![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মোঃ হাফিজুল ইসলাম (বিদায়ের পথযাত্রী)
তানোর কলেজ, রাজশাহী
" " " "
১
.
আজকাল চারিদিকে শুধু ধর্ষন আর ধর্ষন। কী হচ্ছে দেশটাতে এসব?
হাজারো প্রশ্ন জনগণের কিন্তু কী হবে এই প্রশ্ন করে কে দেবে এর উত্তর?
কেউ বলছে এক হাতে তালি বাজে না, কেউ বলছে পাপীকে নয় পাপকে ঘৃনা করো বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মতামত। কেউ আবার ডিরেক্টলি বলছে মেয়েটি তো একটা কলঙ্কিনী তাকে গ্রাম/শহর/মহল্লা থেকে বের করে দাও। তাকে বের করে দিলেই কী সব সমস্যা সমাধান হয়ে যাবে? এর পরে যে আপনার মেয়ে ধর্ষন হবে না এর কোন গ্যারান্টি আছে?
জানি নায়।
তাহলে এতো মাথা ঘামাচ্ছেন কেন আপনি?
চলুক না অন্তরালে কিছু বেহাইয়া বাবা-মায়ের কু-সন্তানদের যৌনলীলা উপভোগ করুন আপনিও।
আর মনে মনে একটা ছক এঁকে রাখুন যে, কী ভাবে আদর্শ বাবা-মায়ের রাজকন্যাটি ধর্ষন হচ্ছে রাস্তার মাঝে বা কোন নদীর পাড়, পার্ক অথবা কোন একটি মাধুর্যময়ী প্রকৃতির ঝোপ ঝাড়ের আড়ালে।
এই ভাবে প্রেমিকের সাথে অবয়ধ সম্পর্ক করলে হয় লীলা আর আমরা করলেই.... থাক আর বল্লাম না।
আর এর ফল যখন পেটে অবৈধ সন্তান চলে আসে।
তখন প্রেমিকের কাছে গিয়ে কী নেকামু না করে এই চরিত্রহীনিরা।
এই জানো আমি না কনসিভ করছি।
আরে ম্যাডাম ছেলেরা এতই বোকা!
বিয়েই হলোনা যার সাথে, তার সন্তান আপনার গর্ভে এটা জতি বিশ্বাস করবে ভাবলেন কী করে?
কী ঘটল শেষে?
বাচ্চাটি পৃথিবীর আলো দেখার আগে যেখানকার মাল সেখানে হেফাজতে চলে গেল। সে যাক আপনি তো ধর্ষিতা হলেন ঠিকই দেশ ও দশের কাছে যখন এই ঘটনার পর আপনি বাড়ির বায়রে বের হবেন হয়ত আর নাও বের হতে পারেন। কারন লোক লজ্জার ভয়ে। কিন্তু এভাবে আর কতদিন? একদিন তো বের হতেই হবে হয় লাশ হয়ে না হয় জীবিত। লাশ হয়ে বের হলে তো আপনি বেঁচেই গেলেন কিন্তু আপনার পরিবার? তাদের কী হবে একবার ভেবেছেন কী?
জানি ভালবাসাতে অন্ধ হয়ে সব ভুলে গেছেন। তা না হলে কী আর এরকম সুখের কাজ করতে পারতেন।
তবে জীবিত হয়ে যদি বের হন তাহলে কে কী বলবে জানেন?
এটাও হয়ত ভাবার সময় হয়নি আমি বলছি, চার পাঁচজন বন্ধু মিলে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকবে। যে আপনাকে আগে প্রেমের প্রস্তাব করেছিলো সেও থাকবে আর আপনাকে সিনক্রিট করে বলবে দেখ দোস দেখ এই মেয়েটায়, আরেকজন বলবে আরে এই তো রিমু.... যাকে আমাদের রশিদ প্রথম প্রেমের অফার দিয়েছিলো।
সে যদি গ্রহন করত!
