার তাদের মেয়েটাকে ব্যাংক বা মাল্টিন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ নয়, একজন ফ্রিল্যান্সারের হাতে তুলে দেবার জন্য মুখিয়ে থাকবে।



ফ্রিল্যান্সিংয়ের জন্য অনেক ওয়েব সাইট আছে। যেমন ওডেস্ক,ফ্রিল্যান্সার,ইল্যান্স,মাইক্রোওয়ারকার্স-ইত্যাদি। আপনি যে সাইটিই নিবন্ধন করেন না কেন, সেই সাইটের পলিসি খুব ভালভাবে বুঝে নেবেন। কিভাবে পেমেন্ট করবে বুঝে নেবেন। অনলাইনে কাজ করার ইচ্ছা থাকলেই শুধু হবে না, অসাধারণ ধৈর্য্যও থাকতে হবে। প্রথম প্রথম কাজ পাওয়া খুব কঠিন। ওডেস্কের হিসাব অনুযায়ী গড়ে নতুন কেউ প্রায় ৪৫ টি কাজের আবেদন করার পর কাজ পায়। তাই অনলাইনে কাজ করতে ইচ্ছুকদের হতে হবে খুব ধৈর্য্যশীল। আর কাজ পাওয়া গেলেতো কথাই নেই। খুব যত্ন সহকারে করে দেবেন, যেন বায়ার এর রেটিং ভাল পাওয়া যায়। ভাল রেটিং পেলে ভবিষ্যতে কাজ পাবার সম্ভবনাও বেড়ে যাবে।



কোন কাজ করার পর আসে টাকা পাবার বিষয়টি। বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আরেক অগ্নিপথ। এর জন্য আপনার থাকতে হবে একটি ব্যাংক একাউন্ট যেখানে টাকা জমা হবে- আর একটি মিডিয়া একাউন্ট যার মাধ্যমে টাকা জমা হবে, যেমন-পেপাল , মানিবুকার্স,প্যায়জা ইত্যাদি । আমাদের ফ্রিল্যান্সারদের অনেক দিনের দাবি,বাংলাদেশে পেপ্যাল সরকার চালু করবে এই প্রত্যাশা রাখি। বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সরদের অন লাইনে আয়ের ক্ষেত্রে সব থেকে বড় বাধা হল পেপাল একাউন্ট । বিশ্বের ১৯০ টা দেশে পেপাল একাউন্ট ব্যাবহার করা গেলেও বাংলাদেশে ব্যাবহার করা যায় না । এতে করে অনেক ক্লায়েন্ট হারাতে হয় এবং উপার্জিত টাকা উত্তলন করতেও সমস্যা দেখা দেয়।







এবার অন্যকথা বলি। এদেশে যখনই নতুন কিছু আসে আর দেশের মানুষ তাতে আগ্রহী হয়ে উঠে তখন কিছু লোক সাধারনের অজ্ঞানতার সুযোগে ফায়দা লোটার ধান্ধায় থাকে। অনলাইনে এম.এল.এম. এর কথা হয়ত অনেকেই শুনেছেন। পত্রিকায় মাঝে মাঝে দেখি অমুক কোম্পানি এম.এল.এম. বা ক্লিকের মাধ্যমে আয়ের কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। নেটেও এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যেগুলো বলবে শুধু ক্লিক করে আপনি এড দেখলেই তারা আপনাকে পেমেন্ট করবে। কিন্তু পরবর্তীতে কিছুই পাবেন না। কাজেই সাবধান ফাদে পা দেবেন না।



অনলাইনে টাকা উপার্জন তথা আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক এগিয়ে। বৈদেশিক আয় এর একটা অংশ এখন অনলাইন থেকে আসা শুরু করেছে । বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ অনলাইনে অর্থ উপার্জনে মুখ্য ভূমিকা রেখে আসছে। বিগত কয়েক বছর আগে মুষ্টিমেয় কিছু তরুণ অনলাইনে কাজ করত। তবে বর্তমানে স্কুল,কলেজ,ভার্সিটির ছাএ থেকে শুরু করে অনেক পেশাদার চাকরিজীবীরাও অনলাইনে কাজ করতে শুরু করেছে। এমনকি অনেকে এটাকে পেশা হিসেবে নেওয়া শুরু করেছে । অবশ্যই এটা আমাদের বাংলাদেশের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট।



আর বর্তমানে অনলাইনে টাকা উপার্জন নিয়ে বর্তমানে কিছু অতি লোভী লোক উঠে পড়ে লেগেছে। তারা অনলাইনে টাকা উপার্জনের লোভনীয় অফার দিয়ে অনলাইনে টাকা আগ্রহীদের সাথে নানারকম প্রতারণা করছে ।এমএলএম এর আদলে শতশত ওয়েব সাইট খুলে আগ্রহীদের সাথে প্রতারণার পাশাপাশি অর্থ আত্তসাত করছে একটি লোভী চক্র। অনলাইনে আয় নিয়ে প্রতারণার মুলে বাংলাদেশে এমএলএম এবং হাইপ টাইপের ওয়েব সাইটই বেশি জড়িত। আর পিটিসি সাইট গুলোর শতকরা ৯৯ ভাগই ভুয়া।



আপনারা হয়ত কিছু ওয়েব সাইট এর নাম শুনে থাকবেন যেগুলো বাংলাদেশ থেকে প্রচুর অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। কিছু অতি সাধু এবং মিষ্ট ভাষী লোকের কথায় অনুপ্রাণিত হয়ে হয়ত অনেকেই অনেক টাকা হারিয়েছেন । ঠিক এই সাইট গুলোর মূল্য থিম অনুসরণ করে নতুন নতুন দেশি বিদেশি অনেক ওয়েব সাইট এবং অনেক কোম্পানির আগমন হচ্ছে। যারা কিনা নামে মাএ গভঃ রেজিঃ দেখিয়ে বা বিনা অনুমোদনে কাজ করতেছে। অনেকে বিভিন্ন লোকেশনে অফিস নিয়েও কাজ শুরু করছে। তবে বাস্তব হল কিছুদিন পর এদের অফিস বা মালিক বা এজেন্ট কাউকেই হাতের নাগালে পাবেন না ।



