![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুন হত্যা মামলা 'পুনর্বিচারের' সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসএফ।ফেলানী হত্যার 'পুনর্বিচার' হবে
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানিয়েছে বিএসএফ। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিটি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশন থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।
সম্প্রতি বিএসএফের বিশেষ আদালত ফেলানী হত্যায় অভিযুক্ত বিএসএফ কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে 'নির্দোষ' বলে রায় দেয়। এরপর বাংলাদেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় এবং বাংলাদেশ ও ভারতে বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার অবিলম্বে রায় পুনর্বিবেচনার দাবির প্রেক্ষাপটে এই সিদ্ধান্ত হলো।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের অনন্তপুর সীমান্তে কিশোরী ফেলানীকে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের এক সদ্যস।
বিএসএফের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “বাংলাদেশি কিশোরী ফেলানী খাতুনকে গুলি করে হত্যা করার অভিযোগে ১৯৬৮ সালের বিএসএফ আইন অনুযায়ী জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টে কনস্টেবল অমিয় ঘোষের বিচার হয়। গত ৬ সেপ্টেম্বর ওই আদালত উপযুক্ত প্রমাণ পাওয়া না যাওয়ায় অমিয় ঘোষকে 'নির্দোষ' বলে রায় দেয়।”
“বিএসএফ আইন ও বিধি অনুযায়ী ওই রায় আইনজ্ঞদের মাধ্যমে পর্যালোচনা করা হয়। আদালতের রায়ের সঙ্গ একমত হতে না পারায় বিএসএফের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ মামলাটি পুনর্বিচারের (রিভিশনাল ট্রায়াল) সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”
বিএসএফ গুলিতে মৃত্যুর পর ফেলানীর মরদেহ দীর্ঘ সময় কাঁটাতারে ঝুলে থাকে। এরপর দফায় দফায় পতাকা বৈঠকের পর ফেলানীর লাশ ৩০ ঘণ্টা পর বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে বিএসএফ।
কাঁটাতারে ফেলানীর মরদেহ ঝুলে থাকার ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ হলে বিশ্বজুড়ে সমালোচনার ঝড় ওঠে। বাংলাদেশ সরকার এর কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ ঘটনায় ন্যায়বিচার দাবি করে ভারতের কাছে।
এ প্রেক্ষাপটে গত ১৩ আগস্ট কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। পরে ১৯ আগস্ট ফেলানীর বাবা নুরু ইসলাম ও মামা আব্দুল হানিফ ওই আদালতে সাক্ষ্য দেন।
এ বিচার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন কুড়িগ্রাম ৪৫ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক খালেদ ও কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন।
এদিকে, ফেলানী হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি ও ক্ষতিপূরণ দাবি করে গত মঙ্গলবার রাতে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনারের কাছে আবেদন পাঠান ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম।
পুনর্বিচারের সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া
ফেলানী হত্যা মামলা 'পুনর্বিচারের' সিদ্ধান্তে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ফেলানীর বাবা নুর ইসলাম ও মা জাহানারা বেগম।
তারা সমকালকে জানান, “খবরটা আমরা শুনেছি। এ খবর যদি সত্য হয়- তাহলে আমরা স্বস্তি পাবো।”
তারা বলেন, “আমরা চাই আমাদের কন্যা ফেলানী হত্যার সঠিক বিচার হোক। গুলি করে হত্যাকারী বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। এজন্য আমরা আগের রায় প্রত্যাখান করেছি।”
এ প্রসঙ্গে কুড়িগ্রামের পিপি আব্রাহাম লিংকন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে ফেলানী হত্যা মামলায় সঠিক বিচার পাওয়ার পথটি আবারও উন্মুক্ত হয়েছে।”
তিনি জানান, জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্স কোর্টের দেওয়া ফেলানী হত্যার বিচারের রায়টি তাদের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল। সেখান থেকে এই রিভিউয়ের সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ১৯৬৮ সালের বিএসএফ অ্যাক্টের ১০৫ ধারার বিধান অনুসরণে একই বিচারকমণ্ডলী রায়টি রিভিউ করতে পারবেন।
এই স্তরে নতুন করে সাক্ষ্যগ্রহণ ও আসামির পক্ষ থেকে তাদের জেরা করার সুযোগ রয়েছে বলে জানান লিংকন
এখানে
২| ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ সকাল ৮:৩৫
সাদা মনের মানুষ বলেছেন: হয়তোবা আরো একবার আইওয়াস।
©somewhere in net ltd.
১|
১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১০
খেয়া ঘাট বলেছেন: সুখবর। খুনি অমিয় ঘোষের সর্বোচ্চ শাস্তি হোক। আর সুবিচার যদি না ও হয়,
আল্লাহর বিচার থেকেতো রক্ষা নাই।