হয় দোস রশিদ এর খাঁটি ভালোবাসাটা মেয়েটা বুঝিনি তাহলে আর আজ এই অবস্থা হয়। তখন ছেলেটি, মানে রশিদ বলবে থাক তোরা ওকে আর কিছু বলিস না, দেখতে পাচ্ছিস না ও এমনিতে কি রকম হয়ে গেছে।
তখন সব বন্ধু বলে উঠবে একেই বলে প্রকৃত ভালোবাসা।
মনে মনে আপনি ভাববেন আসলেই ছেলেটা আমাকে অনেক... ভালবাসত এখানে আরেকটা ভুল ধারনা জন্মাবে আপনার। (আসলে মেয়েরা একটু বেশি ইমোশনাল তো তাই) আর জন্মানোটায় স্বাভাবিক। কারন যে মেয়ে একবার তার স্বতিত্ব নষ্ট করতে পারে তার আরেকবার করলেই বা কী, বার বার করলেই বা কী! মনে রাখবেন মেয়েদের স্বতিত্ব একবারি হারায়। যাইহোক লাইফ তো ইনজয় হচ্ছে একেও পাপ দুয়েও পাপ। হয়ত এবার তার উপর ক্রাশ খাবেন আবার নাও খেতে পারেন। না তার প্রতি দূর্বল হলে তো ভালোই! (তবে মেয়েদের মন তো আবার) যদি আবার ভুল করে তার প্রেমে পড়ে যান তাহলে তো পড়লেন আবার যেঁতা কলে। ভুলেও ভাববেন না এই ছেলেটি ভালো, কেন না যে ছেলে একটা মেয়েকে ডিরেক্টলি বলে দিতে পারে I Love You! সে অন্য মেয়েকে বলতে পারেনা এর কোন গ্যারান্টি আছে?
ভেবে নিতে হবে এই ও ঐ ধর্ষকদের দলের একজন।
২
.
অনেকে বলে ভালোবাসতে কোন কারন লাগে না ভালবাসা না কি আপনা আপনি হয়ে যায়।
কেউ কী দেখেছেন কোন কিছু আপনা আপনি হতে? এই ধরুন যেমন, আপনি কী পৃথিবীতে আপনা আপনি চলে এসেছেন বাবা-মা ছাড়ায়?
আসলে কোন কিছুই আপনা আপনি হয়না কোন কিছু হতে গেলে তার অক্লান্ত পরিশ্রম আছে কষ্ট আছে।
তাই যারা বলে ভালোবাসতে কোন কারন লাগেনা এরা ধান্দাবাজ!
আমি উচ্চ কন্ঠে বলতে পারি কোন কারন ছাড়া কাউকে ভালবাসা যায় না। আমি মেয়েদের কথা জানি না তবে একটা ছেলে একটা মেয়েকে ভালোবাসলে কোন একটা কারন থাকতেই হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। আরে ভালোবাসার যদি কাউকে এতই ইচ্ছা থাকে তাহলে তাকে বিয়ে করে নেন। জানি অনেকে বলবে খেয়ে দেয়ে কাজ নাই জ্ঞান দিতে এসেছে। আরে ভাই আমি জ্ঞান দেইনি আমি তো অধম ছেলে জ্ঞানী তো আপনারা তাই আমি বাস্তব কথায় বলছি।
যেখানে ইসলাম ধর্মে বিয়ের আগে প্রেম করাটা হারাম আর হাত ধরাধরি পা ধরাধরি আরো কত কি ধরাধরি হয় সেগুলো নাইবা বল্লাম।
এখন বলবেন কোন যায়গায় লিখা আছে, কত নম্বার আয়াত, কত পৃষ্ঠা? ইত্যাদি ইত্যাদি।
আর আপনি এমন প্রশ্ন করলে আমি নি-স্বন্দেহে বলতে পারি আপনি নামে মাত্র মুসলমান। এখনো সময় আছে ভালো হয়ে যান মানুষের মত মানুষ হয়ে বাঁচতে শিখুন। এখন বলবেন তো কত বড় বড় লেখক, জ্ঞানী গুণীরা বলে গেল কয়টা ভালো হয়েছে?
আরে ভাই ভালো হবে কোথা থেকে নিজেই তো আপনি ভালো না। আপনি তো জেনে শুনে মেয়ে-বোনকে তুলে দিচ্ছেন এক ধর্ষকের হাতে(কারনটা কথার মাঝেই বলছি) আর মুখে বড় বড় বুলি দিয়ে বেড়াচ্ছেন আমার জামায় অমুক, আমার জামায় তুমুক আরো কত কী!