কারা প্রতারিত হচ্ছে:



কলেজে বা ভার্সিটির ছাএরাই বেশি প্রতারিত হচ্ছে এসকল ওয়েব সাইটের সাথে কাজ করে । যারা অনলাইনে নতুন বা অনলাইনে অতি অল্প সময়ে টাকা আর্ন করতে আগ্রহী।যারা অতি লোভী এবং যারা অপেক্ষাকৃত সহজ সরল।যারা অনলাইনে কোন কাজ না জেনেই আর্ন করতে ঘুরে বেড়ায়।একটু সাবধান হলেই এই প্রতারক চক্রগুলোর প্রতারণা থেকে বাঁচতে পারবেন ।



যেভাবে বুঝবেন প্রতারকদের প্রতারণা :



১। তাদের ওয়েব সাইটে সদস্য পদের জন্য টাকা দাবি করবে।



২। অনেকে আবার আপনার মেম্বার-শিপ আপগ্রেড এর জন্য টাকা দাবি করবে।



৩। তারা আপনাকে টাকা আয়ের বিভিন্ন উপায় দেখাবে যেমনঃ তাদের ওয়েব সাইটে কোন সদস্য রিফার করা,আপনাকে কিছু অ্যাড দেখতে বলা , অনলাইন সার্ভে করা ।



৪। অনেকে আপনাকে টাকা ইনভেস্ত করতে বলবে যা থেকে একটা লাভাংশ আপনাকে দেবার প্রতিজ্ঞা থাকবে ।



৫। বাইনারি সিস্টেমে আর্নিং দেখাবে অর্থাৎ মেন টু মেন আর্নিং সিস্টেম দেখাবে।



মূলত এসকল পয়েন্টে লোভ দেখিয়ে ঐ সকল ওয়েব সাইট প্রতিষ্ঠিত । এই সাইটগুলোর কেউ কেউ আবার শুরুর দিকে মেম্বারদের সামান্য পরিমাণ টাকা প্রদান করে একটি নির্দিষ্ট সময় পর এদের আর খুঁজে পাওয়া যায়না। যার অনেক নজির আছে এবং এটাই সত্য যে এই সমস্ত ওয়েব সাইট শতকরা ৯৫ ভাগ হারিয়ে যায় এবং নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর ১০০ ভাগই হারিয়ে যায় । তাই এইসবের পেছনে লোভে পড়ে সময় নষ্ট করার আগে ভেবে চিন্তে করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।





আজকাল আরেকটি ব্যাপার লক্ষ করছি, বিভিন পত্রিকা,ম্যাগাজিনে বিজ্ঞাপন আসছে-অনলাইনে আয়ের বিষয়ে প্রশিক্ষন দেয়া হচ্ছে। সেখানে কি শেখানো হয়, আমার কোন ধারনা নেই। তবে সবচেয়ে বড় প্রশিক্ষক হচ্ছে গুগল। অনুসন্ধানে কি না পাওয়া যায়? শুধু ফি কেন দেবেন?



কাজেই নিজেই শিখুন, নিজেই জানুন। একটু সময় হয়ত বেশি লাগবে কিন্তু আপনার ভিত্তি হবে মজবুত। আপনাকে কেউ টলাতে পারবে না। আর সাফল্য? সেতো সময়ের ব্যাপার মাত্র!!



আমাদের তরুণরা আউটসোর্সিং সেক্টরকে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছে সরকারের প্রায় কোনো প্রকার সাহায্য ছাড়াই৷ এখন এই সেক্টরের আরো উন্নয়নের জন্য সরকারের পুর্ণ-উদ্যমে এগিয়ে আসা উচিত, ৷ ২০১৪ সালের মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার সমমূল্যের আউটসোর্সিং সার্ভিস রপ্তানি করার সম্ভবনা বাংলাদেশের আছে ৷ আউটসোর্সিং সেক্টরের উন্নয়নের জন্য মূল বাধাগুলো হলো অনিয়মিত বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং ধীর গতির ইন্টারনেট সংযোগ ৷ দ্রুতগতির ইন্টারনেট সংযোগ নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশের আরেকটি সাবমেরিন কেবল প্রয়োজন ৷ বাংলাদেশে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করা আইটি সেক্টরের একজন কর্মীর ঘন্টায় গড় বেতন হচ্ছে ৮ ডলার, যেখানে তা ভারতে ২০ ডলার এবং ফিলিপাইনে ১০ থেকে ১৫ ডলার ৷ বিশ্বব্যাপী ক্রমেই বাড়ছে আউটসোর্সিংয়েই বাজার। সেই সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশও এগিয়ে যাচ্ছে সামনের দিকে। বিশেষ করে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশের অবস্থান ক্রমেই শক্তিশালী হচ্ছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত ওডেস্কে’র কনট্রাক্টর অ্যাপ্রিসিয়েশন ডে’ তারই প্রমাণ দেয়। এতে উপস্থিত ছিলেন ওডেস্কের অপারেশন্সের ভাইস প্রেসিডেন্ট ম্যাট কুপার। আউটসোর্সিংয়ে বিশ্বব্যাপী অত্যন্ত পরিচিত এই ব্যক্তি বাংলাদেশের ফ্রিল্যান্সারদের নিয়ে অত্যন্ত উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন।



