ভেদাভেদ আছে বলে তুমি নারী মো: হাফিজুল ইসলাম (বিদায়ের পথযাত্রী)

২৫ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৭ বিকাল ৩:০৯

পৃথিবীতে মানুষ দুই প্রকার এক পুরুষ দুই নারী। মাঝে মাঝে একটা জিনিস আমাকে প্রচন্ডভাবে ভাবাই বিষয়টা সহজ তবে জটিল। পুরুষ আর নারী তো আলাদা একটু হলেও ভিন্ন। তবে নারীরা সমান অধিকার চায় কি জন্য? আমি অন্য কোন ধর্মের বিষয়ে ভালো মত জানি না কিছু, যেহুতু আমি একজন মুসলিম সেহুতু আমার কথাগুলো একান্তই মুসলিম নারী-পরুষদের জন্য। তবে সবাইকে বলছি না, প্রথমত বলছি শুধু সমঅধিকার চাওয়া নারীদেরকে। নির্দিষ্ট করে নারীদেরকে বলার একটা কারন আছে, ছোট্ট একটা গল্প বলি তাহলে আপনাদের বুঝতে সুবিধা হবে।
সালটা ২০১০, আমি তখন ৬ষ্ঠ শ্রেনিতে পড়তাম ভালো করে মনে আছে। একদিন শুনলাম আমাদের গ্রামে না কি এম,পি মহাদয় আসবে রাস্তা উদ্বদন করতে। কারন সেই বছরই আমাদের গ্রামের রাস্তা পাকা হয়েছে। আমাদের থানার নাম তানোর থানা এটা রাজশাহী জেলার অন্তগত। আমাদের থানার এম,পি আমাদের এলাকারী, গ্রামে বাড়ি যিনি বেশ কিছুদিন আমাদের দেশের শিল্পপ্রতি মন্ত্রী ছিলেন জনাব আলহাজ্ব ওমর ফারুক চৌধুরী। মোটামোটি অনেক পরিচয় দিয়ে ফেল্লাম এবার যাওয়া যাক আসল কথায়। এম,পি আসবে তাই আমাদের গ্রামসহ দুই চার পাঁচ গ্রামে সাড়া পড়ে গেছে। যাইহোক অনেক জল্পনা কল্পনার পর এম,পি মহাদয় এসেছিল, একটা এম,পি গ্রামে আসলে যে রকম হয় আর কি সকল জনগণ শুধু চায়তে থাকে যে, আমাদের এইটা লাগবে তো আমাদের এইটা লাগবে এখানেও এর ব্যাতিক্রম কিছু হয়নি। অবশেষে এম,পি মহাদয় বল্লেন সকলে যে কোন মত প্রকাশ করতে পারেন আজ। তখন একটা মহিলা দাঁড়িয়ে গিয়েছিল, তারপর সে তার মতামত তুলে ধরতে শুরু করল।
আমরা নারী হয়ে কোন সুযোগ সুবিধা পাইনা তাই আমাদের সমান অধিকার দরকার। এই কথা শুনার পর থেকে লোক জনের হাঁসি আর থামে না। কেন হাঁসা হাঁসি আমি বুঝিনি তখন তবে পাশে কয়েকজন পুরুষরা বলাবলি করছিল যে, তোর তিনটা স্বামী আমাদের গ্রামের ছেলেরা তো একটা বিয়ে করতেও বয়স পার করে দিচ্ছে তোর মুখে তো এমন কথা মানায় না। আবার কি সমান অধিকার চাস তুই? হঠ্যাৎ এম,পি মহাদয় বল্লেন আচ্ছা আপনি কি কি সমান অধিকার চান? মেয়েটার নাম সেফালি বুকে অনেক সাহস আছে বটে। তখন সে বলেছিল আমরা ছেলেদের মত স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে চায় আরো যা যা বলেছিল তা মেয়েরা এমনিতেও পাই, আমার তো মনে হয় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা বেশি স্বাধীন, এ বিষয়ে অন্য একদিন আলোচনা করব। এবার আসি মেয়েদের সমান অধিকারের বিষয়ে।যে মেয়েরা সমান অধিকার চেয়ে রাস্তায় নেমে বলছেন যে, পুরুষরা যা পারে আমরাও তো তা পারি, তাদের যা আছে আমাদেরও তা আছে তাহলে কেন আমরা পুরুষদের শিকলে বন্দি থাকবো? আমি বলব অবশ্যয় থাকতে হবে, তাছাড়া কোথায় থাকবে তোমরা? আর পুরুষদের সাথে তো তোমাদের কোনদিনও সমান হবে না। যদি সমান হতো তাহলে সৃষ্টিকর্তা তোমাকে নারী বানাত না নতুবা আমাকে বানাত না পুরুষ। ভেদাভেদ আছে বলেই তো তোমাকে বানিয়েছে নারী আর আমাকে পুরুষ। তবে কেন সমান অধিকার চাও? তুমি কি ভুলে গেছ? সয়ং আল্লাহর শ্রেষ্ঠ হাবীব নারীদের তিন গুণ মর্যাদা বাড়িয়ে দিয়ে গিয়েছিল। আবেগ দিয়ে নয় বাস্তবতা দিয়ে বিবেক কে জাগ্রত কর যে, আমি নারী শুধু নারী। তাছাড়া কেউ কি আজ অবদি পেয়েছে সমান অধিকার! অথচ সমান অধিকারের দাবিতে রাস্তায় নেমে লাঞ্চিত হয়েছে শত শত মা বোন। যারা তাদের নামিয়েছিল রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তারাই তাদের ভক্ষন করেছে। যার জলন্ত প্রমান রয়ে গেছে দৈনিক পত্রিকা গুলোতে।

০ টি +০/-০