কিন্তু দুদিন পর যখন মনমালিন্য তৈরি হচ্ছে, তখন তো দায়ী হয়ে যাচ্ছে আপনার মত বাবারা। কারন মেয়ের তো এখানে বিয়ের মত ছিলনা আপনি জোর করে দিয়েছেন কেন না জামাই বিশাল টাকাওয়ালা। কিন্তু তার ব্যাক সাইট দেখার প্রয়োজন মনে করলেন না কারন একটাই সে আপনার মেয়েকে বিনা ডিমান্ডে বিয়ে করবে, তাও আবার এক লক্ষ টাকা দেন। দেনটা আবার নগত নয় বাঁকি। আপনি কী জানেন না? নগত মহরানা না দিয়ে বিয়ে করে স্ত্রীর সঙ্গে কোন দৈহিক মিলন করাটা যিনার সমান।
খোদার কসম হাশরের ময়দানে এসব মেয়েদের যিনাকারীদের কাতারে দাঁড়াতে হবে, এই সব পুরুষদেরও।
এবার বুঝলেন তো বিয়ের পরও কেন মেয়েরা ধর্ষিতা হয়।
তাই মেয়েদের বলি আপনারা একটু বেশি সচেতন হন।
কোন পুরুষ যদি বাঁকি দেন দিয়ে আপনায় বিয়ে করে তাহলে বাসর ঘরে ঢুকে আপনার কাছে মাফ চাওয়ার আগেই সরাসরি বলুন, আপনি আমার কাছে থেকে দূরে থাকুন আর দেখুন কি ভাবে জব্দ হয় পুরুষরা।
এখন মেয়েরা বলতে পারেন এমন জায়গায় এমন কথা বললে তো মাইর একটাও মাটিতে পড়বে না, যেই রাগিত পুরুষ জাতি।
সেটা আমিও জানি।
তবে পুরুষদের আছে রাগ, আর আপনাদের আছে ললনাময়ী ভালবাসা যা পুরুষদের রাগ ধ্বংস্ব করার মহায়ৌষধ। আমাদের ভালুকা-কান্দর গ্রামের একটা কথা আছে, মেয়েদের না কি ষোল কালা যার একটা দেখালেই পুরুষ জাতি ফিদা হয়ে যায়। প্রতিটা মেয়েরই তো জানা উচিৎ আরো জানা উচিৎ যে, কত রাজা রাজত্ব ছেড়েছে শুধু এই নারীর জন্য, কত বড় বড় পেশার পুরুষ এসে দূর্বল হয়েছে শুধু এই নারীর কাছে।
কী আছে এই নারীর কাছে?
হয়ত অনেক কিছুই।
তবে তাদের কাছে বেশিরভাগ পুরুষদের উদ্দেশ্য একটাই, তারে যদি একবার কাছে পেতাম! পেলে কী করবে জানেন?
আগে মন হরন পরে দেহ। তারপরে কেউ প্রয়োজনের তাগিদে রেখে দেবে আবার কেউ ছুড়ে ফেলে দেবে।
তাই বলছি একবার বুঝতে শিখুন। জীবন এত সহজ নয়, এখানে অনেক কিছু শেখার আছে অনেক কিছু দেখার আছে।
৩
.
এই তো গতকাল ১৪ ফেব্রুয়ারী গেল। এস,এস,সি পরিক্ষা ছিল মানবিক শাখার ইতিহাস আর বিজ্ঞান শাখার পদার্থ তো পরিক্ষার কিছুক্ষন আগেই কেন্দ্রে এলাম এসে যা দেখলাম বলার মত না। এক বন্ধুকে বল্লাম এদের হাতে ফুল কেন? ফুল তো গাছে মানায় হাতে না।
সে কি রে তুই জানিস না আজ ভালোবাসা দিবস!