ফ্রীল্যান্সিং করলে কিছু না হোক অনেক কিছু জানা যায়। জানা যায় অনেক দেশের মানুষের প্রকৃতি, ভাবনা আরো অনেক কিছু। আরেকটা ভালো কিছু জানা যায় তা হচ্ছে সময়ের সঠিক ব্যবহার। আমাদের দেশে যদি হয় দুপুর আমি যার কাজ করি তার ঐখানে রাত ১২টা বা অন্য কোন বিদগুটে কোন একটা সময়। আর এখানেই হচ্ছে আপনার কৃতিত্ত্ব। আমি আগে সারারাত জেগে থাকতে পারতাম, সারা রাত জেগে থেকে নিজের মন মত যা ইচ্ছে তা করতে পারতাম। কিন্তু যখন রাতে কাজ করব তখন? কাজ করা আর নিজের মত করে কোন কিছু করা এক না। কারন কাজ করার সময় ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ রাখতে হয়, তার কি দরকার তা বুঝতে হয় আমি কি করতে পারব কিনা তা জানতে হয়, যদি না পেরে থাকি তাহলে কি আমি সহজেই শিখে নিতে পারব কিনা এসব ভেবে চিনতে কাজ করতে হয়। আরেকটা জিনিস হচ্ছে কোন কোন ক্লায়েন্ট আমাকে সময় দিবে কেউ আবার চায় সাথে সাথেই কাজ করে দিতে। তাই মাঝে মাঝে বিরক্ত ও লাগে। আবার অনেক সময় ভালোও লাগে যখন সত্যি কিছু শিখতে পারি। বা আমাকে কোন কঠিন কাজ দিলে প্রথম যদি না পারি তখন অনেক অনেক বিরক্ত লাগে আর কাজ টা শেষ করে দিলে কত যে ভালো লাগে বুঝাতে পারব না। কাজ শেষে যদি ঐ সময় টাকা নাও দিত তাহলে আপত্তি থাকত না বা থাকবে না। কারন আমি কিছু শিখতে পেরেছি।



আর সবচেয়ে উপভোগ করার বিষয় হচ্ছে বিভিন্ন দেশের মানুষের সাথে কাজ করার অভিজ্ঞতা। আজ আমেরিকার কাজ তো কালকে অস্টেলিয়ার কোন এক ক্লায়েন্টর কাজ এ দুই দেশেরই প্রথম ভাষাই হচ্ছে ইংরেজি, তাই এদের সাথে কাজ করতে কোন আপত্তি নেই, বেশি সমস্যা ও হবার নয়। কিন্তু ক্লায়েন্ট যদি হয় ফ্রান্স বা স্পেনের তখন কি করবেন? তখনই ভালো লাগে। সেও ভালো ইংরেজি জানে না আমি ও না, তাই ভুল হলে কেউ হেসে উঠি না। ভালোই লাগে। কারন আমি তো আর ফ্রন্স আর স্পেনের ভাষা জানি না ওরা ও বাংলা ভাষা জানে না তখন আমাদের ভাষা হয় ইংরেজী। আরেকটা বিষয় হচ্ছে গুগল ট্রান্সলেটর। এটা অনেক হেল্প করে। আমাকে দিয়েছে স্পেনের ভাষায় সাইট তৈরি করতে কিন্ত আমি তো আর স্পেনের ভাষা পারি না, তখন আমাকে সাহায্য করে গুগল ট্রান্সলেটর। ওর সাহায্যে ভাষাকে অনুবাদ করে কাজ করি। একটু ভেজাল লাগলে ও কাজ করা মজা পাওয়া যায়।



আর আমি নিজেও নতুন। নতুন দের জন্য আমার কোন উপদেশ নেই তাই। তবে আপনারা যারা শুরু করতেছেন বা করবেন কাজ না পেলেও ধৈর্য হারাবেন না প্লিজ। কাজ একবার পেলে দেখবেন আর পেছনে ফিরতে হবে না। কাজ না পেলে কাজ শিখে যান। শিখার পেছনে সময় ব্যয় করুন। একজন ফ্রীল্যান্সারের সবচেয়ে দামী রিসোর্স হচ্ছে তার সময়। আসলে সময় সবার জন্যই দামি। আপনি যদি ফ্রীল্যান্সার হয়ে থাকেন আপনাকে সময়ের দাম অন্যান্য দের থেকে আরো জোর দিয়ে দিতে হবে। দোয়া করবেন সবাই আমি নিজেও যেন নিজের সময় গুলোকে কাজে লাগাতে পারি।



আউটসোর্সিংয়ে গত পাঁচ বছরে বাংলাদেশ অর্জন করেছে বিপুল অগ্রগতি। সীমিত গতির ইন্টারনেট সংযোগ এবং আইটি বিষয়ে শিক্ষার প্রভূত প্রসার না থাকলেও আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ গত পাঁচ বছরে যে সাফল্য লাভ করেছে, তার ভূয়সী প্রশংসা করেছে প্রযুক্তি বিশ্বের সকলেই। সময়ের সাথে বাংলাদেশে আউটসোর্সিংয়ে ভালো করার সম্ভাবনা অনুধাবন করার সাথে সাথে বদলে গেছে দেশের প্রেক্ষাপট। দেশের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, প্রযুক্তি বিশ্লেষক এবং প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান গুলোর নানান উদ্যোগে এখন সরকারও আউটসোর্সিং খাতকে গুরুত্ব দিয়েই বিবেচনা করছে। এর মধ্যে দেশে ওয়াইম্যাক্স অপারেটর গুলোর আবির্ভাব উচ্চগতির ইন্টারনেট সংযোগকে অনেকখানি সহজলভ্য করেছে ঢাকা সহ দেশের বড় বড় শহর গুলোতে। পাশাপাশি দেশব্যাপী আইটি শিক্ষা এবং সংশ্লিষ্ট প্রশিক্ষণ সমূহ যথেষ্ট গুরুত্ব পাচ্ছে সব ক্ষেত্রেই। ফলে আউটসোর্সিংয়ে যুক্ত মানুষের সংখ্যা এবং কাজের পরিমাণও বাড়ছে। যা দেশের অর্থনীতিতেও গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করছে।



বিশ্বব্যাপী ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্সিংয়ের সবচেয়ে বড় ওয়েব সাইটটির নাম ওডেস্ক। আর এই ওডেস্ক ও বাংলাদেশিদের অংশগ্রহণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। ওডেস্কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী ওয়েব প্রোগ্রামিং নিয়ে সবচেয়ে বেশি আউটসোর্সিংয়ের কাজ হলেও বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি কাজ হয়ে থাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) নিয়ে। এ ছাড়া ডাটা এন্ট্রি, ওয়েব রিসার্চ, ওয়েব প্রোগ্রামিং সহ অন্যান্য প্রায় সব ধরনের কাজই হয়ে থাকে এখান থেকে।



