নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমএইচডি

এমএইচডি

আমি বাংলাদেশি

এমএইচডি › বিস্তারিত পোস্টঃ

কত টুকু জানি আমি??!!

১৬ ই মার্চ, ২০১৫ রাত ১২:৩৫

পেপসি এড বানাইছে নাকি আর সি এড বানাইছে সমস্যা এটা না। সমস্যা এটাও না যে ইন্ডিয়ানরা আমাদের স্বাধীনতা কে ছোট করছে। সমস্যা এটা আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধ সম্পর্কে আমরাই জানিনা।

সমস্যা এটা যে আজকে এই ভিডিওর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে অনেক লোকই নিজে সারাবছরে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছেলে মেয়েদের কিছু জানায় না।

সমস্যা এটা যে কোন ভারতীয় আইসা যদি মুক্তিযুদ্ধ তাদের দান এটা বলে। বেশিরভাগ ছেলেমেয়ে গালি দিয়েই কাজ সারবে। কিন্তু সে ইন্ডিয়ানরা যদি ফিরায় বলে আচ্ছা স্বাধীনতা বাংলার মানুষ পাইছিল। ক্যামনে পাইছিল বলেন?

তখন বেশিরভাগ ছেলে মেয়ে উত্তর দিবে, ইয়ে ২৬ শে মার্চ শুরু হইছিল ১৬ ই ডিসেম্বর শেষ হইছিল। জি ভাই সমস্যা এটা।

সমস্যা আর শুনবেন। আজকে আপনার টাইটানিক থেকে টারমারিক সব কিছু নিয়ে জানাবার টাইম আছে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে বলবার বেলায় আপনি ব্যালেন্স মেইন টেইন করেন।

সমস্যার কি শেষ আছে। দেশে মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অত্যাধুনিক একটা একশন মুভি বানাইতে পারি নাই আমরা



আমাদের দেশের সাত জন বীরশেষ্ঠ সাতটা মুভি থাকার কথা!! এক একটা যুদ্ধের ঘটনা নিয়ে এক একটা মুভি থাকার কথা। মুক্তিযুদ্ধ শুরু থেকে আত্ম সমর্পণ পর্যন্ত সব কিছু নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন মুভি থাকার কথা......



হয়ত কেউ আজ অব্দি ভাবেই নাই এসব কথা......... সবাই ভাবে পিঁপড়া, টেলিভিশন, ময়না ইত্যাদি দের নিয়ে!!!







সমস্যা এটা যে ফারুকিদের মত ডিরেক্টরদের মশা মাছি পিপড়া এইসব বিষয় নিয়ে মুভি বানাবার সময় আছে কিন্তু যথেষ্ট পরিমান রিসোর্স থাকা সত্তেও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে কোন মুভি বানাবার মত এথিকাল ইচ্ছা নাই

সমস্যা এটা যে অনেকেই এখনো ২৬ শে মার্চ রে বিজয় দিবস ১৬ ই ডিসেম্বর রে স্বাধীনতা দিবস মনে করে। ভাষা শহীদ রে বানায় ফেলে মুক্তি যোদ্ধা

সমস্যা শুনবেন। ভাল লাগবে না। সমস্যা হইল আজকে অন্ধ খোড়া শীতার্ত বন্যার্ত সবার সাহায্যে এগিয়ে আসে সবাই, কিন্তু কনসার্ট ফর মুক্তিযোদ্ধার প্রস্তাব রাখেন। কি দরকার ওল্ড আইটেম মার্কেট খাবেনা।

বড় লজ্জা এটা না যে ইন্ডিয়া কি বলছে , বড় লজ্জা এটা যে মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মিয়ারা মেডিকেলের করিডোরে বিনা চিকিতসায় পইড়া থাইকা মারা যায়। নাকি আমাদের হাতে খুন হয়

বড় লজ্জা এটা যে আজ থেকে পঞ্চাশ বছর পরে ইন্ডিয়ানরা যদি অফিসিয়ালি দাবী করে স্বাধীনতা তাদের দান তখন কার জেনারেশনের কিছুই বলার থাকবে না কারণ আজকে আপনি মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে ছেলে মেয়েদের কিছু জানান না ।

সমস্যা এটা যে আজ ইন্ডিয়ার অপমান আপনার গায়ে লাগলেও আমি যদি জিজ্ঞেস করি শেষ কবে মুক্তিযুদ্ধের একটা বই পড়ছেন বুকে হাত দিয়ে বলেন তো। তখন আপনের ওপেন হার্ট সার্জারি লাগবে

আরে মিয়া ইন্ডিয়ানরা বলদ না। ওরা ঠিকমতই জানে বাংলাদেশের পোলাপাইন নিজেরাই জানে না যে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে। তো এক আধটু ইতিহাস বিকৃতি করলে কি আসে যায়।

সমস্যা ভাই এখানেই। যে আপনি ২৬ শে মার্চ ১৬ ই ডিসেম্বর কভার পিক কাজ সারেন। আর বড় সমস্যা হইল আপনি দুর্দান্ত আইডিয়াবাজ। চোখের পলকে দেশ কে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আইডিয়া দেন। কিন্তু সে আপনি এগিয়ে যাওয়ার সময় হতভাগা বীরাঙ্গনা দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের পেছনে ফেইলা যান।

যান সেই অসহায় বীরাঙ্গনার কাছে তাকানা সেই অভিমানী মুক্তিযোদ্ধার চোখে। কি দেখেন। অভিমান টা কার উপর। ইন্ডিয়ার উপর। না ভাই আমাদের উপর এই বাংলাদেশের মানুষের উপর। রাগ অভিমান কান্না

দিস ইজ দা ট্রুথ। ইন্ডিয়ান রা মূ্ল্যায়ন টা করবে কি আমরা নিজেরাই তো একাত্তরের যোগ্য হয়ে উঠতে পারিনি এখনো।

আঙ্গুল টা নিজের দিকে ফেরান। প্রশ্নটা এবার নিজেকে করেন। পেরেছেন কি মুক্তিযুদ্ধকে ধারণ করতে। রেখেছেন কি করিডোরে পড়ে থাকা মৃত মুক্তিযোদ্ধার লাশের খবর। বীরাঙ্গনার ছিন্ন আচলের খবর!!





আরে ভাই আপনি আমি যত টুকু জানি তা শুধু প্রাইমারী স্কুলের পাঠ্য বইয়ের অবদান। কই এর পরে কি কখন কোন ক্লাস এ মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে পেয়েছি ভাল একটা অধ্যায় ও??



বাংলাদেশের প্রত্যেকটি রাজনিতিক দল সবাই মুক্তিযুদ্ধের নাম ভাঙিয়ে যাওয়া আশা করে, কোন সরকার কি করেছে সঠিক মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস সংরক্ষণের কোন ব্যাবস্থা??



করেনি!! কখনও ভেবেছে কিনা জানিনা!!

মন্তব্য ০ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.