আমি তো আহম্মক! বল্লাম তাই এই ভালবাসার নামে ব্যাহাইয়াপনা চলছে আজকের দিনে। কথাটি একটু জোরেই বলেছিলাম যেন আরো কেউ শুনতে পায়, কয়েকজন শুনতেও পেল।
আমার কাছে থাকা ছেলে/মেয়ে দুটি তো আমার দিকে সেই রকম ভাবে তাকাল।
ছেলেটি আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগল মেয়েটি থামিয়ে দিয়ে বল্ল, এসব ফালতু ছেলেদের কাছে যেয়ে লাভ নায় দেখছনা কী হাদারাম! তাই তো আজকের দিনও তার একটা গ্রালফ্রেন্ড নায়। কথাটা শুনে মনের কোন যায়গাটায় যেন লাগল। তাই কন্ট্রোল হারিয়ে জোরে জোরেই বলতে লাগলাম, তোদের মত কুলাঙ্গার বাবা-মায়ের মেয়ে যদি এই হাফির কাছে নগ্ন হয়েও আসে তাহলে এই হাফি ছুঁয়ে দেখা তো দূরের কথা, চোখ তুলে দিত্বীয়বার তাকাবেনা তোদের মত ব্যা...মেয়েদের দিকে।
তোদের মেয়ে বলাও তো পাপ, তোরা মেয়ে জাতির কলঙ্ক। দুইদিন পর যখন দুই মিনিটে আনন্দ করায় পেটে অবৈধ সন্তান আসবে তখন দৌড়াবি ঐ প্রেমিকের পিছনে। আর অস্বীকার গেলেই বলবি পুর পুরুষ জাতি খারাপ। আগে নিজে ভালো হ তো জগত ভালো হবে।
কই এখন তো আর দেখতে পাওয়া যায় না কোন ছেলের জন্য কোন মেয়েকে বিষ খেতে বা গলায় দড়ি দিতে। জানি আত্বহত্মা মহাপাপ। যারা এ কাজ করে তারাও জানে। তবুও তারা মনে করে মরার পর দুজন না হয় একসঙ্গে থাকবে, হয় জাহান্নাম না হয় জান্নাত। এগুলো ভালবাসা কী? আমার ঠিক জানা নায়, তবে হতেও পারে। কিন্তু এখন যেগুলো হয় তা মোটেই ভালবাসা নয়। যদি হতো তাহলে একজন প্রেমিক ছেলে একটা প্রেমিকা থাকা সত্বেও অন্য আরেকজন মেয়ের দিকে চোখ তুলে তাকাত না। আর প্রেমিকাগুলো এতহারে প্রেমিকদের ছ্যাঁকা দিত না। মেয়েরাও আজ বুঝতে শিখেছে। তাদেরও চাহিদা বলে কিছু আছে।
মডেল করছে শহরে নিম্নচাপ পড়ছে গ্রামে। কারন কী?
কারন একটাই, সুন্দরভাবে মিডিয়াগুলো দেখাচ্ছে কি ভাবে একটা মেয়েকে ধর্ষন করা হয়, আর সেই সুত্র কাজে লাগিয়ে ধর্ষন হচ্ছে গ্রাম বাংলা থেকে শুরু করে হাজারো শহরের মেয়ে। আরো কিছু মিডিয়ার ত্রুটি রয়েছে। ত্রুটি রয়েছে ঐ সব ছেলে মেয়েদের মনে। কিছু মিডিয়ারা প্রচার করে প্রেম বিষয় কিছু নাটক যা সম্পূর্ন কাল্পনিক ভাবে নির্মিত। আর তার প্রভাব পড়ছে এসে বাস্তব জীবনের উপর। ঐ সব দেখে দেখে শুরু হচ্ছে আজ কাল করা ছেলে মেয়েদের প্রেম প্রেম খেলা। যার ফল প্রেমিকের পার্সনাল পতিতা প্রেমিকা। আমার তো মনে হচ্ছে আমলে জাহিলিকাফের দুনিয়া আবার ফিরে এসেছে।
দুই পাঁচ বছর আগে তাও আড়ালে চলত অপকর্মগুলো। আর ধীরে ধীরে এখন তা চলে এসেছে ওপেন ভাবে রাস্তায়। শুধু তারা ভয় করে একটু বাবা মাকে।
যারা আল্লাহকে ভয় করে না তারা আবার মানুষকে কিসের ভয় পায়? ভাগ নেবে তাই না কী? তবে আপনারা যে যায় বলুন না কেন, আমি কিন্তু এসব ব্যাহাইয়া বাবা মায়ের কুলাঙ্গার সন্তানদের মুখে থু থু ফেলি, একশত বার ফেলি। আর শেষে ফরিয়াদ মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে যে, হে রব্বুল আলামিন এদের আপনি সঠিক বুঝ দান করুন। নতুবা ফেরাউন, কারউন, এদের মত ধ্বংস্ব করে দিন।
আমিন!
বিঃদ্রঃ ভালো হতে শুধু সুন্দর একটা মনমানুষিকতার দরকার।
উৎসর্গ:- পৃথিবীর সমস্ত যুবক যুবতীদের।
©somewhere in net ltd.