বাংলাদেশের জনসংখ্যার অর্ধেকেরও বেশি বয়সে তরুণ। আর এটাই হচ্ছে বাংলাদেশের অন্যতম সম্ভাবনার স্থান। কেননা, এই তরুণের তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। এটাই বাংলাদেশের আউটসোর্সিংয়ে সম্ভাবনাকে অনেক এগিয়ে রাখে। তবে সম্ভাবনার সফল অনুবাদে প্রয়োজন পর্যাপ্ত সুবিধা প্রদান। পুরো দেশের প্রেক্ষিতে বিবেচনা করলে এখনও আমাদের দেশে আইটি নির্ভর অবকাঠামো গড়ে ওঠেনি। আইটি শিক্ষার প্রসারও নেই সর্বত্র। আউটসোর্সিংয়ে আমাদের অগ্রগতিকে ধরে রাখতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিতে দেশব্যাপী আইটি অবকাঠামো গড়ে তোলার বিকল্প নেই। আর আমাদের দেশের তরুণদের মধ্যে আইটি নিয়ে যে আগ্রহ রয়েছে, তা বিকশিত করতে প্রয়োজন তাদের জন্য নানান ধরনের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ এবং উপযুক্ত কর্মসূচী। বেসরকারি নানান উদ্যোগের পাশাপাশি সরকার থেকেও প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। আর তাহলেই সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আউটসোর্সিংয়ে আমাদের অবস্থান আরও সামনে এগিয়ে যাবে।



ছোটবেলা থেকেই আমার ছিল প্রযুক্তির প্রতি দৃর্নিবার আকর্ষণ। ইতিমধ্যেই আমি ইন্টারনেটে আসক্ত হই। সাইবার ক্যাফে থেকে । আমি নেটে বিভিন্ন আউটসোর্সিং এর কথা জানতে পারি। বিভিন্ন কাজ শিখি আমি। কিন্তু কখনো আউটসোর্সিং কে পেশা হিসেবে নেব বলে কল্পনা করিনি। আয় করার পাশাপাশি আমি ফ্রিতে/নামমাত্র মূল্যে আউটসোর্সিং শেখাই যাতে সবাই কিছু না কিছু আয় করতে পারে। বেকার বা অভাবে থাকা অনেক কষ্টের তা আমার চেয়ে কেউ ভাল জানে না। আমি আগামী ১ বছরের মধ্যে আমার জেলাকে বেকারমুক্ত করতে চাই। আমি কিছু প্রতিবন্ধীকে কাজ শেখাতে চাই যাতে তারা কারও বোঝা না হয়ে থাকেন। আগামী ১ বছরের মধ্যে আমি ১ হাজার ফ্রিল্যান্সার তৈরি করব যারা প্রতি মাসে আমার মত হাজার হাজার টাকা মাসে ইনকাম করবে।



আমার ধারনা, সেবার খাত বাড়ার সাথে সাথে একটা সময় টেকনোলজিক্যাল সেবা ছাড়াও অন্যান্য খাতের সেবাও আউটসোর্সিংএর মাধ্যমে দেয়া হবে।



যেমনঃ একজন ডাক্তার পাশ করে বেরিয়ে হাসপাতালে বা ক্লিনিকে না ঘুরে সে ঘরে বসেই উচ্চগতির ইন্টারনেট দিয়ে পৃথিবীর অপরপ্রান্তে রোগী দেখবে, প্রেসক্রিপশান দেবে, অপারেশনে সহায়তা করবে। (অষ্ট্রেলিয়ায় ইতিমধ্যেই এটা চালু হয়ে গেছে, তবে আউটসোর্সিং নয়, এ সেবা দেয় হয় এক স্টেট থেকে অন্য স্টে



টের হাসপাতালে, বিশেষ কিছু ডাক্তারের নিয়মিত ডিউটির ভেতরই পড়ে এই সেবা) অথবা একজন আর্কিটেকচার ঘরে বসেই ক্লায়েন্টদের কাছ থেকে সরাসরি অর্ডার নেবে, ডিজাইন করবে, চাইলে সাইট দেখেও পরামর্শ দেয়া যাবে। একজন শিক্ষক ঘরে বসেই পূর্ণ দক্ষতার সাথে ক্লাস নিতে পারবেন। (বাংলাদেশ ও মার্কিন নাগরিক সালমান খানের "খান একাডেমী" দ্রষ্টব্য)



একজন ফ্যাশন ডিজাইনার কাজ করবেন এখনকার একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মতোই। একজন বিউটিশিয়াল তার শোবার ঘরে কম্পিউটারের সামনে বসেই রূপচর্চার সেবা দিয়ে যাবেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে।



একজন কৃষক পৃথিবীর অন্য প্রা্ন্তের এমন কাউকে কৃষি বিষয়ে সহায়তা করবে, যে কিনা বিজ্ঞানী/উদ্যোক্তা/ব্যবসায়ী। তাদের কাজের প্রয়োজনেই একজন অভিজ্ঞ কৃষকের সহায়তা ও পরামর্শ প্রয়োজন। তারা এই পরামর্শ বা সহায়তা কৃষকের কাছ থেকে সস্তায় কিনে নেবে।



মোট কথা, যারা সেবা বিক্রির সাথে জড়িত, সেবা বিক্রিই যাদের জীবিকা, তারা সবাই-ই একটা সময় আউটসোর্সিং করতে পারবেন। (তবে ব্যাকিংখাতে নিযুক্ত লোকবল এ খাতে তেমন একটা সুবিধা করতে পারবে বলে মনে হয় না, কারন, গতবছর টাইমস পত্রিকার একটা আর্টিকেলে পড়লাম, ভবিষৎতের ব্যাকিংখাত এত বেশী প্রযুক্তি নির্ভর হয়ে পড়বে যে, এখনকার অফলাইন বা রিয়েল লাইফ ব্যাংকিং-এর ধারনাই বিলুপ্ত হয়ে যাবে, মানুষ কাজ করবে ভার্চৃয়াল ব্যাংকে! যদি তাই হয় তাহলে এখনকার মতো টেলার, ক্যাশিয়ার, ইত্যাদি শাখার লোকবলেরও প্রয়োজন পড়বে না। তবে হ্যাঁ, ফাইনেন্স অডিটির বা ফাইনেন্স এ্যাডভাইসররা তাদের সেবা আউটসোর্স করতে পারেন)



