নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমএইচডি

এমএইচডি

আমি বাংলাদেশি

এমএইচডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

থ্রিজি

১২ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ভোর ৪:৩০



সম্প্রতি থ্রিজি নিলামের পর এ কথা স্পষ্ট যে, শিগগিরই দেশের পাঁচ মোবাইল অপারেটর প্রতিষ্ঠান থ্রিজির যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে যাচ্ছে। বেঁধে দেওয়া নিয়মে সামনের নয় মাসের মধ্যেই থ্রিজি সেবা চালু করতে হবে প্রতিষ্ঠানগুলোকে। চলতি বছরের অক্টোবর মাসের প্রথমার্ধেই গ্রাহকদের জন্য থ্রিজি সেবা চালু করবে গ্রামীণফোন। গত সোমবার সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) বিবেক সুদ জানিয়েছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রামের নির্বাচিত কিছু এলাকায় অক্টোবরের প্রথম দিকেই থ্রিজি চালু করবে মোবাইল ফোন প্রতিষ্ঠানটি। ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরকে এ সেবার আওতায় আনা হবে নভেম্বরের মধ্যে। ডিসেম্বরের মধ্যেই সাতটি বিভাগীয় শহরে এ সেবা চালু করা হবে।

গ্রামীণফোন ছাড়াও এয়ারটেলও দ্রুত থ্রিজি সেবা চালুর কথা ভাবছে। টেলিটক এরই মধ্যে থ্রিজির জনপ্রিয়তা বাড়াতে ব্যাপক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন টেলিটকের একজন কর্মকর্তা।

টেলিটকের বিপণন বিভাগের সাবেক এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, থ্রিজির ডাটা খরচ নিয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে। তবে এ ক্ষেত্রে টেলিটক থ্রিজি নিয়ে জনগণকে সচেতনতার কাজটি এগিয়ে রেখেছে।

বর্তমান অবকাঠামো ও চাহিদার ক্ষেত্রে টেলিটকের পক্ষে পুরো দেশে থ্রিজির সেবা দেওয়া সম্ভব ছিল না। এখন প্রতিদ্বন্দ্বিতার চেয়ে উন্নত সেবার প্রতিযোগিতা বাড়বে। সে ক্ষেত্রে টেলিটক উন্নত সেবা দেওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাবে।



থ্রিজির সুবিধা ও সম্ভাবনা



বাংলাদেশে সাশ্রয়ী দামের অনেক স্মার্টফোনেই থ্রিজি ব্যবহারের সুবিধা রয়েছে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ এখনো ফিচার ফোন ব্যবহার করছে। বিটিআরসির এক তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে জুন মাস পর্যন্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় ১০ কোটি ৫০ লাখ। সবচেয়ে বেশি গ্রাহক গ্রামীণফোনের। প্রায় চার কোটি ৩৯ লাখ ৬৭ হাজার গ্রাহক রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। দুই কোটি ৭০ লাখ ৭৬ হাজার গ্রাহক নিয়ে বাংলালিংক দ্বিতীয় অবস্থানে আছে। এ ছাড়া দুই কোটি ২৮ লাখ ৯৭ হাজার রবি, ৭৮ লাখ ২১ হাজার এয়ারটেল, ১৯ লাখ আট হাজার টেলিটক এবং ১৩ লাখ ৮৩ হাজার সিটিসেল গ্রাহক রয়েছে।



দেশে মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা প্রায় তিন কোটি ৫৬ লাখ ৩১ হাজার ২৬৯। এর মধ্যে মোবাইল ফোনে তিন কোটি ৩৯ লাখ চার হাজার গ্রাহক ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। পাঁচ অপারেটরে থ্রিজির সুবিধা যুক্ত হওয়ায় মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যাও এখন দ্রুত বাড়বে।



চলতি বছরের মে মাসে এরিকসন বাংলাদেশ লিমিটেড (ইবিএল) ‘নেটওয়ার্ক সোসাইটি’ শীর্ষক আয়োজনে জানিয়েছিল, ১০ শতাংশ মুঠোফোন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়লে সেই দেশের ১ শতাংশ জিডিপি বাড়ে। কোনো দেশের ইন্টারনেটের গতি দ্বিগুণ হলেই জিডিপিও বাড়ে। ভবিষ্যতে ইন্টারনেট সংযুক্ত গাড়িগুলো ট্রাফিক জ্যামের মতো সমস্যাগুলো পাশ কাটিয়ে চলতে পারবে। মুঠোফোন ও ইন্টারনেটের ব্যবহার বাড়লে আইসিটি ও অর্থনীতির প্রবৃদ্ধিও বাড়বে। এরিকসনের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতি এক হাজার নতুন ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাড়লে ৮০টি নতুন কাজের সৃষ্টি হয়।



এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সভাপতি শামীম আহসান বলেন, কম খরচে ও সহজলভ্য ইন্টারনেট হলে বাংলাদেশের জন্য প্রচুর সম্ভাবনার খাত রয়েছে।



থ্রিজির মতো সুবিধা উন্নত হওয়ায় বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে বলে ধারণা করছেন সেল বাজারের সিইও আরিল ক্লোকারহৌগ।







থ্রিজির কাজ



দ্রুতগতিতে তথ্য পরিবহন করাটাই থ্রিজির কাজ। এতে দূরশিক্ষণ কার্যক্রম সহজতর হবে, মোবাইল ফোন ব্যবহার করে সহজে কেনাকাটা করা যাবে, সহজ হবে স্বাস্থ্যসেবাও। একই সঙ্গে চলতি পথে মোবাইল ফোনেই টেলিভিশন দেখা যাবে। সহজতর হবে অন্যান্য বিনোদনও। যেকোনো স্থান থেকে যখন খুশি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যোগাযোগ করা যাবে।







থ্রিজি নাকি ফোরজি?



থ্রিজির জন্য বরাদ্দ তরঙ্গের আওতায় ফোরজির লাইসেন্স পাচ্ছেন মোবাইল অপারেটররা। থ্রিজি তরঙ্গ বরাদ্দের লাইসেন্স নিয়ে চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) সেবা দিতে পারবে প্রতিষ্ঠানগুলো। ফোরজির জন্য আলাদা লাইসেন্স নিতে হবে না। ফোরজি চালু হলে থ্রিজির চেয়ে আরও দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সেবা পাওয়া যাবে। তখন মোবাইল ফোনসেট থেকে উন্নত রেজুলেশনে সিনেমা দেখা বা দ্রুতগতিতে ডাউনলোড করাও সম্ভব হবে। তবে ফোরজি সমর্থনযোগ্য মোবাইল পণ্যের সংখ্যা দেশে তুলনামূলকভাবে কম।







কত খরচ পড়বে থ্রিজি সেবার?



থ্রিজি নিয়ে দেশের মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার আভাস পাওয়া যাচ্ছিলো আগে থেকেই। টেলিটকের এক কর্মকর্তার মন্তব্য হচ্ছে, টেলিটক অনেক সাশ্রয়ী ডাটা প্যাকেজ দিচ্ছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানকেও থ্রিজি সেবার ক্ষেত্রে আরও সাশ্রয়ী ডাটা প্যাকেজ দেওয়া উচিত। কম খরচে থ্রিজির উন্নত সেবা দিতে পারলে প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতার চেয়ে বাজার বাড়বে দ্রুত।



(সংগৃহীত)

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.