যারা ভাবছেন, স্থানীয় পেশাজীবি থাকতে আউটসোর্সিং করে এদের দারস্থ হওয়া লাগবে কেন? উত্তর হলো, একই প্রশ্ন তো বর্তমানে যারা আউটসোর্সিং করছেন, তাদের বেলাতেও খাটে! তারা বাজার ধরে রেখেছেন যেভাবে, সেভাবে অন্যান্য পেশাজীবিরাও ধরে রাখবে।



এর জন্য অবশ্য প্রয়োজন ৫ টি জিনিসের।



১. অতি উচ্চগতির ব্যান্ডইউথ।



২. সব রকমের কম্পিউটার সরঞ্জামকে নিম্নবিত্তদের হাতের নাগালে নিয়ে আসা। দামী ডিভাইস কেনার জন্য সহজ শর্তে ঋনের ব্যবস্থা করা।



৩. দেশের ই-কমার্স ইনফ্রাস্ট্যাকচার শক্তিশালী করা। বাংলাদেশকে পুরোপুরি পেপল বান্ধব করে তোলা।



৪. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা।



৫. আউটসোর্সিং সমদ্ধে সরকারের বন্ধুভাবাপন্ন মনোভাব। এই মনোভাব থাকলে সরকারই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে দুটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ করবেঃ



ক. ভূয়া আউটসোর্সিং-ফ্রিল্যান্সি কোম্পানিগুলোকে ধরে ধরে সা্ইজ করবে। (আজকে 'স্কাইল্যান্সার' নামের একটা হায় হায় কোম্পানিকে পাবলিক যেমন সাইজ করেছে!)



খ. সরকারী উদ্যোগে বিপুল একটা জনগোষ্ঠিকে ফ্রিল্যান্সিং আউটসোর্স করে পেট চালাবার মতো দক্ষ করে গড়ে তুলবে। চাইলে রপ্তানিও করতে পারবে।



আমি নিজেকে নিয়ে কখনোই আতবিশ্বাসী ছিলাম না। কম্পিউটার সম্পর্কে কৌতুহলী হয়েছি বিজ্ঞান বই পড়ে । এখন মাঝে মাঝেই মনে হয় আমি যত আগে ইন্টারনেটের সাথে পরিচিত হতে পারতাম আমি তত বেশি কিছু জানতে পারতাম।



মাঝে মাঝে ইন্টারনেট আমার জন্য আর্শীবাদের মত মনে হয়। আপনি যে বিষয়ই পড়েন না কেন কম্পিউটারের সঠিক ব্যবহার করলেই হবে। কম্পিউটার + ইন্টারনেট = এক বিশাল শক্তি, একটি বিশাল তথ্য ভান্ডার বা আরো অনেক বিশাল কিছু যা আমি আপনি কল্পনাও করতে পারি না। দরকার এর ব্যবহার। আর যদি আমি কম্পিউটার, ইন্টারনেট ব্যবহার করতে না পারতাম আমি আজ এ লেখাটিও তৈরি হত না। আমি অনেক অনেক পিছিয়ে থাকতাম। কিন্তু আপনি যদি পারেন তাহলে একে কাজে লাগানোর চেষ্টা করুন।





সারাক্ষান নেটের পিছনে পড়ে থাকি জ্ঞান আহরণের জন্য, জানিনা কতটুকু জ্ঞান আত্ত্বস্থ করতে পেরেছি। যতটুকুই জানছি তা অন্যদের মাঝে বিলিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছি প্রতিনিয়তই। কারন জ্ঞানকে কুক্ষিগত করে রাখলে সেই জ্ঞানের অবমূল্যায়ন ছাড়া মূল্যায়ন হয় না।



নিজের প্রতিটি সময়/মুহুর্তকে কাজে লাগাতে চেষ্টা করছি। আমার কাছে বাহিরে দু’-চারটা বন্ধুর সাথে আড্ডা দেয়ার চেয়ে নেটে বসে থাকা অনেক গুরুপ্তপূর্ণ মনে হয়। তাই অনেকেই আমার সাথে মিশতে পারে না। তাতে আমার কি? বাহিরে বের হইনা বলে কি আমার বন্ধুর অভাব? জ্বী না। আমারো আছে। ভদ্র এবং প্রযুক্তি মনা বন্ধু।



আপাতত পড়াশুনার পাশাপাশি পেশা হিসাবে ফ্রিলান্সিং করছি ওডেক্স এবং ফ্রীলান্সার এ। চলছি নিজের মত করে।



ছোট বেলা থেকেই অনেক বড় কিছু হবার স্বপ্ন দেখতাম, সত্যি কথা যদি আমি কম্পিউটার + ইন্টারনেট না পেতাম তাহলে ঐগুলো স্বপ্নই থেকে যেতো। এখনো স্বপ্ন গুলো পূরন করতে না পারলেও আমি তাদের কাছাকাছি যেতে পারব। আপনি আজ যে বিষয়ই পড়ুন না কেন, যে শ্রেণীতেই পড়ুন না কেন, আপনার যদি সামর্থ থাকে তাহলে একটা কম্পিউটার আর স্বল্প টাকায় একটা ইন্টারনেট কানেকশন রাখেন। আপনার উন্নতি সম্পর্কে আপনি নিজেই টের পাবেন। আপনার চারপাশ থেকে অনেক বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন। সত্যি কথা, আপনি যদি ইন্টারনেটের সঠিক ব্যবহার করতে পারেন তাহলে আপনার ছোট বড় অনেক গুলো সমস্যা সমাধান নিজে নিজেই করতে পারবেন।



লেখাটির বিষয় হচ্ছে প্রযুক্তি ও আমি , প্রযুক্তি বলতে শুধু কম্পিউটার ও ইন্টারনেট না। কম্পিউটার ও ইন্টারনেট অন্য সব প্রযুক্তিকে জানার জন্য হাতিয়ার। আমার কাছে ইন্টারনেট ছাড়া বাকি সব কিছু কেমন অন্ধ। জেগে থাকার এক ঘন্টা আমি এখন আর ইন্টারনেট ছাড়া থাকতে পারি না। এটাকে এডিক্টেড বলা যেতে পারে।



ইন্টারনেট ঘেটে নিজে নিজে ওয়েব ডেভলপিং শিখতে লাগলাম। শিখতে শিখতে বেশ কয়েকটা লোকাল ওয়েব সাইট ডেভলপ করি। ফ্রীল্যান্সিং সম্পর্কে একটু একটু জানতাম। টেক্সটাইল এ যে বেতন পাই তা দীয়া মাস পার হয় না । মোট কথা প্রযুক্তির প্রেমে পরে ও নিজের মওলিক চাহিদা গুলো পূরণ করতে পরবর্তীতে ফ্রীল্যান্সিং শুরু করলাম ।



ফেসবুকিং করে অনেক গুলো সময় কাটাই। আর বাকি সময় নতুন কিছু শেখার পেছনে। এখানেও ইন্টারনেট। এখন আর বই কিনি না। কিনতে হয় না, আর বই কিনলেও ও গুলো পড়ে থাকে ঐভাবে। পড়া হয় না, ইন্টারনেটে সার্চ করলেই প্রয়জনীয় তথ্য পেয়ে যাই আর তা থেকেই পড়া শেষ করি। গল্পরে বই হোক আর নিজের স্কিল বাড়ানোর কোন বই হোক তার জন্য ও ইন্টারনেট। ফ্রী আর পাইরেটেড বই দিয়ে আমার হার্ড ডিক্সের একটা অংশ ভর্তি। কিছু জানার দরকার হলেই গুগলের কাছে জিজ্ঞেস করি। যা বলে ঐ ভাবে আস্তে আস্তে সামনে যাওয়ার চেষ্টা করি। এভাবে প্রতিদিন কেটে যায়।



ফেসবুকই বেশি ব্যবহার করি আমি, গুগল প্লাস টুইটারে একাউন্ট থাকলে তেমন ব্যবহার করা হয় না। ফেসবুক ব্যবহার করা হয় যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে আর সবার সাথে কানেক্টেড থাকতে, সবার অবস্থা সম্পর্কে জানতে, কে কি কিরছে না করছে এসব জানার জন্যই ফেসবুক ব্যবহার করা হয়।



ফেসবুক আমি নিজেও এডিক্টেড পর্যায় ব্যবহার করি। তারপরও ভালো লাগে, অনেক কিছু জানা যায়। কেউ একজন সফল হলো কোন একটা বিষয় তা জানালো স্ট্যাটাসে মাধ্যমে। তখন নিজের মধ্যে একটা স্পুলিঙ্গ অনুভব করি, আমাকে ও পারতে হবে এমন কিছু। কে কি জানে, কেন জানে কোন বিষয়টা ভালো এসব জানার জন্য ফেসবুক ভালো যায়গা। আরেকটা কাজ রয়েছে, অনেক গুলো গ্রুপের সাথে যুক্ত ফেসবুকে। যার বেশির ভাগই শিক্ষামূলক, সাহায্য বা সহযোগিতা মূলক। আমি জানি না অন্যকোন দেশে এমন সুন্দর গ্রুপ সৃষ্টি হয়ে কিনা। ঐ গ্রুপ গুলোতে নিজের সমস্যা জানিয়ে পোস্ট করে, যে পারে সে উত্তর দেয়। অনেক তাৎক্ষনিক উত্তর পাওয়া যায়। আমার কাছে ভালোই লাগে। এখন যে খারাপ কাজে ব্যবহার করবে তা তার দোষ। ইন্টারনেটে ভালো এবং খারাপের যদি অনুপাত বের করা হয় তাহলে খারাপের পাল্লা অনেক বেশি ভারি হবে। তাই ভালো খারাপের প্রশ্নটা আপেক্ষিক।



আমি জানি না মেশ তারুয়া ব্লগটি কয় জনের কাজে লাগে। প্রযুক্তিকে সবার মাঝে ছড়ানোর উদ্দ্যেশে তৈরি করেছি ব্লগটি। ব্লগ পড়ার জন্য দরকার ইন্টারনেট তা অনেক কম মানুষই পায়। ইচ্ছে করে সবার কাছে ইন্টারনেট পৌছিয়ে দিতে। কিন্তু পারি না। এখনো আমি চাকরি , পড়ালেখাই করি, পাশাপাশি ফ্রীল্যান্সিং আর তা ওয়েব প্রোগ্রামিং ও সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন (এসইও) এর উপর। তবে আমার ভালো লাগে লিখতে। কোন কিছু লিখতে ইচ্ছে করলে সব কিছু ছেড়ে লেখা শুরু করি। প্রকাশ মাধ্যম এখনো ব্লগই আর তা প্রযুক্তি নিয়েই।



আমি নিজে এখনো খুবি ছোট। আমার কথা মূল্য কেউ দিবে না। বা আমি যদি এখন কোন কিছু বলি পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে তা হয়তো পারফেক্টও হবে না। তাই আগে নিজেকে ডেভলফ করার চেষ্টা করছি। যে পর্যায় গেলে দেশের জন্য কিছু করতে পারব ঐ পর্যায় যাওয়ার চেষ্টা করছি।



প্রযুক্তির দিক দিয়ে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়ে রয়েছে এখন দরকার এ এগিয়ে যাওয়াটা টিকিয়ে রাখা। অনেক যাগাতেই ছোট ছোট ইনিস্টিটিউট তৈরি হচ্ছে বিভিন্ন কোর্স নিয়ে। অনেকেই বলবেন তারা নিজেই পারে না আবার কি শেখাবে। কেউ কাউকে জোর করে শেখাতে পারে না। শুধু মাত্র শেখার পদ্ধতি বলতে দিতে পারে। আর মাথার মধ্যে শেখার একটা চিন্তা ঢুকিয়ে দিতে পারে। ওরা যদি তাদের ছাত্র/ছাত্রীদের কিছু না শিখিয়ে তাদের মধ্যে শেখার চিন্তাটা ঢুকিয়ে দিতে পারে, তাকে কি জানতে হবে তা বলতে পারে তাহলেই হবে। বাকিটা নিজে নিজেই শিখে নিতে পারবে।



এখন নিজে নিজে শেখার জন্য একটা মাধ্যম দরকার। তা ইন্টারনেট ছাড়া আর কিছু না। সরকারের উচিত ইন্টারনেটকে সবার কাছে পৌছিয়ে দেওয়া। বাংলালায়নের স্টুডেন্ট প্যাকেজ রয়েছে। যা অনেক ছাত্র ছাত্রীরই কাজে আসছে। তারা একটা প্রতিষ্টান হয়ে যদি ছাত্র ছাত্রীদের কথা ভাবতে পারে তাহলে সরকার কেন ভাববে না? সরকার যদি সবাইকে কম মূল্যে ইন্টারনেট দিতে না পারে অন্তত ছাত্র ছাত্রীদেরকে কম মূল্যে ইন্টারনেট দেওয়ার চেষ্টা করুক। স্ব-শিক্ষা সবচেয়ে বড় শিক্ষা। শিক্ষা উপকরন ইন্টারনেটে এত বেশি সহজ যে বলার বাহিরে। একটা ছাত্র অনেক সহজেই নিজের পছন্দের বিষয় গুলো শিখে নিতে পারে এই ইন্টারনেটের মাধ্যমে। আমার পরিচিত অনেকেই রয়েছে যাদের সার্টিফিকেট আর কাজের ক্ষেত্র এক না। পড়ালেখা করেছে এক বিষয় হয়তো তা পছন্দ ছিল না। পরে নিজেদের পছন্দ মত বিষয়ে পড়ালেখা করে নিজেকে যোগ্য করে তুলে নিজের পছন্দের বিষয়ের উপর কাজ করছে। তা সম্ভব হয়েছে ইন্টারনেটের কল্যানেই।



স্কুল অবস্থাতেই যদি সবাইকে প্রযুক্তি জ্ঞান দেওয়া যেত তাহলে অনেক ভালো হতো। অন্যান্য বিষয়ের থেকে টেকনিক্যাল বিষয় গুলোর দাম বেশি। পৃথিবীতে এখন টিকিয়ে থাকতে হলে প্রযুক্তি জ্ঞান দিয়ে টিকিয়ে থাকতে হবে। বাংলাদেশ থেকে অনেকেই বিদেশী কম্পানিতে চাকরি করে, যারা করে তারা অবশ্যই কিছু জেনেই কাজ করে। ওদের জ্ঞান যদি দেশেই কাজ লাগানো যেত তাহলে বাংলাদেশ আরো বেশি এগিয়ে যেতে পারত। সরকার যদি নিজ উদ্দ্যগে কাজ করার ক্ষেত্র / গবেশনা করার ক্ষেত্র তৈরি করে দিতে পারত তাহলে বাংলাদেশে বিপ্লব হয়ে যেতে পারত। যদিও সরকার অনেক কিছু করে এসব নিয়ে তা সঠিক ভাবে কাজে লাগানো হয় না। যেমন প্রতিটি স্কুল কলেজেই ল্যাবরেটরি রয়েছে। ঐ গুলো সঠিক ভাবে মনে হয়না কাজে লাগে। বইতে যা আছে বা পরীক্ষার জন্যই ঐ ল্যাব গুলোকে কাজে লাগানো হয়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাও হয় না, অনেক দামী দামী ল্যাব উপাদান গুলো নষ্ট হয়। কিন্তু যদি আগ্রহীদেরকে ঐ ল্যাব গুলো ব্যবহার করতে দিত তাহলে হয়তো অনেক ভালো কিছু বের হয়ে আসত।



এখন প্রায় স্কুলেই সরকার কম্পিউটার দিয়েছে, কিন্তু যে শেখাবে তাকে তো জানতে হবে তাই না? স্কুল কমিটি একজন স্যারকে ঠিক করল কম্পিউটার ট্রেইনার হিসেবে যে কোনদিন কম্পিউটার ধরেও দেখেনি। তাকে কয়েকদিনের ট্রেনিং এ পাঠিয়ে দিয়েছে যিনি কম্পিউটারের প্রতি আগ্রহ অনুভব করেন না। তাহলে তিনি নিশ্চই ছাত্র/ছাত্রীদের ভালো কিছু দেখাতে পারবেন না। এটা ঐ শিক্ষকের দোষ না। যারা শিক্ষকটি নির্বাচন করেছেন তাদের। আবার স্যারেরা মনে করে কম্পিউটার নষ্ট হয়ে যাবে তাই ছাত্রদের ধরতেও দেয় না। কিন্তু কম্পিউটার তো ব্যবহার করার জন্যই তৈরি হয়েছে, রাতদিন সব সময় একটানা কাজ করার জন্য তৈরি হয়েছে। এটা স্যারেরা অনেকে ভুলে যায়। হয়তো কথাটা একটু খারাপ শুনাচ্ছে, তবে অনেক গুলো স্কুল কলেজেই এমন হচ্ছে। এসব জিনিস হয়তো সরকার দেখতে হয় না, নিজেরাই সমাধান করতে পারে।



ভ্রাম্যমান তথ্য কেন্দ্র ও চালু করা যেতে পারে। বাংলাদেশের যে সব অঞ্চলে কম্পিউটার কি জিনিস তা এখনো জানে না তাদেরকে অন্তত স্বপ্ন দেখিয়ে আসতে পারে, দিয়ে আসতে পারে একটা স্পুলিঙ্গ। হয়তো তা থেকেই বড় কিছু আসবে। আমার ঐ রকম যোগ্যতা হলে ইনশাহআল্লাহ আমি এমন কিছু করব। একা না পারি, কাছের মানুষদের সাহায্য নিয়ে হলেও করব। কারন হিসেবে বলব, বাংলাদেশের অনেক যায়গাতেই কারেন্ট নেই, যেখানে কারেন্ট নেই সেখানে কম্পিউটার থাকাটা হাস্যকর। একটা গাড়িতে কয়েকটি কম্পিউটার ইন্টারনেট যুক্ত করে যে সব এলাকায় কম্পিউটার কি জিনিস তা জানে না এখনো ঐ সব এলাকায় ভিজিট করা, তাদের এর ক্ষমতা গুলো দেখানো, কি কি করা যায় না যায় এসব দেখানো। আমরা যারা সারাক্ষন কম্পিউটারের সামনে দিন রাত বসে থাকি তাদের কাছে বিষয়টা অনেক আজাইরা মনে হতে পারে, তবে ঐ এলাকার ছেলে মেয়েদের কাছে কেমন হবে তা আমি বুঝতে পারি। কারন আমি গ্রাম থেকে এসেছি। অনেক দেরি করে প্রযুক্তির সাথে মেশার সুযোগ হয়েছে। ঐ ছেলে মেয়ে গুলো নতুন করে জানতে পারবে কিছু, নিজেদের বাহিরের জগৎ সম্পর্কে জানতে পারবে।



ইউটিউবের প্রতিষ্ঠাতা যদি বাংলাদেশী হয়, গুগল প্লাস, যা ফেসবুকের জন্য আতঙ্ক তার মূল আইডীয়া যদি একজন বাংলাদেশীর হয়ে থাকে, তাহলে আমরা কি পারি না সম্ভাবনাময় একটা বাংলাদেশ দেখতে? অন্য কার কেমন অনুভূতি হয় আমি জানি না, তবে এসব খবর পড়ে বা দেখে আমার মনে হয় আমি ও তাদের দলে ভিড়ি। চিৎকার দিয়ে বলতে ইচ্ছে করে আমিও পারব। আমরা সবাই চেষ্টা করে সুন্দর একটি বাংলাদেশ গড়ব।



আমি জানি না কয়জন অভিবাবক এ লেখাটি পড়বে। যদি একজন ও পড়ে থাকেন তাহলে আপনাকে বলছি, প্লিজ আপনি আপনার সন্তানটিকে প্রযুক্তির সাথে মিশতে দিন, ইন্টারনেটের বিশাল জগতে প্রবেশ করার সুযোগ দিন। আপনার যদি সামর্থ থাকে তাকে ছোট্ট একটা কম্পিউটার/নেটবুক কিনে দিন। হয়তো দুই একদিন কৌতুহলি হয়ে খারাপ দিকে যাবে, কিন্তু নিজে নিজেই পরে ঠিক হয়ে যাবে। আমি বিশ্বাস করি সবাই ভালো হতে চায়, তাকে ভালো হবার জন্য পথ তৈরি করে দিতে হয়। কেউ ইচ্ছে করে খারাপ পথে যায় না। আপনার সন্তান যত ছোট হোকনা কেন, তার যদি প্রযুক্তির দিকে আগ্রহ থাকে তাহলে একটুও বাধা দিবেন না। তার যা ইচ্ছে করুক। আপনি একটু সতর্ক থাকলেই হবে। আপনার সন্তানটি আপনাকে অনেক ভালো কিছু ফেরত দিবে।আমি আরেকটি বাক্য মনে প্রাণে বিশ্বাস করি, আর তা হচ্ছেঃ Technology is power! …Explore it, know it, Use it



নিজের বিষয়ে কিছু আমি গুছিয়ে বলতে পারবনা। চাকরী , পড়াশোনা করছি পাশাপাশি ডোমেইন , সার্ভার এর ব্যবসা। মাঝে মাঝে নিজেকে একাকী বোধ করি। তখন অনেক মন খারাপ হয়ে যায়। স্বপ্ন অনেক। কিন্তু পূরণ করার সাধ্য নেই। চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে এমন কিছু না ভেবে করি যার জন্য পরবর্তীতে অনেক অনুশোচনা করি।



আমি বিশ্বাস করি জ্ঞান কোন লুকানো গুপ্তধন নয়। তথ্যের মহা সমুদ্রে আমরা সবাইকে নিতে চাই। আমার এই বিশাল লেখার মাধ্যমে সবাইকে তথ্য প্রযুক্তিতে শিক্ষিত করে তোলা আমার প্রধান উদ্দেশ্য।



বলতে চাই -- ”দেশকে কিছু দিতে চাইলে নিজের মেধা খাটিয়ে আউটসোর্সিং করে দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধি করুন। যারা ফ্রিল্যান্সিং এর সাথে জড়িত আছেন তারা তাদের আশেপাশের মানুষদের এগুলো শিখান। আর অনলাইনে আয় কোন জাদু নয়! একটু কষ্ট করে নেটে থেকেই শিখতে পারবেন।”



পুনশ্চ: লেখাটার একমাত্র উদ্দেশ্য হল, “আমি অভাবে আছি তাই কিছু করতে পারছি না ” এমন মনে করা লোকেদের জন্য । আমাকে সুজুগ দেয়া হলে রংপুর বিভাগ এর বর্তমান চেহারা বদলে দিবো । আমি আমার সিদ্ধান্তে অটল। আমি সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিতে পছন্দ করি।



এম আর জান্নাত স্বপন

ইমেইল : [email protected]





মন্তব্য ৪ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৪) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২১

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ভাই প্রথমে: এত বড় লেখা কেমনে লিখলেন?

২| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২২

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ২য়ত: সাবজেক্ট অনেক সুন্দর হয়েছে...

৩| ০৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১:২৩

মাহমুদুল হাসান কায়রো বলেছেন: ৩য়ত: পড়ে নেই পরে জানামুনে কেমন লাগলো.... :)

৪| ১৬ ই অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ৭:২৭

মেষ তাড়ুয়া বলেছেন: গুগল আর আমার কেরামতি :#) :#)

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.